বাবুগঞ্জের এ বছর বোরো ধানের ভালো ফলন হয়েছে। আর এসব ধান কাটা ও মাড়াইয়ের জন্য শ্রমিকের পরিবর্তে কম্বাইন হারভেস্টারে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন কৃষকেরা। এতে শ্রমিক ছাড়াই অল্প সময়ে ও কম খরচে ধান কাটা ও মাড়াই করা যায় বলে তাঁরা জানান। ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাব কেটে যাওয়ার পর কম্বাইন হারভেস্টার ব্যবহার করে কৃষকেরা এখন পুরোদমে ধান কাটা ও মাড়াই করছেন।

তবে আগ্রহ থাকলেও কৃষি কার্যালয়ের দেওয়া কেবল একটি কম্বাইন হারভেস্টার মেশিনে সবাই ধান কাটা ও মাড়াই করতে পারছেন না।

এ বছর বাবুগঞ্জ উপজেলায় ৫০ শতাংশ সরকারি ভর্তুকির মাধ্যমে কৃষি বিভাগের দেওয়া ১টি হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে। প্রতি ২০ শতক জমির ধান কাটা ও মাড়াইয়ে কৃষকের কাছ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে থাকেন মেশিন মালিক। কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই হারভেস্টার মেশিনে খেত থেকে মাড়াই শেষে বস্তা ভরে ধান ঘরে তুলতে পেরে খুশি কৃষকেরা। অল্প সময়ে কম খরচে ধান মাড়াই ও খড়কুটো বাড়িতে তোলার সুযোগ পাওয়ায় খুশি কৃষক।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের বর্ষণের কারণে কয়েক দিন কম্বাইন হারভেস্টার ব্যবহার করা না গেলেও এখন কৃষকেরা পুরোদমে এটি ব্যবহার করছেন।

উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এবার ৩ হাজার ২০১ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। ফলনও হয়েছে ভালো। এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯০১ হেক্টর জমিতে বেশি আবাদ হয়েছে। কিন্তু ধান কাটার শুরুতেই শ্রমিক সংকটের মুখে হতাশায় পড়েন কৃষকেরা।

কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন দিয়ে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৪ বিঘা জমির ধান কাটা ও মাড়াই করা যায়। এতে প্রতি শতাংশ জমির ধান কাটা ও মাড়াই করতে খরচ হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা।

উপজেলা চাঁদপাশা ইউনিয়নের গাজীপুর ব্লক পরিচালক কাইউম হাওলাদার বলেন, ‘এ বছর আমরা ২০ একর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছি। মেশিন দিয়ে অল্প সময়ে ধান কাটা হয়ে যায় এবং খরচও অনেক কম। ’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, উপজেলায় এবার ১টি সরকারি ভর্তুকির কম্বাইন্ড হারভেস্টর মেশিন দিয়ে শ্রমিক ছাড়াই অল্প সময়ে ও কম খরচে ধান কাটা ও মাড়াই করা হচ্ছে। এতে কৃষকদের আগ্রহ অনেক বেশি। ভবিষ্যতে সরকারের পক্ষ থেকে আরও সুযোগ-সুবিধা পাবেন কৃষকেরা। এর আগে ২০ সালে এই উপজেলায় একটি হারভেস্টর মেশিন দেওয়া হয়েছিল।