রাজবাড়ী প্রতিনিধি
বদলে গেছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের চিত্র। পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যানবাহনের চাপ কমেছে অর্ধেকের নিচে। ফলে নেই ভোগান্তি। এখন যানবাহনের অপেক্ষায় থাকতে হয় ফেরিগুলোকে। যানবাহনের চাপ না থাকায় ঘাট এলাকায় বন্ধ হয়ে গেছে অনেক খাবার হোটেল ও দোকানপাট। বেকার হয়ে পড়েছেন অনেক শ্রমিক।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঘাটকে কেন্দ্র করে দৌলতদিয়া প্রান্তে গড়ে উঠেছিল শতাধিক খাবার হোটেল ও কয়েক শ দোকানপাট। বর্তমানে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ না থাকায় লোকসানের কারণে অনেক খাবার হোটেল ও দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে। যেগুলো চলছে সেগুলোতেও নেই কেনাবেচা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, কয়েক মাস ধরে তাদের আয় কমেছে অর্ধেকের নিচে। দোকান ভাড়া, বিদ্যুৎবিল, কর্মচারীর বেতন না ওঠায় ব্যবসা বন্ধ করে দিচ্ছেন অনেকেই।
হোটেল ব্যবসায়ী টিটু শেখ বলেন, ‘আগে যে গাড়ি আসত তার থেকে অর্ধেকে নেমেছে। যাত্রী ও যানবাহনের চাপ না থাকায় প্রায় সব ব্যবসা বন্ধের পথে। এরই মধ্যে ৪১টি খাবার হোটেল বন্ধ হয়ে গেছে। আমাদেরও যে অবস্থা দোকান ভাড়া, বিদ্যুৎবিল, কর্মচারীর বেতন দিয়ে পারছি না। যেকোনো সময় বন্ধ করে দিতে হবে। পদ্মা সেতু চালু হওয়া পর থেকে দোকানে বেচাকেনা কমেছে চার ভাগের তিন ভাগ।’
অপরদিকে, দৌলতদিয়া প্রান্তে বিআইডব্লিউটিএ নির্মিত সাতটি ফেরিঘাট রয়েছে। এর মধ্যে ১ ও ২ নম্বর ফেরিঘাট কয়েক বছর আগে নদীভাঙনের কবলে পড়ে বিলীন হয়ে গেছে। এবারের বর্ষা মৌসুমে নদীভাঙনের কবলে পড়ে ৫ নম্বর ফেরিঘাটের অর্ধেক অংশ নদীগর্ভে চলে যায়। সেই থেকে বন্ধ রয়েছে যা আজও পর্যন্ত মেরামত করা হয়নি। শুকনো মৌসুম শুরু হওয়ার কারণে ৬ নম্বর ফেরিঘাট বিকল হয়ে পড়ে আছে। ৩ ও ৪ নম্বর ফেরিঘাট সচল থাকলেও ফেরি খুবই কম ভিড়ে। শুধু ৭ নম্বর ফেরিঘাট ব্যবহার করে যানবাহন নদী পারাপার হচ্ছে।
জানা গেছে, কয়েক মাস আগেও দুই ঘাটে লেগে থাকত দীর্ঘ যানজট। ঘণ্টার পর অপেক্ষা ও ভোগান্তির শিকার হয়েই যানবাহনগুলো ফেরি পারাপার হতো। গত ২৬ জুন পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে দুই ঘাটে নেই যানবাহনের দীর্ঘ সারি, থাকতে হয় না ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায়। কোনো ভোগান্তি ছাড়াই ফেরি পার হয়ে গন্তব্যে চলে যাচ্ছে যানবাহনগুলো। মাঝেমধ্যে যানবাহনের অপেক্ষায়ও থাকছে ফেরিগুলো।
রাবেয়া পরিবহনের সুপারভাইজার আব্দুল রহিম বলেন, ‘পদ্মা সেতু যখন চালু হয় নাই তখন আমরা সাত থেকে আট ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকতাম। এখন ফেরির অপেক্ষায় থাকতে হয় ৫ থেকে ১০ মিনিট। কোনো ভোগান্তি নেই। সবার জন্য সুবিধা হয়েছে। এখন ফেরি যানবাহনের অপেক্ষায় থাকে।’ ট্রাকচালক জামাল মোল্লা বলেন, ‘পদ্মা সেতু চালুর আগে তিন-চার দিন ঘাট এলাকায় অপেক্ষায় থাকতে হতো ফেরির জন্য। এখন আসার সঙ্গে সঙ্গে ফেরিতে উঠে গন্তব্যে চলে যেতে পারছি।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা অঞ্চলের উপমহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. খালেদ নেওয়াজ বলেন, পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু করার পর থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ষাট শতাংশ যানবাহন কমে গেছে। এ যানবাহনগুলো পদ্মা সেতু দিয়ে চলাচল করে। যে কারণে দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে ব্যস্ততা নেই। পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় এ নৌরুট ব্যবহারকারী যানবাহনগুলো কোনো ভোগান্তি ছাড়াই নদী পার হয়ে গন্তব্যে যেতে পারে।
বদলে গেছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের চিত্র। পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যানবাহনের চাপ কমেছে অর্ধেকের নিচে। ফলে নেই ভোগান্তি। এখন যানবাহনের অপেক্ষায় থাকতে হয় ফেরিগুলোকে। যানবাহনের চাপ না থাকায় ঘাট এলাকায় বন্ধ হয়ে গেছে অনেক খাবার হোটেল ও দোকানপাট। বেকার হয়ে পড়েছেন অনেক শ্রমিক।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঘাটকে কেন্দ্র করে দৌলতদিয়া প্রান্তে গড়ে উঠেছিল শতাধিক খাবার হোটেল ও কয়েক শ দোকানপাট। বর্তমানে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ না থাকায় লোকসানের কারণে অনেক খাবার হোটেল ও দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে। যেগুলো চলছে সেগুলোতেও নেই কেনাবেচা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, কয়েক মাস ধরে তাদের আয় কমেছে অর্ধেকের নিচে। দোকান ভাড়া, বিদ্যুৎবিল, কর্মচারীর বেতন না ওঠায় ব্যবসা বন্ধ করে দিচ্ছেন অনেকেই।
হোটেল ব্যবসায়ী টিটু শেখ বলেন, ‘আগে যে গাড়ি আসত তার থেকে অর্ধেকে নেমেছে। যাত্রী ও যানবাহনের চাপ না থাকায় প্রায় সব ব্যবসা বন্ধের পথে। এরই মধ্যে ৪১টি খাবার হোটেল বন্ধ হয়ে গেছে। আমাদেরও যে অবস্থা দোকান ভাড়া, বিদ্যুৎবিল, কর্মচারীর বেতন দিয়ে পারছি না। যেকোনো সময় বন্ধ করে দিতে হবে। পদ্মা সেতু চালু হওয়া পর থেকে দোকানে বেচাকেনা কমেছে চার ভাগের তিন ভাগ।’
অপরদিকে, দৌলতদিয়া প্রান্তে বিআইডব্লিউটিএ নির্মিত সাতটি ফেরিঘাট রয়েছে। এর মধ্যে ১ ও ২ নম্বর ফেরিঘাট কয়েক বছর আগে নদীভাঙনের কবলে পড়ে বিলীন হয়ে গেছে। এবারের বর্ষা মৌসুমে নদীভাঙনের কবলে পড়ে ৫ নম্বর ফেরিঘাটের অর্ধেক অংশ নদীগর্ভে চলে যায়। সেই থেকে বন্ধ রয়েছে যা আজও পর্যন্ত মেরামত করা হয়নি। শুকনো মৌসুম শুরু হওয়ার কারণে ৬ নম্বর ফেরিঘাট বিকল হয়ে পড়ে আছে। ৩ ও ৪ নম্বর ফেরিঘাট সচল থাকলেও ফেরি খুবই কম ভিড়ে। শুধু ৭ নম্বর ফেরিঘাট ব্যবহার করে যানবাহন নদী পারাপার হচ্ছে।
জানা গেছে, কয়েক মাস আগেও দুই ঘাটে লেগে থাকত দীর্ঘ যানজট। ঘণ্টার পর অপেক্ষা ও ভোগান্তির শিকার হয়েই যানবাহনগুলো ফেরি পারাপার হতো। গত ২৬ জুন পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে দুই ঘাটে নেই যানবাহনের দীর্ঘ সারি, থাকতে হয় না ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায়। কোনো ভোগান্তি ছাড়াই ফেরি পার হয়ে গন্তব্যে চলে যাচ্ছে যানবাহনগুলো। মাঝেমধ্যে যানবাহনের অপেক্ষায়ও থাকছে ফেরিগুলো।
রাবেয়া পরিবহনের সুপারভাইজার আব্দুল রহিম বলেন, ‘পদ্মা সেতু যখন চালু হয় নাই তখন আমরা সাত থেকে আট ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকতাম। এখন ফেরির অপেক্ষায় থাকতে হয় ৫ থেকে ১০ মিনিট। কোনো ভোগান্তি নেই। সবার জন্য সুবিধা হয়েছে। এখন ফেরি যানবাহনের অপেক্ষায় থাকে।’ ট্রাকচালক জামাল মোল্লা বলেন, ‘পদ্মা সেতু চালুর আগে তিন-চার দিন ঘাট এলাকায় অপেক্ষায় থাকতে হতো ফেরির জন্য। এখন আসার সঙ্গে সঙ্গে ফেরিতে উঠে গন্তব্যে চলে যেতে পারছি।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা অঞ্চলের উপমহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. খালেদ নেওয়াজ বলেন, পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু করার পর থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ষাট শতাংশ যানবাহন কমে গেছে। এ যানবাহনগুলো পদ্মা সেতু দিয়ে চলাচল করে। যে কারণে দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে ব্যস্ততা নেই। পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় এ নৌরুট ব্যবহারকারী যানবাহনগুলো কোনো ভোগান্তি ছাড়াই নদী পার হয়ে গন্তব্যে যেতে পারে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪