বাগেরহাট ও রামপাল প্রতিনিধি
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, সুন্দরবনের জলে, স্থলে, বনে কোথাও আর দস্যুতা করতে দেওয়া হবে না। সুন্দরবনে দস্যুতা রোধে র্যাবের স্থায়ী ক্যাম্প নির্মাণ করা হবে। প্রয়োজনে কোস্টগার্ডসহ অন্যান্য বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করা হবে।
দস্যুমুক্ত সুন্দরবন দিবস উপলক্ষে গতকাল সোমবার দুপুরে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মাঠে আত্মসমর্পণ করা জলদস্যুদের পুনর্বাসন করতে ঘর, দোকান, নৌকা ও জালসহ গবাদিপশু হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, বনদস্যুদের আত্মসমর্পণের মাধ্যমে সুন্দরবনে দীর্ঘদিনের দস্যুতার শেষ হয়েছে। আর তাঁদের ভালো রাখার জন্য সরকার বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছে। এঁরা যাতে আর কখনো বিপথে যেতে না পারে সে জন্য নিয়মিত মনিটরিংও করা হচ্ছে। এ ছাড়া দস্যুদের মামলার বিষয়ে যে আশ্বাস দেওয়া ছিল সেটাও বাস্তবায়ন করা হবে। ধর্ষণ ও হত্যা ছাড়া অন্যান্য সব মামলা পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহার করে নেবেন।
র্যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ, বর্ডার গার্ডের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম, খুলনা সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা-২ আসনের সাংসদ শেখ সালাউদ্দিন, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শামসুল হক টুকু, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাংসদ পীর ফজলুর রহমান, সাংসদ মো. হাবিবুর রহমান, সাংসদ গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিনসহ র্যাব, পুলিশসহ বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আত্মসমর্পণকৃত ৩২৮ জন সাবেক দস্যুদের মধ্যে ১০২ জনকে ঘর, ৯০ জনকে মুদি দোকান, ১২ জনকে মাছ ধরার জাল ও নৌকা, ৮ জনকে ইঞ্জিনচালিত নৌকা এবং ২২৮ জনকে গরু-বাছুর দেওয়া হয়। সম্প্রতি পুনর্বাসন চাহিদা সমীক্ষা চালিয়ে আত্মসমর্পণ করা জলদস্যুদের একটি তালিকা তৈরি করে র্যাব। আত্মসমর্পণকারীদের চাহিদা অনুযায়ী এসব সহায়তা দেওয়া হয়।
পুনর্বাসন সহায়তা নিতে আসা সাবেক দস্যু মানজুর বাহিনী প্রধান মানজুর বলেন, দস্যুতা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারায় সরকারের কাছে সারা জীবন কৃতজ্ঞ থাকবেন। এখন তাঁরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে র্যাবের দেওয়া ঘর, দোকান, গরু ও নৌকা পেয়েছেন।
হান্নান বাহিনীর সদস্য জলিল মুন্সী বলেন, 'আমাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, র্যাবসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।'
মাস্টার বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড সোহাগ আকন বলেন, 'আমরাই প্রথম আত্মসমর্পণ করি। এলাকায় এখন সবার সঙ্গে মিলে মিশে আছি। আমাদের দাবি, মামলাগুলো নিষ্পত্তি করার, অনুদান যা পাই তা মামলায় খরচ হয়ে যায়।'
বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সুন্দরবন। এর সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে রয়েছে উপকূলীয় অধিবাসীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষের জীবন ও জীবিকা। জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রে ২০১৮ সালের আগে তাদের আতঙ্ক ছিল দস্যুদের উৎপাত। একই বছর র্যাবের কাছে সর্বমোট ৩২টি দস্যু বাহিনীর ৩২৮ জন আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় ৪৬২টি অস্ত্র, ২২ হাজার ৫০৪ রাউন্ড গোলাবারুদ জমা দেয় জলদস্যুরা।
২০১৮ সালের ১ নভেম্বর সুন্দরবনকে ‘দস্যুমুক্ত সুন্দরবন’ ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই হিসেবে গতকাল ছিল দস্যুমুক্ত সুন্দরবনের তৃতীয় বর্ষপূর্তি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, সুন্দরবনের জলে, স্থলে, বনে কোথাও আর দস্যুতা করতে দেওয়া হবে না। সুন্দরবনে দস্যুতা রোধে র্যাবের স্থায়ী ক্যাম্প নির্মাণ করা হবে। প্রয়োজনে কোস্টগার্ডসহ অন্যান্য বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করা হবে।
দস্যুমুক্ত সুন্দরবন দিবস উপলক্ষে গতকাল সোমবার দুপুরে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মাঠে আত্মসমর্পণ করা জলদস্যুদের পুনর্বাসন করতে ঘর, দোকান, নৌকা ও জালসহ গবাদিপশু হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, বনদস্যুদের আত্মসমর্পণের মাধ্যমে সুন্দরবনে দীর্ঘদিনের দস্যুতার শেষ হয়েছে। আর তাঁদের ভালো রাখার জন্য সরকার বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছে। এঁরা যাতে আর কখনো বিপথে যেতে না পারে সে জন্য নিয়মিত মনিটরিংও করা হচ্ছে। এ ছাড়া দস্যুদের মামলার বিষয়ে যে আশ্বাস দেওয়া ছিল সেটাও বাস্তবায়ন করা হবে। ধর্ষণ ও হত্যা ছাড়া অন্যান্য সব মামলা পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহার করে নেবেন।
র্যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ, বর্ডার গার্ডের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম, খুলনা সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা-২ আসনের সাংসদ শেখ সালাউদ্দিন, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শামসুল হক টুকু, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাংসদ পীর ফজলুর রহমান, সাংসদ মো. হাবিবুর রহমান, সাংসদ গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিনসহ র্যাব, পুলিশসহ বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আত্মসমর্পণকৃত ৩২৮ জন সাবেক দস্যুদের মধ্যে ১০২ জনকে ঘর, ৯০ জনকে মুদি দোকান, ১২ জনকে মাছ ধরার জাল ও নৌকা, ৮ জনকে ইঞ্জিনচালিত নৌকা এবং ২২৮ জনকে গরু-বাছুর দেওয়া হয়। সম্প্রতি পুনর্বাসন চাহিদা সমীক্ষা চালিয়ে আত্মসমর্পণ করা জলদস্যুদের একটি তালিকা তৈরি করে র্যাব। আত্মসমর্পণকারীদের চাহিদা অনুযায়ী এসব সহায়তা দেওয়া হয়।
পুনর্বাসন সহায়তা নিতে আসা সাবেক দস্যু মানজুর বাহিনী প্রধান মানজুর বলেন, দস্যুতা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারায় সরকারের কাছে সারা জীবন কৃতজ্ঞ থাকবেন। এখন তাঁরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে র্যাবের দেওয়া ঘর, দোকান, গরু ও নৌকা পেয়েছেন।
হান্নান বাহিনীর সদস্য জলিল মুন্সী বলেন, 'আমাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, র্যাবসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।'
মাস্টার বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড সোহাগ আকন বলেন, 'আমরাই প্রথম আত্মসমর্পণ করি। এলাকায় এখন সবার সঙ্গে মিলে মিশে আছি। আমাদের দাবি, মামলাগুলো নিষ্পত্তি করার, অনুদান যা পাই তা মামলায় খরচ হয়ে যায়।'
বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সুন্দরবন। এর সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে রয়েছে উপকূলীয় অধিবাসীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষের জীবন ও জীবিকা। জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রে ২০১৮ সালের আগে তাদের আতঙ্ক ছিল দস্যুদের উৎপাত। একই বছর র্যাবের কাছে সর্বমোট ৩২টি দস্যু বাহিনীর ৩২৮ জন আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় ৪৬২টি অস্ত্র, ২২ হাজার ৫০৪ রাউন্ড গোলাবারুদ জমা দেয় জলদস্যুরা।
২০১৮ সালের ১ নভেম্বর সুন্দরবনকে ‘দস্যুমুক্ত সুন্দরবন’ ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই হিসেবে গতকাল ছিল দস্যুমুক্ত সুন্দরবনের তৃতীয় বর্ষপূর্তি।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১৮ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে