মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
সেলিনা সুলতানা একসময় চাকরি করতেন। এতে ভালোই চলছিল তাঁর। দুই মেয়ে আর স্বামীকে নিয়ে সুখের সংসার। কিন্তু হঠাৎ একদিন খুব মন খারাপ করে চাকরিটা ছেড়ে দেন সুলতানা। মন ভালো করতে স্বামী তাঁকে কিছু গাছ উপহার দেন। এভাবেই গাছের সঙ্গে সেলিনার সখ্য শুরু। এখন প্রায় ৫০০ প্রজাতির কয়েক হাজার গাছ তাঁর বাগানজুড়ে। সব মিলিয়ে গাছের মূল্য কয়েক লাখ টাকা। সেলিনা রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ঢাকার উত্তরায় তাঁর বাসা।
ছোটবেলা থেকে নানার করা বাগান দেখে তিনি গাছের প্রতি উৎসাহী হন। ২০১৮ সালে সেলিনার গাছের ব্যবসার শুরু। স্বামীর উপহার দেওয়া গাছে ব্যবসা শুরু হলেও এখন ক্যাকটাস, সাকুলেন্ট, ইনডোর প্ল্যান্ট, অর্কিড, এডেনিয়াম এরাবিকামসহ আরও অনেক ধরনের গাছ আছে তাঁর সংগ্রহে।
ফেসবুকে সেলিনার পেজের নাম ‘জঙ্গলবাড়ি’। তিনি এই পেজে এবং নিজের ফেসবুক আইডির মাধ্যমেও গাছ বিক্রি করেন। গাছ ছাড়াও তাঁর কাছে সার, টব, গাছ রাখার র্যাক এবং গাছ রক্ষণাবেক্ষণের আনুষঙ্গিক অনেক জিনিস পাওয়া যায়। ১০০ থেকে ১০ হাজার টাকা দামের গাছ রয়েছে সেলিনা সুলতানার বাগানে।
সেলিনা সুলতানা গাছ সংগ্রহ করেন আমদানিকারকদের কাছ থেকে। এ ক্ষেত্রে মাঝেমধ্যে ভালো গাছ পেতে সমস্যায় পড়েন। তবে কাজটাকে তিনি চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছেন। সে রকমই একটি ঘটনার কথা জানান তিনি। শীতকালে সাধারণত ক্যাকটাস বিক্রি কম হয়। এক বিক্রেতা অনেক ক্যাকটাস বিক্রি করতে পারছিলেন না। সেলিনা তখন বেশ সাহস করে লক্ষাধিক টাকায় সেগুলো কিনে নেন। পরে ক্যাকটাসগুলোর তিনি সর্বোচ্চ যত্নআত্তি করেন। সেই বিনিয়োগে বেশ লাভবান হন তিনি।
সেলিনা নিজের বাগানে উৎপাদিত গাছ, বীজ, সার–সবই বিক্রি করেন। বিক্রির রহস্য নিয়ে তিনি বলেন, ‘আসলে একবার যিনি আমার কাছ থেকে গাছ নেন, পরে তিনি তো নেনই, অন্যদেরও গাছ কিনতে পাঠান। কারণ তাঁরা আমাকে বিশ্বাস করেন।’ পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতার বিষয়ে সেলিনা বলেন, ‘আমার স্বামী, সন্তানেরা সব সময়ই আমার পাশে থেকে উৎসাহ দেয়।’
বাজারে ক্যাকটাসের অনেক দাম। বিষয়টা একসময় সেলিনাকে বেশ ভাবিয়ে তোলে। ক্যাকটাস কিনতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতেন তিনি। এখন দিন বদলেছে। দিনবদলের কারিগর তিনি নিজেই। তিনি নিজেই ক্যাকটাস থেকে চারা তৈরি করেন। ইতিমধ্যে অনেকেই তাঁর দেখাদেখি বাগান করে সফলতাও পেয়েছেন।
ঘর-সংসারের পাশাপাশি বাগান করার বিষয়ে সেলিনা বলেন, ‘যারা গাছ ভালোবাসে না, গাছ সম্পর্কে জানে না, তাদের জন্য এ কাজে সফলতা পাওয়া কঠিন। আগে নিজে কিছু গাছ সংগ্রহ করে গাছের ভাষা বুঝতে হবে। একেক গাছের একেক রকম যত্ন। সেসব বিষয়ে আগে ধারণা নিতে হবে। মনে রাখতে হবে, গাছেরও প্রাণ আছে। তাই ব্যবসার ক্ষেত্রে অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে গাছের ব্যবসার তুলনা করলে হবে না। প্রাণীদের মতো গাছেরও যত্ন, খাবারদাবার—এসবের কথা বিবেচনায় রেখে ব্যবসার পথে হাঁটতে হবে।’
নতুন চাষিদের বিষয়ে সেলিনা বলেন, ‘বুঝে হোক বা না বুঝে হোক, তাঁরা গাছে বেশি পানি দিয়ে ফেলেন। একেক গাছের একেক রকম চাহিদা। নতুন চাষিরা সব গাছের একই ধরনের যত্ন করেন। এ ক্ষেত্রে সব ধরনের গাছকে এক কাতারে ফেলা যাবে না। গাছ বুঝে গাছের যত্ন করতে হবে।’
স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন সেলিনা সুলতানা। তাঁর স্বপ্ন, সুন্দর একটু জায়গা কিনবেন। সেখানে মনের মতো বাগান গড়ে তুলবেন।
সেলিনা সুলতানা একসময় চাকরি করতেন। এতে ভালোই চলছিল তাঁর। দুই মেয়ে আর স্বামীকে নিয়ে সুখের সংসার। কিন্তু হঠাৎ একদিন খুব মন খারাপ করে চাকরিটা ছেড়ে দেন সুলতানা। মন ভালো করতে স্বামী তাঁকে কিছু গাছ উপহার দেন। এভাবেই গাছের সঙ্গে সেলিনার সখ্য শুরু। এখন প্রায় ৫০০ প্রজাতির কয়েক হাজার গাছ তাঁর বাগানজুড়ে। সব মিলিয়ে গাছের মূল্য কয়েক লাখ টাকা। সেলিনা রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ঢাকার উত্তরায় তাঁর বাসা।
ছোটবেলা থেকে নানার করা বাগান দেখে তিনি গাছের প্রতি উৎসাহী হন। ২০১৮ সালে সেলিনার গাছের ব্যবসার শুরু। স্বামীর উপহার দেওয়া গাছে ব্যবসা শুরু হলেও এখন ক্যাকটাস, সাকুলেন্ট, ইনডোর প্ল্যান্ট, অর্কিড, এডেনিয়াম এরাবিকামসহ আরও অনেক ধরনের গাছ আছে তাঁর সংগ্রহে।
ফেসবুকে সেলিনার পেজের নাম ‘জঙ্গলবাড়ি’। তিনি এই পেজে এবং নিজের ফেসবুক আইডির মাধ্যমেও গাছ বিক্রি করেন। গাছ ছাড়াও তাঁর কাছে সার, টব, গাছ রাখার র্যাক এবং গাছ রক্ষণাবেক্ষণের আনুষঙ্গিক অনেক জিনিস পাওয়া যায়। ১০০ থেকে ১০ হাজার টাকা দামের গাছ রয়েছে সেলিনা সুলতানার বাগানে।
সেলিনা সুলতানা গাছ সংগ্রহ করেন আমদানিকারকদের কাছ থেকে। এ ক্ষেত্রে মাঝেমধ্যে ভালো গাছ পেতে সমস্যায় পড়েন। তবে কাজটাকে তিনি চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছেন। সে রকমই একটি ঘটনার কথা জানান তিনি। শীতকালে সাধারণত ক্যাকটাস বিক্রি কম হয়। এক বিক্রেতা অনেক ক্যাকটাস বিক্রি করতে পারছিলেন না। সেলিনা তখন বেশ সাহস করে লক্ষাধিক টাকায় সেগুলো কিনে নেন। পরে ক্যাকটাসগুলোর তিনি সর্বোচ্চ যত্নআত্তি করেন। সেই বিনিয়োগে বেশ লাভবান হন তিনি।
সেলিনা নিজের বাগানে উৎপাদিত গাছ, বীজ, সার–সবই বিক্রি করেন। বিক্রির রহস্য নিয়ে তিনি বলেন, ‘আসলে একবার যিনি আমার কাছ থেকে গাছ নেন, পরে তিনি তো নেনই, অন্যদেরও গাছ কিনতে পাঠান। কারণ তাঁরা আমাকে বিশ্বাস করেন।’ পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতার বিষয়ে সেলিনা বলেন, ‘আমার স্বামী, সন্তানেরা সব সময়ই আমার পাশে থেকে উৎসাহ দেয়।’
বাজারে ক্যাকটাসের অনেক দাম। বিষয়টা একসময় সেলিনাকে বেশ ভাবিয়ে তোলে। ক্যাকটাস কিনতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতেন তিনি। এখন দিন বদলেছে। দিনবদলের কারিগর তিনি নিজেই। তিনি নিজেই ক্যাকটাস থেকে চারা তৈরি করেন। ইতিমধ্যে অনেকেই তাঁর দেখাদেখি বাগান করে সফলতাও পেয়েছেন।
ঘর-সংসারের পাশাপাশি বাগান করার বিষয়ে সেলিনা বলেন, ‘যারা গাছ ভালোবাসে না, গাছ সম্পর্কে জানে না, তাদের জন্য এ কাজে সফলতা পাওয়া কঠিন। আগে নিজে কিছু গাছ সংগ্রহ করে গাছের ভাষা বুঝতে হবে। একেক গাছের একেক রকম যত্ন। সেসব বিষয়ে আগে ধারণা নিতে হবে। মনে রাখতে হবে, গাছেরও প্রাণ আছে। তাই ব্যবসার ক্ষেত্রে অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে গাছের ব্যবসার তুলনা করলে হবে না। প্রাণীদের মতো গাছেরও যত্ন, খাবারদাবার—এসবের কথা বিবেচনায় রেখে ব্যবসার পথে হাঁটতে হবে।’
নতুন চাষিদের বিষয়ে সেলিনা বলেন, ‘বুঝে হোক বা না বুঝে হোক, তাঁরা গাছে বেশি পানি দিয়ে ফেলেন। একেক গাছের একেক রকম চাহিদা। নতুন চাষিরা সব গাছের একই ধরনের যত্ন করেন। এ ক্ষেত্রে সব ধরনের গাছকে এক কাতারে ফেলা যাবে না। গাছ বুঝে গাছের যত্ন করতে হবে।’
স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন সেলিনা সুলতানা। তাঁর স্বপ্ন, সুন্দর একটু জায়গা কিনবেন। সেখানে মনের মতো বাগান গড়ে তুলবেন।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২০ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে