জামালপুরে ৬ মাসে নিহত ৩৫, আহত শতাধিক

জামালপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৬ মার্চ ২০২২, ০৭: ২০
আপডেট : ০৬ মার্চ ২০২২, ১৩: ৪২

জামালপুরে সড়কে বাড়ছে দুর্ঘটনা ও হতাহতের সংখ্যা। দুর্ঘটনায় গত ৬ মাসে জামালপুরে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৫ জন মানুষ। আর আহত হয়েছেন শতাধিক। জামালপুর সদর থানা, ট্রাফিক পুলিশ এবং নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন কমিটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। পুলিশ বলছে, মানুষ ট্রাফিক আইন না মানার কারণে বাড়ছে দুর্ঘটনা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আহতদের অনেকেই চিকিৎসা নিয়ে পঙ্গুত্ববরণ করে সংসারের বোঝা হয়ে বেঁচে আছেন। বেসরকারি একটি সংস্থার হিসেব মতে বেশির ভাগ দুর্ঘটনা ঘটেছে সড়ক মহাসড়কে। গত ডিসেম্বর জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা ছিল বেশি। মহাসড়কগুলোয় বেপরোয়াভাবে দ্রুতগতিতে বাস, ট্রাক, অটোরিকশা, কাভার্ডভ্যান, ইজিবাইক, মোটরসাইকেল চালানোর কারণে বেশিরভাগ দুর্ঘটনা ঘটেছে। গত ৩ মার্চ জামালপুরের সরিষাবাড়ি এবং মাদারগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন মারা গেছেন। এর মধ্যে একজন স্কুল শিক্ষার্থী রয়েছে। ১০ জানুয়ারি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় জামালপুর শহরের বাইপাস এলাকায় প্রাণ হারিয়েছেন পৌর শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ গোলাম সরোয়ার আতা। তাঁকে পেছন থেকে একটি গাড়ি ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃতু হয়। আর বেপোয়ারা ট্রাক চাপায় ঘুমন্ত দম্পতি মারা যায় দেওয়ানগঞ্জে। সার ভর্তি ট্রাকের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে ঘরে তুলে দিলে ঘুমন্ত অবস্থায় স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়। তাদের ৬ বছরের এক শিশু রয়েছে। মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটে গত ২৬ ডিসেম্বর রাতে।

এর আগে ৯ নভেম্বর জামালপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়কের নারিকেলী এলাকায় পেছন থেকে যাত্রীবাহী সিএনজিকে ধাক্কা দিলে সিএনজির দুই যাত্রী নিহত হয়। আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন আরও ৪ যাত্রী।

জামালপুরের মানবাধিকারকর্মী জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, জামালপুর জেলায় আগের তুলনায় সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে।

দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, উঠতি বয়সের ছেলেরা রাস্তায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাদের বয়স কম হওয়ায় একটি মোটরসাইকেলে ৩-৪ উঠে দ্রুত গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলছে। দ্রুতগতির কারণে শহরের বাইপাস ব্রহ্মপুত্র পাড়ে পাইলিংয়ের সঙ্গে ধাক্কা গেলে দুইজন কিশোর প্রাণ হারিয়েছেন। এর জন্য অভিভাবকদের দায়ী করেন তিনি।

জামালপুরে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর সভাপতি অ্যাডভোকেট মীর এমরুল হোসেন অঙ্কুর বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন ও সড়ক ব্যবস্থার বেহাল দশা। এ ছাড়াও চালকদের বেপরোয়া গতি ও মানসিকতা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল, উঠতি বয়সী তরুণদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, জনসাধারণের ট্রাফিক আইন না মানার প্রবণতায় এসব দুর্ঘটনা ঘটছে।

এ বিষয়ে জামালপুরের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ফকির সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার কারণে ঘটছে দুর্ঘটনা। তবে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ট্রাফিক পুলিশ প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত