রাতুল মণ্ডল, শ্রীপুর ও রাজীব আল-আরাফাত, কালিয়াকৈর (গাজীপুর)
পবিত্র ঈদুল ফিতরে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষের ঢল নেমেছে গাজীপুরের দুই মহাসড়কে। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় অনেকেই ঢাকা ছেড়েছেন জেলার ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক দিয়ে। গত বৃহস্পতিবারের চেয়ে গতকাল (শুক্রবার) কয়েক গুণ বেশি যানবাহন ছিল মহাসড়ক দুটিতে। দুই মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় যানবাহন থেমে থেমে চললেও কোথাও বড় ধরনের যানজট সৃষ্টি হয়নি। তবে গণপরিবহনে
বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতকাল সকাল ৭টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত গাজীপুর বোর্ড বাজার থেকে তেলিপাড়া পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার সড়কে যানবাহনের চাপ বেশি ছিল। এই ৬ কিলোমিটার সড়কে একটি গাড়ির সঙ্গে আরেকটি গাড়ি থেমে থেমে চলেছে।
অন্যদিকে, জেলার দুই মহাসড়কেই বেলা ১১টার পর থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত গণপরিবহনের তেমন চাপ ছিল না। বেলা ৩টার পর থেকে আবারও দুটি মহাসড়কে গণপরিবহনের চাপ কয়েক গুণ বাড়ে। তবে যানজটে আটকে না পড়ায় অনেকটা স্বস্তিতেই গন্তব্যে গেছেন যাত্রীরা।
ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দুটির গাজীপুর অংশের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায়, মহাসড়কে গণপরিবহন বেড়েছে কয়েক গুণ। অপেক্ষমাণ ঘরমুখী যাত্রীদের রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। তবে যানজটের কোনো চিত্র দেখা যায়নি।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এরশাদ নগর, বোর্ড বাজার, মালেকের বাড়ি, বাইপাস, গাজীপুর চৌরাস্তা ও ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা ত্রিমোড়, কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কে নন্দন পার্ক এলাকা, কবিরপুর ও জিরানীসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতার কারণে যত্রতত্র গণপরিবহন দাঁড়াতে পারছে না। যার কারণে মহাসড়ক দুটি এখন পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হয়নি।
গাজীপুর চৌরাস্তার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে কথা হয় দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, বাস একটু থেমে থেমে চলছে। তবু প্রতিবছরের চেয়ে এ বছর ভোগান্তি কম। অন্যান্য বছর তো ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হতো।
অপর যাত্রী ইউসুফ আলী বলেন, ‘ভাড়া একটু বেশি নিলেও রাস্তায় কোনো ধরনের ভোগান্তি নেই। রাস্তা মোটামুটি ফাঁকা থাকায় দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারব।’
জেলার কালিয়াকৈরের চন্দ্রা মোড়ে কথা হয় নীলফামারীর সৈয়দপুরগামী যাত্রী অলি আহাম্মেদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘খালেক পরিবহনের একটি বাসে টিকিট কেটে বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। পরিবারের সব সদস্য নিয়ে ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছি।’
বগুড়াগামী যাত্রী শফিকুল বলেন, সাধারণ দিনের ভাড়া ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা। এখন সে গন্তব্যে আসন ছাড়া দাঁড়িয়ে যেতেও লাগছে ৯০০ টাকা।
অভি পরিবহনের চালক রফিক বলেন, ‘ঈদের কয়েক দিন বাকি আছে। এখন যাত্রীদের চাপ বেড়েছে, তাই ভাড়া একটু বেশি হবেই। কারণ, ঢাকায় ফেরত আসার সময় আমরা যাত্রী পাই না।’
কালিয়াকৈরের সালনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, চন্দ্রা ত্রিমোড় উত্তরবঙ্গগামী যানবাহনের প্রবেশমুখ। এখান দিয়ে ২৩টি জেলার যানবাহন যাওয়াতে একটু চাপ থাকেই। দুপুরের পর থেকে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। মহাসড়কে যানজট যেন না হয় সে জন্য হাইওয়ে,
জেলা ও মেট্রোপলিটন পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) উপকমিশনার আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, এখন পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যান চলাচল একেবারেই স্বাভাবিক আছে। মহাসড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ঘরমুখী যাত্রীদের নিরাপদে পৌঁছে দিতে ২৪ ঘণ্টা কাজ করছে পুলিশ।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ বছর ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যার কারণে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দিয়ে নিরাপদে মানুষ বাড়ি ফিরছেন। সড়কগুলোয় সব সময় প্রশাসনের নজরদারি রয়েছে।
পবিত্র ঈদুল ফিতরে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষের ঢল নেমেছে গাজীপুরের দুই মহাসড়কে। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় অনেকেই ঢাকা ছেড়েছেন জেলার ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক দিয়ে। গত বৃহস্পতিবারের চেয়ে গতকাল (শুক্রবার) কয়েক গুণ বেশি যানবাহন ছিল মহাসড়ক দুটিতে। দুই মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় যানবাহন থেমে থেমে চললেও কোথাও বড় ধরনের যানজট সৃষ্টি হয়নি। তবে গণপরিবহনে
বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতকাল সকাল ৭টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত গাজীপুর বোর্ড বাজার থেকে তেলিপাড়া পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার সড়কে যানবাহনের চাপ বেশি ছিল। এই ৬ কিলোমিটার সড়কে একটি গাড়ির সঙ্গে আরেকটি গাড়ি থেমে থেমে চলেছে।
অন্যদিকে, জেলার দুই মহাসড়কেই বেলা ১১টার পর থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত গণপরিবহনের তেমন চাপ ছিল না। বেলা ৩টার পর থেকে আবারও দুটি মহাসড়কে গণপরিবহনের চাপ কয়েক গুণ বাড়ে। তবে যানজটে আটকে না পড়ায় অনেকটা স্বস্তিতেই গন্তব্যে গেছেন যাত্রীরা।
ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দুটির গাজীপুর অংশের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায়, মহাসড়কে গণপরিবহন বেড়েছে কয়েক গুণ। অপেক্ষমাণ ঘরমুখী যাত্রীদের রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। তবে যানজটের কোনো চিত্র দেখা যায়নি।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এরশাদ নগর, বোর্ড বাজার, মালেকের বাড়ি, বাইপাস, গাজীপুর চৌরাস্তা ও ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা ত্রিমোড়, কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কে নন্দন পার্ক এলাকা, কবিরপুর ও জিরানীসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতার কারণে যত্রতত্র গণপরিবহন দাঁড়াতে পারছে না। যার কারণে মহাসড়ক দুটি এখন পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হয়নি।
গাজীপুর চৌরাস্তার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে কথা হয় দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, বাস একটু থেমে থেমে চলছে। তবু প্রতিবছরের চেয়ে এ বছর ভোগান্তি কম। অন্যান্য বছর তো ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হতো।
অপর যাত্রী ইউসুফ আলী বলেন, ‘ভাড়া একটু বেশি নিলেও রাস্তায় কোনো ধরনের ভোগান্তি নেই। রাস্তা মোটামুটি ফাঁকা থাকায় দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারব।’
জেলার কালিয়াকৈরের চন্দ্রা মোড়ে কথা হয় নীলফামারীর সৈয়দপুরগামী যাত্রী অলি আহাম্মেদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘খালেক পরিবহনের একটি বাসে টিকিট কেটে বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। পরিবারের সব সদস্য নিয়ে ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছি।’
বগুড়াগামী যাত্রী শফিকুল বলেন, সাধারণ দিনের ভাড়া ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা। এখন সে গন্তব্যে আসন ছাড়া দাঁড়িয়ে যেতেও লাগছে ৯০০ টাকা।
অভি পরিবহনের চালক রফিক বলেন, ‘ঈদের কয়েক দিন বাকি আছে। এখন যাত্রীদের চাপ বেড়েছে, তাই ভাড়া একটু বেশি হবেই। কারণ, ঢাকায় ফেরত আসার সময় আমরা যাত্রী পাই না।’
কালিয়াকৈরের সালনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, চন্দ্রা ত্রিমোড় উত্তরবঙ্গগামী যানবাহনের প্রবেশমুখ। এখান দিয়ে ২৩টি জেলার যানবাহন যাওয়াতে একটু চাপ থাকেই। দুপুরের পর থেকে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। মহাসড়কে যানজট যেন না হয় সে জন্য হাইওয়ে,
জেলা ও মেট্রোপলিটন পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) উপকমিশনার আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, এখন পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যান চলাচল একেবারেই স্বাভাবিক আছে। মহাসড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ঘরমুখী যাত্রীদের নিরাপদে পৌঁছে দিতে ২৪ ঘণ্টা কাজ করছে পুলিশ।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ বছর ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যার কারণে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দিয়ে নিরাপদে মানুষ বাড়ি ফিরছেন। সড়কগুলোয় সব সময় প্রশাসনের নজরদারি রয়েছে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে