রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বড় ম্যুরাল

রাজশাহী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৭: ১৮
আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৮: ৪১

রাজশাহীতে নির্মাণ করা হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুউচ্চ এক ম্যুরাল। শহরের সিঅ্যান্ডবি মোড়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) এটি নির্মাণ করেছে। নির্মাণের শুরু থেকেই রাসিক দাবি করে, সারা দেশের মধ্যে এটিই বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বড় ম্যুরাল।

ম্যুরালটি আজ শনিবার উদ্বোধনের কথা রয়েছে। রাজশাহীতে আজ থেকেই বাংলাদেশ-ভারত পঞ্চম সাংস্কৃতিক মিলনমেলার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। প্রথমেই বঙ্গবন্ধুর এই ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে মিলনমেলার আনুষ্ঠানিকতা। ভারতীয় কয়েকজন মন্ত্রী ও বাংলাদেশি রাজনীতিকদের এই ম্যুরালটিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের কথা রয়েছে।

আর তখনই ম্যুরালটির উদ্বোধন ঘোষণা করা হবে। গত ১৬ ডিসেম্বরেই ম্যুরালটির উদ্বোধনের কথা ছিল। কাজ শেষ না হওয়ায় উদ্বোধন করা যায়নি। এখনো কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। তবে কয়েক দিন ধরে দিনরাত এক করে কাজ চলেছে। অতিথিদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর আগামী ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন থেকে এটি সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে বলে জানা গেছে।

রাসিকের প্রকৌশল শাখা জানিয়েছে, প্রায় ৫ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ম্যুরালটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এর উচ্চতা ৫৮ ফুট। ম্যুরালের মূল অংশে বঙ্গবন্ধুর ছবিটি ৫০ ফুট উচ্চতা এবং ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য। এটির ফাউন্ডেশনে ২২টি পাইলিং করা হয়েছে। সীমানাপ্রাচীরের দুপাশে ৭০০ বর্গফুট টেরা কাটার কাজ করা হচ্ছে। এক ধারে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের লোকজ সংস্কৃতির নানা চিত্র ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। অন্যদিকে ভাষা আন্দোলন থেকে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরা হচ্ছে। গ্যালারি, ল্যান্ডস্কেপিংয়ে উন্নত গ্রানাইট দিয়ে সজ্জিত করা হচ্ছে ম্যুরালটি। এটিই দেশের সবচেয়ে বড় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল।

এদিকে, ম্যুরালটির কাজ প্রায় শেষ হওয়ায় সিঅ্যান্ডবি মোড়টিকে ‘বঙ্গবন্ধু চত্বর’ হিসেবে নামকরণের দাবি উঠেছে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধারা এ দাবি জানান।

সভা সূত্র জানায়, আলোচনার একপর্যায়ে জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল ও সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের মধ্যে ফোনালাপ হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ফোনালাপে মেয়র এবং জেলা প্রশাসক এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করেন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ডিসি স্যার বিষয়টি নিয়ে মেয়র মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে সিঅ্যান্ডবি মোড়কে ‘বঙ্গবন্ধু চত্বর’ নামে নামকরণের সম্ভাবনা আছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত