১৫টিতে আ.লীগের বিদ্রোহী ৮৬

দেবিদ্বার প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ জানুয়ারি ২০২২, ১২: ১৯
Thumbnail image

দেবিদ্বারে ১৫টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের ৮৬ জন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন তাঁরা। এ ক্ষেত্রে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের বহিষ্কার, দলে ভালো পদ না দেওয়া, ভবিষ্যতে দলের মনোনয়ন না দেওয়াসহ বিভিন্ন ধরনের হুঁশিয়ারি পাত্তা দিচ্ছেন না ওই প্রার্থীরা। এ পরিস্থিতিতে চান্দিনা ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহীদের কাছে নৌকার ভরাডুবি সংশ্লিষ্টদের দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে।

বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বলছেন, তৃণমূলের যোগ্য প্রার্থীরা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি। এ ছাড়া জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের প্রতি তাঁদের ক্ষোভ রয়েছে। সেউ সঙ্গে ইউপি নির্বাচনে অনেক ক্ষেত্রে দলের চেয়ে ব্যক্তির প্রভাব বড় হয়ে দেখা দেওয়ায় জয়ের আশায় তাঁরা প্রার্থী হয়েছেন।

এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীরা বলছেন, নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া মানে প্রধানমন্ত্রীর বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া। অপর দিকে নৌকার জনপ্রিয়তা থাকায় বিদ্রোহীরা টিকতে পারবেন না।

গুনাইঘর উত্তর ইউপিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. মোকবল হোসেন মুকুল বলেন, ‘নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া মানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন তার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো। দল তাঁদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। দল আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছে, নৌকাকে বিজয়ী করতে কাজ করে যাচ্ছি।’

জাফরগঞ্জে ইউপিতে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘মানুষের জন্য কাজ করব। যাঁরা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন তাঁদের বিষয়ে দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত আসবে। তবে আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।’

জাফরগঞ্জ ইউপিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসেন বলেন, ‘জনগণের জন্য নির্বাচনে এসেছি। জনগণ যাঁকে চাইবে তাঁকে নির্বাচিত করবে।’

ধামতী ইউপিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. মহিউদ্দীন মিঠু বলেন, ‘এই ইউনিয়নে আমার বাবা দীর্ঘ সময়ে চেয়ারম্যান ছিলেন। বাবা মারা যাওয়ার পর আমিও গত কয়েক বছর ধরে চেয়ারম্যান পদে কাজ করেছি। ধামতির জনগণ জানেন, আমি মানুষের জন্য কী কাজ করেছি। জনগণ চাইলে আমি চেয়ারম্যান হব। এতে দল যদি আমার বিষয়ে কঠোর সিদ্ধান্তও নেয় আমি তা মেনে নেব।’

বিদ্রোহী নিয়ে অস্বস্তিতে থাকার বিষয়টি স্বীকার করে দেবিদ্বার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মনিরুজ্জামান বলেন, ‘যাঁরা দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন, তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থীরা কিছুটা অস্বস্তিতে রয়েছেন। যাঁরা বিদ্রোহী হয়েছেন তাঁদের ব্যাপারে দলীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রোশন আলী মাস্টার বলেন, ‘কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দপ্তরে তাঁদের নামের তালিকা জমা দেওয়া হবে। দল যে সিদ্ধান্ত দেবে তা বাস্তবায়ন করা হবে।’

তফসিল অনুযায়ী ১৫ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত