সাজ্জাদ হোসেন, ঢাকা
তুরস্ককেন্দ্রিক একটি তাতার প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে পরিশোধিত জ্বালানি পণ্য ডিজেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে। এর আগে অপরিশোধিত তেল বিক্রির প্রস্তাব করেছিল সরকারি একটি রুশ কোম্পানি। এই নিয়ে একাধিক কোম্পানি রুশ তেল ও গ্যাস বিক্রির জন্য প্রস্তাব দিয়েছে। জ্বালানি মন্ত্রণালয় সব প্রস্তাব বিবেচনা করে এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে এ ব্যাপারে রিপোর্ট দেবে।
জানা গেছে, তাতারাস্তান ট্রেড হাউস নামের ওই কোম্পানিটি চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন বা বিপিসির কাছে ডিজেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস বিক্রির প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে তারা জিটুজি (সরকার-সরকার) ভিত্তিতে জ্বালানি পণ্য সরবরাহ করতে চায় বলে জানিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও জ্বালানি তেলের সংকট মেটাতে রাশিয়ার কাছ থেকে কোন উপায়ে সরাসরি তেল কেনা যায়, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের কাজ করার নির্দেশ দেন। গত মঙ্গলবার একনেকের সভায় এ নির্দেশনা দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাশিয়া থেকে ভারত ও অন্যান্য রাষ্ট্র যদি তেল কিনতে পারে, তাহলে আমরা কেন পারব না? চেষ্টা করলে আমরাও রাশিয়া থেকে তেল আনতে পারব।’
এই নিয়ে দুটি প্রতিষ্ঠান রাশিয়ার তেল-গ্যাস বিক্রির জন্য বাংলাদেশকে প্রস্তাব দিল। ডলার সংকটের কারণে বাংলাদেশও জ্বালানি তেল ও গ্যাসের জন্য বিকল্প উৎসের সন্ধান করছে। রাশিয়ার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় মুদ্রা বিনিময় ব্যবস্থায় তেল ও গ্যাস কেনা যায় কি না তা সরকারের পক্ষ থেকে জরুরিভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এটা সম্ভব হলে ডলারের ওপর চাপ অনেকটাই কমবে।
রাশিয়ার সরকার ও এর অঙ্গরাজ্য তাতারস্তান প্রজাতন্ত্রের সহযোগিতায় ১৯৯৫ সালে তাতারাস্তান ট্রেড হাউস প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানটির সদর দপ্তর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে। প্রতিষ্ঠানটির জেনারেল ডিরেক্টর রামিল মাভলাইয়ুটভ জ্বালানি পণ্য বিক্রির প্রস্তাব দিয়ে চিঠি দেন বলে নিশ্চিত করেছেন বিপিসির কয়েকজন কর্মকর্তা। চিঠিতে গ্যাস সরবরাহের কথা বলা হলেও কী পদ্ধতিতে তা সরবরাহ করা হবে তার উল্লেখ নেই। জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাশিয়া থেকে গ্যাস আনতে হলে রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) হিসেবে আনতে হবে।
তাতারাস্তান ট্রেড হাউসের পরিশোধিত তেল ও গ্যাস সরবরাহের প্রস্তাব বিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কাছে পরিশোধিত জ্বালানি তেল ও গ্যাস সরবরাহ নিয়ে রাশিয়া থেকে কিছু প্রস্তাব রাশিয়ার দূতাবাসের মাধ্যমে এসেছে। তাতারাস্তান ট্রেড হাউসের প্রস্তাব তাদের মধ্যে অন্যতম। এটা ছাড়াও একই সঙ্গে আরও কিছু প্রস্তাব আছে। এই প্রস্তাবগুলো যাচাই-বাছাই করার জন্য আমরা মন্ত্রণালয়ে বিপিসির সমন্বয়ে একটা কমিটি করে দিয়েছি। এই কমিটি এক সপ্তাহের মধ্যে আমার কাছে রিপোর্ট দেবে।’ যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় থাকা কোনো কোম্পানি প্রস্তাব দিয়েছে কিনা এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রাশিয়া থেকে যত প্রস্তাব এসেছে তার মধ্যে একটি কোম্পানিও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় নেই।’
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও অর্থনীতিবিদেরা রাশিয়ার এই পরিশোধিত জ্বালানি পণ্য বিক্রির প্রস্তাবকে বাংলাদেশের জন্য একটি সুযোগ হয়েছে দেখছেন। একই সঙ্গে রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষাপটে এই প্রস্তাব সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করার কথা বলেছেন তাঁরা।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ইজাজ হোসেন বলেন, ‘রাশিয়া থেকে যদি আমরা মূল্য ছাড়ে অপরিশোধিত তেল কিনে পরিশোধন করতে পারতাম তাহলে অনেক বেশি উপকৃত হতাম। এখন গ্যাস ও পরিশোধিত জ্বালানি পণ্য ডিজেল বিক্রির যে প্রস্তাব রাশিয়া থেকে এসেছে তা আমাদের জন্য একটি সুযোগও বটে। রাশিয়ার জ্বালানি পণ্য অনেক দেশ, বিশেষ করে ইউরোপের দেশগুলো বর্জন করছে। এই প্রেক্ষাপটে তারা বাজার সম্প্রসারণের জন্য আমাদের কাছে প্রস্তাব দিচ্ছে। আমাদের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া উচিত।’
এর আগে গত ২২ এপ্রিল রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণাধীন তেল কোম্পানি ঝারুবেজনেপ্ট বিপিসির কাছে প্রতিযোগিতা মূল্যে অপরিশোধিত তেল বা ক্রুড অয়েল বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছিল। রাশিয়ার ক্রুড অয়েল বেশি ঘনত্বের কারণে বাংলাদেশের তেল পরিশোধনাগারে চলবে না বলে বিপিসি সে প্রস্তাব বাতিল করে দেওয়া হয়। তবে রাশিয়া আবারও অপরিশোধিত তেলের নমুনা পাঠিয়েছে। দেশের একমাত্র পরিশোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারিতে এই নমুনা আবার পরীক্ষা করে দেখা হবে যে, এটা শোধন সম্ভব কিনা।
গ্যাস বিক্রির প্রস্তাবের ব্যাপারে অধ্যাপক ইজাজ হোসেন বলেন, ‘রাশিয়া বাংলাদেশের কাছে গ্যাস বিক্রি করতে চাইলে এলএনজি আকারে সরবরাহ করতে হবে। দেশে গ্যাস সরবরাহ নিয়ে আমরা সমস্যায় আছি। যদি রাশিয়ার গ্যাস আমরা কিনতে পারি তাহলে আমাদের একটা নির্ভরশীল সরবরাহকারী বাড়ল।’
রাশিয়ার জ্বালানি পণ্য বিক্রির এই প্রস্তাব সম্পর্ক অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘রাশিয়ার এই প্রস্তাব সরকার বিবেচনায় নিতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিবেচনায় রাশিয়ার সঙ্গে লেনদেনে সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে। রাশিয়ার যে প্রতিষ্ঠান জ্বালানি পণ্য বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে তারা আন্তর্জাতিক লেনদেনের বার্তা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সুইফটে যুক্ত আছে কিনা খতিয়ে দেখতে হবে।’ তিনি বলেন ‘রাশিয়ার জ্বালানি পণ্য নেওয়ার আগে সতর্কতা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনা করে নিলে ভালো হয়। কারণ আমরা তাদের রাগীয়ে কোনো কিছু করার আগে ভাবতে হবে আমাদের মোট রপ্তানির ৮০ ভাগ এই দুইটি জায়গায় যায়।’
ডিজেলের চাহিদা কত: বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের তথ্য মতে দেশে বছরে গড়ে ৪৫–৫০ লাখ মেট্রিক টনের মতো ডিজেলের চাহিদা আছে। এর পুরোটাই আমদানি করা হয়। মোট ডিজেলের ১০ শতাংশ ব্যবহার হয় বিদ্যুৎ উৎপাদনে এবং বাকি ৯০ শতাংশ ব্যবহার হয় যানবাহনে।
তুরস্ককেন্দ্রিক একটি তাতার প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে পরিশোধিত জ্বালানি পণ্য ডিজেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে। এর আগে অপরিশোধিত তেল বিক্রির প্রস্তাব করেছিল সরকারি একটি রুশ কোম্পানি। এই নিয়ে একাধিক কোম্পানি রুশ তেল ও গ্যাস বিক্রির জন্য প্রস্তাব দিয়েছে। জ্বালানি মন্ত্রণালয় সব প্রস্তাব বিবেচনা করে এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে এ ব্যাপারে রিপোর্ট দেবে।
জানা গেছে, তাতারাস্তান ট্রেড হাউস নামের ওই কোম্পানিটি চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন বা বিপিসির কাছে ডিজেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস বিক্রির প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে তারা জিটুজি (সরকার-সরকার) ভিত্তিতে জ্বালানি পণ্য সরবরাহ করতে চায় বলে জানিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও জ্বালানি তেলের সংকট মেটাতে রাশিয়ার কাছ থেকে কোন উপায়ে সরাসরি তেল কেনা যায়, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের কাজ করার নির্দেশ দেন। গত মঙ্গলবার একনেকের সভায় এ নির্দেশনা দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাশিয়া থেকে ভারত ও অন্যান্য রাষ্ট্র যদি তেল কিনতে পারে, তাহলে আমরা কেন পারব না? চেষ্টা করলে আমরাও রাশিয়া থেকে তেল আনতে পারব।’
এই নিয়ে দুটি প্রতিষ্ঠান রাশিয়ার তেল-গ্যাস বিক্রির জন্য বাংলাদেশকে প্রস্তাব দিল। ডলার সংকটের কারণে বাংলাদেশও জ্বালানি তেল ও গ্যাসের জন্য বিকল্প উৎসের সন্ধান করছে। রাশিয়ার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় মুদ্রা বিনিময় ব্যবস্থায় তেল ও গ্যাস কেনা যায় কি না তা সরকারের পক্ষ থেকে জরুরিভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এটা সম্ভব হলে ডলারের ওপর চাপ অনেকটাই কমবে।
রাশিয়ার সরকার ও এর অঙ্গরাজ্য তাতারস্তান প্রজাতন্ত্রের সহযোগিতায় ১৯৯৫ সালে তাতারাস্তান ট্রেড হাউস প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানটির সদর দপ্তর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে। প্রতিষ্ঠানটির জেনারেল ডিরেক্টর রামিল মাভলাইয়ুটভ জ্বালানি পণ্য বিক্রির প্রস্তাব দিয়ে চিঠি দেন বলে নিশ্চিত করেছেন বিপিসির কয়েকজন কর্মকর্তা। চিঠিতে গ্যাস সরবরাহের কথা বলা হলেও কী পদ্ধতিতে তা সরবরাহ করা হবে তার উল্লেখ নেই। জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাশিয়া থেকে গ্যাস আনতে হলে রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) হিসেবে আনতে হবে।
তাতারাস্তান ট্রেড হাউসের পরিশোধিত তেল ও গ্যাস সরবরাহের প্রস্তাব বিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কাছে পরিশোধিত জ্বালানি তেল ও গ্যাস সরবরাহ নিয়ে রাশিয়া থেকে কিছু প্রস্তাব রাশিয়ার দূতাবাসের মাধ্যমে এসেছে। তাতারাস্তান ট্রেড হাউসের প্রস্তাব তাদের মধ্যে অন্যতম। এটা ছাড়াও একই সঙ্গে আরও কিছু প্রস্তাব আছে। এই প্রস্তাবগুলো যাচাই-বাছাই করার জন্য আমরা মন্ত্রণালয়ে বিপিসির সমন্বয়ে একটা কমিটি করে দিয়েছি। এই কমিটি এক সপ্তাহের মধ্যে আমার কাছে রিপোর্ট দেবে।’ যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় থাকা কোনো কোম্পানি প্রস্তাব দিয়েছে কিনা এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রাশিয়া থেকে যত প্রস্তাব এসেছে তার মধ্যে একটি কোম্পানিও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় নেই।’
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও অর্থনীতিবিদেরা রাশিয়ার এই পরিশোধিত জ্বালানি পণ্য বিক্রির প্রস্তাবকে বাংলাদেশের জন্য একটি সুযোগ হয়েছে দেখছেন। একই সঙ্গে রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষাপটে এই প্রস্তাব সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করার কথা বলেছেন তাঁরা।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ইজাজ হোসেন বলেন, ‘রাশিয়া থেকে যদি আমরা মূল্য ছাড়ে অপরিশোধিত তেল কিনে পরিশোধন করতে পারতাম তাহলে অনেক বেশি উপকৃত হতাম। এখন গ্যাস ও পরিশোধিত জ্বালানি পণ্য ডিজেল বিক্রির যে প্রস্তাব রাশিয়া থেকে এসেছে তা আমাদের জন্য একটি সুযোগও বটে। রাশিয়ার জ্বালানি পণ্য অনেক দেশ, বিশেষ করে ইউরোপের দেশগুলো বর্জন করছে। এই প্রেক্ষাপটে তারা বাজার সম্প্রসারণের জন্য আমাদের কাছে প্রস্তাব দিচ্ছে। আমাদের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া উচিত।’
এর আগে গত ২২ এপ্রিল রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণাধীন তেল কোম্পানি ঝারুবেজনেপ্ট বিপিসির কাছে প্রতিযোগিতা মূল্যে অপরিশোধিত তেল বা ক্রুড অয়েল বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছিল। রাশিয়ার ক্রুড অয়েল বেশি ঘনত্বের কারণে বাংলাদেশের তেল পরিশোধনাগারে চলবে না বলে বিপিসি সে প্রস্তাব বাতিল করে দেওয়া হয়। তবে রাশিয়া আবারও অপরিশোধিত তেলের নমুনা পাঠিয়েছে। দেশের একমাত্র পরিশোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারিতে এই নমুনা আবার পরীক্ষা করে দেখা হবে যে, এটা শোধন সম্ভব কিনা।
গ্যাস বিক্রির প্রস্তাবের ব্যাপারে অধ্যাপক ইজাজ হোসেন বলেন, ‘রাশিয়া বাংলাদেশের কাছে গ্যাস বিক্রি করতে চাইলে এলএনজি আকারে সরবরাহ করতে হবে। দেশে গ্যাস সরবরাহ নিয়ে আমরা সমস্যায় আছি। যদি রাশিয়ার গ্যাস আমরা কিনতে পারি তাহলে আমাদের একটা নির্ভরশীল সরবরাহকারী বাড়ল।’
রাশিয়ার জ্বালানি পণ্য বিক্রির এই প্রস্তাব সম্পর্ক অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘রাশিয়ার এই প্রস্তাব সরকার বিবেচনায় নিতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিবেচনায় রাশিয়ার সঙ্গে লেনদেনে সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে। রাশিয়ার যে প্রতিষ্ঠান জ্বালানি পণ্য বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে তারা আন্তর্জাতিক লেনদেনের বার্তা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সুইফটে যুক্ত আছে কিনা খতিয়ে দেখতে হবে।’ তিনি বলেন ‘রাশিয়ার জ্বালানি পণ্য নেওয়ার আগে সতর্কতা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনা করে নিলে ভালো হয়। কারণ আমরা তাদের রাগীয়ে কোনো কিছু করার আগে ভাবতে হবে আমাদের মোট রপ্তানির ৮০ ভাগ এই দুইটি জায়গায় যায়।’
ডিজেলের চাহিদা কত: বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের তথ্য মতে দেশে বছরে গড়ে ৪৫–৫০ লাখ মেট্রিক টনের মতো ডিজেলের চাহিদা আছে। এর পুরোটাই আমদানি করা হয়। মোট ডিজেলের ১০ শতাংশ ব্যবহার হয় বিদ্যুৎ উৎপাদনে এবং বাকি ৯০ শতাংশ ব্যবহার হয় যানবাহনে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১৭ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে