সবাই যেন আমার অভিনয় নিয়ে কথা বলে

Thumbnail image

সিনেমার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা। সম্প্রতি শুরু করেছেন ‘পায়েল’ নামের নতুন সিনেমার শুটিং। এতে প্রথমবার একটি গানে নাচতে দেখা যাবে তাঁকে। নতুন সিনেমা ও অন্যান্য বিষয়ে ভাবনার সঙ্গে কথা বলেছেন শিহাব আহমেদ

কোন সিনেমার শুটিং করছেন?
‘পায়েল’-এর শুটিং করছি এফডিসিতে। ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শুটিং চলবে। পরিচালনা করছেন রায়হান খান।

সিনেমার নাম কি পাল্টানো হয়েছে?
প্রথমে নাম ছিল ‘এক্সকিউজ মি’। পরিবর্তন হয়ে এখন ‘পায়েল’ হয়েছে। গল্পের প্রয়োজনেই নাম পরিবর্তন হয়েছে। তবে সিনেমার গল্প নিয়ে এখন কিছু বলতে পারব না।

গল্প না বলতে চান, আপনার চরিত্র নিয়ে কিছু বলতে নিশ্চয়ই আপত্তি নেই? 
এতে নামভূমিকায় অভিনয় করছি। সম্পূর্ণ ভিন্ন এক চরিত্র। ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’র পদ্মর সঙ্গে যেমন ‘ভয়ংকর সুন্দর’-এর নয়নতারার কোনো মিল নেই, তেমনি পায়েলও একেবারে নতুন এক চরিত্র।

সিনেমায় আমি ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে হাজির হতে চাই। যেটা নাটকেও করেছি। এ কারণে আমি নাটকে টানা শুটিং করিনি, যাতে একই ধরনের চরিত্রে বারবার হাজির হতে না হয়। সিনেমায়ও সে ধারাটা বজায় রাখতে চাই। 

সিনেমার গানে নাকি নাচতেও দেখা যাবে আপনাকে?
প্রথমবারের মতো এ সিনেমার একটি গানে আমাকে নাচতে দেখবে দর্শক। এর আগে কোনো সিনেমায় আমার নাচার সুযোগ হয়নি। এ সিনেমার গল্পের প্রয়োজনেই একটি নাচের গান রাখা হয়েছে।

তিন বছর বয়স থেকে নাচের সঙ্গে আমার সখ্য। আমি একজন শাস্ত্রীয় নৃত্যশিল্পী। তিনবার নাচের জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছি। একজন নৃত্যশিল্পী হিসেবে অবশ্যই এটা আমার জন্য আনন্দের যে, কোনো সিনেমায় আমি প্রথমবারের মতো নাচতে পারলাম।

এটা কি আইটেম গান?
সিনেমার গল্পে পতিতালয়ের একটি বড় অংশ আছে। একটা পর্যায়ে পায়েলকে পতিতালয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়। পতিতালয়ের পরিবেশ, পরিস্থিতিতে প্রায় প্রতিদিনই সন্ধ্যার পর গান-নাচের আসর বসে। সেই আসরেরই অংশবিশেষ এই গান, এই নাচ—জাস্ট এতটুকুই। এটা মোটেও আইটেম গান নয়।

পায়েল সিনেমায় প্রথমবারের মতো জিয়াউল রোশানের সঙ্গে কাজ করছেন। সহশিল্পী হিসেবে কেমন লাগছে তাঁকে?
এখন পর্যন্ত শুধু গানের শুটিং করেছি। আগামীকাল (আজ) থেকে সিকোয়েন্সের কাজ শুরু হবে। আমার মনে হয়, রোশান খুব ভালো অভিনেতা। আশা করছি, দুজনে মিলে ভালো কিছু উপহার দিতে পারব। 

আপনার আরও দুটি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায়। সেগুলোর কী খবর?
‘দামপাড়া’ ও ‘যাপিত জীবন’ সিনেমার কাজ শেষ করেছি। শুদ্ধমান চৈতনের পরিচালনায় দামপাড়া সিনেমায় অভিনয় করেছি এসপি শামসুল ইসলামের স্ত্রীর চরিত্রে। মাহমুদা হকের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।

সেগুলো ফুটে উঠেছে সিনেমায়। আর সেলিনা হোসেনের উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি হয়েছে ‘যাপিত জীবন’। দেশ ভাগ, ভাষা আন্দোলনসহ নানা বিষয় দেখা যাবে এতে। দামপাড়া সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছে। আর যাপিত জীবনের সম্পাদনার কাজ চলছে।

দামপাড়া ও যাপিত জীবন—দুটিই পিরিওডিক্যাল সিনেমা। এ ধরনের সিনেমায় অভিনয় কতটা চ্যালেঞ্জিং?
অবশ্যই অনেক চ্যালেঞ্জিং। সব সময় চ্যালেঞ্জিং কাজ করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। আমি আসলে ভালো অভিনেত্রী হতে চাই। আর সেটা হতে গেলে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করা ছাড়া উপায় নেই।

শুরু থেকেই চাওয়া ছিল, সবাই যেন আমার অভিনয় নিয়ে কথা বলে। সেটাই কিন্তু হয়ে আসছে ক্যারিয়ারের শুরু থেকে। যে নির্মাতাই আমাকে কাস্টিং করেছে আমার অভিনয়ের জন্য করেছে। কখনোই আমার জনপ্রিয়তার জন্য আমাকে কাস্টিং করেনি।

বেশির ভাগ সময়ে আমাকে কঠিন চরিত্রের জন্যই ডাকা হয়েছে। সারা জীবন এই অভিনয় সত্তা নিয়েই বেঁচে থাকতে চাই।

ওটিটিতেও আপনাকে দেখা গেছে। এ মাধ্যমে নিয়মিত হওয়ার আছে? 
ওয়েব কনটেন্টে কাজের প্রস্তাব পাচ্ছি। ভালো কাজের প্রস্তাব এলে আবারও ওটিটিতে কাজ করব। তবে সেটা হতে হবে নারীকেন্দ্রিক গল্প।

যেখানে আমি মুখ্য চরিত্রে থাকব। কোনো ছেলে মুখ্য চরিত্রে থাকবে, এ রকম গল্পে ওটিটিতে আমি কাজ করতে চাই না।  

নাটকেও আপনাকে কম দেখা যাচ্ছে। এর কারণ কী? 
ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই আমি কম কাজ করেছি। চেষ্টা করেছি মানসম্মত কাজের সঙ্গে থাকতে। প্রতিদিন কাজ করলে অনেক সময় মানের সঙ্গে ছাড় দিতে হয়।

আপনি যখন একসঙ্গে অনেক কাজ করবেন, তখন এর মান ঠিক থাকে না। সংখ্যার চেয়ে কাজের মান আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।

নতুন কোনো কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন?
আগেই বলেছি, একসঙ্গে বেশি কাজ করা আমার পছন্দ নয়। এমনিতেই এক বছরের মধ্যে দুইটি সিনেমা শেষে তিন নম্বর সিনেমার কাজ করছি। বছরে তিনটি সিনেমার শুটিং করা কিন্তু অনেক বড় বিষয়।

সবার কাছে দোয়া চাই যেন একের পর এক সিনেমা নিয়ে দর্শকের সামনে আসতে পারি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত