সেলিম জাহান
বাংলাদেশের অর্থনীতি শ্রীলঙ্কা বা পাকিস্তানের মতো খারাপ অবস্থায় নেই। বর্তমান সময়টাকে আমরা বলি বিশ্বায়নের যুগ। এখন কোনো দেশই অন্য দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। বরং আছে নিবিড় যোগাযোগ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব তাই বিশ্বময় হওয়াটাই স্বাভাবিক। পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে যা কিছুই ঘটুক না কেন, একটা দেশ বলতে পারবে না যে আমার দেশে তার প্রভাব পড়বে না। আমার কাছে মনে হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে প্রথম যে প্রভাবটা পড়তে পারে তা হলো, ইউক্রেন বিশ্বের ৪০ শতাংশ গম রপ্তানি করে থাকে। এটা যদি বিঘ্নিত হয়, তাহলে বিভিন্ন দেশে খাদ্যের লভ্যতা বিঘ্নিত হবে। বাংলাদেশেও এর একটা প্রভাব পড়ার শঙ্কা থেকেই সম্ভবত আমাদের প্রধানমন্ত্রীও সতর্ক হওয়ার কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী বারবার বলেছেন খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে। যদিও এখন খাদ্যের সংকট নেই। প্রয়োজন অনুযায়ী জোগান দেওয়ার মতো খাদ্য গুদামজাত করা আছে। কিন্তু এসব নিঃশেষ হয়ে গেলে একটা সংকট দেখা দিতে পারে।
আর একটা ব্যাপার হলো, রাশিয়া যে গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ করে দিচ্ছে, এর প্রথম প্রভাবটা ইউরোপে পড়বে। এর সুযোগ কিন্তু মধ্যপ্রাচ্য নেবে। মধ্যপ্রাচ্য তখন তেলের দাম বাড়িয়ে দেবে। এ কারণে তার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়বে। ইতিমধ্যে তো দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশে জ্বালানির দাম বেড়ে গেছে, যার কারণে বিদ্যুতের সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে এবং বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। সুতরাং সামগ্রিকভাবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জ্বালানি ও খাদ্যের দিক থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রভাব পড়তেই পারে।
এবার আমি একটি অন্য বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। প্রায়ই বলা হয়, দুর্নীতি, টাকা পাচার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সব তথ্য আছে। এটা কতটুকু সঠিক জানি না। ধরুন, আপনি একটা ব্যাংকের বড় কর্মকর্তা, আপনি সেখান থেকে কত টাকা সরাচ্ছেন, সেটা প্রধানমন্ত্রীর জানার কথা নয়। সুতরাং নিজস্ব দায়-দায়িত্ব এড়াতে অনেকেরই সব দায়-দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর ওপর চাপিয়ে দেওয়ার একটি প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
নানা ধরনের দুর্নীতি আমাদের সমাজে সব সময় ছিল। বড় ধরনের দুর্নীতি যখন হচ্ছে, তখন দুর্নীতির তো দুটি পক্ষ থাকে। একজন দুর্নীতি করছেন আর একজন এর থেকে লাভবান হচ্ছেন। এখন দুটি পক্ষই ক্ষমতাবান ও অর্থবান এবং তাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতে পারছে না। দ্বিতীয়ত, অর্থ পাচারের যে কথা বলা হচ্ছে; যখন আমি কানাডায় গিয়েছিলাম, তখন প্রসঙ্গটি তুলেছিলাম। অর্থ পাচার হচ্ছে এখান থেকে আর জমা তো হচ্ছে আর একটা দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে। ধরা যাক, ১০০ বিলিয়ন ডলার কোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা হলো। তখন সঙ্গে সঙ্গে আমাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানানো যায়। এটা যদি করা যায়, তাহলে অর্থ পাচার অনেকটা বন্ধ হবে। অর্থ পাচার এ রকম নয় যে স্যুটকেসে ভরে কেউ অর্থ দেশ থেকে নিয়ে যাচ্ছে। এখন কথা হলো, যারা অর্থ পাচার করে, তারা শুধু ক্ষমতার সঙ্গে নয়, আইনের সঙ্গেও জড়িত। তারা আইনের ফাঁক-ফোকরও জানে। এখন যদি আপনি ১০ হাজার ডলার বাইরে নিয়ে যেতে চান, কিন্তু আপনি জানেন না কোন পদ্ধতিতে নিয়ে যেতে হবে। আপনার জানা নেই, কিন্তু যিনি ব্যাংকের বড় পদে বসে আছেন, তিনি হয়তো আপনার নামে রপ্তানি বা আমদানির নামে একটা এলসি খুলবেন। সেই পথে আপনার টাকাটা বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন।
এক দেশ থেকে অন্য দেশে অর্থ পাচার বন্ধ করতে হলে একটি বৈশ্বিক ব্যবস্থা করতে হবে। আমাদের দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্য দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদানের একটি আইনি কাঠামো থাকতে হবে। আমাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সতর্কতা বাড়ানো দরকার। একই সঙ্গে আইনের বিষয়গুলো যত বেশি দৃশ্যমান করা যাবে, মানুষ তত জানতে পারবে। দুর্নীতি বা অর্থ পাচার আমাদের একটি বড় সমস্যা। এখন উন্নয়নের সঙ্গে যে অর্থ পাচার বেড়ে যাচ্ছে, সেদিকে আমাদের নজর দেওয়া দরকার।
আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে ঋণ নেওয়ার বিষয়ে দুটি কথা বলি। আমরা এসব সংস্থার কাছ থেকে যে ঋণ নিচ্ছি, এটা হলো এক ব্যক্তির ঋণ নেওয়ার মতো। কোনো ব্যক্তি যেমন ব্যক্তিগত প্রয়োজনে অন্যের কাছ থেকে ঋণ নেন; রাষ্ট্রের ক্ষেত্রেও বিষয়টা সে রকম। মনে রাখা দরকার, এই ঋণ কিন্তু আবার ফেরত দিতে হয় সুদসহ। এখন আমরা কেন আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ নিচ্ছি? আমাদের কাছে যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার মজুত আছে, তা বাড়ানোর জন্য। এটা একটা সতর্কতামূলক পদক্ষেপ।
প্রশ্ন হচ্ছে, যে ঋণটা নেব, সেটা আমরা কীভাবে ব্যবহার করব? এই ঋণ নিয়ে উৎপাদনশীল খাতে ব্যয় করা উচিত। আমাদের পোশাকশিল্প সামনের দিনে আরও প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়তে পারে, সেটাকে কীভাবে বাড়ানো যায়, আমাদের কৃষকদের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কীভাবে সাহায্য করা যায়—সেইভাবে যদি ঋণটাকে ব্যবহার করা যায়, তাহলে একটা প্রবৃদ্ধি হবে। আর প্রবৃদ্ধি হলেই যে বাড়তি টাকা থাকবে, তা দিয়ে আমরা ঋণটা শোধ করতে পারব।
আর একটা কথা আমাদের মনে রাখা দরকার, আমরা কিন্তু উন্নয়নশীল দেশের কাতার থেকে উন্নত দেশের কাতারে যাব। তখন কিন্তু আমরা এই নানান সুবিধা আর পাব না। সুতরাং এই জায়গাটাতে আমাদের এখন থেকেই পরিকল্পনা করে এগোতে হবে।
সেলিম জাহান, ভূতপূর্ব পরিচালক, মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন দপ্তর ও দারিদ্র্য বিমোচন বিভাগ, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশের অর্থনীতি শ্রীলঙ্কা বা পাকিস্তানের মতো খারাপ অবস্থায় নেই। বর্তমান সময়টাকে আমরা বলি বিশ্বায়নের যুগ। এখন কোনো দেশই অন্য দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। বরং আছে নিবিড় যোগাযোগ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব তাই বিশ্বময় হওয়াটাই স্বাভাবিক। পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে যা কিছুই ঘটুক না কেন, একটা দেশ বলতে পারবে না যে আমার দেশে তার প্রভাব পড়বে না। আমার কাছে মনে হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে প্রথম যে প্রভাবটা পড়তে পারে তা হলো, ইউক্রেন বিশ্বের ৪০ শতাংশ গম রপ্তানি করে থাকে। এটা যদি বিঘ্নিত হয়, তাহলে বিভিন্ন দেশে খাদ্যের লভ্যতা বিঘ্নিত হবে। বাংলাদেশেও এর একটা প্রভাব পড়ার শঙ্কা থেকেই সম্ভবত আমাদের প্রধানমন্ত্রীও সতর্ক হওয়ার কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী বারবার বলেছেন খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে। যদিও এখন খাদ্যের সংকট নেই। প্রয়োজন অনুযায়ী জোগান দেওয়ার মতো খাদ্য গুদামজাত করা আছে। কিন্তু এসব নিঃশেষ হয়ে গেলে একটা সংকট দেখা দিতে পারে।
আর একটা ব্যাপার হলো, রাশিয়া যে গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ করে দিচ্ছে, এর প্রথম প্রভাবটা ইউরোপে পড়বে। এর সুযোগ কিন্তু মধ্যপ্রাচ্য নেবে। মধ্যপ্রাচ্য তখন তেলের দাম বাড়িয়ে দেবে। এ কারণে তার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়বে। ইতিমধ্যে তো দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশে জ্বালানির দাম বেড়ে গেছে, যার কারণে বিদ্যুতের সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে এবং বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। সুতরাং সামগ্রিকভাবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জ্বালানি ও খাদ্যের দিক থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রভাব পড়তেই পারে।
এবার আমি একটি অন্য বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। প্রায়ই বলা হয়, দুর্নীতি, টাকা পাচার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সব তথ্য আছে। এটা কতটুকু সঠিক জানি না। ধরুন, আপনি একটা ব্যাংকের বড় কর্মকর্তা, আপনি সেখান থেকে কত টাকা সরাচ্ছেন, সেটা প্রধানমন্ত্রীর জানার কথা নয়। সুতরাং নিজস্ব দায়-দায়িত্ব এড়াতে অনেকেরই সব দায়-দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর ওপর চাপিয়ে দেওয়ার একটি প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
নানা ধরনের দুর্নীতি আমাদের সমাজে সব সময় ছিল। বড় ধরনের দুর্নীতি যখন হচ্ছে, তখন দুর্নীতির তো দুটি পক্ষ থাকে। একজন দুর্নীতি করছেন আর একজন এর থেকে লাভবান হচ্ছেন। এখন দুটি পক্ষই ক্ষমতাবান ও অর্থবান এবং তাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতে পারছে না। দ্বিতীয়ত, অর্থ পাচারের যে কথা বলা হচ্ছে; যখন আমি কানাডায় গিয়েছিলাম, তখন প্রসঙ্গটি তুলেছিলাম। অর্থ পাচার হচ্ছে এখান থেকে আর জমা তো হচ্ছে আর একটা দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে। ধরা যাক, ১০০ বিলিয়ন ডলার কোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা হলো। তখন সঙ্গে সঙ্গে আমাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানানো যায়। এটা যদি করা যায়, তাহলে অর্থ পাচার অনেকটা বন্ধ হবে। অর্থ পাচার এ রকম নয় যে স্যুটকেসে ভরে কেউ অর্থ দেশ থেকে নিয়ে যাচ্ছে। এখন কথা হলো, যারা অর্থ পাচার করে, তারা শুধু ক্ষমতার সঙ্গে নয়, আইনের সঙ্গেও জড়িত। তারা আইনের ফাঁক-ফোকরও জানে। এখন যদি আপনি ১০ হাজার ডলার বাইরে নিয়ে যেতে চান, কিন্তু আপনি জানেন না কোন পদ্ধতিতে নিয়ে যেতে হবে। আপনার জানা নেই, কিন্তু যিনি ব্যাংকের বড় পদে বসে আছেন, তিনি হয়তো আপনার নামে রপ্তানি বা আমদানির নামে একটা এলসি খুলবেন। সেই পথে আপনার টাকাটা বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন।
এক দেশ থেকে অন্য দেশে অর্থ পাচার বন্ধ করতে হলে একটি বৈশ্বিক ব্যবস্থা করতে হবে। আমাদের দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্য দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদানের একটি আইনি কাঠামো থাকতে হবে। আমাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সতর্কতা বাড়ানো দরকার। একই সঙ্গে আইনের বিষয়গুলো যত বেশি দৃশ্যমান করা যাবে, মানুষ তত জানতে পারবে। দুর্নীতি বা অর্থ পাচার আমাদের একটি বড় সমস্যা। এখন উন্নয়নের সঙ্গে যে অর্থ পাচার বেড়ে যাচ্ছে, সেদিকে আমাদের নজর দেওয়া দরকার।
আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে ঋণ নেওয়ার বিষয়ে দুটি কথা বলি। আমরা এসব সংস্থার কাছ থেকে যে ঋণ নিচ্ছি, এটা হলো এক ব্যক্তির ঋণ নেওয়ার মতো। কোনো ব্যক্তি যেমন ব্যক্তিগত প্রয়োজনে অন্যের কাছ থেকে ঋণ নেন; রাষ্ট্রের ক্ষেত্রেও বিষয়টা সে রকম। মনে রাখা দরকার, এই ঋণ কিন্তু আবার ফেরত দিতে হয় সুদসহ। এখন আমরা কেন আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ নিচ্ছি? আমাদের কাছে যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার মজুত আছে, তা বাড়ানোর জন্য। এটা একটা সতর্কতামূলক পদক্ষেপ।
প্রশ্ন হচ্ছে, যে ঋণটা নেব, সেটা আমরা কীভাবে ব্যবহার করব? এই ঋণ নিয়ে উৎপাদনশীল খাতে ব্যয় করা উচিত। আমাদের পোশাকশিল্প সামনের দিনে আরও প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়তে পারে, সেটাকে কীভাবে বাড়ানো যায়, আমাদের কৃষকদের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কীভাবে সাহায্য করা যায়—সেইভাবে যদি ঋণটাকে ব্যবহার করা যায়, তাহলে একটা প্রবৃদ্ধি হবে। আর প্রবৃদ্ধি হলেই যে বাড়তি টাকা থাকবে, তা দিয়ে আমরা ঋণটা শোধ করতে পারব।
আর একটা কথা আমাদের মনে রাখা দরকার, আমরা কিন্তু উন্নয়নশীল দেশের কাতার থেকে উন্নত দেশের কাতারে যাব। তখন কিন্তু আমরা এই নানান সুবিধা আর পাব না। সুতরাং এই জায়গাটাতে আমাদের এখন থেকেই পরিকল্পনা করে এগোতে হবে।
সেলিম জাহান, ভূতপূর্ব পরিচালক, মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন দপ্তর ও দারিদ্র্য বিমোচন বিভাগ, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে