আনিসুল হক জুয়েল, দিনাজপুর
দিনাজপুরের বিরলে প্রায় তিন লাখ মানুষের চিকিৎসার ভরসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। কিন্তু চিকিৎসক-সংকটে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না রোগী। উপজেলায় স্বাস্থ্যসেবায় এখনো বেসরকারি তেমন কোনো প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি। ফলে যেকোনো প্রতিকূল পরিবেশেও মানুষ ছুটে যান ৫০ শয্যার এ হাসপাতালে।
সূত্রে জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ২০টি স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিপরীতে কাগজে-কলমে কর্মরত আছেন ১২ জন। কিন্তু বাস্তবে আছেন মাত্র ৭ জন চিকিৎসক। আর পাঁচজনের মধ্যে করোনাকালীন প্রেষণে দুজন এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং তিনজন দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালে আছেন।
এঁদের মধ্যে একজন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, একজন জুনিয়র কনসালট্যান্ট (প্রসূতি), একজন অ্যানেসথেসিওলোজিস্টসহ চারজন মেডিকেল কর্মকর্তা রয়েছেন। এই চারজনের মধ্যে আবার দুজন ফেব্রুয়ারি মাসে উচ্চরত প্রশিক্ষণের জন্য ছুটিতে যাবেন।
সূত্রে আরও জানা যায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যার হলেও এখানে নেই কোনো আবাসিক চিকিৎসক। অপারেশন থিয়েটার থাকলেও নেই সার্জন। মাত্র চারজন মেডিকেল কর্মকর্তাকে সবকিছুই সামলাতে হয়। বহির্বিভাগে প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন শ রোগী দেখতে হয় একজন চিকিৎসককে। রোগী এলে তাঁকেই আবার ছুটতে হয় জরুরি বিভাগে।
এ ছাড়া ল্যাব টেকনোলজিস্ট না থাকায় তিন বছর ধরে বন্ধ প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা। এক্স-রে টেকনোলজিস্ট থাকলেও যক্ষ্মা ছাড়া অন্য রোগীদের এক্স-রে বন্ধ। বহির্বিভাগ কিংবা ভর্তি রোগী কারোই ইসিজি ছাড়া অন্য কোনো পরীক্ষার সুযোগ নেই হাসপাতালে। ফলে চিকিৎসকদের অনুমানের ওপর নির্ভর করে জরুরি চিকিৎসা দিতে হয়।
হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, বহির্বিভাগে চিকিৎসকের রুমের সামনে রোগীর দীর্ঘ সারি। একজন চিকিৎসককেই বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগসহ অন্তবিভাগে ভর্তি রোগীদের সেবা দিতে হচ্ছে। ভেতরে পাঁচ-ছয়জন রোগী চিকিৎসাধীন।
কথা বলে জানা যায়, পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ না থাকা আর চিকিৎসকসংকট বিধায় এখানে গুরুতর রোগীদের ভর্তি না করে জেলা সদরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব এমন রোগীদেরই শুধু এখানে ভর্তি করানো হয়।
বহির্বিভাগে সেবা নিতে আসা আলম (৩৫), শরিফুল (৪৩) ও মরিয়ম (৩২) জানান, সর্দি-কাশিতে ভুগছেন, ডাক্তার দেখাতে এসেছেন; কিন্তু অনেক লম্বা সারি। এত রোগীর ভিড়ে একজন ডাক্তারের পক্ষে কোনোভাবেই ঠান্ডা মাথায় সেবা দেওয়া সম্ভব নয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোকাদ্দেস বলেন, ‘এখানে কর্মরত ১২ জন চিকিৎসকের মধ্যে ৫ জন জেলা সদর ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেষণে আছেন। বর্তমানে চারজন মেডিকেল কর্মকর্তার মধ্যে দুজন আগামী মাসে উচ্চতর প্রশিক্ষণে যাবেন। বিষয়টি জানিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার চিঠি দিয়েছি। এখনো কোনো সদুত্তর পাইনি। জানি না আগামী মাস থেকে কীভাবে চিকিৎসাসেবা দেব।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্যাথলজি চালুর জন্য লোকের চাহিদা দেওয়া আছে। লোক পেলেই চালু করবেন। আর এক্স-রে মেশিনটি যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় দেওয়া। সন্দেহজনক যক্ষ্মা রোগী ছাড়া ওই মেশিনে এক্স-রে করানো যায় না। এ ছাড়া সিজারিয়ান অপারেশন চালুর প্রস্তুতি চলছে। পর্যাপ্ত মেডিকেল কর্মকর্তা না পেলে ওটি চালু করা সম্ভব না।
বিরল উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান বাবু জানান, বিরল একটি জনবহুল উপজেলা। এখানকার মানুষের অধিকাংশই চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওপর নির্ভরশীল। প্রশাসনসহ নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে চিকিৎসকসংকটের কথা জানিয়ে তা পূরণে দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন।
দিনাজপুরের বিরলে প্রায় তিন লাখ মানুষের চিকিৎসার ভরসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। কিন্তু চিকিৎসক-সংকটে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না রোগী। উপজেলায় স্বাস্থ্যসেবায় এখনো বেসরকারি তেমন কোনো প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি। ফলে যেকোনো প্রতিকূল পরিবেশেও মানুষ ছুটে যান ৫০ শয্যার এ হাসপাতালে।
সূত্রে জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ২০টি স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিপরীতে কাগজে-কলমে কর্মরত আছেন ১২ জন। কিন্তু বাস্তবে আছেন মাত্র ৭ জন চিকিৎসক। আর পাঁচজনের মধ্যে করোনাকালীন প্রেষণে দুজন এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং তিনজন দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালে আছেন।
এঁদের মধ্যে একজন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, একজন জুনিয়র কনসালট্যান্ট (প্রসূতি), একজন অ্যানেসথেসিওলোজিস্টসহ চারজন মেডিকেল কর্মকর্তা রয়েছেন। এই চারজনের মধ্যে আবার দুজন ফেব্রুয়ারি মাসে উচ্চরত প্রশিক্ষণের জন্য ছুটিতে যাবেন।
সূত্রে আরও জানা যায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যার হলেও এখানে নেই কোনো আবাসিক চিকিৎসক। অপারেশন থিয়েটার থাকলেও নেই সার্জন। মাত্র চারজন মেডিকেল কর্মকর্তাকে সবকিছুই সামলাতে হয়। বহির্বিভাগে প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন শ রোগী দেখতে হয় একজন চিকিৎসককে। রোগী এলে তাঁকেই আবার ছুটতে হয় জরুরি বিভাগে।
এ ছাড়া ল্যাব টেকনোলজিস্ট না থাকায় তিন বছর ধরে বন্ধ প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা। এক্স-রে টেকনোলজিস্ট থাকলেও যক্ষ্মা ছাড়া অন্য রোগীদের এক্স-রে বন্ধ। বহির্বিভাগ কিংবা ভর্তি রোগী কারোই ইসিজি ছাড়া অন্য কোনো পরীক্ষার সুযোগ নেই হাসপাতালে। ফলে চিকিৎসকদের অনুমানের ওপর নির্ভর করে জরুরি চিকিৎসা দিতে হয়।
হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, বহির্বিভাগে চিকিৎসকের রুমের সামনে রোগীর দীর্ঘ সারি। একজন চিকিৎসককেই বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগসহ অন্তবিভাগে ভর্তি রোগীদের সেবা দিতে হচ্ছে। ভেতরে পাঁচ-ছয়জন রোগী চিকিৎসাধীন।
কথা বলে জানা যায়, পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ না থাকা আর চিকিৎসকসংকট বিধায় এখানে গুরুতর রোগীদের ভর্তি না করে জেলা সদরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব এমন রোগীদেরই শুধু এখানে ভর্তি করানো হয়।
বহির্বিভাগে সেবা নিতে আসা আলম (৩৫), শরিফুল (৪৩) ও মরিয়ম (৩২) জানান, সর্দি-কাশিতে ভুগছেন, ডাক্তার দেখাতে এসেছেন; কিন্তু অনেক লম্বা সারি। এত রোগীর ভিড়ে একজন ডাক্তারের পক্ষে কোনোভাবেই ঠান্ডা মাথায় সেবা দেওয়া সম্ভব নয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোকাদ্দেস বলেন, ‘এখানে কর্মরত ১২ জন চিকিৎসকের মধ্যে ৫ জন জেলা সদর ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেষণে আছেন। বর্তমানে চারজন মেডিকেল কর্মকর্তার মধ্যে দুজন আগামী মাসে উচ্চতর প্রশিক্ষণে যাবেন। বিষয়টি জানিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার চিঠি দিয়েছি। এখনো কোনো সদুত্তর পাইনি। জানি না আগামী মাস থেকে কীভাবে চিকিৎসাসেবা দেব।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্যাথলজি চালুর জন্য লোকের চাহিদা দেওয়া আছে। লোক পেলেই চালু করবেন। আর এক্স-রে মেশিনটি যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় দেওয়া। সন্দেহজনক যক্ষ্মা রোগী ছাড়া ওই মেশিনে এক্স-রে করানো যায় না। এ ছাড়া সিজারিয়ান অপারেশন চালুর প্রস্তুতি চলছে। পর্যাপ্ত মেডিকেল কর্মকর্তা না পেলে ওটি চালু করা সম্ভব না।
বিরল উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান বাবু জানান, বিরল একটি জনবহুল উপজেলা। এখানকার মানুষের অধিকাংশই চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওপর নির্ভরশীল। প্রশাসনসহ নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে চিকিৎসকসংকটের কথা জানিয়ে তা পূরণে দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪