ফলবাগান ঘিরে আয় বাড়ানোর স্বপ্ন দেখছে প্রবাসীর পরিবার

তিতাস প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৮: ৪৬
আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২: ৩৯

মাসুদ মোল্লা সৌদিপ্রবাসী। গত বছর ছুটিতে দেশে ফিরে ৪৫ শতক জমিতে গড়ে তুলেছেন ফলবাগান। বর্তমানে তাঁর স্ত্রী হাসিনা বেগমের পরিচর্যায় বাগানটি বেড়ে ওঠছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাগানটি পরিবারের অন্যতম আয়ের উৎস হবে বলে আশা করছেন তাঁরা।

তিতাস উপজেলার হাইধনকান্দি গ্রামের পরিবারটির বাস। সরেজমিনে দেখা গেছে, বাগানে বিভিন্ন প্রজাতির ফল গাছ। এর মধ্যে বিভিন্ন জাতের বার মাসি আম, পেয়ারা, লেবু, আপেল কুল, পেঁপে। তবে এগুলোর মধ্যে ড্রাগনই অন্যতম। এ ছাড়া ড্রাগনের সঙ্গে সাথি ফসল হিসেবে পেঁয়াজ, লাল শাক ও পালং শাক চাষ করা হচ্ছে।

কথা হয় হাসিনা বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, তাঁর স্বামী সৌদি আরব থেকে ছুটিতে দেশে ফিরে প্রথমে ড্রাগন ফলের চাষ শুরু করেন। বর্তমানে তিনিই বাগানটি দেখাশোনা করেন।

স্ত্রী আরও জানান, ইতিমধ্যে ৩০ কেজির মতো ড্রাগন ফল বিক্রি করেছেন। আসছে মৌসুমে ফলন আরও ভালো হওয়ার আশা করছেন। ফলের আকারও বড় হবে। এতে দামও বেশি পাওয়া যাবে।

ড্রাগন ফলের চাষ দেশে জনপ্রিয় হয়ে ওঠছে। বর্তমান বাজারে চাহিদা ও দাম ভালো পাওয়া যাচ্ছে। বিদেশি এই ফল পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ।

হাসিনা বেগম আরও বলেন, ‘আমার স্বামী আমাকে বাগান করতে উৎসাহিত করেন। এতে আমি আগ্রহী হই। পুরো জমিজুড়ে ফলের চাষ শুরু করি। আমার বাগানের তিনটি ড্রাগন ফলের ওজন এক কেজি হয়েছে। পাইকারি সাড়ে ৩০০ টাকা করে বিক্রি করেছি।’

উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কোনো প্রকার সহযোগিতা পান কি না জানতে চাইলে হাসিনা বেগম হাসিমাখা মুখে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোনো সমস্যা হলে আমি আমার স্বামীকে জানাই। তিনি সৌদি আরব থেকে ফোনে কৃষি অফিসে কথা বলেন। পরে আমাকে পরামর্শ দেন। আমি সেভাবে কাজ করি।’

এই দম্পতির ফলের বাগান প্রসঙ্গে কথা হয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ড্রাগন চাষে আমাদের কোনো কর্মসূচি নেই। এরপরেও আমরা বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে চাষিদের সহায়তা করছি।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত