মীর মো. মহিব্বুল্লাহ, পটুয়াখালী
সাগরতীরবর্তী এবং নদীবেষ্টিত দুর্গম উপজেলা রাঙ্গাবালী এখন বিজলি বাতির ঝলমলে আলোয় আলোকিত। সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে রাঙ্গাবালীর ২৫ হাজার পরিবারকে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়ায় মানুষের মধ্যে এখন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। বিদ্যুৎ-সংযোগ পাওয়ায় এই এলাকার মানুষের জীবন-জীবিকায় ইতিবাচক পরিবর্তন শুরু হয়েছে। শিক্ষাব্যবস্থায় লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রমে এসেছে প্রাণচাঞ্চল্য।
জানা গেছে, সর্বদক্ষিণের জেলা পটুয়াখালী থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন উত্তাল আগুনমুখা নদী পাড়ি দিয়ে যেতে হয় দুর্গম রাঙ্গাবালী উপজেলায়। এই উপজেলা এমন একটি এলাকা, যেখানে রাস্তাঘাট থাকলেও পুলিশ এবং উপজেলা প্রশাসনের দুটি গাড়ি চলে এই রাস্তায়। একসময় এই উপজেলার মানুষের হারিকেন ও সোলার প্যানেলই ছিল আলোর সম্বল। বিদ্যুৎ না থাকায় আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা থেকেও বঞ্চিত ছিলেন এই উপজেলার শিক্ষার্থীরা। তবে ২ সেপ্টেম্বর সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়া হয় উপজেলায়। বিদ্যুতের আলো জ্বলতেই উপজেলার মানুষের জীবনমান উন্নয়নের পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্যে এসেছে পরিবর্তন।
চর মন্তাজ ইউনিয়নের ব্যবসায়ী আইয়ুব খান বলেন, ‘আগে আমি বেকার ছিলাম। এখন আমি ব্যবসায়ী। এখানে বিদ্যুৎ আসায় আমি ইলেকট্রনিকসের দোকান দিয়েছি এবং বিদ্যুৎ-সংযোগ পাওয়ায় এখন মানুষ আয়রন, টিভি, ফ্রিজসহ ইলেকট্রিক পণ্যসামগ্রী কিনছেন। অনেকে নগদ টাকার পাশাপাশি কিস্তিতেও এসব পণ্য কিনছেন। সাম্প্রতিক সময়ে এসব পণ্যের চাহিদা বাড়ায় প্রত্যন্ত এই চরেও বেশ কয়েকটি ইলেকট্রনিক পণ্যের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।
বাহেরচর বাজারের ব্যবসায়ী জামান মিয়া বলেন, ‘জীবনেও ভাবি নাই আমরা বিদ্যুৎ পামু। আগে সন্ধ্যার মধ্যে সবাই দোকানপাট বন্ধ করে ঘুমাত। এখন গভীর রাতেও বিক্রি জমজমাট।’
মোবাইল ব্যবসায়ী মো. হাসান বলেন, ‘বিদ্যুৎ আসায় আমাদের বিক্রি অনেক বেড়েছে। আগে বিদ্যুৎ না থাকায় ডেকোরেশন ভালো দেখাত না। তাই বিক্রি তত হতো না। আগে ১০ হাজার টাকা বিক্রি হতো, এখন প্রতিদিন ২০ হাজার টাকা বিক্রি হচ্ছে।’
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির তথ্য অনুযায়ী, উপজেলাবাসীকে বিদ্যুতের সেবা দিতে ১০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন উপকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। চরকাজল অতিক্রম করে তেঁতুলিয়া নদী ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর তলদেশ দিয়ে ৫ দশমিক ৮০ কিলোমিটার সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে এই উপকেন্দ্রে জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ-সংযোগ পৌঁছায়। পুরো উপজেলায় বসানো হয়েছে ১ হাজার ২০০ কিলোমিটারের বেশি সঞ্চালন লাইন। সর্বশেষ এই উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ১২৬টি গ্রামের ২৬ হাজার ৩০০ পরিবারকে বিদ্যুৎ-সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। এ প্রকল্পে মোট ব্যয় হয়েছে ২৬০ কোটি টাকা, যা বাস্তবায়নে সময় লেগেছে ১৪ মাস।
এদিকে মুজিববর্ষে সারা দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্যে ‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, তা এখন বাস্তব রূপ লাভ করেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাশফাকুর রহমান বলেন, ‘বিদ্যুৎ এই উপজেলার মানুষের কাছে স্বপ্নের মতো ছিল। সেই স্বপ্ন আজ বাস্তবে রূপ নিয়েছে। বিদ্যুৎ-সংযোগ পাওয়ায় মৎস্য ও কৃষিনির্ভর অর্থনীতিতে একটি নতুন ধারার সূচনা হলো। এই অঞ্চলে এখন আইসপ্ল্যান্টসহ অটো রাইস মিলের মতো শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে।’
পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক শাহ্ মো. রাজ্জাকুর রহমান বলেন, ‘সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে রাঙ্গাবালীর ২৬ হাজার পরিবারকে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়া হয়েছে।’
পটুয়াখালী-৪ আসনের সাংসদ মহিব্বুর রহমান মহিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল, তা এখন বাস্তব রূপ লাভ করল। সারা দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের অংশ হিসেব রাঙ্গাবালী উপজেলার মানুষ পেল বিদ্যুৎ।
সাগরতীরবর্তী এবং নদীবেষ্টিত দুর্গম উপজেলা রাঙ্গাবালী এখন বিজলি বাতির ঝলমলে আলোয় আলোকিত। সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে রাঙ্গাবালীর ২৫ হাজার পরিবারকে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়ায় মানুষের মধ্যে এখন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। বিদ্যুৎ-সংযোগ পাওয়ায় এই এলাকার মানুষের জীবন-জীবিকায় ইতিবাচক পরিবর্তন শুরু হয়েছে। শিক্ষাব্যবস্থায় লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রমে এসেছে প্রাণচাঞ্চল্য।
জানা গেছে, সর্বদক্ষিণের জেলা পটুয়াখালী থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন উত্তাল আগুনমুখা নদী পাড়ি দিয়ে যেতে হয় দুর্গম রাঙ্গাবালী উপজেলায়। এই উপজেলা এমন একটি এলাকা, যেখানে রাস্তাঘাট থাকলেও পুলিশ এবং উপজেলা প্রশাসনের দুটি গাড়ি চলে এই রাস্তায়। একসময় এই উপজেলার মানুষের হারিকেন ও সোলার প্যানেলই ছিল আলোর সম্বল। বিদ্যুৎ না থাকায় আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা থেকেও বঞ্চিত ছিলেন এই উপজেলার শিক্ষার্থীরা। তবে ২ সেপ্টেম্বর সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়া হয় উপজেলায়। বিদ্যুতের আলো জ্বলতেই উপজেলার মানুষের জীবনমান উন্নয়নের পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্যে এসেছে পরিবর্তন।
চর মন্তাজ ইউনিয়নের ব্যবসায়ী আইয়ুব খান বলেন, ‘আগে আমি বেকার ছিলাম। এখন আমি ব্যবসায়ী। এখানে বিদ্যুৎ আসায় আমি ইলেকট্রনিকসের দোকান দিয়েছি এবং বিদ্যুৎ-সংযোগ পাওয়ায় এখন মানুষ আয়রন, টিভি, ফ্রিজসহ ইলেকট্রিক পণ্যসামগ্রী কিনছেন। অনেকে নগদ টাকার পাশাপাশি কিস্তিতেও এসব পণ্য কিনছেন। সাম্প্রতিক সময়ে এসব পণ্যের চাহিদা বাড়ায় প্রত্যন্ত এই চরেও বেশ কয়েকটি ইলেকট্রনিক পণ্যের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।
বাহেরচর বাজারের ব্যবসায়ী জামান মিয়া বলেন, ‘জীবনেও ভাবি নাই আমরা বিদ্যুৎ পামু। আগে সন্ধ্যার মধ্যে সবাই দোকানপাট বন্ধ করে ঘুমাত। এখন গভীর রাতেও বিক্রি জমজমাট।’
মোবাইল ব্যবসায়ী মো. হাসান বলেন, ‘বিদ্যুৎ আসায় আমাদের বিক্রি অনেক বেড়েছে। আগে বিদ্যুৎ না থাকায় ডেকোরেশন ভালো দেখাত না। তাই বিক্রি তত হতো না। আগে ১০ হাজার টাকা বিক্রি হতো, এখন প্রতিদিন ২০ হাজার টাকা বিক্রি হচ্ছে।’
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির তথ্য অনুযায়ী, উপজেলাবাসীকে বিদ্যুতের সেবা দিতে ১০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন উপকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। চরকাজল অতিক্রম করে তেঁতুলিয়া নদী ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর তলদেশ দিয়ে ৫ দশমিক ৮০ কিলোমিটার সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে এই উপকেন্দ্রে জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ-সংযোগ পৌঁছায়। পুরো উপজেলায় বসানো হয়েছে ১ হাজার ২০০ কিলোমিটারের বেশি সঞ্চালন লাইন। সর্বশেষ এই উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ১২৬টি গ্রামের ২৬ হাজার ৩০০ পরিবারকে বিদ্যুৎ-সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। এ প্রকল্পে মোট ব্যয় হয়েছে ২৬০ কোটি টাকা, যা বাস্তবায়নে সময় লেগেছে ১৪ মাস।
এদিকে মুজিববর্ষে সারা দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্যে ‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, তা এখন বাস্তব রূপ লাভ করেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাশফাকুর রহমান বলেন, ‘বিদ্যুৎ এই উপজেলার মানুষের কাছে স্বপ্নের মতো ছিল। সেই স্বপ্ন আজ বাস্তবে রূপ নিয়েছে। বিদ্যুৎ-সংযোগ পাওয়ায় মৎস্য ও কৃষিনির্ভর অর্থনীতিতে একটি নতুন ধারার সূচনা হলো। এই অঞ্চলে এখন আইসপ্ল্যান্টসহ অটো রাইস মিলের মতো শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে।’
পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক শাহ্ মো. রাজ্জাকুর রহমান বলেন, ‘সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে রাঙ্গাবালীর ২৬ হাজার পরিবারকে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়া হয়েছে।’
পটুয়াখালী-৪ আসনের সাংসদ মহিব্বুর রহমান মহিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল, তা এখন বাস্তব রূপ লাভ করল। সারা দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের অংশ হিসেব রাঙ্গাবালী উপজেলার মানুষ পেল বিদ্যুৎ।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে