সম্পাদকীয়
কয়েক দিন ধরেই রাজধানীর মানুষ উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে সময় কাটাচ্ছেন। কেন এই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা? কারণ রাজনীতি। রাজনীতির প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ কমলেও রাজনীতির কারণে জনজীবনের ভোগান্তি কমে না। রাজনৈতিক দল রাস্তা বন্ধ করে সভা-সমাবেশ করলে প্রচণ্ড যানজটে হাজার হাজার মানুষকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চরম বিরক্তির সঙ্গে অসহায়ভাবে বসে থাকতে হয়। এমনিতেই ঢাকা এখন যানজটের নগরীতে পরিণত হয়েছে। তার ওপর রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ হলে দুর্ভোগের সীমা থাকে না। কিন্তু মানুষের জন্য রাজনীতি হলেও রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণার আগে নেতারা মানুষের সুবিধা-অসুবিধার কথা বিবেচনায় রাখেন বলে মনে হয় না।
এই তো ২৭ জুলাই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পাল্টাপাল্টি সমাবেশ নিয়ে কী হয় কী হয় অবস্থা তৈরি হয়েছিল। আশঙ্কা করা হচ্ছিল শেষ পর্যন্ত হয়তো পরিবেশ শান্তিপূর্ণ থাকবে না। কিন্তু সংঘাত-সহিংসতা শুরু হলে তার শেষ কোথায় বা কীভাবে হবে, তা নিয়ে ছিল দুর্ভাবনা। জনমনে কিছুটা স্বস্তি আসে দুই দলই তাদের কর্মসূচি এক দিন পিছিয়ে দেওয়ায়। কিন্তু এই স্বস্তি তো মাত্র এক দিনের। শুক্রবার যে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি, সেটা কি শান্তিপূর্ণ হবে? রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা কি শেষ পর্যন্ত শুভবুদ্ধির পরিচয় দেবেন? তাঁদের মারমুখী আচরণ কি সংযত হবে?
এসব প্রশ্নের ইতিবাচক উত্তর দিতে পারলে ভালো লাগত। কিন্তু কে দেবেন শান্তির বার্তা?
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়, সরকারে। মানুষের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব তাদেরই বেশি। বিএনপি বিরোধী দলে আছে বলেই কি দায়িত্বহীন আচরণ করার অধিকার তাদের আছে? না, আমরা মনে করি সব রাজনৈতিক দলেরই দায়িত্বশীল আচরণ করা উচিত।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর খুব বেশি দেরি নেই। নির্বাচন সামনে রেখেই গরম হয়ে উঠছে রাজনীতির হাওয়া। বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড়, অটল। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগও কোনো ছাড় দিতে অরাজি। দুই দলই এক দফা দিয়ে বসে আছে। রাজপথে এই বিরোধ ফয়সালা করতে চাইলে সংঘাত-সহিংসতা অনিবার্য। আমরা আর নতুন করে হানাহানি, রক্তপাত চাই না। কোনো মানুষ রাজনীতির বলি হোক, সেটা আমরা কোনোভাবেই প্রত্যাশা করি না।
এই যে বুধবার রাতে বিএনপি তাদের মহাসমাবেশ বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে শুক্রবারে করার ঘোষণা দেওয়ার মিনিট দশেক পরেই আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা সমাবেশ’ একই দিনে করার কথা জানানো হয়। দুই পক্ষের এই শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় রাজধানীবাসী এবং দেশের মানুষ স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল এক দিনের জন্য। কিন্তু একই দিনে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি থেকে যাওয়ায় যথারীতি থেকে গেছে ভয়, শঙ্কা, উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠাও।
দাবি আদায়ের বিষয়টি রাজপথে ফয়সালার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। অন্যদিকে রাজপথেই বিএনপিকে প্রতিহত করতে চায় আওয়ামী লীগ।
দুই দলের এই মুখোমুখি অবস্থান বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। কাজেই দিন-তারিখ বদলের পরেও সেই উত্তেজনায় ভাটা পড়েনি। জনপ্রত্যাশা এটাই, শুক্রবারেও যেন শান্তি বজায় থাকে।
কয়েক দিন ধরেই রাজধানীর মানুষ উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে সময় কাটাচ্ছেন। কেন এই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা? কারণ রাজনীতি। রাজনীতির প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ কমলেও রাজনীতির কারণে জনজীবনের ভোগান্তি কমে না। রাজনৈতিক দল রাস্তা বন্ধ করে সভা-সমাবেশ করলে প্রচণ্ড যানজটে হাজার হাজার মানুষকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চরম বিরক্তির সঙ্গে অসহায়ভাবে বসে থাকতে হয়। এমনিতেই ঢাকা এখন যানজটের নগরীতে পরিণত হয়েছে। তার ওপর রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ হলে দুর্ভোগের সীমা থাকে না। কিন্তু মানুষের জন্য রাজনীতি হলেও রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণার আগে নেতারা মানুষের সুবিধা-অসুবিধার কথা বিবেচনায় রাখেন বলে মনে হয় না।
এই তো ২৭ জুলাই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পাল্টাপাল্টি সমাবেশ নিয়ে কী হয় কী হয় অবস্থা তৈরি হয়েছিল। আশঙ্কা করা হচ্ছিল শেষ পর্যন্ত হয়তো পরিবেশ শান্তিপূর্ণ থাকবে না। কিন্তু সংঘাত-সহিংসতা শুরু হলে তার শেষ কোথায় বা কীভাবে হবে, তা নিয়ে ছিল দুর্ভাবনা। জনমনে কিছুটা স্বস্তি আসে দুই দলই তাদের কর্মসূচি এক দিন পিছিয়ে দেওয়ায়। কিন্তু এই স্বস্তি তো মাত্র এক দিনের। শুক্রবার যে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি, সেটা কি শান্তিপূর্ণ হবে? রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা কি শেষ পর্যন্ত শুভবুদ্ধির পরিচয় দেবেন? তাঁদের মারমুখী আচরণ কি সংযত হবে?
এসব প্রশ্নের ইতিবাচক উত্তর দিতে পারলে ভালো লাগত। কিন্তু কে দেবেন শান্তির বার্তা?
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়, সরকারে। মানুষের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব তাদেরই বেশি। বিএনপি বিরোধী দলে আছে বলেই কি দায়িত্বহীন আচরণ করার অধিকার তাদের আছে? না, আমরা মনে করি সব রাজনৈতিক দলেরই দায়িত্বশীল আচরণ করা উচিত।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর খুব বেশি দেরি নেই। নির্বাচন সামনে রেখেই গরম হয়ে উঠছে রাজনীতির হাওয়া। বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড়, অটল। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগও কোনো ছাড় দিতে অরাজি। দুই দলই এক দফা দিয়ে বসে আছে। রাজপথে এই বিরোধ ফয়সালা করতে চাইলে সংঘাত-সহিংসতা অনিবার্য। আমরা আর নতুন করে হানাহানি, রক্তপাত চাই না। কোনো মানুষ রাজনীতির বলি হোক, সেটা আমরা কোনোভাবেই প্রত্যাশা করি না।
এই যে বুধবার রাতে বিএনপি তাদের মহাসমাবেশ বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে শুক্রবারে করার ঘোষণা দেওয়ার মিনিট দশেক পরেই আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা সমাবেশ’ একই দিনে করার কথা জানানো হয়। দুই পক্ষের এই শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় রাজধানীবাসী এবং দেশের মানুষ স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল এক দিনের জন্য। কিন্তু একই দিনে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি থেকে যাওয়ায় যথারীতি থেকে গেছে ভয়, শঙ্কা, উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠাও।
দাবি আদায়ের বিষয়টি রাজপথে ফয়সালার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। অন্যদিকে রাজপথেই বিএনপিকে প্রতিহত করতে চায় আওয়ামী লীগ।
দুই দলের এই মুখোমুখি অবস্থান বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। কাজেই দিন-তারিখ বদলের পরেও সেই উত্তেজনায় ভাটা পড়েনি। জনপ্রত্যাশা এটাই, শুক্রবারেও যেন শান্তি বজায় থাকে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে