কুমিল্লায় তিন মাসে ১২৮ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক বন্ধ

কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০: ১৬

ক্লিনিক চালু তবে নিবন্ধন নেই; আবার নিবন্ধনের আবেদন করেই ক্লিনিক চালু করা হয়েছে; আবার বেসরকারি সংস্থা প্রাথমিক ওষুধ সরবরাহ ও পরামর্শ দেওয়ার অনুমতি নিয়ে খুলেছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এমন সব অভিযোগের ভিত্তিতে গত তিন মাসে কুমিল্লা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে ১২৮টি ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছে। 

কুমিল্লা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলায় ১৩৭টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মধ্যে ৯টি আবেদন করে তাদের নিবন্ধন পেয়েছে। তাই বাকিগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ও ১৭ উপজেলায় নিবন্ধন নিয়ে চলছে মোট ৪৬৬টি প্রতিষ্ঠান। 

সম্প্রতি কুমিল্লায় স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযানে আদর্শ সদর উপজেলার সাতটি ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্সবিহীন কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। এগুলো হলো সদর উপজেলার আমতলী এলাকার মডার্ন ডায়াগনস্টিক, ঝাগুরঝুলির গ্রামীণকল্যাণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র, কুচাইতলী সিটিস্ক্যান ও মেডিকেল সার্ভিস, শাসনগাছা এলাকার মেডিস্ক্যান ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক এবং বারপাড়া এলাকার এলেমজান মেডিকেল সেন্টার ও ডক্টরস কেয়ার হসপিটাল। অভিযানে গিয়ে আসাদ আলট্রাসনোগ্রাফি ও আফিয়া মেডিকেল হল ফিজিওথেরাপি নামে দুটি প্রতিষ্ঠান তালাবদ্ধ পান পরিদর্শকেরা। আরও ২টি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয়। এ ছাড়া বরুড়া উপজেলার মৌলভীবাজার এলাকায় অবস্থিত বরুড়া ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন, বরুড়া হাসপাতাল সড়ক এলাকায় অবস্থিত মেডিকেয়ার জেনারেল হাসপাতাল ও রয়েল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়। 

জেলা সিভিল সার্জন নাছিমা আক্তার বলেন, ‘আমরা সকল প্রতিষ্ঠানকেই পর্যবেক্ষণে রাখছি। যাদের বিরুদ্ধেই নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ আসবে, আমরা সাথে সাথে ব্যবস্থা নেব। আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত আছে।’ 

কুমিল্লা বেসরকারি ক্লিনিক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রইস আবদুর রব বলেন, ‘আমরা আগেই প্রতিষ্ঠান খুলে বসি। পরে লাইসেন্সের আবেদন করি। এসব লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখা উচিত।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত