এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা
মাসদার হোসেন মামলার রায়ের আলোকে ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর বিচার বিভাগকে পৃথক ঘোষণা করেছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার। পৃথক্করণের ১৫ বছর পার হয়েছে গত মঙ্গলবার। তবে বিচার বিভাগ এখনো দ্বৈত নিয়ন্ত্রণেই চলছে। বিচারকদের বদলি, পদোন্নতি ও শৃঙ্খলা বিধানে সুপ্রিম কোর্টের পাশাপাশি ভূমিকা রাখছে আইন মন্ত্রণালয়ও। আইনজ্ঞরা মনে করেন, আইন মন্ত্রণালয়ের এমন নিয়ন্ত্রণে বিচারকদের স্বাধীনতা ব্যাহত হচ্ছে। বাহাত্তরের সংবিধান অনুযায়ী বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি সুপ্রিম কোর্টের ওপর ন্যস্ত করার পক্ষে মত দেন তাঁরা।
বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক করার রিট মামলায় আপিল বিভাগ চূড়ান্ত রায় দিয়েছিলেন ১৯৯৯ সালে। তাতে ১২ দফা নির্দেশনা ছিল। ১৯৯৪ সালে সেই মামলাটি করেছিলেন জেলা জজ ও জুডিশিয়াল অ্যাসোসিয়েশনের তখনকার মহাসচিব মাসদার হোসেন।
অবসরপ্রাপ্ত বিচারক মাসদার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ১২ দফা নির্দেশনার ৮ নম্বর দফায় উল্লেখ ছিল, সংসদ ও নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে আলাদা করতে হবে এবং স্বাধীনভাবে কাজ করার পরিবেশ সৃষ্টি করে দিতে হবে। এটা হয়নি। কারণ এখনো বিচারকদের বেতন, বদলি, কর্মস্থল নির্ধারণ, ছুটিসহ সবকিছু নির্বাহী বিভাগ থেকে পরিচালিত হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে আলোচনার কথা বলা হলেও নির্বাহী বিভাগই সব নিয়ন্ত্রণ করে, এটাই আসল কথা। পে-কমিশনের সুপারিশ কার্যকর এবং অবকাঠামোসহ অন্যান্য আর্থিক বিষয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার কথা নির্দেশনায় বলা হয়েছিল। এটিও দেওয়া হয়নি। ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বলতে অর্থনৈতিক স্বাধীনতাও বোঝায়।
তবে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, পৃথক্করণের ফলে বিচার বিভাগ এখন পূর্ণ স্বাধীনতা পাচ্ছে। বিচারকদের বদলি, পরিবর্তন, শৃঙ্খলা–সবকিছুতেই হাইকোর্টের অনুমোদন দিতে হচ্ছে। সরকারকে কিছু করতে হলে হাইকোর্টের কাছে ফাইল পাঠাতে হয়।
এদিকে মর্যাদা, ভাতা, গাড়ি, ঋণসুবিধাসহ নানা ক্ষেত্রে নির্বাহী বিভাগের তুলনায় বৈষম্যের শিকার বিচারকেরা। তাঁদের পদোন্নতি হলেও পদায়ন না হওয়া পর্যন্ত নতুন পদের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন তাঁরা। অন্য সার্ভিসের কর্মকর্তারা পদোন্নতির পর থেকেই সুবিধা পান। সারা দেশে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবন তৈরির কাজ শেষ না হওয়ায় বিচারকাজ ব্যাহত হচ্ছে অনেক আদালতে। বিচারকদের নিরাপত্তাও অপর্যাপ্ত। এসব বিষয়ে বিচারকদের ক্ষোভ থাকলেও কেউ প্রকাশ করেন না।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১৯৭২ সালের সংবিধানে অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ ছিল কেবল সুপ্রিম কোর্টের হাতে। এখন সংবিধান পরিবর্তন
করে রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে নির্বাহী বিভাগ ও সুপ্রিম কোর্ট এই দ্বৈত নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা চালু আছে। বিরাট অংশ নিয়ন্ত্রণ করে মন্ত্রণালয়।’
বিচার বিভাগ পৃথক্করণের সময় উচ্চ আদালতে বিচারাধীন মামলা ছিল ২ লাখ ৪৯ হাজার। নিম্ন আদালতে ছিল ১৩ লাখ ৩২ হাজার। গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত সারা দেশে বিচারাধীন মামলা ছিল ৪০ লাখ ২১ হাজার। এর মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে ৫ লাখ ২১ হাজার এবং নিম্ন আদালতে ৩৪ লাখ ৮২ হাজার। বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয়ও হয়নি।
আলাদা সচিবালয় এবং মামলাজটের বিষয়ে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘হয়তো ভবিষ্যতে সচিবালয় হবে। তবে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় এখন সেই কাজটি করছে। বিচারক নিয়োগের প্রক্রিয়া খুবই উন্নত। উচ্চমানের লোকজন এখন আসছেন বিচার বিভাগে। এই পরীক্ষা নিয়ে কারও কোনো প্রশ্ন নেই।’ তাঁর মতে, অনেকে বিনা কারণে ফৌজদারি মামলা করেন। এটা বন্ধ করতে হবে। বিচারকের সংখ্যা বাড়াতে হবে। সেই সঙ্গে লজিস্টিক সাপোর্টও বাড়াতে হবে। তাহলেই মামলাজট কমবে।
শাহদীন মালিক বলেন, বিচারব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত চার ধরনের জনবলের মধ্যে কেবল অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়োগবিধি ও প্রক্রিয়া আছে। আর বাকিদের ক্ষেত্রে কোনো নিয়োগ প্রক্রিয়া নেই। তাঁদের নিয়োগ দেওয়া হয় খেয়ালখুশি মতো। সবার নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্যতা ও জবাবদিহিমূলক প্রক্রিয়া থাকতে হবে। এর অভাব স্বাধীন বিচারব্যবস্থার ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় বলে মনে করেন এই আইনজ্ঞ।
মাসদার হোসেন মামলার রায়ের আলোকে ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর বিচার বিভাগকে পৃথক ঘোষণা করেছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার। পৃথক্করণের ১৫ বছর পার হয়েছে গত মঙ্গলবার। তবে বিচার বিভাগ এখনো দ্বৈত নিয়ন্ত্রণেই চলছে। বিচারকদের বদলি, পদোন্নতি ও শৃঙ্খলা বিধানে সুপ্রিম কোর্টের পাশাপাশি ভূমিকা রাখছে আইন মন্ত্রণালয়ও। আইনজ্ঞরা মনে করেন, আইন মন্ত্রণালয়ের এমন নিয়ন্ত্রণে বিচারকদের স্বাধীনতা ব্যাহত হচ্ছে। বাহাত্তরের সংবিধান অনুযায়ী বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি সুপ্রিম কোর্টের ওপর ন্যস্ত করার পক্ষে মত দেন তাঁরা।
বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক করার রিট মামলায় আপিল বিভাগ চূড়ান্ত রায় দিয়েছিলেন ১৯৯৯ সালে। তাতে ১২ দফা নির্দেশনা ছিল। ১৯৯৪ সালে সেই মামলাটি করেছিলেন জেলা জজ ও জুডিশিয়াল অ্যাসোসিয়েশনের তখনকার মহাসচিব মাসদার হোসেন।
অবসরপ্রাপ্ত বিচারক মাসদার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ১২ দফা নির্দেশনার ৮ নম্বর দফায় উল্লেখ ছিল, সংসদ ও নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে আলাদা করতে হবে এবং স্বাধীনভাবে কাজ করার পরিবেশ সৃষ্টি করে দিতে হবে। এটা হয়নি। কারণ এখনো বিচারকদের বেতন, বদলি, কর্মস্থল নির্ধারণ, ছুটিসহ সবকিছু নির্বাহী বিভাগ থেকে পরিচালিত হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে আলোচনার কথা বলা হলেও নির্বাহী বিভাগই সব নিয়ন্ত্রণ করে, এটাই আসল কথা। পে-কমিশনের সুপারিশ কার্যকর এবং অবকাঠামোসহ অন্যান্য আর্থিক বিষয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার কথা নির্দেশনায় বলা হয়েছিল। এটিও দেওয়া হয়নি। ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বলতে অর্থনৈতিক স্বাধীনতাও বোঝায়।
তবে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, পৃথক্করণের ফলে বিচার বিভাগ এখন পূর্ণ স্বাধীনতা পাচ্ছে। বিচারকদের বদলি, পরিবর্তন, শৃঙ্খলা–সবকিছুতেই হাইকোর্টের অনুমোদন দিতে হচ্ছে। সরকারকে কিছু করতে হলে হাইকোর্টের কাছে ফাইল পাঠাতে হয়।
এদিকে মর্যাদা, ভাতা, গাড়ি, ঋণসুবিধাসহ নানা ক্ষেত্রে নির্বাহী বিভাগের তুলনায় বৈষম্যের শিকার বিচারকেরা। তাঁদের পদোন্নতি হলেও পদায়ন না হওয়া পর্যন্ত নতুন পদের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন তাঁরা। অন্য সার্ভিসের কর্মকর্তারা পদোন্নতির পর থেকেই সুবিধা পান। সারা দেশে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবন তৈরির কাজ শেষ না হওয়ায় বিচারকাজ ব্যাহত হচ্ছে অনেক আদালতে। বিচারকদের নিরাপত্তাও অপর্যাপ্ত। এসব বিষয়ে বিচারকদের ক্ষোভ থাকলেও কেউ প্রকাশ করেন না।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১৯৭২ সালের সংবিধানে অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ ছিল কেবল সুপ্রিম কোর্টের হাতে। এখন সংবিধান পরিবর্তন
করে রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে নির্বাহী বিভাগ ও সুপ্রিম কোর্ট এই দ্বৈত নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা চালু আছে। বিরাট অংশ নিয়ন্ত্রণ করে মন্ত্রণালয়।’
বিচার বিভাগ পৃথক্করণের সময় উচ্চ আদালতে বিচারাধীন মামলা ছিল ২ লাখ ৪৯ হাজার। নিম্ন আদালতে ছিল ১৩ লাখ ৩২ হাজার। গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত সারা দেশে বিচারাধীন মামলা ছিল ৪০ লাখ ২১ হাজার। এর মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে ৫ লাখ ২১ হাজার এবং নিম্ন আদালতে ৩৪ লাখ ৮২ হাজার। বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয়ও হয়নি।
আলাদা সচিবালয় এবং মামলাজটের বিষয়ে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘হয়তো ভবিষ্যতে সচিবালয় হবে। তবে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় এখন সেই কাজটি করছে। বিচারক নিয়োগের প্রক্রিয়া খুবই উন্নত। উচ্চমানের লোকজন এখন আসছেন বিচার বিভাগে। এই পরীক্ষা নিয়ে কারও কোনো প্রশ্ন নেই।’ তাঁর মতে, অনেকে বিনা কারণে ফৌজদারি মামলা করেন। এটা বন্ধ করতে হবে। বিচারকের সংখ্যা বাড়াতে হবে। সেই সঙ্গে লজিস্টিক সাপোর্টও বাড়াতে হবে। তাহলেই মামলাজট কমবে।
শাহদীন মালিক বলেন, বিচারব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত চার ধরনের জনবলের মধ্যে কেবল অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়োগবিধি ও প্রক্রিয়া আছে। আর বাকিদের ক্ষেত্রে কোনো নিয়োগ প্রক্রিয়া নেই। তাঁদের নিয়োগ দেওয়া হয় খেয়ালখুশি মতো। সবার নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্যতা ও জবাবদিহিমূলক প্রক্রিয়া থাকতে হবে। এর অভাব স্বাধীন বিচারব্যবস্থার ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় বলে মনে করেন এই আইনজ্ঞ।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১৫ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে