মো. হোসাইন আলী কাজী, আমতলী
তরমুজ পরিবহনের ট্রাক থেকে বরগুনার আমতলী উপজেলার ১৫টি স্থানে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন হাটবাজারের রসিদ বই ব্যবহার করে ট্রাকপ্রতি ৩০০ থেকে ৩ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ট্রাকচালক ও ব্যবসায়ীরা। পথে পথে চাঁদা দেওয়ার কারণে তাঁদের হয়রানির শিকার হতে হয়। চাঁদা বন্ধ ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।
কৃষকেরা জানান, উপজেলা সদর, আঠারোগাছিয়া, কুকুয়া, হলদিয়া ও চাওড়া ইউনিয়নে ব্যাপক তরমুজ চাষ হয়। এখান থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তরমুজ ব্যবসায়ীরা এসে তরমুজ কেনেন। এই তরমুজ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রপ্তানি হয়। তরমুজ পরিবহনে প্রতিদিন শত শত ট্রাক গাজীপুর, দক্ষিণ গাজীপুর, টেপুরা, কাঠালিয়া বাজার, সোনাখালী, উত্তর সোনাখালী, মধ্য সোনাখালী, কুকুয়া, মহিষকাটা, সুবন্ধির বাঁধ, ফকির বাড়ী, খলিয়ান, তালুকদার বাজার ও বিশ্বাসের হাটে অবস্থান করে। ওই স্থান থেকে ট্রাকে তরমুজ লোড দেওয়া হয়। কিন্তু একটি মহল হাটবাজারের রসিদ বই ব্যবহার করে ওই সব ট্রাক থেকে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৩ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করছে। ট্রাকচালকদের অভিযোগ, দাবি করা চাঁদা না দিলে ট্রাক আটকে রাখা হচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, গাজীপুর বন্দরের ইজারাদার খাজনা বাবদ ট্রাকপ্রতি এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা আদায় করছেন। কিন্তু ইজারাদার মো. ওহাব হাওলাদার অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, সরকারি নিয়ম অনুসারে খাজনা ট্রাকপ্রতি ৭-৮ হাজার টাকা আদায় করতে হয় কিন্তু আমি সেই রকম আদায় করি না।’
দক্ষিণ গাজীপুর ব্রিজ এলাকায় মো. মন্টু খান প্রবহমান খালে বাঁধ দিয়ে নলুয়াবাগী, বলইবুনিয়া, পাটুয়া, কাঠালিয়া ও টেপুরা এলাকার তরমুজ আনা-নেওয়া করছেন। তিনি বাঁধের নামে ট্রাকপ্রতি ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা আদায় করছেন। এ পর্যন্ত তিনি তিন শতাধিক ট্রাক থেকে চাঁদা আদায় করছেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ট্রাকচালক অভিযোগ করেন।
চালক ও ব্যবসায়ীদের আরও অভিযোগ, দক্ষিণ গাজীপুর এলাকায় সরকারি কোনো ইজারা নেই। কিন্তু মন্টু খান প্রবহমান খালে বাঁধ দিয়ে প্রতিদিন ৩০-৪০টি ট্রাক পারাপার করছেন। ওই ট্রাকগুলো থেকে তিনি চাঁদা আদায় করছেন। তাঁর দাবি করা চাঁদা না দিলে ট্রাক আটকে রাখেন বলে অভিযোগ করেন ট্রাকচালক মিরাজসহ অনেকে।
তবে মন্টু খান ট্রাক আটকে রাখার কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘খালে বাঁধ দেওয়ায় খরচ হয়েছে। ওই টাকা ওঠাতে আমি কিছু চাঁদা আদায় করছি।’
জুলেখা বাজারে অমিত রসুল অপি ও সুবন্ধি বাঁধে জুলফিকর রসুল সোহাগ প্যাদার নামে ইজারাদার হিসেবে রসিদ বই ব্যবহার করে ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করছেন।
ইজারাদার জুলফিকর রসুল সোহাগ প্যাদা চাঁদা তোলার বিষয় অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি বাজারের টোল আদায় করছি। ১০ লাখ টাকা খরচ করে ইজারা নিয়েছি। তাতে ১৫ লাখ টাকা তুলতেই চাইব।’
কুকুয়া ইউনিয়নের একটি ওয়ার্ডের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল মিয়া কুকুয়া-গাজীপুর সড়কের বিভিন্ন স্থানে ট্রাকপ্রতি ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করছেন। প্রতিদিন ওই সড়কে ১৫-২০টি ট্রাক লোড হয়। তবে রাসেলের সঙ্গে এ বিষয়ে তাঁর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। বিশ্বাসের হাটে ইজারাদার মো. তরিকুল ইসলাম একটি ট্রাক থেকে ৯ হাজার টাকা আদায় করেছেন। এভাবেই পথে পথে তরমুজ পরিবহনের ট্রাকে চাঁদা আদায় করছে চাঁদাবাজেরা। তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন চালক ও ব্যবসায়ীরা।
ট্রাকচালক মো. রহিম মিয়া বলেন, ‘পথে পথে চাঁদা দিতে হয়। টাকা না দিলে বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়। এক ট্রাক তরমুজ আঞ্চলিক সড়ক থেকে মহাসড়কে আনতে পথে পথে পুলিশসহ বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজনকে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়।
কুষ্টিয়ার ব্যবসায়ী দেলোয়ার বলেন, ‘১০ বছর ধরে এই অঞ্চলে তরমুজের ব্যবসা করে আসছি। পথে পথে যে পরিমাণে চাঁদা দিতে হয়, এ রকম অন্য কোথাও নেই।
আমতলী থানার ওসি এ কে এম মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। এখনই খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তরমুজের ট্রাকে যদি কেউ চাঁদাবাজি করে থাকে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ কে এম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ বলেন, এভাবে হওয়ার কথা নয়। যদি কেউ করে থাকে, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তরমুজ পরিবহনের ট্রাক থেকে বরগুনার আমতলী উপজেলার ১৫টি স্থানে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন হাটবাজারের রসিদ বই ব্যবহার করে ট্রাকপ্রতি ৩০০ থেকে ৩ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ট্রাকচালক ও ব্যবসায়ীরা। পথে পথে চাঁদা দেওয়ার কারণে তাঁদের হয়রানির শিকার হতে হয়। চাঁদা বন্ধ ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।
কৃষকেরা জানান, উপজেলা সদর, আঠারোগাছিয়া, কুকুয়া, হলদিয়া ও চাওড়া ইউনিয়নে ব্যাপক তরমুজ চাষ হয়। এখান থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তরমুজ ব্যবসায়ীরা এসে তরমুজ কেনেন। এই তরমুজ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রপ্তানি হয়। তরমুজ পরিবহনে প্রতিদিন শত শত ট্রাক গাজীপুর, দক্ষিণ গাজীপুর, টেপুরা, কাঠালিয়া বাজার, সোনাখালী, উত্তর সোনাখালী, মধ্য সোনাখালী, কুকুয়া, মহিষকাটা, সুবন্ধির বাঁধ, ফকির বাড়ী, খলিয়ান, তালুকদার বাজার ও বিশ্বাসের হাটে অবস্থান করে। ওই স্থান থেকে ট্রাকে তরমুজ লোড দেওয়া হয়। কিন্তু একটি মহল হাটবাজারের রসিদ বই ব্যবহার করে ওই সব ট্রাক থেকে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৩ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করছে। ট্রাকচালকদের অভিযোগ, দাবি করা চাঁদা না দিলে ট্রাক আটকে রাখা হচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, গাজীপুর বন্দরের ইজারাদার খাজনা বাবদ ট্রাকপ্রতি এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা আদায় করছেন। কিন্তু ইজারাদার মো. ওহাব হাওলাদার অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, সরকারি নিয়ম অনুসারে খাজনা ট্রাকপ্রতি ৭-৮ হাজার টাকা আদায় করতে হয় কিন্তু আমি সেই রকম আদায় করি না।’
দক্ষিণ গাজীপুর ব্রিজ এলাকায় মো. মন্টু খান প্রবহমান খালে বাঁধ দিয়ে নলুয়াবাগী, বলইবুনিয়া, পাটুয়া, কাঠালিয়া ও টেপুরা এলাকার তরমুজ আনা-নেওয়া করছেন। তিনি বাঁধের নামে ট্রাকপ্রতি ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা আদায় করছেন। এ পর্যন্ত তিনি তিন শতাধিক ট্রাক থেকে চাঁদা আদায় করছেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ট্রাকচালক অভিযোগ করেন।
চালক ও ব্যবসায়ীদের আরও অভিযোগ, দক্ষিণ গাজীপুর এলাকায় সরকারি কোনো ইজারা নেই। কিন্তু মন্টু খান প্রবহমান খালে বাঁধ দিয়ে প্রতিদিন ৩০-৪০টি ট্রাক পারাপার করছেন। ওই ট্রাকগুলো থেকে তিনি চাঁদা আদায় করছেন। তাঁর দাবি করা চাঁদা না দিলে ট্রাক আটকে রাখেন বলে অভিযোগ করেন ট্রাকচালক মিরাজসহ অনেকে।
তবে মন্টু খান ট্রাক আটকে রাখার কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘খালে বাঁধ দেওয়ায় খরচ হয়েছে। ওই টাকা ওঠাতে আমি কিছু চাঁদা আদায় করছি।’
জুলেখা বাজারে অমিত রসুল অপি ও সুবন্ধি বাঁধে জুলফিকর রসুল সোহাগ প্যাদার নামে ইজারাদার হিসেবে রসিদ বই ব্যবহার করে ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করছেন।
ইজারাদার জুলফিকর রসুল সোহাগ প্যাদা চাঁদা তোলার বিষয় অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি বাজারের টোল আদায় করছি। ১০ লাখ টাকা খরচ করে ইজারা নিয়েছি। তাতে ১৫ লাখ টাকা তুলতেই চাইব।’
কুকুয়া ইউনিয়নের একটি ওয়ার্ডের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল মিয়া কুকুয়া-গাজীপুর সড়কের বিভিন্ন স্থানে ট্রাকপ্রতি ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করছেন। প্রতিদিন ওই সড়কে ১৫-২০টি ট্রাক লোড হয়। তবে রাসেলের সঙ্গে এ বিষয়ে তাঁর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। বিশ্বাসের হাটে ইজারাদার মো. তরিকুল ইসলাম একটি ট্রাক থেকে ৯ হাজার টাকা আদায় করেছেন। এভাবেই পথে পথে তরমুজ পরিবহনের ট্রাকে চাঁদা আদায় করছে চাঁদাবাজেরা। তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন চালক ও ব্যবসায়ীরা।
ট্রাকচালক মো. রহিম মিয়া বলেন, ‘পথে পথে চাঁদা দিতে হয়। টাকা না দিলে বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়। এক ট্রাক তরমুজ আঞ্চলিক সড়ক থেকে মহাসড়কে আনতে পথে পথে পুলিশসহ বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজনকে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়।
কুষ্টিয়ার ব্যবসায়ী দেলোয়ার বলেন, ‘১০ বছর ধরে এই অঞ্চলে তরমুজের ব্যবসা করে আসছি। পথে পথে যে পরিমাণে চাঁদা দিতে হয়, এ রকম অন্য কোথাও নেই।
আমতলী থানার ওসি এ কে এম মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। এখনই খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তরমুজের ট্রাকে যদি কেউ চাঁদাবাজি করে থাকে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ কে এম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ বলেন, এভাবে হওয়ার কথা নয়। যদি কেউ করে থাকে, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪