ফরিদ আহম্মেদ রুবেল, শ্রীবরদী
শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ের ১২টি গ্রামে বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। পাহাড়ি অঞ্চল হওয়ায় ও ভূগর্ভের পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দূর-দূরন্ত থেকে অনেক কষ্টে পানি সংগ্রহ করে এনে খাওয়াসহ রান্নার কাজে ব্যবহার করতে হচ্ছে সেখানকার মানুষদের। বোরো মৌসুমে অন্তত ৫-৬ মাস পানির অভাবে এই কষ্ট করতে হয় স্থানীয়দের। এ সমস্যা লাঘবে এলাকায় সাবমারসিবল পাম্প বসানোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিস বলছে, এই এলাকায় গভীর নলকূপ স্থাপন করে যাচ্ছি। তবে চাহিদার তুলনায় তা সামান্য।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শ্রীবরদী উপজেলার কর্ণঝোড়া, হারিয়াকুনা, হালুয়াহাটি ও রানীশিমুলসহ ১২টি গ্রামে মাটির নিচে প্রচুর পাথর থাকায় সাধারণ নলকূপ স্থাপন করা সম্ভব হয় না। একমাত্র বিদ্যুৎ চালিত গভীর সাবমারসিবল পাম্প বসিয়ে পানি উত্তোলন করা সম্ভব। কিন্তু এতে কমপক্ষে দেড় থেকে তিন লাখ টাকা খরচ হয়, যা এখানকার সাধারণ মানুষের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। এসব এলাকায় ব্যক্তি মালিকানায় সচ্ছল দু-একজন কৃষক বিদ্যুৎচালিত গভীর সাবমারসিবল পাম্প বসিয়েছেন। ওই পাম্প থেকে পানি নেওয়ার জন্য শুষ্ক মৌসুমে আশপাশের লোকজন জগ, বালতি, কলস, বোতল নিয়ে ভিড় করেন। দূর-দুরান্ত থেকে অনেক মানুষ ভ্যানগাড়ি করে খাওয়ার পানি সংগ্রহ করে নিয়ে যান এসব পাম্প থেকে।
মালাকুচা গ্রামের মো. লাল চান বলেন, ‘প্রতিবছর ডিসেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত এই এলাকায় পানীয় জলের তীব্র সংকট থাকে। তখন এখানে হস্তচালিত নলকূপ স্থাপন করা যায় না। তাই পানি তুলতে বসাতে হয় সাব মারসিবল পাম্প। কিন্তু এটি ব্যয়সাপেক্ষ হওয়ায় দরিদ্র গ্রামবাসীর পক্ষে এই নলকূপ বসানো সম্ভব হয় না। ফলে পানিসংকটে ভুগতে হয়।’
হালুয়াহাটি গ্রামের মো. ফুরাইদ বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। একটা টিউবওয়েল পুতছিলাম। এহন পানি ওঠে না। অনেক কষ্ট কইরা দূরে এক পাম্প থেকে পানি নিয়ে যাই শুধু খাওয়ার জন্য। পানির অভাবে দু-একটা পুকুরের পচা পানিতে গোসল কইরা নানা অসুখ অয়। আমরা এই ভোগান্তির অবসানে সাবমারসিবল পাম্প চাই।
একই গ্রামের গৃহিণী মঞ্জুরা বেগম, রোজিনা আক্তার ও আশুরা বেগমসহ অনেকেই জানান, ‘অনেকদিন থেকে আমরা রান্নাবান্না আর খাওয়ার জন্য এইভাবে পানি টাইনা নিয়া যাই। আমরা আর কত কষ্ট করমু। মাইনষের বাড়ি থাইক্কা কত কথা হুইনা পানি আনতে অয়।’
রাণিশিমুল ইউনিয়নের বাসিন্দা রমজান আলী জানান, ‘আমি ধান খেতে পানি দিতে একটি বিদ্যুৎচালিত সাবমারসিবল পাম্প বসিয়েছি। শুকনো মৌসুমে এলাকায় কোনো টিউবওয়েলে পানি ওঠে না। তখন আমার পাম্প থেকেই এই এলাকার মানুষ পানি নিয়ে যায়। মেশিন চালু করলেও সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়ে। এতে তাদেরও অনেক কষ্ট হয়, আমারও অসুবিধা হয়। এরপরও মানুষগুলোর কষ্ট দেখে কিছু বলি না। এই এলাকায় সরকারি খরচে দু-একটি সাবমারসিবল পাম্প বসালে এলাকার মানুষের দুর্ভোগ কমতো।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান বলেন, প্রতিবছর শুষ্ক মৌসুমে উপজেলার ওই এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট দেখা দেয়। আমরা ওই সকল এলাকায় গভীর নলকূপ স্থাপন করে যাচ্ছি। তবে চাহিদার তুলনায় এটা সামান্য। আমরা গভীর নলকূপের চাহিদা বেশি চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
এ ব্যাপারে শেরপুর জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ছামিউল হক জানান, পাহাড়ি এলাকায় পানি সংকট নিরসনে আমাদের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে। যেসব এলাকায় পানির সমস্যা বেশি, ওই সব এলাকায় বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে গভীর নলকূপ ও সাবমারসিবল পাম্প বসানো হচ্ছে। আরও চাহিদা দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে পর্যায়ক্রমে সব গ্রামেই পাম্প স্থাপন করা হবে।
শ্রীবরদী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডিএম শহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের উপজেলার দুটি ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রামে শুষ্ক মৌসুমে নলকূপে পানি ওঠে না। আমরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে কিছু কিছু জায়গায় সাবমারসিবল পাম্প বসাচ্ছি। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ের ১২টি গ্রামে বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। পাহাড়ি অঞ্চল হওয়ায় ও ভূগর্ভের পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দূর-দূরন্ত থেকে অনেক কষ্টে পানি সংগ্রহ করে এনে খাওয়াসহ রান্নার কাজে ব্যবহার করতে হচ্ছে সেখানকার মানুষদের। বোরো মৌসুমে অন্তত ৫-৬ মাস পানির অভাবে এই কষ্ট করতে হয় স্থানীয়দের। এ সমস্যা লাঘবে এলাকায় সাবমারসিবল পাম্প বসানোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিস বলছে, এই এলাকায় গভীর নলকূপ স্থাপন করে যাচ্ছি। তবে চাহিদার তুলনায় তা সামান্য।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শ্রীবরদী উপজেলার কর্ণঝোড়া, হারিয়াকুনা, হালুয়াহাটি ও রানীশিমুলসহ ১২টি গ্রামে মাটির নিচে প্রচুর পাথর থাকায় সাধারণ নলকূপ স্থাপন করা সম্ভব হয় না। একমাত্র বিদ্যুৎ চালিত গভীর সাবমারসিবল পাম্প বসিয়ে পানি উত্তোলন করা সম্ভব। কিন্তু এতে কমপক্ষে দেড় থেকে তিন লাখ টাকা খরচ হয়, যা এখানকার সাধারণ মানুষের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। এসব এলাকায় ব্যক্তি মালিকানায় সচ্ছল দু-একজন কৃষক বিদ্যুৎচালিত গভীর সাবমারসিবল পাম্প বসিয়েছেন। ওই পাম্প থেকে পানি নেওয়ার জন্য শুষ্ক মৌসুমে আশপাশের লোকজন জগ, বালতি, কলস, বোতল নিয়ে ভিড় করেন। দূর-দুরান্ত থেকে অনেক মানুষ ভ্যানগাড়ি করে খাওয়ার পানি সংগ্রহ করে নিয়ে যান এসব পাম্প থেকে।
মালাকুচা গ্রামের মো. লাল চান বলেন, ‘প্রতিবছর ডিসেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত এই এলাকায় পানীয় জলের তীব্র সংকট থাকে। তখন এখানে হস্তচালিত নলকূপ স্থাপন করা যায় না। তাই পানি তুলতে বসাতে হয় সাব মারসিবল পাম্প। কিন্তু এটি ব্যয়সাপেক্ষ হওয়ায় দরিদ্র গ্রামবাসীর পক্ষে এই নলকূপ বসানো সম্ভব হয় না। ফলে পানিসংকটে ভুগতে হয়।’
হালুয়াহাটি গ্রামের মো. ফুরাইদ বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। একটা টিউবওয়েল পুতছিলাম। এহন পানি ওঠে না। অনেক কষ্ট কইরা দূরে এক পাম্প থেকে পানি নিয়ে যাই শুধু খাওয়ার জন্য। পানির অভাবে দু-একটা পুকুরের পচা পানিতে গোসল কইরা নানা অসুখ অয়। আমরা এই ভোগান্তির অবসানে সাবমারসিবল পাম্প চাই।
একই গ্রামের গৃহিণী মঞ্জুরা বেগম, রোজিনা আক্তার ও আশুরা বেগমসহ অনেকেই জানান, ‘অনেকদিন থেকে আমরা রান্নাবান্না আর খাওয়ার জন্য এইভাবে পানি টাইনা নিয়া যাই। আমরা আর কত কষ্ট করমু। মাইনষের বাড়ি থাইক্কা কত কথা হুইনা পানি আনতে অয়।’
রাণিশিমুল ইউনিয়নের বাসিন্দা রমজান আলী জানান, ‘আমি ধান খেতে পানি দিতে একটি বিদ্যুৎচালিত সাবমারসিবল পাম্প বসিয়েছি। শুকনো মৌসুমে এলাকায় কোনো টিউবওয়েলে পানি ওঠে না। তখন আমার পাম্প থেকেই এই এলাকার মানুষ পানি নিয়ে যায়। মেশিন চালু করলেও সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়ে। এতে তাদেরও অনেক কষ্ট হয়, আমারও অসুবিধা হয়। এরপরও মানুষগুলোর কষ্ট দেখে কিছু বলি না। এই এলাকায় সরকারি খরচে দু-একটি সাবমারসিবল পাম্প বসালে এলাকার মানুষের দুর্ভোগ কমতো।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান বলেন, প্রতিবছর শুষ্ক মৌসুমে উপজেলার ওই এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট দেখা দেয়। আমরা ওই সকল এলাকায় গভীর নলকূপ স্থাপন করে যাচ্ছি। তবে চাহিদার তুলনায় এটা সামান্য। আমরা গভীর নলকূপের চাহিদা বেশি চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
এ ব্যাপারে শেরপুর জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ছামিউল হক জানান, পাহাড়ি এলাকায় পানি সংকট নিরসনে আমাদের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে। যেসব এলাকায় পানির সমস্যা বেশি, ওই সব এলাকায় বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে গভীর নলকূপ ও সাবমারসিবল পাম্প বসানো হচ্ছে। আরও চাহিদা দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে পর্যায়ক্রমে সব গ্রামেই পাম্প স্থাপন করা হবে।
শ্রীবরদী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডিএম শহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের উপজেলার দুটি ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রামে শুষ্ক মৌসুমে নলকূপে পানি ওঠে না। আমরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে কিছু কিছু জায়গায় সাবমারসিবল পাম্প বসাচ্ছি। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে