রাজশাহী প্রতিনিধি
বছরের এক মাস পেরিয়ে গেলেও রাজশাহীতে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা এখনো সব বই হাতে পায়নি। কোনো কোনো স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা গণিত, পদার্থ কিংবা রসায়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ বইগুলোও পায়নি। কাছে বই নেই, করোনার জন্য স্কুলও বন্ধ। এ অবস্থায় কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে কোনো ধারণাই পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা। তবে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা প্রায় শতভাগ বই পেয়েছে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, রাজশাহী নগরী ও জেলার ৯ উপজেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ে মোট বইয়ের চাহিদা ৩৩ লাখ ১২ হাজার ৭৭৫টি। এর মধ্যে ২২ লাখ ১০ হাজার ৫১৫টি বই এ পর্যন্ত পাওয়া গেছে। ঘাটতি আছে ১১ লাখ ২ হাজার ২৬০টি বই। গড়ে মাধ্যমিকের ৬৭ শতাংশ বই পাওয়া গেছে। গোদাগাড়ী উপজেলার শিক্ষার্থীরা গড়ে সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ বই পেয়েছে। আর সবচেয়ে কম, ৫০ শতাংশ বই পেয়েছে পবা উপজেলার শিক্ষার্থীরা।
পবার মুরারিপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজিলাতুন নেসা বলেন, নবম শ্রেণির সব বই এখনো আসেনি। সেগুলো শিক্ষার্থীদের দেওয়া যায়নি। এখন স্কুল বন্ধ। বই থাকলে শিক্ষার্থীরা বাড়িতে দেখতে পারত। এখন অনলাইনে ক্লাস নেওয়া হলেও সবার ডিভাইস না থাকায় অংশ নিতে পারছে না। সে জন্য শিক্ষার্থীদের একটু সমস্যা হচ্ছে।
একই কথা বললেন পবার তেঁতুলিয়াডাঙ্গা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাদত হোসেন। তিনি বলেন, ‘ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির প্রায় সব বই এসেছে। কিন্তু নবম শ্রেণির বিজ্ঞান ও মানবিক বিভাগের সব বই এখনো আসেনি। অষ্টম শ্রেণিরও বই বাকি আছে। বই আসামাত্র আমরা শিক্ষার্থীদের অল্প অল্প করে ডেকে দিয়ে দেব।’
শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় জানিয়েছে, দাখিল পর্যায়ের ৯৬ শতাংশ বই এসেছে। পবায় ৯৩ শতাংশ ও মোহনপুরে ৬৮ শতাংশ ছাড়া অন্য সবখানে দাখিলের শতভাগ বই পৌঁছেছে। দাখিলের এখন ২৩ হাজার ৫৭৫টি বইয়ের ঘাটতি রয়েছে। চাহিদা ছিল ৬ লাখ ১০ হাজার ৮৯৫টি বই। পাওয়া গেছে ৫ লাখ ৮৭ হাজার ৩২০টি। ইবতেদায়ির ৮৫ শতাংশ বই এসেছে রাজশাহী জেলায়। তবে মোহনপুর উপজেলায় ইবতেদায়ির একটি বইও যায়নি। এ উপজেলায় বইয়ের চাহিদা ১৯ হাজার ২০০টি। জেলা ও মহানগরে ইবতেদায়ির মোট বই প্রয়োজন ২ লাখ ৬৮ হাজার ৯৪০টি। এর মধ্যে ২ লাখ ২৯ হাজার ২৮০টি বই পাওয়া গেছে। ঘাটতি ৩৯ হাজার ৬৬০টি।
এসএসসি ভোকেশনালের মাত্র ৩৭ শতাংশ বই এসেছে রাজশাহীতে। জেলায় এই বইয়ের চাহিদা ১ লাখ ৭৮ হাজার ২০০টি। এর মধ্যে ৬৫ হাজার ৪৬৫টি বই পাওয়া গেছে। ১ লাখ ১২ হাজার ৭৩৫টি বইয়ের অপেক্ষায় শিক্ষার্থীরা। ইংরেজি ভার্সনের বই পাওয়া গেছে সর্বনিম্ন, ২২ শতাংশ। রাজশাহীতে এই বইয়ের চাহিদা ১১ হাজার ৫৭৫টি। এর মধ্যে মাত্র ২ হাজার ৫২০টি বই পাওয়া গেছে। বাকি ৯ হাজার ৫৫টি বই এখনো আসেনি।
সবশেষ গত রোববারের হিসাব অনুযায়ী, রাজশাহীতে সব মিলিয়ে বইয়ের প্রয়োজন ৪৩ লাখ ৮২ হাজার ৩৮৫টি। এর মধ্যে ৩০ লাখ ৯৭ হাজার ৬২০টি বই পাওয়া গেছে। বাকি ১২ লাখ ৮৪ হাজার ৭৬৫টি বই এখনো আসেনি। বই না পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে বলে বলছেন অভিভাবকেরা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা কর্মকর্তা নাসির উদ্দীন বলেন, ‘এখনো বই না আসার কারণে আমরা স্কুলে স্কুলে পৌঁছাতে পারিনি। দ্রুত যেন বই আসে, তার জন্য আমরা যোগাযোগ করছি। বই আসামাত্র আমরা পাঠিয়ে দেব। করোনার জন্য স্কুল বন্ধ থাকলেও শিক্ষকেরা দু-একজন করে শিক্ষার্থীকে ডেকে বই দিয়ে দেবেন।’
বছরের এক মাস পেরিয়ে গেলেও রাজশাহীতে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা এখনো সব বই হাতে পায়নি। কোনো কোনো স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা গণিত, পদার্থ কিংবা রসায়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ বইগুলোও পায়নি। কাছে বই নেই, করোনার জন্য স্কুলও বন্ধ। এ অবস্থায় কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে কোনো ধারণাই পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা। তবে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা প্রায় শতভাগ বই পেয়েছে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, রাজশাহী নগরী ও জেলার ৯ উপজেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ে মোট বইয়ের চাহিদা ৩৩ লাখ ১২ হাজার ৭৭৫টি। এর মধ্যে ২২ লাখ ১০ হাজার ৫১৫টি বই এ পর্যন্ত পাওয়া গেছে। ঘাটতি আছে ১১ লাখ ২ হাজার ২৬০টি বই। গড়ে মাধ্যমিকের ৬৭ শতাংশ বই পাওয়া গেছে। গোদাগাড়ী উপজেলার শিক্ষার্থীরা গড়ে সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ বই পেয়েছে। আর সবচেয়ে কম, ৫০ শতাংশ বই পেয়েছে পবা উপজেলার শিক্ষার্থীরা।
পবার মুরারিপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজিলাতুন নেসা বলেন, নবম শ্রেণির সব বই এখনো আসেনি। সেগুলো শিক্ষার্থীদের দেওয়া যায়নি। এখন স্কুল বন্ধ। বই থাকলে শিক্ষার্থীরা বাড়িতে দেখতে পারত। এখন অনলাইনে ক্লাস নেওয়া হলেও সবার ডিভাইস না থাকায় অংশ নিতে পারছে না। সে জন্য শিক্ষার্থীদের একটু সমস্যা হচ্ছে।
একই কথা বললেন পবার তেঁতুলিয়াডাঙ্গা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাদত হোসেন। তিনি বলেন, ‘ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির প্রায় সব বই এসেছে। কিন্তু নবম শ্রেণির বিজ্ঞান ও মানবিক বিভাগের সব বই এখনো আসেনি। অষ্টম শ্রেণিরও বই বাকি আছে। বই আসামাত্র আমরা শিক্ষার্থীদের অল্প অল্প করে ডেকে দিয়ে দেব।’
শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় জানিয়েছে, দাখিল পর্যায়ের ৯৬ শতাংশ বই এসেছে। পবায় ৯৩ শতাংশ ও মোহনপুরে ৬৮ শতাংশ ছাড়া অন্য সবখানে দাখিলের শতভাগ বই পৌঁছেছে। দাখিলের এখন ২৩ হাজার ৫৭৫টি বইয়ের ঘাটতি রয়েছে। চাহিদা ছিল ৬ লাখ ১০ হাজার ৮৯৫টি বই। পাওয়া গেছে ৫ লাখ ৮৭ হাজার ৩২০টি। ইবতেদায়ির ৮৫ শতাংশ বই এসেছে রাজশাহী জেলায়। তবে মোহনপুর উপজেলায় ইবতেদায়ির একটি বইও যায়নি। এ উপজেলায় বইয়ের চাহিদা ১৯ হাজার ২০০টি। জেলা ও মহানগরে ইবতেদায়ির মোট বই প্রয়োজন ২ লাখ ৬৮ হাজার ৯৪০টি। এর মধ্যে ২ লাখ ২৯ হাজার ২৮০টি বই পাওয়া গেছে। ঘাটতি ৩৯ হাজার ৬৬০টি।
এসএসসি ভোকেশনালের মাত্র ৩৭ শতাংশ বই এসেছে রাজশাহীতে। জেলায় এই বইয়ের চাহিদা ১ লাখ ৭৮ হাজার ২০০টি। এর মধ্যে ৬৫ হাজার ৪৬৫টি বই পাওয়া গেছে। ১ লাখ ১২ হাজার ৭৩৫টি বইয়ের অপেক্ষায় শিক্ষার্থীরা। ইংরেজি ভার্সনের বই পাওয়া গেছে সর্বনিম্ন, ২২ শতাংশ। রাজশাহীতে এই বইয়ের চাহিদা ১১ হাজার ৫৭৫টি। এর মধ্যে মাত্র ২ হাজার ৫২০টি বই পাওয়া গেছে। বাকি ৯ হাজার ৫৫টি বই এখনো আসেনি।
সবশেষ গত রোববারের হিসাব অনুযায়ী, রাজশাহীতে সব মিলিয়ে বইয়ের প্রয়োজন ৪৩ লাখ ৮২ হাজার ৩৮৫টি। এর মধ্যে ৩০ লাখ ৯৭ হাজার ৬২০টি বই পাওয়া গেছে। বাকি ১২ লাখ ৮৪ হাজার ৭৬৫টি বই এখনো আসেনি। বই না পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে বলে বলছেন অভিভাবকেরা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা কর্মকর্তা নাসির উদ্দীন বলেন, ‘এখনো বই না আসার কারণে আমরা স্কুলে স্কুলে পৌঁছাতে পারিনি। দ্রুত যেন বই আসে, তার জন্য আমরা যোগাযোগ করছি। বই আসামাত্র আমরা পাঠিয়ে দেব। করোনার জন্য স্কুল বন্ধ থাকলেও শিক্ষকেরা দু-একজন করে শিক্ষার্থীকে ডেকে বই দিয়ে দেবেন।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২১ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে