নিহত প্রত্যেকের পরিবার পাবে ৫ লাখ টাকা

ঝালকাঠি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৯ নভেম্বর ২০২১, ০৫: ১৯
আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২১, ১৬: ৪৭

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে গত ১২ নভেম্বর জ্বালানি তেলবাহী জাহাজ সাগর নন্দিনী-৩-এ বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া প্রত্যেক ব্যক্তির পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জাহাজের মালিক শেখ হাফিজুর রহমান। তিনি দগ্ধ ব্যক্তিদের চিকিৎসার ব্যয়ও বহন করেছেন। এই ঘটনায় মোট ৬ জনের মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে।

ঝালকাঠির পদ্মা অয়েল কোম্পানির ডিপো সুপারিনটেনডেন্ট আখের আলী বলেন, ‘দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করেছি। এ বিষয়ে বিস্তারিত জাহাজের মালিককে জানানো হয়েছে। তিনি শ্রমিকদের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাঁদের পরিবারে কেউ যোগ্য ব্যক্তি থাকলে তাঁদের জাহাজে চাকরি দেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি। দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজটি ঝালকাঠিতে আছে। জাহাজটিতে বিদ্যুৎ লাইন ও ইঞ্জিনে ত্রুটি রয়েছে। এ জন্য একই মালিকের সাগর নন্দিনী-২ নামে আরেকটি জাহাজ এসে ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজের ডিজেল নামিয়ে নেয়।’ তিনি বলেন, ‘জাহাজের ভেতর থেকে বুধবার ৯ লাখ ২৩ হাজার লিটার ডিজেল খালাস করা হয়েছে।’

সাগর নন্দিনী-২ জাহাজের সুপারভাইজার বেল্লাল হোসেন বলেন, ‘জাহাজ থেকে সব ডিজেল খালাস করা হয়েছে। এখন আমরা ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছি। দুর্ঘটনার শিকার জাহাজটি মেরামতের পরে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হবে।’

এসএইচআর নেভিগেশন কোম্পানির নির্বাহী পরিচালক মাহাতাবুর রহমান স্বপন বলেন, ‘বিস্ফোরণের সময়ই শ্রমিকেরা দগ্ধ হন। ফলে তাঁরা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করতে পারেননি। জাহাজে থাকা প্রত্যেকেই অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করতে পারেন। জাহাজে ৭টি অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ছিল। সবগুলোরই মেয়াদ আছে। অসাবধানতাবশত এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।’

ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক জোহর আলী বলেন, ‘আমি নিজেই জাহাজের মালিকের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি নিহত শ্রমিকদের পরিবারকে দ্রুত সহায়তার কথা বলেছেন। আমরা এই ব্যাপারে সার্বিক খোঁজখবর রাখছি। গত ১২ নভেম্বর সকালে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর পোনাবালিয়া খেয়াঘাট এলাকায় নোঙর করে রাখা সাগর নন্দিনী-৩ নামের একটি জ্বালানি তেলবাহী জাহাজে বিস্ফোরণের পর আগুন লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই জাহাজের সুকানি কামরুল ইসলামের মৃত্যু হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আরও ৫ শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে এই ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু হলো।’

ঝালকাঠির পদ্মা অয়েল কোম্পানির ডিপো সূত্রে জানা যায়, সাগর নন্দিনী-৩ জাহাজে ১৫ লাখ লিটার পেট্রল, অকটেন ও ডিজেল ছিল। ১২ নভেম্বর সকালে ইঞ্জিনে ত্রুটি দেখা দিলে ৮ শ্রমিক তা মেরামতের কাজ শুরু করেন। এ সময় বিস্ফোরণে ইঞ্জিন ও পাম্পকক্ষে আগুন লেগে যায়।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত