শেরপুরের নকলায় এক কলেজছাত্রীকে (১৬) অপহরণের পর ধর্ষণের দায়ে বাবুল তিলক দাস (২৯) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে একমাত্র আসামির অনুপস্থিতিতে ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্ত বাবুল তিলক দাসের বাড়ি পার্শ্ববর্তী ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার নয়নবাড়ী এলাকায়।

রায়ে একই সঙ্গে অপহরণের দায়ে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে উভয় সাজা একই সঙ্গে চলবে। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু।

আদালত ও মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, নকলা উপজেলার কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে বাবুল তিলক দাস। একপর্যায়ে ২০১৯ সালের ২৪ আগস্ট ওই ছাত্রী কলেজে যাওয়ার পথে তাঁকে জোরপূর্বক সিএনজিচালিত অটোরিকশায় উঠিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায় বাবুল।

কলেজ শেষ হওয়ার পরও ছাত্রী বাড়ি না ফেরায় তার পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে ওই কলেজছাত্রী নিজেই তাঁর মায়ের ফোন দিয়ে জানায় যে বাবুল তিলক তাঁকে অপহরণ করে গাজীপুরের বাসন থানার ইটাহাটা এলাকায় আটকে রেখেছে।

পরে এ ঘটনায় কলেজছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর বাবুল তিলক দাসকে আসামি করে নকলা থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পরদিন আসামি বাবুল তিলককে গ্রেপ্তার ও ভিকটিমকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে পুলিশ।