আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলকে আলাদা রাষ্ট্র করতে ১৯৪৭ সালে একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিল জাতিসংঘ। এরপর ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলে শান্তি ফেরাতে ১৯৬৭ সালে সংস্থাটির নিরাপত্তা পরিষদে একটি ঐতিহাসিক প্রস্তাব পাস হয়। রেজল্যুশন-২৪২ নামের প্রস্তাবকে সমর্থন করেছিলেন ফিলিস্তিনিরা। পৃথক রাষ্ট্র করতে জাতিসংঘের পরিকল্পনার ৭৭ বছর, রেজল্যুশন-২৪২ পাস হওয়ার ৫৭ বছর পেরিয়েছে, ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা আসেনি, এখনো সে স্বপ্ন অধরা।
জাতিসংঘ যখন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার কথা বলেছিল, তখন যুক্তরাষ্ট্রের ভাবনা কী ছিল সেটা পাওয়া যায় দেশটির সরকারের ওয়েবসাইটে। ১৯৬৫ সালের মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি নিয়ে ওয়েবসাইটে বলা হচ্ছে, ইসরায়েল সীমান্তে সন্ত্রাসী কার্যক্রম বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধাকেরা। তবে যুক্তরাষ্ট্রকে সে সময় একটি বার্তা দিয়েছিলেন মিসরের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জামাল আবদেল নাসের। তিনি বলেছিলেন, মধ্যপ্রাচ্যের সমস্যা অস্ত্র কিংবা ক্ষেপণাস্ত্র নয়—এই অঞ্চলের সংকট হলো ইসরায়েল। মধ্যপ্রাচ্যে অস্ত্রের দৌরাত্ম্য কখনোই শেষ হবে না, যদি ইসরায়েল সংকটের সমাধান না হয়।
পরবর্তী সময়ে দেখা যায়, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকট সমাধান না হওয়ায় মধ্যপ্রাচ্যে অস্ত্রের ঝনঝনানি দিন দিন বেড়েই চলেছে। ১৯৪৭ সালে ফিলিস্তিনিদের ওপর নেমে এসেছে আল-নাকবা বা মহাবিপর্যয়। ফিলিস্তিনিরা ১৯৬৭ সালে যুদ্ধ দেখেছে। এরপর ১৯৯৩ সালে অসলো চুক্তির মধ্য দিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা এসেছে। উঠে আসে দ্বিরাষ্ট্রিক সমাধানের কথাও; কিন্তু শান্তি আসেনি ফিলিস্তিনে। আর এ সময়ের ব্যবধানে পৃথিবীর বুকে দিনে দিনে ছোট হয়েছে ফিলিস্তিনের মানচিত্র।
এখানে একটি বিষয় লক্ষণীয়, অসলো চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী অন্যতম নেতা ইয়াসির আরাফাত এবং তৎকালীন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী আইজ্যাক রবিন। কিন্তু রবিন কী আসলেই শান্তি চেয়েছিলেন, এ প্রশ্ন উঠতেই পারে। ওয়াশিংটন পোস্টের এক খবরে বলা হচ্ছে, রবিন বলতেন, ‘প্রতিদিন সকালে একজন নতুন মানুষ হিসেবে আমরা ঘুম থেকে উঠি। শান্তি সম্ভব।’ তবে তিনি এটাও বলেছিলেন, ‘আমার এটা ভাবতে ভালো লাগে, গাজা যদি সমুদ্রে ডুবে যেত! তবে এটা কখনো ঘটবে না। এ জন্যই সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।’
মধ্যপ্রাচ্যে অস্ত্রের দৌরাত্ম্য কখনোই শেষ হবে না, যদি ইসরায়েল সংকটের সমাধান না হয়।
জামাল আবদেল নাসের,মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট
স্বাধীনতার পেছনে ছুটতে গিয়ে ফিলিস্তিনিরা বিভক্ত হয়ে পড়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী অন্যতম সংগঠন ফাতাহর সঙ্গে অন্যদের দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। ফাতাহ একসময় অস্ত্র ফেলে দিয়ে সমঝোতার পথে হেঁটেছে। নতুন সশস্ত্র গোষ্ঠী হিসেবে স্বাধীনতাকামী হামাসের জন্ম হয়েছে। তাদের সঙ্গে ফাতাহর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। ফলে বিভক্ত হয়ে পড়েছে ফিলিস্তিনিরা।
এদিকে মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে ঐতিহাসিকভাবে ইসরায়েলের যে দ্বন্দ্ব ছিল, যুক্তরাষ্ট্রের চেষ্টায় সেটাও কমে এসেছে। ২০২০ সালে বেশ কিছু চুক্তির আওতায় ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিয়েছিল মুসলিম বিশ্বের দেশ—সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্ডান, বাহরাইন, মরক্কো ও সুদান। চুক্তিতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দীর্ঘদিনের যে দাবি, তা এড়িয়ে যাওয়া হয়েছিল। আমিরাত এবং বাহরাইন ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পর ফিলিস্তিন বলেছিল, দেশ দুটি তাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করল।
মধ্যপ্রচ্যের অন্যতম ক্ষমতাধর দেশ সৌদি আরব। দেশটির সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। আল জাজিরার খবরে বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র পরিষ্কার করে দিয়েছে, সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এ প্রসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, এটা তারা করছেন জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে।
এদিকে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের কথা পশ্চিমা বিশ্বের যেসব দেশ বলে আসছে, তারাও আর ফিলিস্তিনের পাশে নেই। ইসরায়েলের পরম বন্ধু হওয়ার পরও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র বারবার ইরায়েলের দখলদারত্বের নিন্দা জানিয়ে আসছে। তবে গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর শুধু মানবিক যুদ্ধবিরতির কথা বলছে যুক্তরাষ্ট্র। কেন পুরোপুরি যুদ্ধবিরতিতে যাওয়া যাবে না, তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন। তাঁর মতে, যুদ্ধবিরতি হলে হামাস আবার সংগঠিত হবে।
আমার এটা ভাবতে ভালো লাগে, গাজা যদি সমুদ্রে ডুবে যেত। তবে এটা কখনো ঘটবে না। এ জন্যই সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।
আইজ্যাক রবিন, ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানিয়েছে। তবে যুদ্ধ বন্ধে তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। এ কারণে কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন তাঁর কর্মকর্তাদের সমালোচনার মুখেও পড়েছেন।
যে অল্প কটি দেশ ফিলিস্তিনের পাশে আছে, তাদের মধ্যে অন্যতম ইরান। দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি যেকোনো মূল্যে ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। ইরান ছাড়া সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ আর ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের পাশে পাচ্ছে ফিলিস্তিন। আর বড় শক্তিধর দেশগুলোর মধ্যে রাশিয়া ও চীন সরাসরি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার কথা বলছে। যুক্তরাষ্ট্রবিরোধিতাকে এই অবস্থান নেওয়ার একটি যৌক্তিক কারণ হিসেবে দেখা যেতে পারে।
অর্থাৎ এ লড়াইয়ে একা ফিলিস্তিন। যে লড়াইয়ের পথে স্বাধীনতা আরও দূরে। এ পথে হাঁটতে ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ২৫ হাজার মানুষ প্রাণ দিয়েছে।
ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলকে আলাদা রাষ্ট্র করতে ১৯৪৭ সালে একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিল জাতিসংঘ। এরপর ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলে শান্তি ফেরাতে ১৯৬৭ সালে সংস্থাটির নিরাপত্তা পরিষদে একটি ঐতিহাসিক প্রস্তাব পাস হয়। রেজল্যুশন-২৪২ নামের প্রস্তাবকে সমর্থন করেছিলেন ফিলিস্তিনিরা। পৃথক রাষ্ট্র করতে জাতিসংঘের পরিকল্পনার ৭৭ বছর, রেজল্যুশন-২৪২ পাস হওয়ার ৫৭ বছর পেরিয়েছে, ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা আসেনি, এখনো সে স্বপ্ন অধরা।
জাতিসংঘ যখন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার কথা বলেছিল, তখন যুক্তরাষ্ট্রের ভাবনা কী ছিল সেটা পাওয়া যায় দেশটির সরকারের ওয়েবসাইটে। ১৯৬৫ সালের মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি নিয়ে ওয়েবসাইটে বলা হচ্ছে, ইসরায়েল সীমান্তে সন্ত্রাসী কার্যক্রম বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধাকেরা। তবে যুক্তরাষ্ট্রকে সে সময় একটি বার্তা দিয়েছিলেন মিসরের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জামাল আবদেল নাসের। তিনি বলেছিলেন, মধ্যপ্রাচ্যের সমস্যা অস্ত্র কিংবা ক্ষেপণাস্ত্র নয়—এই অঞ্চলের সংকট হলো ইসরায়েল। মধ্যপ্রাচ্যে অস্ত্রের দৌরাত্ম্য কখনোই শেষ হবে না, যদি ইসরায়েল সংকটের সমাধান না হয়।
পরবর্তী সময়ে দেখা যায়, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকট সমাধান না হওয়ায় মধ্যপ্রাচ্যে অস্ত্রের ঝনঝনানি দিন দিন বেড়েই চলেছে। ১৯৪৭ সালে ফিলিস্তিনিদের ওপর নেমে এসেছে আল-নাকবা বা মহাবিপর্যয়। ফিলিস্তিনিরা ১৯৬৭ সালে যুদ্ধ দেখেছে। এরপর ১৯৯৩ সালে অসলো চুক্তির মধ্য দিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা এসেছে। উঠে আসে দ্বিরাষ্ট্রিক সমাধানের কথাও; কিন্তু শান্তি আসেনি ফিলিস্তিনে। আর এ সময়ের ব্যবধানে পৃথিবীর বুকে দিনে দিনে ছোট হয়েছে ফিলিস্তিনের মানচিত্র।
এখানে একটি বিষয় লক্ষণীয়, অসলো চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী অন্যতম নেতা ইয়াসির আরাফাত এবং তৎকালীন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী আইজ্যাক রবিন। কিন্তু রবিন কী আসলেই শান্তি চেয়েছিলেন, এ প্রশ্ন উঠতেই পারে। ওয়াশিংটন পোস্টের এক খবরে বলা হচ্ছে, রবিন বলতেন, ‘প্রতিদিন সকালে একজন নতুন মানুষ হিসেবে আমরা ঘুম থেকে উঠি। শান্তি সম্ভব।’ তবে তিনি এটাও বলেছিলেন, ‘আমার এটা ভাবতে ভালো লাগে, গাজা যদি সমুদ্রে ডুবে যেত! তবে এটা কখনো ঘটবে না। এ জন্যই সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।’
মধ্যপ্রাচ্যে অস্ত্রের দৌরাত্ম্য কখনোই শেষ হবে না, যদি ইসরায়েল সংকটের সমাধান না হয়।
জামাল আবদেল নাসের,মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট
স্বাধীনতার পেছনে ছুটতে গিয়ে ফিলিস্তিনিরা বিভক্ত হয়ে পড়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী অন্যতম সংগঠন ফাতাহর সঙ্গে অন্যদের দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। ফাতাহ একসময় অস্ত্র ফেলে দিয়ে সমঝোতার পথে হেঁটেছে। নতুন সশস্ত্র গোষ্ঠী হিসেবে স্বাধীনতাকামী হামাসের জন্ম হয়েছে। তাদের সঙ্গে ফাতাহর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। ফলে বিভক্ত হয়ে পড়েছে ফিলিস্তিনিরা।
এদিকে মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে ঐতিহাসিকভাবে ইসরায়েলের যে দ্বন্দ্ব ছিল, যুক্তরাষ্ট্রের চেষ্টায় সেটাও কমে এসেছে। ২০২০ সালে বেশ কিছু চুক্তির আওতায় ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিয়েছিল মুসলিম বিশ্বের দেশ—সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্ডান, বাহরাইন, মরক্কো ও সুদান। চুক্তিতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দীর্ঘদিনের যে দাবি, তা এড়িয়ে যাওয়া হয়েছিল। আমিরাত এবং বাহরাইন ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পর ফিলিস্তিন বলেছিল, দেশ দুটি তাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করল।
মধ্যপ্রচ্যের অন্যতম ক্ষমতাধর দেশ সৌদি আরব। দেশটির সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। আল জাজিরার খবরে বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র পরিষ্কার করে দিয়েছে, সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এ প্রসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, এটা তারা করছেন জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে।
এদিকে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের কথা পশ্চিমা বিশ্বের যেসব দেশ বলে আসছে, তারাও আর ফিলিস্তিনের পাশে নেই। ইসরায়েলের পরম বন্ধু হওয়ার পরও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র বারবার ইরায়েলের দখলদারত্বের নিন্দা জানিয়ে আসছে। তবে গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর শুধু মানবিক যুদ্ধবিরতির কথা বলছে যুক্তরাষ্ট্র। কেন পুরোপুরি যুদ্ধবিরতিতে যাওয়া যাবে না, তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন। তাঁর মতে, যুদ্ধবিরতি হলে হামাস আবার সংগঠিত হবে।
আমার এটা ভাবতে ভালো লাগে, গাজা যদি সমুদ্রে ডুবে যেত। তবে এটা কখনো ঘটবে না। এ জন্যই সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।
আইজ্যাক রবিন, ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানিয়েছে। তবে যুদ্ধ বন্ধে তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। এ কারণে কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন তাঁর কর্মকর্তাদের সমালোচনার মুখেও পড়েছেন।
যে অল্প কটি দেশ ফিলিস্তিনের পাশে আছে, তাদের মধ্যে অন্যতম ইরান। দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি যেকোনো মূল্যে ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। ইরান ছাড়া সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ আর ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের পাশে পাচ্ছে ফিলিস্তিন। আর বড় শক্তিধর দেশগুলোর মধ্যে রাশিয়া ও চীন সরাসরি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার কথা বলছে। যুক্তরাষ্ট্রবিরোধিতাকে এই অবস্থান নেওয়ার একটি যৌক্তিক কারণ হিসেবে দেখা যেতে পারে।
অর্থাৎ এ লড়াইয়ে একা ফিলিস্তিন। যে লড়াইয়ের পথে স্বাধীনতা আরও দূরে। এ পথে হাঁটতে ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ২৫ হাজার মানুষ প্রাণ দিয়েছে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে