মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
কয়েক দিন আগের এক রাতে বুকে ব্যথা নিয়ে যশোরের মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান কহিনুর বেগম নামে এক গৃহিণী। বুকে ব্যথায় নিশ্বাস নিতে খুব কষ্ট হচ্ছিল তাঁর। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গিয়ে সমস্যার কথা জানালে চিকিৎসক তাঁকে ইসিজি করার কথা বলেন। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে বুকে ব্যথা নিয়েই হাসপাতালের সিঁড়ি দিয়ে তিন তলায় পুরুষ ওয়ার্ডে গিয়ে ইসিজি করাতে হয়েছে কহিনুর বেগমকে। সিঁড়ি বেয়ে তিন তলায় ওঠার সময় দম বন্ধ হয়ে আসছিল বলে জানান এই রোগী।
শুধু কহিনুর বেগম নন, বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে আসা সবাইকে ঝুঁকি নিয়ে তিন তলায় গিয়ে ইসিজি করাতে হয়। মনিরামপুর হাসপাতালের নিচ তলায় জরুরি বিভাগে এ যন্ত্রটি না থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় বুকে ব্যথা বা হৃদরোগীদের। শুধু তাই নয়, হাসপাতালটিতে যে ইসিজি যন্ত্রটি আছে সেটি চালানোর মতো কোনো টেকনিশিয়ানও নেই। আয়া দিয়েই চালানো হয় ইসিজি পরীক্ষা।
সূত্রে জানা গেয়ে, ৫০ শয্যার মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দোতলায় মহিলা ও শিশু ওয়ার্ড। তিন তলায় রয়েছে পুরুষ ওয়ার্ড। দোতলায় ও তিন তলায় দুটি ইসিজি মেশিন থাকলেও গুরুত্বপূর্ণ এ যন্ত্রটি নেই নিচ তলার জরুরি বিভাগে। দোতলায় থাকা ইসিজি মেশিনটি বিকল ৩ বছর। ফলে একমাত্র ইসিজি মেশিন দিয়ে চলছে হাসপাতাল।
কহিনুর বেগম বলেন, হাসপাতালে গিয়ে বুকের ব্যথা বললে আমাকে তিন তলায় গিয়ে ইসিজি করে আসতে বলেন চিকিৎসক। সেখানে একটি কেবিনে দুই আয়া আমার ইসিজি করিয়েছেন। আমার স্বামী দায়িত্বে থাকা নার্সদের ইসিজি করাতে বলেছেন। তিনি না এসে আয়াদের দায়িত্ব দিয়েছেন।
রোগী কোহিনুর বেগম বলেন, ‘বুকে ব্যথায় নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। ওই অবস্থায় হেঁটে তিন তলায় ওঠায় আমার দম বন্ধ হয়ে আসছিল। জরুরি বিভাগে ইসিজি যন্ত্র থাকলে রোগীদের খুব উপকার হয়।’
হাসপাতালের দোতলার ইনচার্জ জ্যেষ্ঠ নার্স বন্দনা রানী বলেন, ‘একবার দেখিয়ে দিলে যে কেউ ইসিজি করতে পারেন। কিন্তু আয়াদের দিয়ে এ কাজ করানোর সময় ওয়ার্ডে দায়িত্বরত নার্সদের থাকা উচিত।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. অনুপ বসু বলেন, ‘বুকে ব্যথার রোগীদের হাঁটাচলা করানো ঝুঁকিপূর্ণ। জরুরি বিভাগে ইসিজি যন্ত্র না থাকায় রোগীদের হার্টের অবস্থা জানতে ওপরে পাঠাতে হয়। জরুরি বিভাগে ইসিজি যন্ত্রের ব্যবস্থা করার জন্য ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।’
মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শুভ্রা রানী দেবনাথ বলেন, ‘জরুরি বিভাগে ইসিজি যন্ত্র নেই। দোতলারটিও নষ্ট। কয়েকবার মেরামত করিয়েছি। বারবার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’
ডা. শুভ্রা রানী দেবনাথ আরও বলেন, ‘সিভিল সার্জনের কাছে দুটি ইসিজি যন্ত্র চেয়ে কয়েকবার আবেদন করেছি। এখনো পাইনি। আপাতত জানুয়ারির প্রথম দিন থেকে তিন তলার যন্ত্রটি জরুরি বিভাগে এনে কাজ চালানো হবে।’
কয়েক দিন আগের এক রাতে বুকে ব্যথা নিয়ে যশোরের মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান কহিনুর বেগম নামে এক গৃহিণী। বুকে ব্যথায় নিশ্বাস নিতে খুব কষ্ট হচ্ছিল তাঁর। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গিয়ে সমস্যার কথা জানালে চিকিৎসক তাঁকে ইসিজি করার কথা বলেন। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে বুকে ব্যথা নিয়েই হাসপাতালের সিঁড়ি দিয়ে তিন তলায় পুরুষ ওয়ার্ডে গিয়ে ইসিজি করাতে হয়েছে কহিনুর বেগমকে। সিঁড়ি বেয়ে তিন তলায় ওঠার সময় দম বন্ধ হয়ে আসছিল বলে জানান এই রোগী।
শুধু কহিনুর বেগম নন, বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে আসা সবাইকে ঝুঁকি নিয়ে তিন তলায় গিয়ে ইসিজি করাতে হয়। মনিরামপুর হাসপাতালের নিচ তলায় জরুরি বিভাগে এ যন্ত্রটি না থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় বুকে ব্যথা বা হৃদরোগীদের। শুধু তাই নয়, হাসপাতালটিতে যে ইসিজি যন্ত্রটি আছে সেটি চালানোর মতো কোনো টেকনিশিয়ানও নেই। আয়া দিয়েই চালানো হয় ইসিজি পরীক্ষা।
সূত্রে জানা গেয়ে, ৫০ শয্যার মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দোতলায় মহিলা ও শিশু ওয়ার্ড। তিন তলায় রয়েছে পুরুষ ওয়ার্ড। দোতলায় ও তিন তলায় দুটি ইসিজি মেশিন থাকলেও গুরুত্বপূর্ণ এ যন্ত্রটি নেই নিচ তলার জরুরি বিভাগে। দোতলায় থাকা ইসিজি মেশিনটি বিকল ৩ বছর। ফলে একমাত্র ইসিজি মেশিন দিয়ে চলছে হাসপাতাল।
কহিনুর বেগম বলেন, হাসপাতালে গিয়ে বুকের ব্যথা বললে আমাকে তিন তলায় গিয়ে ইসিজি করে আসতে বলেন চিকিৎসক। সেখানে একটি কেবিনে দুই আয়া আমার ইসিজি করিয়েছেন। আমার স্বামী দায়িত্বে থাকা নার্সদের ইসিজি করাতে বলেছেন। তিনি না এসে আয়াদের দায়িত্ব দিয়েছেন।
রোগী কোহিনুর বেগম বলেন, ‘বুকে ব্যথায় নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। ওই অবস্থায় হেঁটে তিন তলায় ওঠায় আমার দম বন্ধ হয়ে আসছিল। জরুরি বিভাগে ইসিজি যন্ত্র থাকলে রোগীদের খুব উপকার হয়।’
হাসপাতালের দোতলার ইনচার্জ জ্যেষ্ঠ নার্স বন্দনা রানী বলেন, ‘একবার দেখিয়ে দিলে যে কেউ ইসিজি করতে পারেন। কিন্তু আয়াদের দিয়ে এ কাজ করানোর সময় ওয়ার্ডে দায়িত্বরত নার্সদের থাকা উচিত।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. অনুপ বসু বলেন, ‘বুকে ব্যথার রোগীদের হাঁটাচলা করানো ঝুঁকিপূর্ণ। জরুরি বিভাগে ইসিজি যন্ত্র না থাকায় রোগীদের হার্টের অবস্থা জানতে ওপরে পাঠাতে হয়। জরুরি বিভাগে ইসিজি যন্ত্রের ব্যবস্থা করার জন্য ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।’
মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শুভ্রা রানী দেবনাথ বলেন, ‘জরুরি বিভাগে ইসিজি যন্ত্র নেই। দোতলারটিও নষ্ট। কয়েকবার মেরামত করিয়েছি। বারবার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’
ডা. শুভ্রা রানী দেবনাথ আরও বলেন, ‘সিভিল সার্জনের কাছে দুটি ইসিজি যন্ত্র চেয়ে কয়েকবার আবেদন করেছি। এখনো পাইনি। আপাতত জানুয়ারির প্রথম দিন থেকে তিন তলার যন্ত্রটি জরুরি বিভাগে এনে কাজ চালানো হবে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে