নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব চাওয়ার কারণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদও। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘এটি কেন হলো সেটি আমার কাছেও একটা বড় প্রশ্ন। সরকার অবশ্যই যে কারও হিসাব তলব করতে পারে। কিন্তু কেন সাংবাদিক নেতাদের হিসাব তলব করা হলো, তা জানার চেষ্টা করছি।’
এ সময় তথ্য মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে গণমাধ্যমের যে অবাধ স্বাধীনতা আছে অন্য কোন দেশে এমন নেই। সমাজ, রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য অনুসন্ধানী রিপোর্ট প্রয়োজন আছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে এই সব রিপোর্টে মানুষের ব্যক্তিগত অধিকার লঙ্ঘিত হয়। তবে আমাদের দেশে গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করছে বিধায় যেকেউ যেকোনো কিছু করে পার পেতে পারে না। আইনের ফাঁক দিয়ে হয়তো অনেক সময় পার পেয়ে যায়। কিন্তু গণমাধ্যমে খবর আসার পর জনগণের কাছে পার পায় না।
দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই মিডিয়ায় যে বিশৃঙ্খলা ছিল তা দুর করতে কাজ করেছেন জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘টেলিভিশন চ্যানেল গুলোর সিরিয়াল নিয়ে আগে অর্থ লেনদেন হতো। আইপি টিভির নামে অনেকগুলো অনুমোদনহীন চ্যানেল চলছে। ১২০ টি মতো পত্রিকা বন্ধ করা হয়েছে। অনেক সংবাদপত্রের সম্পাদক, এডিটর, রিপোর্টার একজনই। তাকে যদি জিজ্ঞেস করেন, রিপোর্টারের কাজ কি? তিনি বলতে পারবে না। এগুলো নিয়ে কাজ চলছে।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের কোন সিদ্ধান্ত হলে আমার জবাবদিহি করতে হয়। আমার যেমন সরকারের প্রতিনিধিত্ব করতে হয় তেমনি সরকারেরও প্রতিনিধিত্ব করতে হয়। ডিজিটাল আইন ভারতে আছে, পাকিস্তানেও আছে। এর চেয়ে কঠিন ধারা সিঙ্গাপুরের আইনে আছে। ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য এমন আইন ফ্রান্স, জার্মানি সহ অনেক দেশে আছে। ডিজিটাল মাধ্যমে কারও চরিত্র হননের চেষ্টা হলে কোন আইনে বিচার চাইবেন? কিন্তু এই আইন কোনোভাবে সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা না হয় সেদিকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া আছে।’
বার্ষিক সাধারণ সভায় সাংবাদিক নেতারা জানান, সাংবাদিক নেতাদের টার্গেট করে তাদের সম্পত্তির হিসাব চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সাংবাদিকদের মাথার ওপর খড়্গ হয়ে ঝুলছে। করোনার সময় দেওয়া সহযোগিতার দশ কোটি টাকার অর্ধেক টাকা কল্যাণ তহবিলে রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এই সব সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে সাংবাদিকদের হেয় করা হচ্ছে।
সাংবাদিক নেতারা এ সময় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আলাদা একটি ধারা সংযোজন, আপত্কালীন চাকরির ব্যবস্থা, ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন, বেকার ও প্রবীণ ভাতা চালু করাসহ নানা দাবি জানান।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোল্লা জালাল, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু প্রমুখ।
সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব চাওয়ার কারণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদও। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘এটি কেন হলো সেটি আমার কাছেও একটা বড় প্রশ্ন। সরকার অবশ্যই যে কারও হিসাব তলব করতে পারে। কিন্তু কেন সাংবাদিক নেতাদের হিসাব তলব করা হলো, তা জানার চেষ্টা করছি।’
এ সময় তথ্য মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে গণমাধ্যমের যে অবাধ স্বাধীনতা আছে অন্য কোন দেশে এমন নেই। সমাজ, রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য অনুসন্ধানী রিপোর্ট প্রয়োজন আছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে এই সব রিপোর্টে মানুষের ব্যক্তিগত অধিকার লঙ্ঘিত হয়। তবে আমাদের দেশে গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করছে বিধায় যেকেউ যেকোনো কিছু করে পার পেতে পারে না। আইনের ফাঁক দিয়ে হয়তো অনেক সময় পার পেয়ে যায়। কিন্তু গণমাধ্যমে খবর আসার পর জনগণের কাছে পার পায় না।
দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই মিডিয়ায় যে বিশৃঙ্খলা ছিল তা দুর করতে কাজ করেছেন জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘টেলিভিশন চ্যানেল গুলোর সিরিয়াল নিয়ে আগে অর্থ লেনদেন হতো। আইপি টিভির নামে অনেকগুলো অনুমোদনহীন চ্যানেল চলছে। ১২০ টি মতো পত্রিকা বন্ধ করা হয়েছে। অনেক সংবাদপত্রের সম্পাদক, এডিটর, রিপোর্টার একজনই। তাকে যদি জিজ্ঞেস করেন, রিপোর্টারের কাজ কি? তিনি বলতে পারবে না। এগুলো নিয়ে কাজ চলছে।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের কোন সিদ্ধান্ত হলে আমার জবাবদিহি করতে হয়। আমার যেমন সরকারের প্রতিনিধিত্ব করতে হয় তেমনি সরকারেরও প্রতিনিধিত্ব করতে হয়। ডিজিটাল আইন ভারতে আছে, পাকিস্তানেও আছে। এর চেয়ে কঠিন ধারা সিঙ্গাপুরের আইনে আছে। ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য এমন আইন ফ্রান্স, জার্মানি সহ অনেক দেশে আছে। ডিজিটাল মাধ্যমে কারও চরিত্র হননের চেষ্টা হলে কোন আইনে বিচার চাইবেন? কিন্তু এই আইন কোনোভাবে সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা না হয় সেদিকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া আছে।’
বার্ষিক সাধারণ সভায় সাংবাদিক নেতারা জানান, সাংবাদিক নেতাদের টার্গেট করে তাদের সম্পত্তির হিসাব চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সাংবাদিকদের মাথার ওপর খড়্গ হয়ে ঝুলছে। করোনার সময় দেওয়া সহযোগিতার দশ কোটি টাকার অর্ধেক টাকা কল্যাণ তহবিলে রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এই সব সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে সাংবাদিকদের হেয় করা হচ্ছে।
সাংবাদিক নেতারা এ সময় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আলাদা একটি ধারা সংযোজন, আপত্কালীন চাকরির ব্যবস্থা, ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন, বেকার ও প্রবীণ ভাতা চালু করাসহ নানা দাবি জানান।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোল্লা জালাল, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু প্রমুখ।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে