ঝালকাঠি প্রতিনিধি
ঝালকাঠিতে ইউনিয়ন ভূমি অফিসগুলোতে দুপুরের পরে পাওয়া যায় না কোনো সেবা। জমির খাজনা, নামজারিসহ প্রয়োজনীয় সেবা পেতে যেতে হবে বেলা ১টার মধ্যে। না হলে মিলবে না সেবা। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন জানলেও নেওয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা। ফলে দিনের পর দিন সকাল ১০ থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত চলছে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কার্যক্রম। এত ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগীরা।
জানা গেছে, ঝালকাঠি সদর উপজেলার কীর্ত্তিপাশা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে খাজনা পরিশোধের জন্য ১৩ ফেব্রুয়ারি বেলা ৩টার দিকে যান উপজেলার বেশাইন খান গ্রামের কৃষক মো. রফিকুল ইসলাম (ছদ্মনাম)। গিয়ে দেখেন, ভূমি অফিসে ঢোকার গেটে তালা। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেন তিনি। এক ঘণ্টা পরেও ওই অফিসের কাউকে না পেয়ে ক্ষুব্ধ হন তিনি। পরে পাশের এক দোকানিকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারেন, দুপুরের পরে ভূমি অফিস বন্ধ করে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চলে যান। এই অফিসে একজন ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, একজন উপসহকারী কর্মকর্তা ও দুজন অফিস সহকারী রয়েছেন।
এ বিষয়ে ওই ভুক্তভোগী কৃষক বলেন, ‘ওই দোকানি বলেছেন, কোনো কাজ থাকলে সকাল ১০টা থেকে বেলা একটার মধ্যে আসতে হবে। সারা দিন মাঠে কাজ করি। সকাল থেকে জমিতে বোরোর চারা রোপণ করেছি। এখন ক্লান্ত। তবু প্রয়োজন ছিল বলে দুপুরে ভূমি অফিসে এসেছি জমির খাজনা দিতে। অফিসে কাউকে পেলাম না। সবাই দুপুরের মধ্যে চলে গেছেন। এমনকি তাঁর মোবাইল ফোন নম্বরটিও বন্ধ।’
এমন অবস্থা শুধু কীর্ত্তিপাশায় নয়, ঝালকাঠির ৩২টি ইউনিয়নের ভূমি অফিস দুপুরের পরে বন্ধ থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহসিলদার), উপসহকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সকালে অফিসে আসেন দেরিতে। চলেও যান দুপুরে। অথচ সরকারি বিধান অনুযায়ী সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত থাকার বিধান রয়েছে।
জানা গেছে, ইউনিয়ন ভূমি অফিসে খাজনা আদায়, নামজারি কার্যক্রম, খাসজমি উদ্ধার, হাটবাজারের চান্দিনা ভিটির ইজারা, অর্পিত সম্পত্তির ইজারা আদায়, দেওয়ানি মামলার প্রতিবেদন, ১৪৪ ধারার রিপোর্টসহ নানা কার্যক্রম চলে। আর এ কাজে একজন ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহশিলদার), উপসহকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছেন। কিন্তু যেকোনো কাজে ভূমি অফিসে দুপুরের পরে গেলে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে গ্রামের শ্রমজীবী মানুষের।
সদর উপজেলার দেউরী গ্রামের বাসিন্দা রুহুল আমিন বলেন, ‘ইউনিয়ন ভূমি অফিস দুপুরের পরে বন্ধ হয়ে যায়। অনেক সময় কর্মকর্তাদের নিজস্ব কোনো সুযোগ-সুবিধার কাজ থাকলে খোলা থাকে।’
এ ব্যাপারে জানতে কীর্ত্তিপাশা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহশিলদার) বাবুল হাওলাদারের মোবাইল ফোনে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
কীর্ত্তিপাশা ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা মনিকা বিশ্বাস বলেন, ‘সন্তানের এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হওয়ায় আমি একটু আগে অফিস থেকে বের হয়েছি। আরেকজন কর্মকর্তার সন্তানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। শুধু রোববারই তাড়াতাড়ি অফিস থেকে ফিরেছি। এ ছাড়া প্রতিদিন সঠিক সময় অফিস থেকে বের হয়।’
ঝালকাঠি জেলা প্রশাসনের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) মো. বশির গাজী বলেন, এ ধরনের অভিযোগ শোনা গেছে। এর সত্যতা পেলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বলেন, কোনো ভূমি অফিস নির্ধারিত সময়ের আগে বন্ধ করার অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঝালকাঠিতে ইউনিয়ন ভূমি অফিসগুলোতে দুপুরের পরে পাওয়া যায় না কোনো সেবা। জমির খাজনা, নামজারিসহ প্রয়োজনীয় সেবা পেতে যেতে হবে বেলা ১টার মধ্যে। না হলে মিলবে না সেবা। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন জানলেও নেওয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা। ফলে দিনের পর দিন সকাল ১০ থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত চলছে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কার্যক্রম। এত ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগীরা।
জানা গেছে, ঝালকাঠি সদর উপজেলার কীর্ত্তিপাশা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে খাজনা পরিশোধের জন্য ১৩ ফেব্রুয়ারি বেলা ৩টার দিকে যান উপজেলার বেশাইন খান গ্রামের কৃষক মো. রফিকুল ইসলাম (ছদ্মনাম)। গিয়ে দেখেন, ভূমি অফিসে ঢোকার গেটে তালা। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেন তিনি। এক ঘণ্টা পরেও ওই অফিসের কাউকে না পেয়ে ক্ষুব্ধ হন তিনি। পরে পাশের এক দোকানিকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারেন, দুপুরের পরে ভূমি অফিস বন্ধ করে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চলে যান। এই অফিসে একজন ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, একজন উপসহকারী কর্মকর্তা ও দুজন অফিস সহকারী রয়েছেন।
এ বিষয়ে ওই ভুক্তভোগী কৃষক বলেন, ‘ওই দোকানি বলেছেন, কোনো কাজ থাকলে সকাল ১০টা থেকে বেলা একটার মধ্যে আসতে হবে। সারা দিন মাঠে কাজ করি। সকাল থেকে জমিতে বোরোর চারা রোপণ করেছি। এখন ক্লান্ত। তবু প্রয়োজন ছিল বলে দুপুরে ভূমি অফিসে এসেছি জমির খাজনা দিতে। অফিসে কাউকে পেলাম না। সবাই দুপুরের মধ্যে চলে গেছেন। এমনকি তাঁর মোবাইল ফোন নম্বরটিও বন্ধ।’
এমন অবস্থা শুধু কীর্ত্তিপাশায় নয়, ঝালকাঠির ৩২টি ইউনিয়নের ভূমি অফিস দুপুরের পরে বন্ধ থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহসিলদার), উপসহকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সকালে অফিসে আসেন দেরিতে। চলেও যান দুপুরে। অথচ সরকারি বিধান অনুযায়ী সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত থাকার বিধান রয়েছে।
জানা গেছে, ইউনিয়ন ভূমি অফিসে খাজনা আদায়, নামজারি কার্যক্রম, খাসজমি উদ্ধার, হাটবাজারের চান্দিনা ভিটির ইজারা, অর্পিত সম্পত্তির ইজারা আদায়, দেওয়ানি মামলার প্রতিবেদন, ১৪৪ ধারার রিপোর্টসহ নানা কার্যক্রম চলে। আর এ কাজে একজন ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহশিলদার), উপসহকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছেন। কিন্তু যেকোনো কাজে ভূমি অফিসে দুপুরের পরে গেলে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে গ্রামের শ্রমজীবী মানুষের।
সদর উপজেলার দেউরী গ্রামের বাসিন্দা রুহুল আমিন বলেন, ‘ইউনিয়ন ভূমি অফিস দুপুরের পরে বন্ধ হয়ে যায়। অনেক সময় কর্মকর্তাদের নিজস্ব কোনো সুযোগ-সুবিধার কাজ থাকলে খোলা থাকে।’
এ ব্যাপারে জানতে কীর্ত্তিপাশা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহশিলদার) বাবুল হাওলাদারের মোবাইল ফোনে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
কীর্ত্তিপাশা ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা মনিকা বিশ্বাস বলেন, ‘সন্তানের এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হওয়ায় আমি একটু আগে অফিস থেকে বের হয়েছি। আরেকজন কর্মকর্তার সন্তানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। শুধু রোববারই তাড়াতাড়ি অফিস থেকে ফিরেছি। এ ছাড়া প্রতিদিন সঠিক সময় অফিস থেকে বের হয়।’
ঝালকাঠি জেলা প্রশাসনের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) মো. বশির গাজী বলেন, এ ধরনের অভিযোগ শোনা গেছে। এর সত্যতা পেলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বলেন, কোনো ভূমি অফিস নির্ধারিত সময়ের আগে বন্ধ করার অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে