জাহাঙ্গীর আলম, জামালপুর
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে জ্বর, সর্দি ও কাঁশিতে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন দুই শতাধিক শিশু প্রাথমিক চিকিৎসা নিচ্ছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অনেককেই বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আর যে সব শিশুর অবস্থা খারাপ তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে।
আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে শিশুরা জ্বর, সর্দিতে আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ দিকে রোগী বাড়তে থাকায় হাসপাতালের শিশু বিভাগে দেখা দিয়েছে শয্যা সংকট। বাধ্য হয়েছে মেঝে ও বারান্দায় দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসা। সংকট শুধু শয্যায় সীমাবদ্ধ নয়। হাসপাতালের শিশু বিভাগেও রয়েছে চিকিৎসাক সংকট। শিশু ওয়ার্ডের মেডিকেল অফিসার পদটি দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। ফলে শিশুদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে শিশুদের ঠান্ডা জনিত রোগ বেড়ে গেছে। গত দেড় মাস ধরেই হাসপাতালে শিশু রোগীর চাপ বেড়েছে। আগামী দু’এক মাস চাপ আরও বাড়বে।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে শয্যা রয়েছে মাত্র ২৪। আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে সর্দি জ্বরে শিশু আক্রান্ত হওয়ায় দেখা দিয়েছে শয্যা। বর্তমানে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে দেড় শতাধিক রোগী। প্রতি শয্যায় তিন থেকে চারজন শিশু রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। রোগী বেশি হওয়ায় বাধ্য হয়ে অনেক শিশু মেঝে এবং হাসপাতালের বারান্দায় রাখা হয়েছে। এ দিকে রোগী ও স্বজনদের চাপ সামলাতে ডাক্তার ও নার্সদের রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘হাসপাতালে জ্বর ও সর্দিতে আক্রান্ত শিশুর চাপ বাড়ছে। জায়গায় না থাকায় এক শয্যায় ৩ থেকে ৪টি শিশু রাখতে বাধ্য হচ্ছি।’
সদর উপজেলার নারিকেলী এলাকার বাসিন্দা সালমা খান বলেন, ‘ছয় দিন ধরে আমার বাচ্চা সর্দি-জ্বরে ভুগছিল। গতকাল (রোববার) রাতে হঠাৎ করেই জ্বর বাড়তে থাকে। ভয়ে সকাল ৭ টায় হাসপাতালে নিয়ে আসি। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্যালাইন চলছে। তবে শয্যা সংকট থাকায় বাধ্য হয়ে মেঝেতে থাকছি।’
আঁখি বেগম বলেন, ‘আমার দেড় বছর বয়সী বাচ্চা গত দু’দিন ধরে ঠান্ডা জনিত শ্বাস কষ্ট ও পাতলা পায়খানায় আক্রান্ত। আমার বাচ্চাকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
মেলান্দহ উপজেলার বিলকিস বেগম, সরিষাবাড়ী উপজেলার সাজেদা বেগম, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার রেজিয়া বেগম, সদর উপজেলার দিগপাইত এলাকার মিম আক্তার বাচ্চার চিকিৎসার জন্য এসেছেন জেনারেল হাসপাতালে। মিম আক্তার বলেন, ‘শ্বাসকষ্ট আর তীব্র জ্বর থাকায় গত পাঁচ দিন বাচ্চার চিকিৎসা চলছে।’
এ দিকে প্রতিদিন জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত শিশু চাপ বাড়লেও শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রয়েছে মাত্র একজন। চাপ বাড়ায় মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দিয়েই চলছে চিকিৎসা।
সহকারী পরিচালক ডা. মুহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘জামালপুর জেনারেল হাসপাতালটি ২৫০ শয্যার হলেও প্রতিদিনই পাঁচ শ থেকে ছয় শ রোগী দেখা হয়। আর বহির্বিভাগে ১১ শ থেকে ১২ শ রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হয়। করোনা সংক্রমণ কমে আসায় অন্যান্য রোগীর চাপ বেড়েছে। ডাক্তার সংকট থাকায় চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। হাসপাতালে ৭০ জন ডাক্তারের পদ থাকলেও চিকিৎসক আছে মাত্র ৩৮ জন। শূন্য পদে ডাক্তার চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছি। আর শিশু বিভাগের মেডিকেল অফিসার অনেক দিন ধরে না থাকায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।’
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে জ্বর, সর্দি ও কাঁশিতে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন দুই শতাধিক শিশু প্রাথমিক চিকিৎসা নিচ্ছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অনেককেই বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আর যে সব শিশুর অবস্থা খারাপ তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে।
আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে শিশুরা জ্বর, সর্দিতে আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ দিকে রোগী বাড়তে থাকায় হাসপাতালের শিশু বিভাগে দেখা দিয়েছে শয্যা সংকট। বাধ্য হয়েছে মেঝে ও বারান্দায় দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসা। সংকট শুধু শয্যায় সীমাবদ্ধ নয়। হাসপাতালের শিশু বিভাগেও রয়েছে চিকিৎসাক সংকট। শিশু ওয়ার্ডের মেডিকেল অফিসার পদটি দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। ফলে শিশুদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে শিশুদের ঠান্ডা জনিত রোগ বেড়ে গেছে। গত দেড় মাস ধরেই হাসপাতালে শিশু রোগীর চাপ বেড়েছে। আগামী দু’এক মাস চাপ আরও বাড়বে।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে শয্যা রয়েছে মাত্র ২৪। আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে সর্দি জ্বরে শিশু আক্রান্ত হওয়ায় দেখা দিয়েছে শয্যা। বর্তমানে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে দেড় শতাধিক রোগী। প্রতি শয্যায় তিন থেকে চারজন শিশু রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। রোগী বেশি হওয়ায় বাধ্য হয়ে অনেক শিশু মেঝে এবং হাসপাতালের বারান্দায় রাখা হয়েছে। এ দিকে রোগী ও স্বজনদের চাপ সামলাতে ডাক্তার ও নার্সদের রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘হাসপাতালে জ্বর ও সর্দিতে আক্রান্ত শিশুর চাপ বাড়ছে। জায়গায় না থাকায় এক শয্যায় ৩ থেকে ৪টি শিশু রাখতে বাধ্য হচ্ছি।’
সদর উপজেলার নারিকেলী এলাকার বাসিন্দা সালমা খান বলেন, ‘ছয় দিন ধরে আমার বাচ্চা সর্দি-জ্বরে ভুগছিল। গতকাল (রোববার) রাতে হঠাৎ করেই জ্বর বাড়তে থাকে। ভয়ে সকাল ৭ টায় হাসপাতালে নিয়ে আসি। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্যালাইন চলছে। তবে শয্যা সংকট থাকায় বাধ্য হয়ে মেঝেতে থাকছি।’
আঁখি বেগম বলেন, ‘আমার দেড় বছর বয়সী বাচ্চা গত দু’দিন ধরে ঠান্ডা জনিত শ্বাস কষ্ট ও পাতলা পায়খানায় আক্রান্ত। আমার বাচ্চাকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
মেলান্দহ উপজেলার বিলকিস বেগম, সরিষাবাড়ী উপজেলার সাজেদা বেগম, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার রেজিয়া বেগম, সদর উপজেলার দিগপাইত এলাকার মিম আক্তার বাচ্চার চিকিৎসার জন্য এসেছেন জেনারেল হাসপাতালে। মিম আক্তার বলেন, ‘শ্বাসকষ্ট আর তীব্র জ্বর থাকায় গত পাঁচ দিন বাচ্চার চিকিৎসা চলছে।’
এ দিকে প্রতিদিন জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত শিশু চাপ বাড়লেও শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রয়েছে মাত্র একজন। চাপ বাড়ায় মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দিয়েই চলছে চিকিৎসা।
সহকারী পরিচালক ডা. মুহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘জামালপুর জেনারেল হাসপাতালটি ২৫০ শয্যার হলেও প্রতিদিনই পাঁচ শ থেকে ছয় শ রোগী দেখা হয়। আর বহির্বিভাগে ১১ শ থেকে ১২ শ রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হয়। করোনা সংক্রমণ কমে আসায় অন্যান্য রোগীর চাপ বেড়েছে। ডাক্তার সংকট থাকায় চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। হাসপাতালে ৭০ জন ডাক্তারের পদ থাকলেও চিকিৎসক আছে মাত্র ৩৮ জন। শূন্য পদে ডাক্তার চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছি। আর শিশু বিভাগের মেডিকেল অফিসার অনেক দিন ধরে না থাকায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৫ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৯ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৯ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৯ দিন আগে