মতলব দক্ষিণ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
চাঁদপুরের মতলব আইসিডিডিআরবি (আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র) হাসপাতালে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় তিন গুণ বেশি রোগী। ১ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত ২ হাজার ৫৬৭ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৪ শতাধিক রোগী ভর্তি হয়। ভর্তি রোগীদের মধ্যে বয়স্ক রোগীই বেশি।
গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের এ সময়ে রোগী ভর্তি হয়েছে দ্বিগুণ। আবহাওয়ার কারণের পাশাপাশি বাইরের ও পচা-বাসি খাবারের কারণে ডায়রিয়ার সংক্রমণ বেড়েছে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আরও বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। হাসপাতালের তিনটি কক্ষে ধারণক্ষমতা ৭০ জন রোগীর। বারান্দায় তাঁবু টানিয়ে ৪ শতাধিক রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের ৩টি কক্ষে স্থান সংকুলান না হওয়ায় বারান্দায় বেড বিছিয়ে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে চাঁদপুর জেলা সদর, ফরিদগঞ্জ, হাইমচর, হাজীগঞ্জ, কচুয়া, শাহরাস্তি, মতলব উত্তর ও দক্ষিণ; ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর; কুমিল্লা জেলার বরুড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বুড়িচং, চান্দিনা, চৌদ্দগ্রাম, কুমিল্লা সদর, কুমিল্লা সদর উত্তর, দাউদকান্দি, দেবিদ্বার, হোমনা, লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, মুরাদনগর, নাঙ্গলকোট, তিতাস উপজেলা; কক্সবাজার সদর; ফেনী; কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া; লক্ষ্মীপুর জেলা সদর, রায়পুর, রামগঞ্জ, রামগতি উপজেলা; মুন্সিগঞ্জ জেলা সদর; নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ, চাটখিল, সোনাইমুড়ী; শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ, নড়িয়া ও সখীপুর উপজেলা থেকে আসা রোগীরা চিকিৎসাসেবা নিচ্ছে। তবে মতলবের ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা খুবই কম।
হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহতলী গ্রামের নুসরাত জাহান বিথি (২১), মতলব উত্তর উপজেলার সুজাতপুর গ্রামের লিপি বেগম (৩০) এবং সদর মহামায়া গ্রামের সৈয়দ খান (৬০) জানান, এ হাসপাতালের চিকিৎসাসেবার মান ভালো। ডাক্তাররা রোগীদের যত্নসহকারে সেবা দিচ্ছেন। হাসপাতাল থেকে রোগীদের জন্য ওরস্যালাইন ও ট্যাবলেট সরবরাহ করছে।
আইসিডিডিআরবির সিনিয়র মেডিসিন অফিসার ফজল খান বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তন এবং পচা, বাসি, দূষিত পানি ও বাইরের খাবারের কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সুস্থ করে তুলতে চিকিৎসকেরা তাঁদের দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকেন। প্রতিদিন ৫ জন ডাক্তার, ৬ জন সিনিয়র নার্স, ২০ জন স্বাস্থ্য সহকারী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত থাকেন। ভর্তি হওয়া রোগীদের সুস্থ হয়ে উঠতে দু-তিন দিন সময় লাগে।
শূন্য থেকে ছয় মাস বয়সী শিশুদের পরিমাণমতো খাওয়ার স্যালাইনের পাশাপাশি মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো, ৭ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের পরিমাণমতো খাওয়ার স্যালাইন, একটি করে বেবি জিংক ট্যাবলেট এবং বাড়তি খাবারের মধ্যে সুজি, খিচুড়ি, ডাবের পানি, চিড়াসহ তরল খাবার খাওয়ানোর পরামর্শ দেন তিনি। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশু যদি পানির মতো পাতলা পায়খানা করে, বুকের দুধ টেনে খেতে না পারে এবং অতি মাত্রায় পিপাসা ও জ্বর, ঘন ঘন বমি ও পায়খানার সঙ্গে রক্ত দেখা দিলে দ্রুত নিকটস্থ স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রে নিয়ে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন তিনি। তবে চিকিৎসাসেবা নিতে এসে কোনো রোগী মারা যায়নি।
চাঁদপুরের মতলব আইসিডিডিআরবি হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী কমছেই না। চাঁদপুর জেলা ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিনই ভর্তি হচ্ছে রোগী। এদের বেশির ভাগই বয়স্ক ও শিশু। ১ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত ভর্তি হয়েছে সহস্রাধিক রোগী। তবে হাসপাতালে ভর্তির পর কোনো রোগী মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। চলতি মৌসুমে আবহাওয়ার কারণে কলেরা, ডায়রিয়াসহ নানা ধরনের পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। শুধু চাঁদপুর নয়, আশপাশের জেলা থেকেও রোগীরা ছুটে আসছে বিশেষায়িত এই হাসপাতালে। একদিকে ঋতু পরিবর্তন, অন্যদিকে আবহাওয়ার কারণ। এতে নানা ধরনের পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন বয়সের মানুষ। তাই এই সময় শুধু ডায়রিয়ার রোগীই নয়, কলেরায় আক্রান্ত রোগীর চাপও বাড়ছে চাঁদপুরের মতলবে আইসিডিডিআরবির বিশেষায়িত এই হাসপাতালে।
এমন পরিস্থিতিতে প্রতিদিন হাসপাতালটিতে চাঁদপুরের আশপাশের জেলাগুলো থেকেও রোগীরা চিকিৎসাসেবা নিতে ছুটে আসছে। এখানে বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা পেয়ে খুশি রোগী ও তাদের স্বজনেরা। হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলো ঘুরে দেখা গেছে রোগীর ভিড়। এতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চিকিৎসকসহ নার্সরা। আর কাঙ্ক্ষিত সেবা এবং দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পেয়ে খুশি রোগী ও তাদের স্বজনেরা।
চাঁদপুরের মতলব আইসিডিডিআরবি (আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র) হাসপাতালে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় তিন গুণ বেশি রোগী। ১ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত ২ হাজার ৫৬৭ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৪ শতাধিক রোগী ভর্তি হয়। ভর্তি রোগীদের মধ্যে বয়স্ক রোগীই বেশি।
গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের এ সময়ে রোগী ভর্তি হয়েছে দ্বিগুণ। আবহাওয়ার কারণের পাশাপাশি বাইরের ও পচা-বাসি খাবারের কারণে ডায়রিয়ার সংক্রমণ বেড়েছে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আরও বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। হাসপাতালের তিনটি কক্ষে ধারণক্ষমতা ৭০ জন রোগীর। বারান্দায় তাঁবু টানিয়ে ৪ শতাধিক রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের ৩টি কক্ষে স্থান সংকুলান না হওয়ায় বারান্দায় বেড বিছিয়ে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে চাঁদপুর জেলা সদর, ফরিদগঞ্জ, হাইমচর, হাজীগঞ্জ, কচুয়া, শাহরাস্তি, মতলব উত্তর ও দক্ষিণ; ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর; কুমিল্লা জেলার বরুড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বুড়িচং, চান্দিনা, চৌদ্দগ্রাম, কুমিল্লা সদর, কুমিল্লা সদর উত্তর, দাউদকান্দি, দেবিদ্বার, হোমনা, লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, মুরাদনগর, নাঙ্গলকোট, তিতাস উপজেলা; কক্সবাজার সদর; ফেনী; কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া; লক্ষ্মীপুর জেলা সদর, রায়পুর, রামগঞ্জ, রামগতি উপজেলা; মুন্সিগঞ্জ জেলা সদর; নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ, চাটখিল, সোনাইমুড়ী; শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ, নড়িয়া ও সখীপুর উপজেলা থেকে আসা রোগীরা চিকিৎসাসেবা নিচ্ছে। তবে মতলবের ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা খুবই কম।
হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহতলী গ্রামের নুসরাত জাহান বিথি (২১), মতলব উত্তর উপজেলার সুজাতপুর গ্রামের লিপি বেগম (৩০) এবং সদর মহামায়া গ্রামের সৈয়দ খান (৬০) জানান, এ হাসপাতালের চিকিৎসাসেবার মান ভালো। ডাক্তাররা রোগীদের যত্নসহকারে সেবা দিচ্ছেন। হাসপাতাল থেকে রোগীদের জন্য ওরস্যালাইন ও ট্যাবলেট সরবরাহ করছে।
আইসিডিডিআরবির সিনিয়র মেডিসিন অফিসার ফজল খান বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তন এবং পচা, বাসি, দূষিত পানি ও বাইরের খাবারের কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সুস্থ করে তুলতে চিকিৎসকেরা তাঁদের দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকেন। প্রতিদিন ৫ জন ডাক্তার, ৬ জন সিনিয়র নার্স, ২০ জন স্বাস্থ্য সহকারী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত থাকেন। ভর্তি হওয়া রোগীদের সুস্থ হয়ে উঠতে দু-তিন দিন সময় লাগে।
শূন্য থেকে ছয় মাস বয়সী শিশুদের পরিমাণমতো খাওয়ার স্যালাইনের পাশাপাশি মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো, ৭ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের পরিমাণমতো খাওয়ার স্যালাইন, একটি করে বেবি জিংক ট্যাবলেট এবং বাড়তি খাবারের মধ্যে সুজি, খিচুড়ি, ডাবের পানি, চিড়াসহ তরল খাবার খাওয়ানোর পরামর্শ দেন তিনি। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশু যদি পানির মতো পাতলা পায়খানা করে, বুকের দুধ টেনে খেতে না পারে এবং অতি মাত্রায় পিপাসা ও জ্বর, ঘন ঘন বমি ও পায়খানার সঙ্গে রক্ত দেখা দিলে দ্রুত নিকটস্থ স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রে নিয়ে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন তিনি। তবে চিকিৎসাসেবা নিতে এসে কোনো রোগী মারা যায়নি।
চাঁদপুরের মতলব আইসিডিডিআরবি হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী কমছেই না। চাঁদপুর জেলা ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিনই ভর্তি হচ্ছে রোগী। এদের বেশির ভাগই বয়স্ক ও শিশু। ১ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত ভর্তি হয়েছে সহস্রাধিক রোগী। তবে হাসপাতালে ভর্তির পর কোনো রোগী মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। চলতি মৌসুমে আবহাওয়ার কারণে কলেরা, ডায়রিয়াসহ নানা ধরনের পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। শুধু চাঁদপুর নয়, আশপাশের জেলা থেকেও রোগীরা ছুটে আসছে বিশেষায়িত এই হাসপাতালে। একদিকে ঋতু পরিবর্তন, অন্যদিকে আবহাওয়ার কারণ। এতে নানা ধরনের পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন বয়সের মানুষ। তাই এই সময় শুধু ডায়রিয়ার রোগীই নয়, কলেরায় আক্রান্ত রোগীর চাপও বাড়ছে চাঁদপুরের মতলবে আইসিডিডিআরবির বিশেষায়িত এই হাসপাতালে।
এমন পরিস্থিতিতে প্রতিদিন হাসপাতালটিতে চাঁদপুরের আশপাশের জেলাগুলো থেকেও রোগীরা চিকিৎসাসেবা নিতে ছুটে আসছে। এখানে বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা পেয়ে খুশি রোগী ও তাদের স্বজনেরা। হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলো ঘুরে দেখা গেছে রোগীর ভিড়। এতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চিকিৎসকসহ নার্সরা। আর কাঙ্ক্ষিত সেবা এবং দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পেয়ে খুশি রোগী ও তাদের স্বজনেরা।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে