রুবেল আহমেদ, কসবা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় অবাধে চলছে শত শত অবৈধ ট্রাক্টর। ইটভাটা ও ইট-বালু ব্যবসায়ীদের মালিকানায় চলছে এসব অবৈধ যান। মাটি ও বালু পরিবহনকারী এসব ট্রাক্টরের বেপরোয়া চলাচলে দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ। এসব ট্রাক্টরের যেখানে-সেখানে রাস্তা থেকে বালু ফেলার জায়গায় ওঠানামার কারণে অল্প সময়ে নষ্ট হচ্ছে রাস্তাঘাট। পাশাপাশি কম বয়সী চালকদের হাতে চলছে এসব পরিবহন।
এদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো বাধা না থাকায় উপজেলায় রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা চলছে এই অবৈধ পরিবহন। এসবের বেপরোয়া গতির কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এ ছাড়া এসব পরিবহনের বিকট শব্দের কারণে ঘটছে শব্দদূষণও।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব যান তৈরি হয় মূলত হালচাষের জন্য। দেশে অসাধু লোকজন হালচাষের ট্রাক্টরে বডি লাগিয়ে পরিবহন হিসেবে ব্যবহার করছে। অথচ বাংলাদেশ মোটরযান আইনে পাকা রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহনের তালিকায় এসব পরিবহনের কোনো অস্তিত্ব নেই। সরকার শুধু কৃষিকাজে ব্যবহারের জন্য এসব যান আমদানির অনুমতি দিয়ে থাকে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটার মালিক এবং কাঠ, পাথর, মাটি ও বালু ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে এই ট্রাক্টর ব্যবহার করে আসছেন।
বাংলাদেশে ব্যাটারিচালিত হালকা যানবাহনের ক্ষেত্রে লাইসেন্স লাগলেও কৃষি ক্ষেত্রে ট্রাক্টর কিংবা এর চালকের কোনো লাইসেন্স লাগে না। এ সুযোগে এলাকার শিশু কিংবা কিশোরেরাও অদক্ষ হওয়া সত্ত্বেও এসব ট্রাক্টর অবাধে চালানোর সুযোগ পাচ্ছে। ফলে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলায় প্রতিদিন প্রায় চার শ অবৈধ ট্রাক্টর বিভিন্ন ধরনের মালামাল নিয়ে অবাধে চলাচল করছে। বিকট শব্দে রাতের বেলাও ঘুমানো দায়। ফলে পথচারীসহ জনসাধারণকে সার্বক্ষণিক আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হচ্ছে। সড়কে চলাচলের অনুপযোগী এসব পরিবহনের কারণে কমছে রাস্তার স্থায়িত্ব।
অপর দিকে সামান্য বৃষ্টি হলেই ট্রাক্টর থেকে পড়ে যাওয়া মাটি পিচ্ছিল হয়ে রাস্তা মরণফাঁদে পরিণত হচ্ছে। বালু পরিবহনের সময় ওপর দিকটা খোলা থাকায় বালু উড়ে এসে পথচারীদের চোখে পড়ে সমস্যার সৃষ্টি করছে।
এদিকে সরকার প্রায় এক দশক আগে সারা দেশে রাস্তায় চলাচলকারী পরিবহন হিসেবে ব্যবহৃত সব ধরনের ট্রলি বা ট্রাক্টরকে অবৈধ ঘোষণা করে। এসব যান আটক করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সরকারের এ নির্দেশনার বাস্তবায়ন চান এলাকাবাসী। এলাকাবাসী ও সচেতন মহলের দাবি, উপজেলা প্রশাসন যেন রাস্তাঘাট ও জনস্বার্থে ট্রাক্টর দিয়ে তৈরি অবৈধ এসব পরিবহন বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
চিকিৎসকেরা বলছেন, এসব পরিবহন বেপরোয়া চলাচলের কারণে রাস্তায় প্রচণ্ড ধুলাবালি ওড়ে। স্কুলগামী শিশুসহ বয়স্ক মানুষের নিউমোনিয়াসহ শ্বাসকষ্টজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার বেশি আশঙ্কা থাকে।
চারগাছ গ্রামের বাসিন্দা মোবারক হোসেন বলেন, ‘এসব ট্রাক্টরের চলাচলে আমরা খুব অসুবিধায় আছি। ট্রাক্টরের বিকট শব্দে চলাচলের ফলে রাতেও ঘুমাতে কষ্ট হয়। আমরা চাই প্রশাসনের হস্তক্ষেপে এগুলো বন্ধ হোক।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ উল আলম বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এসব যানের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এসব যান চলাচল বন্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং পুলিশ প্রশাসনকে বলা হয়েছে রাস্তায় এসব অবৈধ পরিবহন দেখলেই যেন আটক করা হয়। পাশাপাশি এসব অবৈধ পরিবহনের মালিককেও রাস্তা থেকে উঠিয়ে নিতে বলা হয়েছে। অচিরেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় অবাধে চলছে শত শত অবৈধ ট্রাক্টর। ইটভাটা ও ইট-বালু ব্যবসায়ীদের মালিকানায় চলছে এসব অবৈধ যান। মাটি ও বালু পরিবহনকারী এসব ট্রাক্টরের বেপরোয়া চলাচলে দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ। এসব ট্রাক্টরের যেখানে-সেখানে রাস্তা থেকে বালু ফেলার জায়গায় ওঠানামার কারণে অল্প সময়ে নষ্ট হচ্ছে রাস্তাঘাট। পাশাপাশি কম বয়সী চালকদের হাতে চলছে এসব পরিবহন।
এদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো বাধা না থাকায় উপজেলায় রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা চলছে এই অবৈধ পরিবহন। এসবের বেপরোয়া গতির কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এ ছাড়া এসব পরিবহনের বিকট শব্দের কারণে ঘটছে শব্দদূষণও।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব যান তৈরি হয় মূলত হালচাষের জন্য। দেশে অসাধু লোকজন হালচাষের ট্রাক্টরে বডি লাগিয়ে পরিবহন হিসেবে ব্যবহার করছে। অথচ বাংলাদেশ মোটরযান আইনে পাকা রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহনের তালিকায় এসব পরিবহনের কোনো অস্তিত্ব নেই। সরকার শুধু কৃষিকাজে ব্যবহারের জন্য এসব যান আমদানির অনুমতি দিয়ে থাকে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটার মালিক এবং কাঠ, পাথর, মাটি ও বালু ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে এই ট্রাক্টর ব্যবহার করে আসছেন।
বাংলাদেশে ব্যাটারিচালিত হালকা যানবাহনের ক্ষেত্রে লাইসেন্স লাগলেও কৃষি ক্ষেত্রে ট্রাক্টর কিংবা এর চালকের কোনো লাইসেন্স লাগে না। এ সুযোগে এলাকার শিশু কিংবা কিশোরেরাও অদক্ষ হওয়া সত্ত্বেও এসব ট্রাক্টর অবাধে চালানোর সুযোগ পাচ্ছে। ফলে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলায় প্রতিদিন প্রায় চার শ অবৈধ ট্রাক্টর বিভিন্ন ধরনের মালামাল নিয়ে অবাধে চলাচল করছে। বিকট শব্দে রাতের বেলাও ঘুমানো দায়। ফলে পথচারীসহ জনসাধারণকে সার্বক্ষণিক আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হচ্ছে। সড়কে চলাচলের অনুপযোগী এসব পরিবহনের কারণে কমছে রাস্তার স্থায়িত্ব।
অপর দিকে সামান্য বৃষ্টি হলেই ট্রাক্টর থেকে পড়ে যাওয়া মাটি পিচ্ছিল হয়ে রাস্তা মরণফাঁদে পরিণত হচ্ছে। বালু পরিবহনের সময় ওপর দিকটা খোলা থাকায় বালু উড়ে এসে পথচারীদের চোখে পড়ে সমস্যার সৃষ্টি করছে।
এদিকে সরকার প্রায় এক দশক আগে সারা দেশে রাস্তায় চলাচলকারী পরিবহন হিসেবে ব্যবহৃত সব ধরনের ট্রলি বা ট্রাক্টরকে অবৈধ ঘোষণা করে। এসব যান আটক করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সরকারের এ নির্দেশনার বাস্তবায়ন চান এলাকাবাসী। এলাকাবাসী ও সচেতন মহলের দাবি, উপজেলা প্রশাসন যেন রাস্তাঘাট ও জনস্বার্থে ট্রাক্টর দিয়ে তৈরি অবৈধ এসব পরিবহন বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
চিকিৎসকেরা বলছেন, এসব পরিবহন বেপরোয়া চলাচলের কারণে রাস্তায় প্রচণ্ড ধুলাবালি ওড়ে। স্কুলগামী শিশুসহ বয়স্ক মানুষের নিউমোনিয়াসহ শ্বাসকষ্টজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার বেশি আশঙ্কা থাকে।
চারগাছ গ্রামের বাসিন্দা মোবারক হোসেন বলেন, ‘এসব ট্রাক্টরের চলাচলে আমরা খুব অসুবিধায় আছি। ট্রাক্টরের বিকট শব্দে চলাচলের ফলে রাতেও ঘুমাতে কষ্ট হয়। আমরা চাই প্রশাসনের হস্তক্ষেপে এগুলো বন্ধ হোক।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ উল আলম বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এসব যানের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এসব যান চলাচল বন্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং পুলিশ প্রশাসনকে বলা হয়েছে রাস্তায় এসব অবৈধ পরিবহন দেখলেই যেন আটক করা হয়। পাশাপাশি এসব অবৈধ পরিবহনের মালিককেও রাস্তা থেকে উঠিয়ে নিতে বলা হয়েছে। অচিরেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে