নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নিমাই চাঁদ মণ্ডল ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডের ফলসী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সভাপতি। সদ্য অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলের প্রার্থী ছিলেন তিনি। নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সাকল্য ভোট পেয়েছেন ৪২টি। নিমাইয়ের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগেরই আরেক স্থানীয় নেতা বজলুর রহমান সাড়ে চার হাজারের বেশি ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের এমন ভরাডুবির গল্প নতুন নয়। এর আগেও চতুর্থ ধাপে কক্সবাজার, নীলফামারী ও নড়াইলে নৌকার প্রার্থীরা এক শর নিচে ভোট পেয়ে রেকর্ড গড়েছেন। গত বুধবার পঞ্চম ধাপেও সারা দেশে অনুষ্ঠিত ৭০৮ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ফলাফলেও এমন চিত্র ফুটে উঠেছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি)-এর পক্ষ থেকে ৭০৮টির মধ্যে ৬৯২টির ফলাফল ঘোষণা করেছে। ইসির যুগ্মসচিব (জনসংযোগ) এসএম আসাদুজ্জামান বলেন, ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী ৩৪৬ ইউপিতে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা, অর্থাৎ জয়ের হার প্রায় ৫১ শতাংশ। আর আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন ৩৪১টিতে। এ ছাড়া জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য দল জিতেছে পাঁচটি ইউপিতে। এই ধাপেও বিএনপি নির্বাচনে আনুষ্ঠানিকভাবে অংশ না নেওয়ায় দলটির নেতারা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করে কয়েক জায়গায় একচেটিয়া জিতেছেন।
নির্বাচন বিশ্লেষকেরা এই ফলাফলকে দলীয় কোন্দল ও মনোনয়ন-বাণিজ্যের ফল হিসেবেই দেখছেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা পঞ্চম ধাপের এই নির্বাচনের ফলাফলে ভাবনায় পড়েছেন।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচন ব্যবস্থা এমনিতেই ভেঙে পড়েছে।
কমিশনের ওপর মানুষের আস্থা নেই। তার ওপর রাজনীতিতে দলীয় কোন্দল ও বাণিজ্য ঢুকে পড়ায় এই চিত্র দেখা যাচ্ছে। এই অবস্থা আরও খারাপের দিকে যেতে পারে যদি না নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাণিজ্য বন্ধ হয়।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বলেন, প্রথম ধাপের নির্বাচনের পরে প্রতিটি ধাপেই নৌকার প্রার্থীদের পরাজয়ের সংখ্যা ক্রমে বাড়ছে। এতে নেতা-কর্মীদের মনোবলে চিড় ধরবে। চাইলেই নৌকাকে পরাজিত করা যায়—এমন ধারণাটা হবে তাদের। আরেকটা বিষয়, বিদ্রোহী প্রার্থী থাকার কারণে অনেক আওয়ামী লীগ সমর্থক এখন নৌকাকে ভোট দিচ্ছে না। নৌকা প্রতীকে ভোট না দেওয়া প্রবণতা তাঁদের ভাবাচ্ছে।
ওই নেতা বলেন, ‘আমরা বলছি নির্বাচন অংশগ্রহণ মূলক করতে হবে। বিএনপি নির্বাচনে না আসায় তারা উভয়সংকটে পড়েছেন। একক প্রার্থী নিশ্চিত করা হলে অনেক জায়গায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়ে যাবে নৌকার প্রার্থী। আবার বিদ্রোহী প্রার্থী থাকলে নৌকা পরাজিত হচ্ছে। কারণ যেখানে বিদ্রোহী প্রার্থী শক্তিশালী সেখানে তাদের পক্ষে বিএনপি-জামায়াত কাজ করছে। এতে তাঁরা এক ঢিলে দুই পাখি মারছে। নৌকাকেও পরাজিত করছে, আবার আমাদেরও ঐক্য নষ্ট করছে।’
সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য বলেন, এবার প্রার্থী নির্ধারণে তৃণমূল থেকে আসা গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করেছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনের ফলাফলে এখন মনে হচ্ছে এই জরিপে কোনো গলদ আছে। মাঠ পর্যায় তথ্য সংগ্রহে উল্টাপাল্টা করা হয়েছে।
তবে নৌকার এমন পরাজয়েও ইতিবাচক দেখছে আওয়ামী লীগের একাংশ। তাদের দাবি নির্বাচনে সরকার যে হস্তক্ষেপ করছে না—এটা প্রমাণিত। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর আবদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটাকে আমরা ইতিবাচক হিসেবেই দেখি। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন হবে অংশগ্রহণমূলক। সব মানুষ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে এটাই হলো বড় কথা। কে হারল, কে জিতল এটা আমাদের কাছে বিবেচ্য কথা না।’
সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য শাজাহান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দল যাকে মনোনয়ন দিয়েছে তাকে বিজয়ী করতে কাজ করাই আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের দায়িত্ব। কিন্তু আমাদের কেউ নৌকার বিরোধিতা করছে। এতে দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে।’
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে দেখা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও আশুগঞ্জ উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ছয়টিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং ১২ টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৭টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে তিনটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জিতেছেন। গত দুই ধাপের মতো এবারও নৌকা প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে ফরিদপুরে। মধুখালী ও সদরপুর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে পাঁচটিতে জিতেছেন নৌকার প্রার্থীরা।
এই ধাপে কুষ্টিয়ায় ১১টি ইউপির মধ্যে ১০ টিতে হেরেছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা। নোয়াখালীতে অবশ্য ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। সেখানে ১৯টি ইউপির মধ্যে ১১ টিতে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীনরা। পাবনায় ১৫ ইউপির আটটিতে জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। দুটিতে আগেই বিনা ভোটে জিতেছিলেন নৌকার প্রার্থীরা।
সাতক্ষীরার ১৬টি ইউনিয়নের মধ্যে নয়টিতে জিতেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
হবিগঞ্জের নৌকার প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে। ২১টি ইউপির মধ্যে ১৫ টিতে নৌকার প্রার্থীরা হেরেছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ১৪ ইউপির আটটিতে জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। রাজবাড়ীতে ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে আটটিতেই বিজয়ী হয়েছে নৌকার প্রার্থীরা।
নৌকার ভরাডুবি হয়েছে নীলফামারীতে। সেখানে ১১ ইউপির মধ্যে আটটিতেই জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী।
বান্দরবানের সদর উপজেলার তিনটি ইউপির দুটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন। রাজশাহীতে ১৯ ইউপির মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন ১২ টিতে। একটির ফলাফল স্থগিত রয়েছে। তবে ময়মনসিংহে ২৬ টির মধ্যে আগেই বিনা ভোটে জয়ী হয়েছিলেন নৌকা প্রতীকের ১১ প্রার্থী। আর নির্বাচন হওয়া ১৫ টির মধ্যে আট গেছে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ঘরে। নাটোরের ১১ ইউপির মধ্যে সাতটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন। সুনামগঞ্জের ১৮ ইউনিয়নের মধ্যে ১১ টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। মানিকগঞ্জের ২১ ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ১৩ টিতে নৌকার প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। চাঁদপুরের ২৯টি ইউনিয়নের ১৯ টিতে জিতেছেন নৌকার বিরোধী প্রার্থীরা। কুমিল্লার ২১ ইউনিয়নের ১৩ টিতেই নৌকার ভরাডুবি হয়েছে।
পঞ্চম দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের জয়ের ধারা অব্যাহত আছে। ২৪টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৮ টিতে বিনা ভোটে জেতেন। পাঁচটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করেছে। এ ছাড়া আনোয়ারার একটি ইউনিয়নে আইনি জটিলতায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
পঞ্চগড়, দিনাজপুর ও সিরাজগঞ্জে আওয়ামী লীগে প্রার্থীরা তুলনামূলক ভালো করেছেন। সিলেটে ইউপি নির্বাচনের চতুর্থ ধাপের মতো পঞ্চম ধাপেও আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে। দলীয় বিদ্রোহী, স্বতন্ত্রের ব্যানারে বিএনপি-জামায়াত, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামির প্রার্থী ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের কাছে ধরাশায়ী হতে হয়েছে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের।
নিমাই চাঁদ মণ্ডল ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডের ফলসী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সভাপতি। সদ্য অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলের প্রার্থী ছিলেন তিনি। নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সাকল্য ভোট পেয়েছেন ৪২টি। নিমাইয়ের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগেরই আরেক স্থানীয় নেতা বজলুর রহমান সাড়ে চার হাজারের বেশি ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের এমন ভরাডুবির গল্প নতুন নয়। এর আগেও চতুর্থ ধাপে কক্সবাজার, নীলফামারী ও নড়াইলে নৌকার প্রার্থীরা এক শর নিচে ভোট পেয়ে রেকর্ড গড়েছেন। গত বুধবার পঞ্চম ধাপেও সারা দেশে অনুষ্ঠিত ৭০৮ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ফলাফলেও এমন চিত্র ফুটে উঠেছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি)-এর পক্ষ থেকে ৭০৮টির মধ্যে ৬৯২টির ফলাফল ঘোষণা করেছে। ইসির যুগ্মসচিব (জনসংযোগ) এসএম আসাদুজ্জামান বলেন, ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী ৩৪৬ ইউপিতে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা, অর্থাৎ জয়ের হার প্রায় ৫১ শতাংশ। আর আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন ৩৪১টিতে। এ ছাড়া জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য দল জিতেছে পাঁচটি ইউপিতে। এই ধাপেও বিএনপি নির্বাচনে আনুষ্ঠানিকভাবে অংশ না নেওয়ায় দলটির নেতারা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করে কয়েক জায়গায় একচেটিয়া জিতেছেন।
নির্বাচন বিশ্লেষকেরা এই ফলাফলকে দলীয় কোন্দল ও মনোনয়ন-বাণিজ্যের ফল হিসেবেই দেখছেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা পঞ্চম ধাপের এই নির্বাচনের ফলাফলে ভাবনায় পড়েছেন।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচন ব্যবস্থা এমনিতেই ভেঙে পড়েছে।
কমিশনের ওপর মানুষের আস্থা নেই। তার ওপর রাজনীতিতে দলীয় কোন্দল ও বাণিজ্য ঢুকে পড়ায় এই চিত্র দেখা যাচ্ছে। এই অবস্থা আরও খারাপের দিকে যেতে পারে যদি না নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাণিজ্য বন্ধ হয়।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বলেন, প্রথম ধাপের নির্বাচনের পরে প্রতিটি ধাপেই নৌকার প্রার্থীদের পরাজয়ের সংখ্যা ক্রমে বাড়ছে। এতে নেতা-কর্মীদের মনোবলে চিড় ধরবে। চাইলেই নৌকাকে পরাজিত করা যায়—এমন ধারণাটা হবে তাদের। আরেকটা বিষয়, বিদ্রোহী প্রার্থী থাকার কারণে অনেক আওয়ামী লীগ সমর্থক এখন নৌকাকে ভোট দিচ্ছে না। নৌকা প্রতীকে ভোট না দেওয়া প্রবণতা তাঁদের ভাবাচ্ছে।
ওই নেতা বলেন, ‘আমরা বলছি নির্বাচন অংশগ্রহণ মূলক করতে হবে। বিএনপি নির্বাচনে না আসায় তারা উভয়সংকটে পড়েছেন। একক প্রার্থী নিশ্চিত করা হলে অনেক জায়গায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়ে যাবে নৌকার প্রার্থী। আবার বিদ্রোহী প্রার্থী থাকলে নৌকা পরাজিত হচ্ছে। কারণ যেখানে বিদ্রোহী প্রার্থী শক্তিশালী সেখানে তাদের পক্ষে বিএনপি-জামায়াত কাজ করছে। এতে তাঁরা এক ঢিলে দুই পাখি মারছে। নৌকাকেও পরাজিত করছে, আবার আমাদেরও ঐক্য নষ্ট করছে।’
সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য বলেন, এবার প্রার্থী নির্ধারণে তৃণমূল থেকে আসা গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করেছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনের ফলাফলে এখন মনে হচ্ছে এই জরিপে কোনো গলদ আছে। মাঠ পর্যায় তথ্য সংগ্রহে উল্টাপাল্টা করা হয়েছে।
তবে নৌকার এমন পরাজয়েও ইতিবাচক দেখছে আওয়ামী লীগের একাংশ। তাদের দাবি নির্বাচনে সরকার যে হস্তক্ষেপ করছে না—এটা প্রমাণিত। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর আবদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটাকে আমরা ইতিবাচক হিসেবেই দেখি। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন হবে অংশগ্রহণমূলক। সব মানুষ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে এটাই হলো বড় কথা। কে হারল, কে জিতল এটা আমাদের কাছে বিবেচ্য কথা না।’
সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য শাজাহান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দল যাকে মনোনয়ন দিয়েছে তাকে বিজয়ী করতে কাজ করাই আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের দায়িত্ব। কিন্তু আমাদের কেউ নৌকার বিরোধিতা করছে। এতে দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে।’
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে দেখা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও আশুগঞ্জ উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ছয়টিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং ১২ টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৭টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে তিনটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জিতেছেন। গত দুই ধাপের মতো এবারও নৌকা প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে ফরিদপুরে। মধুখালী ও সদরপুর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে পাঁচটিতে জিতেছেন নৌকার প্রার্থীরা।
এই ধাপে কুষ্টিয়ায় ১১টি ইউপির মধ্যে ১০ টিতে হেরেছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা। নোয়াখালীতে অবশ্য ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। সেখানে ১৯টি ইউপির মধ্যে ১১ টিতে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীনরা। পাবনায় ১৫ ইউপির আটটিতে জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। দুটিতে আগেই বিনা ভোটে জিতেছিলেন নৌকার প্রার্থীরা।
সাতক্ষীরার ১৬টি ইউনিয়নের মধ্যে নয়টিতে জিতেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
হবিগঞ্জের নৌকার প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে। ২১টি ইউপির মধ্যে ১৫ টিতে নৌকার প্রার্থীরা হেরেছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ১৪ ইউপির আটটিতে জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। রাজবাড়ীতে ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে আটটিতেই বিজয়ী হয়েছে নৌকার প্রার্থীরা।
নৌকার ভরাডুবি হয়েছে নীলফামারীতে। সেখানে ১১ ইউপির মধ্যে আটটিতেই জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী।
বান্দরবানের সদর উপজেলার তিনটি ইউপির দুটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন। রাজশাহীতে ১৯ ইউপির মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন ১২ টিতে। একটির ফলাফল স্থগিত রয়েছে। তবে ময়মনসিংহে ২৬ টির মধ্যে আগেই বিনা ভোটে জয়ী হয়েছিলেন নৌকা প্রতীকের ১১ প্রার্থী। আর নির্বাচন হওয়া ১৫ টির মধ্যে আট গেছে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ঘরে। নাটোরের ১১ ইউপির মধ্যে সাতটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন। সুনামগঞ্জের ১৮ ইউনিয়নের মধ্যে ১১ টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। মানিকগঞ্জের ২১ ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ১৩ টিতে নৌকার প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। চাঁদপুরের ২৯টি ইউনিয়নের ১৯ টিতে জিতেছেন নৌকার বিরোধী প্রার্থীরা। কুমিল্লার ২১ ইউনিয়নের ১৩ টিতেই নৌকার ভরাডুবি হয়েছে।
পঞ্চম দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের জয়ের ধারা অব্যাহত আছে। ২৪টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৮ টিতে বিনা ভোটে জেতেন। পাঁচটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করেছে। এ ছাড়া আনোয়ারার একটি ইউনিয়নে আইনি জটিলতায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
পঞ্চগড়, দিনাজপুর ও সিরাজগঞ্জে আওয়ামী লীগে প্রার্থীরা তুলনামূলক ভালো করেছেন। সিলেটে ইউপি নির্বাচনের চতুর্থ ধাপের মতো পঞ্চম ধাপেও আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে। দলীয় বিদ্রোহী, স্বতন্ত্রের ব্যানারে বিএনপি-জামায়াত, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামির প্রার্থী ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের কাছে ধরাশায়ী হতে হয়েছে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে