সম্পাদকীয়
মিয়ানমার কি বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চায়, নাকি নানা ধরনের উসকানিমূলক আচরণ করে বাংলাদেশকে ট্র্যাপে ফেলতে চায়? কয়েক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর বোঝা বাংলাদেশেরওপর চাপিয়ে দিয়েছে দেশটি। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ জাতিগত সমস্যাকে দেশটি বাংলাদেশের সমস্যায় পরিণত করেছে। বাংলাদেশ সম্পূর্ণ মানবিক কারণে বছরের পর বছর এই শরণার্থীর চাপ বহন করছে। আশা করা হয়েছিল, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিয়ানমারের ওপর কার্যকর চাপ প্রয়োগ করে রোহিঙ্গা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ প্রশস্ত করবে এবং তাদের স্বদেশে ফিরে যাওয়ার নিরাপদ ব্যবস্থা করবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, মিয়ানমারের সামরিক জান্তা রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার পরিবেশ তৈরি করার পরিবর্তে নিজেদের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিরোধ থেকে মিয়ানমারবাসীর দৃষ্টি অন্য দিকে ঘোরানোর জন্যই হয়তো বাংলাদেশের সঙ্গে অবন্ধুসুলভ আচরণ করছে।
বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করছে মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার। মর্টারের গোলা এসে পড়ছে বাংলাদেশের জনবসতিপূর্ণ এলাকায়। সর্বশেষ গত শনিবার মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর দুটি গোলা এসে পড়েছে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের পাহাড়ি এলাকায়। ভূখণ্ডের ভেতরে এভাবে গুলি বা বিস্ফোরক নিক্ষেপ করে কি মিয়ানমার বাংলাদেশের ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছে?
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘মিয়ানমারে আবারও সংঘাত হচ্ছে, তারা আর্মস ব্যবহার করছে। সেগুলো অনেক সময় সীমান্ত এলাকায় চলে যায়। আমরা অসমর্থিত তথ্যে শুনেছি, সেখানে মিয়ানমার সোলজার একটি প্রচারণা চালিয়েছে যে ওই এলাকার লোকদের সরে যেতে বলা হয়েছে। যার ফলে আমাদের ভয় হয়। ভয় হয় এ জন্য, সেখানে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অত্যাচারিত লোকজনকে ওই এলাকা থেকে সরে যেতে বলা হয়েছে। অত্যাচারিতরা হয়তো আমাদের দেশের দিকে আসতে শুরু করবে। তবে শুনে আশ্বস্ত হয়েছি, তারা আমাদের দিকে আসছে না, অন্যদিকে যাচ্ছে। তবু আমরা আমাদের বর্ডারে সতর্কতামূলক অবস্থা গ্রহণ করেছি। আমরা আর একটাও মিয়ানমারের নাগরিককে বাংলাদেশে ঢুকতে দেব না।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমারের গোলা এসে পড়া সম্পর্কে বলেছেন, ‘আমরা মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ করেছি। তাঁরা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে তিনি তাঁর সরকারের সঙ্গে এ নিয়ে আলাপ করবেন এবং এমন দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে, বিষয়টি তাঁরা দেখবেন। যেগুলো আসছে, সেগুলো জঙ্গল এলাকায় এবং বিস্ফোরিত হয়নি। এটা গুড নিউজ।’
বিশ্লেষকেরা মনে করেন, মিয়ানমারের আচরণ স্বাভাবিক নয়। তারা নিজেদের দেশে গণতান্ত্রিক শাসন চুরমার করেছে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী অং সান সু চিকে অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ করে এখন নানা অভিযোগে শাস্তি দিচ্ছে। বাংলাদেশ মিয়ানমারকে শত্রুরাষ্ট্র মনে করে না। তারপরও তাদের আচরণ বাংলাদেশের জন্য অস্বস্তিকর।
কূটনৈতিক ভাষায় যেমন মিয়ানমারের আচরণের প্রতিবাদ করতে হবে, তেমনি এটাও তাদের কোনো কৌশলে বুঝিয়ে দিতে হবে, তাদের ছোড়া গোলায় একজন বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু হলেও মিয়ানমারের জন্য ‘ব্যাড নিউজ’ তৈরির সক্ষমতা বাংলাদেশের আছে।
মিয়ানমার কি বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চায়, নাকি নানা ধরনের উসকানিমূলক আচরণ করে বাংলাদেশকে ট্র্যাপে ফেলতে চায়? কয়েক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর বোঝা বাংলাদেশেরওপর চাপিয়ে দিয়েছে দেশটি। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ জাতিগত সমস্যাকে দেশটি বাংলাদেশের সমস্যায় পরিণত করেছে। বাংলাদেশ সম্পূর্ণ মানবিক কারণে বছরের পর বছর এই শরণার্থীর চাপ বহন করছে। আশা করা হয়েছিল, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিয়ানমারের ওপর কার্যকর চাপ প্রয়োগ করে রোহিঙ্গা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ প্রশস্ত করবে এবং তাদের স্বদেশে ফিরে যাওয়ার নিরাপদ ব্যবস্থা করবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, মিয়ানমারের সামরিক জান্তা রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার পরিবেশ তৈরি করার পরিবর্তে নিজেদের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিরোধ থেকে মিয়ানমারবাসীর দৃষ্টি অন্য দিকে ঘোরানোর জন্যই হয়তো বাংলাদেশের সঙ্গে অবন্ধুসুলভ আচরণ করছে।
বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করছে মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার। মর্টারের গোলা এসে পড়ছে বাংলাদেশের জনবসতিপূর্ণ এলাকায়। সর্বশেষ গত শনিবার মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর দুটি গোলা এসে পড়েছে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের পাহাড়ি এলাকায়। ভূখণ্ডের ভেতরে এভাবে গুলি বা বিস্ফোরক নিক্ষেপ করে কি মিয়ানমার বাংলাদেশের ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছে?
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘মিয়ানমারে আবারও সংঘাত হচ্ছে, তারা আর্মস ব্যবহার করছে। সেগুলো অনেক সময় সীমান্ত এলাকায় চলে যায়। আমরা অসমর্থিত তথ্যে শুনেছি, সেখানে মিয়ানমার সোলজার একটি প্রচারণা চালিয়েছে যে ওই এলাকার লোকদের সরে যেতে বলা হয়েছে। যার ফলে আমাদের ভয় হয়। ভয় হয় এ জন্য, সেখানে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অত্যাচারিত লোকজনকে ওই এলাকা থেকে সরে যেতে বলা হয়েছে। অত্যাচারিতরা হয়তো আমাদের দেশের দিকে আসতে শুরু করবে। তবে শুনে আশ্বস্ত হয়েছি, তারা আমাদের দিকে আসছে না, অন্যদিকে যাচ্ছে। তবু আমরা আমাদের বর্ডারে সতর্কতামূলক অবস্থা গ্রহণ করেছি। আমরা আর একটাও মিয়ানমারের নাগরিককে বাংলাদেশে ঢুকতে দেব না।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমারের গোলা এসে পড়া সম্পর্কে বলেছেন, ‘আমরা মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ করেছি। তাঁরা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে তিনি তাঁর সরকারের সঙ্গে এ নিয়ে আলাপ করবেন এবং এমন দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে, বিষয়টি তাঁরা দেখবেন। যেগুলো আসছে, সেগুলো জঙ্গল এলাকায় এবং বিস্ফোরিত হয়নি। এটা গুড নিউজ।’
বিশ্লেষকেরা মনে করেন, মিয়ানমারের আচরণ স্বাভাবিক নয়। তারা নিজেদের দেশে গণতান্ত্রিক শাসন চুরমার করেছে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী অং সান সু চিকে অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ করে এখন নানা অভিযোগে শাস্তি দিচ্ছে। বাংলাদেশ মিয়ানমারকে শত্রুরাষ্ট্র মনে করে না। তারপরও তাদের আচরণ বাংলাদেশের জন্য অস্বস্তিকর।
কূটনৈতিক ভাষায় যেমন মিয়ানমারের আচরণের প্রতিবাদ করতে হবে, তেমনি এটাও তাদের কোনো কৌশলে বুঝিয়ে দিতে হবে, তাদের ছোড়া গোলায় একজন বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু হলেও মিয়ানমারের জন্য ‘ব্যাড নিউজ’ তৈরির সক্ষমতা বাংলাদেশের আছে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে