তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা
বাংলাদেশ রেলওয়ের খুলনা থেকে দর্শনা জংশন সেকশনে সিঙ্গেল লাইনকে ডাবল লাইনে রূপান্তর করার জন্য ২০১৮ সালে একনেকে প্রকল্প অনুমোদন দেয় সরকার। এরপর পাঁচ বছর পার হতে চলল, প্রকল্পের মেয়াদও শেষের পথে। কিন্তু এখনো প্রকল্পের ফিজিক্যাল কোনো কাজই শুরু হয়নি। গত পাঁচ বছরেও প্রকল্পের জন্য পরামর্শক নিয়োগ করতে পারেনি রেলওয়ে। এখনো অর্থ ছাড় করেনি ভারতের এক্সিম ব্যাংক। ফলে প্রকল্পটি ঝুলেই রয়েছে।
বর্তমানে খুলনা-দর্শনা সেকশনে সিঙ্গেল ব্রডগেজ লাইন রয়েছে। এই রুটটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে খুলনা-চিলাহাটি এবং খুলনা-রাজশাহী রুটের জন্য। কারণ এসব রুটের সঙ্গে যুক্ত আছে খুলনা-দর্শনা রুট। খুলনা-দর্শনা সেকশনটি সিঙ্গেল লাইন হওয়ায় পণ্য ও যাত্রী চাহিদা বিবেচনায় এই সেকশনটির অপারেশন ক্যাপাসিটি প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। এ জন্য প্রায় ১২৬ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেললাইন নির্মাণ করে ওই সেকশনটি ডাবল লাইনে উন্নীত করতেই প্রকল্পটি নেয় রেলওয়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এখন পর্যন্ত প্রকল্পের দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি। মূল রেললাইন নির্মাণ শুরুর আগে প্রকল্পের অনেক কাজ বাকি আছে। প্রকল্পের প্রথম পার্ট হলো পরামর্শক নিয়োগ। তারপর আপডেটেড ফিজিবিলিটি স্টাডি এবং ডিটেল ডিজাইন করা। এই কাজগুলোর জন্য ভারতের এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে দর–কষাকষি চূড়ান্ত হয়েছে কেবল। আগামী সপ্তাহের মধ্যে ক্রয়প্রস্তাব দেওয়া হবে।
এখনো পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ না হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে খুলনা-দর্শনা জংশন সেকশনের ডাবল লাইন রেলপথ নির্মাণের প্রকল্প পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম ফিরোজী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেহেতু এটা এলওসি (লাইন অব ক্রেডিট) প্রজেক্ট, ফলে প্রসিডিউরাল টাইমটা অনেক বেশি লাগে। খুলনা দর্শনা প্রকল্পটিও তার ব্যতিক্রম না।
এখন পর্যন্ত তিনবার পরামর্শক নিয়োগে বা অন্যান্য কাজের জন্য এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তৃতীয়বারে বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে এসেছে। পরামর্শক নিয়োগসহ অন্যান্য কাজ গুলো শুরু হলেই, প্রকল্পের ফিজিক্যাল কাজ শুরু হবে।
খুলনা-দর্শনা ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্পটি এলওসির আওতায় ভারতীয় এক্সিম ব্যাংকের ঋণে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তিন হাজার ৫০৬ কোটি ৭৫ লাখ ৪৮ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর মধ্যে প্রকল্প ব্যয়ের দুই হাজার ৬৮৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা দেবে ভারতীয় এক্সিম ব্যাংক এবং ৮১৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা দেবে বাংলাদেশ সরকার। আগামী ডিসেম্বরে এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। অর্থের অভাবে প্রকল্পের কোন কাজ না হওয়াই, প্রকল্পের মেয়াদও বাড়াবে বলে জানা গেছে।
প্রকল্পের মেয়াদ কত বাড়বে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক বলেন, ‘গত সপ্তাহে একটা মিটিং হয়েছে সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে প্রাথমিকভাবে মন্ত্রণালয় যতটুকু পারে মেয়াদ বাড়াবে। এর মধ্যে প্রকল্পের যখন ডিটেল ডিজাইন হয়ে যাবে এবং টেন্ডার করার পরে ঠিকাদার নিয়োগ হবে। তখন কতটুকু মেয়াদ বাড়াতে হবে তার সঠিক ধারণা পাওয়া যাবে। পরবর্তীতে ডিপিপি সংশোধনের সময় মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি প্রস্তাব করা হবে’।
রেলসূত্রে জানায়, আপডেট ফিজিবিলিটি স্টাডি ও ডিজাইন করতে ১১ মাস সময় লাগবে। টেন্ডারের কাজ সম্পন্ন করতে ৯ মাসের একটা সময় যাবে। এরপর মূল কনস্ট্রাকশনের সময় লাগবে ৩৬ মাস। তারপর ১২ মাস থাকবে ডিফেক্ট লাইবেলিটি পিরিয়ড। সুতরাং এই সময়টা বাড়তে পারে।
এই প্রকল্পের আওতায় ১২৬ দশমিক ২৫ কিলোমিটার ব্রডগেজ মেইন লাইন এবং ১৪ দশমিক ৪০ কিলোমিটার লুপলাইন হবে। ১৬টি স্টেশন পুনর্নির্মাণ ও সংস্কার করা হবে। ৩৭টি প্ল্যাটফর্মের মধ্যে ৫টি নতুন এবং ১২টি পুনর্নির্মাণ করা হবে। চারটি গার্ডার ও ১৪৩টি আরসিসি বক্স কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। ১৮টি স্টেশনে সিবিআই সিগনালিং সিস্টেমে চালু করা হবে। ১৭টি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। ১১০ একর ভূমি অধিগ্রহণ কররে হবে প্রকল্পে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের খুলনা থেকে দর্শনা জংশন সেকশনে সিঙ্গেল লাইনকে ডাবল লাইনে রূপান্তর করার জন্য ২০১৮ সালে একনেকে প্রকল্প অনুমোদন দেয় সরকার। এরপর পাঁচ বছর পার হতে চলল, প্রকল্পের মেয়াদও শেষের পথে। কিন্তু এখনো প্রকল্পের ফিজিক্যাল কোনো কাজই শুরু হয়নি। গত পাঁচ বছরেও প্রকল্পের জন্য পরামর্শক নিয়োগ করতে পারেনি রেলওয়ে। এখনো অর্থ ছাড় করেনি ভারতের এক্সিম ব্যাংক। ফলে প্রকল্পটি ঝুলেই রয়েছে।
বর্তমানে খুলনা-দর্শনা সেকশনে সিঙ্গেল ব্রডগেজ লাইন রয়েছে। এই রুটটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে খুলনা-চিলাহাটি এবং খুলনা-রাজশাহী রুটের জন্য। কারণ এসব রুটের সঙ্গে যুক্ত আছে খুলনা-দর্শনা রুট। খুলনা-দর্শনা সেকশনটি সিঙ্গেল লাইন হওয়ায় পণ্য ও যাত্রী চাহিদা বিবেচনায় এই সেকশনটির অপারেশন ক্যাপাসিটি প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। এ জন্য প্রায় ১২৬ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেললাইন নির্মাণ করে ওই সেকশনটি ডাবল লাইনে উন্নীত করতেই প্রকল্পটি নেয় রেলওয়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এখন পর্যন্ত প্রকল্পের দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি। মূল রেললাইন নির্মাণ শুরুর আগে প্রকল্পের অনেক কাজ বাকি আছে। প্রকল্পের প্রথম পার্ট হলো পরামর্শক নিয়োগ। তারপর আপডেটেড ফিজিবিলিটি স্টাডি এবং ডিটেল ডিজাইন করা। এই কাজগুলোর জন্য ভারতের এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে দর–কষাকষি চূড়ান্ত হয়েছে কেবল। আগামী সপ্তাহের মধ্যে ক্রয়প্রস্তাব দেওয়া হবে।
এখনো পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ না হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে খুলনা-দর্শনা জংশন সেকশনের ডাবল লাইন রেলপথ নির্মাণের প্রকল্প পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম ফিরোজী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেহেতু এটা এলওসি (লাইন অব ক্রেডিট) প্রজেক্ট, ফলে প্রসিডিউরাল টাইমটা অনেক বেশি লাগে। খুলনা দর্শনা প্রকল্পটিও তার ব্যতিক্রম না।
এখন পর্যন্ত তিনবার পরামর্শক নিয়োগে বা অন্যান্য কাজের জন্য এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তৃতীয়বারে বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে এসেছে। পরামর্শক নিয়োগসহ অন্যান্য কাজ গুলো শুরু হলেই, প্রকল্পের ফিজিক্যাল কাজ শুরু হবে।
খুলনা-দর্শনা ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্পটি এলওসির আওতায় ভারতীয় এক্সিম ব্যাংকের ঋণে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তিন হাজার ৫০৬ কোটি ৭৫ লাখ ৪৮ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর মধ্যে প্রকল্প ব্যয়ের দুই হাজার ৬৮৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা দেবে ভারতীয় এক্সিম ব্যাংক এবং ৮১৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা দেবে বাংলাদেশ সরকার। আগামী ডিসেম্বরে এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। অর্থের অভাবে প্রকল্পের কোন কাজ না হওয়াই, প্রকল্পের মেয়াদও বাড়াবে বলে জানা গেছে।
প্রকল্পের মেয়াদ কত বাড়বে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক বলেন, ‘গত সপ্তাহে একটা মিটিং হয়েছে সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে প্রাথমিকভাবে মন্ত্রণালয় যতটুকু পারে মেয়াদ বাড়াবে। এর মধ্যে প্রকল্পের যখন ডিটেল ডিজাইন হয়ে যাবে এবং টেন্ডার করার পরে ঠিকাদার নিয়োগ হবে। তখন কতটুকু মেয়াদ বাড়াতে হবে তার সঠিক ধারণা পাওয়া যাবে। পরবর্তীতে ডিপিপি সংশোধনের সময় মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি প্রস্তাব করা হবে’।
রেলসূত্রে জানায়, আপডেট ফিজিবিলিটি স্টাডি ও ডিজাইন করতে ১১ মাস সময় লাগবে। টেন্ডারের কাজ সম্পন্ন করতে ৯ মাসের একটা সময় যাবে। এরপর মূল কনস্ট্রাকশনের সময় লাগবে ৩৬ মাস। তারপর ১২ মাস থাকবে ডিফেক্ট লাইবেলিটি পিরিয়ড। সুতরাং এই সময়টা বাড়তে পারে।
এই প্রকল্পের আওতায় ১২৬ দশমিক ২৫ কিলোমিটার ব্রডগেজ মেইন লাইন এবং ১৪ দশমিক ৪০ কিলোমিটার লুপলাইন হবে। ১৬টি স্টেশন পুনর্নির্মাণ ও সংস্কার করা হবে। ৩৭টি প্ল্যাটফর্মের মধ্যে ৫টি নতুন এবং ১২টি পুনর্নির্মাণ করা হবে। চারটি গার্ডার ও ১৪৩টি আরসিসি বক্স কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। ১৮টি স্টেশনে সিবিআই সিগনালিং সিস্টেমে চালু করা হবে। ১৭টি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। ১১০ একর ভূমি অধিগ্রহণ কররে হবে প্রকল্পে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে