আজকের পত্রিকা ডেস্ক
এই তো কদিন আগের কথা। নতুন বছরের শুরুতে ক্যামেরুনের ইবো ফরেস্টে বিজ্ঞানীরা নতুন একটি গাছের সন্ধান পেয়েছিলেন। হলিউড তারকা লিউনার্দো ডিক্যাপ্রিওর নামে যার নামকরণ করা হয়। তার মানে, একদিকে যেমন নানা প্রজাতির গাছ বিলুপ্ত হচ্ছে, অন্যদিকে তেমনি আবিষ্কৃত হচ্ছে নতুন নতুন প্রজাতি। বন উজাড়, জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে আমরা গাছ হারাচ্ছি। কিন্তু হারানোর আগে আমাদের কী ছিল? তা না জানলে তো গাছগুলো চিরদিনই অজানা থেকে যাবে। এই তাগিদ থেকেই বিজ্ঞানীরা নড়েচড়ে বসেন। নেমে পড়েন গবেষণায়। সেই গবেষণার বরাত দিয়ে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পৃথিবীতে এখনো অজানা বা নাম না পাওয়া ৯ হাজার ২০০ প্রজাতির গাছ রয়েছে।
বিজ্ঞানবিষয়ক ওয়েবসাইট সায়েন্স ডেইলিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। শতাধিক বিজ্ঞানী সারা বিশ্বের ১ লাখ বনাঞ্চলের কয়েক কোটি গাছের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই তথ্য জানিয়েছেন।
গবেষণায় বলা হয়, বিশ্বে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হওয়া গাছের প্রজাতির সংখ্যা ৬৪ হাজার ১০০। তবে বনাঞ্চলের সম্পূর্ণ তথ্য ও উন্নত পরিসংখ্যানগত পদ্ধতি ব্যবহার করে দেখা গেছে, পৃথিবীতে যে গাছগুলোর সঙ্গে আমরা কমবেশি পরিচিত, তার চেয়েও প্রকৃত গাছের সংখ্যা আরও ১৪ শতাংশ বেশি। গাছের প্রজাতির মোট সংখ্যা প্রায় ৭৩ হাজার ৩০০। অর্থাৎ ৯ হাজার ২০০ প্রজাতির গাছ এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। জানা যায়নি সেগুলোর নাম।
সায়েন্স ডেইলির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন শনাক্ত হওয়া নাম না জানা এসব প্রজাতির অর্ধেক থেকে দুই-তৃতীয়াংশ পাঁচটি মহাদেশের ক্রান্তীয় বা উপক্রান্তীয় চিরহরিৎ বনে পাওয়া গেছে। এর মধ্যে দক্ষিণ আমেরিকায় রয়েছে সবচেয়ে বেশি ৪৩ শতাংশ নাম না জানা গাছ। এর পরে ইউরেশিয়ায় ২২ শতাংশ, আফ্রিকায় ১৬ শতাংশ, উত্তর আমেরিকায় ১৫ শতাংশ এবং ওশেনিয়ায় ১১ শতাংশ প্রজাতির গাছ পাওয়া যায়।
গবেষকেরা বলেছেন, বিশ্বজুড়ে বন সংরক্ষণের প্রচেষ্টাকে জানান দেওয়া কিংবা বনাঞ্চল নিয়ে নতুন করে আশাবাদী হওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়ে গাছের প্রজাতির সংখ্যা বের করা হয়েছে। গবেষণা প্রতিবেদনের সহলেখক এবং মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল চেঞ্জ বায়োলজির পরিচালক অধ্যাপক ড. পিটার রিচ বলেন, ‘গাছ নিয়ে নতুন তথ্যগুলো আমাদের অঞ্চলভিত্তিক জীববৈচিত্র্যের ধারণা দেবে। এর মাধ্যমে জানা যাবে, কোন এলাকার জীববৈচিত্র্য কতটা হুমকির মুখে রয়েছে। ফলে আমরা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা সম্পর্কে ধারণা নিয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে পারব।’
অধ্যাপক পিটার রিচ বলেছেন, ‘আমরা জানি, বন উজাড় ও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য আমরা গাছ হারাচ্ছি। গাছের নানা প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। হারানোর আগে আপনার কাছে কী আছে, কী ছিল–সেটা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণাটিতে আমরা আসলে এমন কিছুই জানতে চেয়েছি।’
গবেষণার প্রধান লেখক ও ইতালির বোলোগানা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রবার্তো গাজ্জোলা গাট্টি বলেছেন, ‘বর্তমানে যেসব প্রজাতির গাছ পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলো সম্পর্কে পর্যাপ্ত জানাটা জরুরি। বাস্তুতন্ত্রের স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে হলে এ ধরনের জ্ঞান কার্যকর ভূমিকা রাখবে।’ বনাঞ্চলের গুরুত্ব স্মরণ করিয়ে দিতেও ভোলেননি এই অধ্যাপক। তিনি বলেন, ‘গাছ বিনা মূল্যে বন্যা নিয়ন্ত্রণ, কার্বন শোষণ, মাটির গঠন মজবুত রাখাসহ বাস্তুতন্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে, জ্বালানি কাঠের সরবরাহ জোগাচ্ছে, অক্সিজেন সরবরাহ করছে, খাদ্য উৎপাদন করছে।’
এই তো কদিন আগের কথা। নতুন বছরের শুরুতে ক্যামেরুনের ইবো ফরেস্টে বিজ্ঞানীরা নতুন একটি গাছের সন্ধান পেয়েছিলেন। হলিউড তারকা লিউনার্দো ডিক্যাপ্রিওর নামে যার নামকরণ করা হয়। তার মানে, একদিকে যেমন নানা প্রজাতির গাছ বিলুপ্ত হচ্ছে, অন্যদিকে তেমনি আবিষ্কৃত হচ্ছে নতুন নতুন প্রজাতি। বন উজাড়, জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে আমরা গাছ হারাচ্ছি। কিন্তু হারানোর আগে আমাদের কী ছিল? তা না জানলে তো গাছগুলো চিরদিনই অজানা থেকে যাবে। এই তাগিদ থেকেই বিজ্ঞানীরা নড়েচড়ে বসেন। নেমে পড়েন গবেষণায়। সেই গবেষণার বরাত দিয়ে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পৃথিবীতে এখনো অজানা বা নাম না পাওয়া ৯ হাজার ২০০ প্রজাতির গাছ রয়েছে।
বিজ্ঞানবিষয়ক ওয়েবসাইট সায়েন্স ডেইলিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। শতাধিক বিজ্ঞানী সারা বিশ্বের ১ লাখ বনাঞ্চলের কয়েক কোটি গাছের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই তথ্য জানিয়েছেন।
গবেষণায় বলা হয়, বিশ্বে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হওয়া গাছের প্রজাতির সংখ্যা ৬৪ হাজার ১০০। তবে বনাঞ্চলের সম্পূর্ণ তথ্য ও উন্নত পরিসংখ্যানগত পদ্ধতি ব্যবহার করে দেখা গেছে, পৃথিবীতে যে গাছগুলোর সঙ্গে আমরা কমবেশি পরিচিত, তার চেয়েও প্রকৃত গাছের সংখ্যা আরও ১৪ শতাংশ বেশি। গাছের প্রজাতির মোট সংখ্যা প্রায় ৭৩ হাজার ৩০০। অর্থাৎ ৯ হাজার ২০০ প্রজাতির গাছ এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। জানা যায়নি সেগুলোর নাম।
সায়েন্স ডেইলির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন শনাক্ত হওয়া নাম না জানা এসব প্রজাতির অর্ধেক থেকে দুই-তৃতীয়াংশ পাঁচটি মহাদেশের ক্রান্তীয় বা উপক্রান্তীয় চিরহরিৎ বনে পাওয়া গেছে। এর মধ্যে দক্ষিণ আমেরিকায় রয়েছে সবচেয়ে বেশি ৪৩ শতাংশ নাম না জানা গাছ। এর পরে ইউরেশিয়ায় ২২ শতাংশ, আফ্রিকায় ১৬ শতাংশ, উত্তর আমেরিকায় ১৫ শতাংশ এবং ওশেনিয়ায় ১১ শতাংশ প্রজাতির গাছ পাওয়া যায়।
গবেষকেরা বলেছেন, বিশ্বজুড়ে বন সংরক্ষণের প্রচেষ্টাকে জানান দেওয়া কিংবা বনাঞ্চল নিয়ে নতুন করে আশাবাদী হওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়ে গাছের প্রজাতির সংখ্যা বের করা হয়েছে। গবেষণা প্রতিবেদনের সহলেখক এবং মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল চেঞ্জ বায়োলজির পরিচালক অধ্যাপক ড. পিটার রিচ বলেন, ‘গাছ নিয়ে নতুন তথ্যগুলো আমাদের অঞ্চলভিত্তিক জীববৈচিত্র্যের ধারণা দেবে। এর মাধ্যমে জানা যাবে, কোন এলাকার জীববৈচিত্র্য কতটা হুমকির মুখে রয়েছে। ফলে আমরা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা সম্পর্কে ধারণা নিয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে পারব।’
অধ্যাপক পিটার রিচ বলেছেন, ‘আমরা জানি, বন উজাড় ও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য আমরা গাছ হারাচ্ছি। গাছের নানা প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। হারানোর আগে আপনার কাছে কী আছে, কী ছিল–সেটা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণাটিতে আমরা আসলে এমন কিছুই জানতে চেয়েছি।’
গবেষণার প্রধান লেখক ও ইতালির বোলোগানা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রবার্তো গাজ্জোলা গাট্টি বলেছেন, ‘বর্তমানে যেসব প্রজাতির গাছ পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলো সম্পর্কে পর্যাপ্ত জানাটা জরুরি। বাস্তুতন্ত্রের স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে হলে এ ধরনের জ্ঞান কার্যকর ভূমিকা রাখবে।’ বনাঞ্চলের গুরুত্ব স্মরণ করিয়ে দিতেও ভোলেননি এই অধ্যাপক। তিনি বলেন, ‘গাছ বিনা মূল্যে বন্যা নিয়ন্ত্রণ, কার্বন শোষণ, মাটির গঠন মজবুত রাখাসহ বাস্তুতন্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে, জ্বালানি কাঠের সরবরাহ জোগাচ্ছে, অক্সিজেন সরবরাহ করছে, খাদ্য উৎপাদন করছে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে