শাওন মাহমুদ
বাবার সঙ্গে হারিয়ে যাওয়া বাকি ছয়জনের সবার পরিবারের সঙ্গে আমার যোগাযোগ নেই। শহীদ হাফিজের ছোট বোন আর তাঁর ভাগনের সঙ্গে অল্প হলেও যোগাযোগটা রয়ে গেছে। ফুপির থেকে হাফিজের অনেক ছবি পেয়েছিলাম। শহীদ বকরের বড় ভাই মোজাফ্ফর মামা ক্যানসারে ভুগে মারা গেছেন। তাঁর থেকেই বকরের একমাত্র ছবিটা পাওয়া। জরাজীর্ণ ছবিটাকে ঠিক করে দিয়েছিলেন শিল্পী অসীম। তবে ওনার স্ত্রী সামিনা মামির সঙ্গে যোগাযোগ আছে। শহীদ জুয়েল, বদী ও আজাদের পরিবারের কারও সঙ্গে কোনো দিনও যোগাযোগ হয়নি বিধায় কাউকে চেনা হয়ে ওঠেনি।
শহীদ রুমীর ছোট ভাই জামী, তাঁর সঙ্গে সব সময়ের যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ শেষে বাবা এবং রুমীকে একসঙ্গে খুঁজতে গিয়ে মায়ের সঙ্গে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের এক প্রগাঢ় বন্ধন তৈরি হয়েছিল। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পারিবারিক স্বজন হয়ে উঠেছিল দুটো পরিবার।
নাখালপাড়া এমপি হোস্টেল থেকে শুরু হয়েছিল খোঁজাখুঁজি। যেহেতু বাবাদের নিখোঁজের সময়টা আগস্টের শেষে ছিল, ডিসেম্বরে টর্চার সেলগুলোতে তেমন কিছুই পাওয়া যায়নি। ঢাকার গেরিলারা আগস্টে ধরা পড়ার পরবর্তী সময়ে হয়তো পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আর কোনো কার্যক্রম নাখালপাড়ার সেই টর্চার সেলগুলোতে ছিল না। যে কারণে ডিসেম্বর আসতে আসতে জায়গাটাতে তাদের তাণ্ডবের কোনো চিহ্নই তেমন পাওয়া যায়নি। তারপরও তন্ন তন্ন করে মা আর জানু নানু কোনো একটি চিহ্ন খুঁজে বেড়িয়েছেন সেখানে। কিন্তু তাঁরা প্রিয় মানুষের এক টুকরো কাপড় বা এক পাটি স্যান্ডেলের মতো সামান্য জিনিসও খুঁজে পাননি।
১৬ ডিসেম্বর দেশ বিজয়ের খবর আসার পরপরই সঙ্গে আরও অনেক খবর আসছিল। এর মধ্যে সবচেয়ে করুণ খবরটা ছিল, রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে বুদ্ধিজীবীদের লাশের স্তূপ পাওয়া গেছে। ছুটে গিয়েছিলেন তাঁরা, শত শত শহীদের স্বজনের ভিড় ঠেলে আলতাফ আর রুমীকে খুঁজে পাওয়ার জন্য। সেই দিনটির কথা মাকে একদিন জিজ্ঞেস করেছিলাম,
‘কী দেখতে পেলে তুমি বাবাকে চিনতে?’
‘তোমার বাবার হাতের নীলা আংটিটা। ঝাঁকড়া চুলের দীর্ঘদেহী আলতুকে চেনা যায় বহু দূর থেকে।’
‘গন্ধ লাগেনি নাকে?’
‘না তো! কোনো খারাপ গন্ধ পাইনি সেখানে। কোনো দুর্গন্ধ ছিল না। যাঁরা নিজের ভালোবাসার মানুষকে মৃত, অর্ধগলিত দেহেও খুঁজে পাচ্ছিলেন, তাঁদের দেখে আরও মন খারাপ হয়েছিল। কারণ আমি তো আলতুর কোনো কিছুই খুঁজে পাচ্ছিলাম না।’
এরপর আর আমার প্রশ্ন করা হয় না। নিজে থেকেই বলেছিলেন, ‘কোথায় কোথায় যাইনি আমরা আলতু আর রুমীকে খুঁজতে! নাখালপাড়া এমপি হোস্টেলে কিছু না পেয়ে মেজর হায়দারকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকা সেনানিবাসে চলে গিয়েছিলাম। সেখানকার সব কয়টা হাসপাতালের বেড আর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীরা যে বাঙ্কারগুলো ফেলে গিয়েছিল, তার প্রতিটা কোনা ধরে খুঁজেছি। কিচ্ছু পাইনি, কোনো চিহ্ন না। ঢাকা শহরের এপার থেকে ওপারে যত হাসপাতাল, কেন্দ্রীয় জেলখানা, পুলিশের থানাগুলো, একটাও বাকি রাখিনি।’
বাহাত্তরের ২০ জানুয়ারি বাড়িতে জহির রায়হান এসেছিলেন। মাকে কথা দিয়ে গিয়েছিলেন যে ভাই, অর্থাৎ শহীদুল্লা কায়সারের খোঁজ পেয়েছেন, সঙ্গে আলতাফ ভাইয়েরও খোঁজ নিয়ে আসবেন। জানুয়ারির ৩০ তারিখে জহির রায়হানও নিখোঁজ হন। আমাদের শেষ ভরসা, ফিরে আসেননি আর এই স্বাধীন বাংলাদেশে। তবুও আমাদের অপেক্ষা কখনো শেষ হয়নি, শেষ হবেও না আর কখনো।
আগস্টের শেষের দিন আর রাতগুলো কেমন লাগে তা লিখে বোঝানো কঠিন। মনে হতে থাকে, এই বুঝি পুরো বাড়ি ঘিরে রেখেছে জলপাইরঙা জিপের আর্মিরা, ভোরেই হয়তো দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢুকবে। যখন দিনের বেলা খেতে বসি, তখন গলা দিয়ে কিছু নামতে চায় না। জেনেছিলাম টর্চার চেম্বারে তাঁদের কিছু খেতে দিত না। জল চাইলে প্রস্রাব করত মুখে। রুটি খেয়ে শুকনো কিনারগুলো ছুড়ে দিত তাঁদের কাছে। রাতে রমনায় নিয়ে এলে রুটি আর ডাল দিত, কখনো সবজি। অত্যাচারে নুয়ে যাওয়া গেরিলারা জ্বরের ঘোরে খেতে পারতেন কি না, জানি না।
বাবা ৩১ তারিখ রাতে শেষ ভাত খেয়েছিলেন, ডাল আর পেঁপে ভাজির সঙ্গে, কাঁচা মরিচ দিয়ে। সেদিন তাঁর শেষ জবানবন্দি দিয়ে এসেছিলেন তিনি। আর কোনো উপলক্ষ ছাড়াই রমনায় সে রাতে কয়েদিদের ভাত খেতে দেওয়া হয়েছিল। বাবা জেনে গিয়েছিলেন, আগামীকাল হয়তো আর ভোর দেখা হবে না, বাড়ি ফেরা হবে না। ভাতপ্রিয় বাবা জীবনের শেষ ভাতটা প্রচণ্ড জ্বরের ঘোরে খেয়ে নিয়েছিলেন।
২৯, ৩০, ৩১ আগস্ট বিভীষিকাময় কালো আঁধারে ঘেরা দিন। মনে হয় এত নির্মমভাবে হত্যা করার চেয়ে বাবাকে গুলি করে একবারে মেরে ফেললে, তাঁর জন্য সহজ হতো। অত্যাচারে জর্জরিত তপ্ত ভাঙাচোরা দেহের আর কিছুই তেমন ঠিক ছিল না, তাঁদের কারোরই। কেউ কখনো জানল না সেই সাতজনের শেষ গন্তব্য কেমন ছিল, কোথায় ছিল! একবার অনেক আগে শুনেছিলাম পুড়িয়ে মারা হয়েছে তাঁদের। সত্যি বলতে, মাটি খুঁড়ে কেউ কখনো খুঁজতে যায়নি ড্রাম ফ্যাক্টরি টর্চার সেলের আশপাশে। যেই সব জীবিত গেরিলা যোদ্ধা, যাঁদের নাম বুকে নিয়ে বাবা নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁরাও কখনো জানতে চাননি এই সাতজনের শেষ মুহূর্ত কেমন কেটেছিল! পরিবারগুলো কেমন আছে, কোথায় আছে!
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের আগস্ট মাসের শেষে এসে এই নিখোঁজ হওয়া সাতজনের জন্য আমি একা রয়ে গেছি, তাঁদের কন্যা হয়ে। সাতজনই সমানভাবে আমার একাত্তরের স্বজন, আমার নিজস্ব বীরশ্রেষ্ঠ। আমাদের কথা মনে রেখো বাংলাদেশে। ভালোবেসো রক্তঋণে আমাদের জয়ী করে স্বাধীন দেশে রেখে যাওয়া, সেই সাহসী মুখগুলোকে।
লেখক: শহীদ আলতাফ মাহমুদের কন্যা
বাবার সঙ্গে হারিয়ে যাওয়া বাকি ছয়জনের সবার পরিবারের সঙ্গে আমার যোগাযোগ নেই। শহীদ হাফিজের ছোট বোন আর তাঁর ভাগনের সঙ্গে অল্প হলেও যোগাযোগটা রয়ে গেছে। ফুপির থেকে হাফিজের অনেক ছবি পেয়েছিলাম। শহীদ বকরের বড় ভাই মোজাফ্ফর মামা ক্যানসারে ভুগে মারা গেছেন। তাঁর থেকেই বকরের একমাত্র ছবিটা পাওয়া। জরাজীর্ণ ছবিটাকে ঠিক করে দিয়েছিলেন শিল্পী অসীম। তবে ওনার স্ত্রী সামিনা মামির সঙ্গে যোগাযোগ আছে। শহীদ জুয়েল, বদী ও আজাদের পরিবারের কারও সঙ্গে কোনো দিনও যোগাযোগ হয়নি বিধায় কাউকে চেনা হয়ে ওঠেনি।
শহীদ রুমীর ছোট ভাই জামী, তাঁর সঙ্গে সব সময়ের যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ শেষে বাবা এবং রুমীকে একসঙ্গে খুঁজতে গিয়ে মায়ের সঙ্গে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের এক প্রগাঢ় বন্ধন তৈরি হয়েছিল। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পারিবারিক স্বজন হয়ে উঠেছিল দুটো পরিবার।
নাখালপাড়া এমপি হোস্টেল থেকে শুরু হয়েছিল খোঁজাখুঁজি। যেহেতু বাবাদের নিখোঁজের সময়টা আগস্টের শেষে ছিল, ডিসেম্বরে টর্চার সেলগুলোতে তেমন কিছুই পাওয়া যায়নি। ঢাকার গেরিলারা আগস্টে ধরা পড়ার পরবর্তী সময়ে হয়তো পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আর কোনো কার্যক্রম নাখালপাড়ার সেই টর্চার সেলগুলোতে ছিল না। যে কারণে ডিসেম্বর আসতে আসতে জায়গাটাতে তাদের তাণ্ডবের কোনো চিহ্নই তেমন পাওয়া যায়নি। তারপরও তন্ন তন্ন করে মা আর জানু নানু কোনো একটি চিহ্ন খুঁজে বেড়িয়েছেন সেখানে। কিন্তু তাঁরা প্রিয় মানুষের এক টুকরো কাপড় বা এক পাটি স্যান্ডেলের মতো সামান্য জিনিসও খুঁজে পাননি।
১৬ ডিসেম্বর দেশ বিজয়ের খবর আসার পরপরই সঙ্গে আরও অনেক খবর আসছিল। এর মধ্যে সবচেয়ে করুণ খবরটা ছিল, রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে বুদ্ধিজীবীদের লাশের স্তূপ পাওয়া গেছে। ছুটে গিয়েছিলেন তাঁরা, শত শত শহীদের স্বজনের ভিড় ঠেলে আলতাফ আর রুমীকে খুঁজে পাওয়ার জন্য। সেই দিনটির কথা মাকে একদিন জিজ্ঞেস করেছিলাম,
‘কী দেখতে পেলে তুমি বাবাকে চিনতে?’
‘তোমার বাবার হাতের নীলা আংটিটা। ঝাঁকড়া চুলের দীর্ঘদেহী আলতুকে চেনা যায় বহু দূর থেকে।’
‘গন্ধ লাগেনি নাকে?’
‘না তো! কোনো খারাপ গন্ধ পাইনি সেখানে। কোনো দুর্গন্ধ ছিল না। যাঁরা নিজের ভালোবাসার মানুষকে মৃত, অর্ধগলিত দেহেও খুঁজে পাচ্ছিলেন, তাঁদের দেখে আরও মন খারাপ হয়েছিল। কারণ আমি তো আলতুর কোনো কিছুই খুঁজে পাচ্ছিলাম না।’
এরপর আর আমার প্রশ্ন করা হয় না। নিজে থেকেই বলেছিলেন, ‘কোথায় কোথায় যাইনি আমরা আলতু আর রুমীকে খুঁজতে! নাখালপাড়া এমপি হোস্টেলে কিছু না পেয়ে মেজর হায়দারকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকা সেনানিবাসে চলে গিয়েছিলাম। সেখানকার সব কয়টা হাসপাতালের বেড আর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীরা যে বাঙ্কারগুলো ফেলে গিয়েছিল, তার প্রতিটা কোনা ধরে খুঁজেছি। কিচ্ছু পাইনি, কোনো চিহ্ন না। ঢাকা শহরের এপার থেকে ওপারে যত হাসপাতাল, কেন্দ্রীয় জেলখানা, পুলিশের থানাগুলো, একটাও বাকি রাখিনি।’
বাহাত্তরের ২০ জানুয়ারি বাড়িতে জহির রায়হান এসেছিলেন। মাকে কথা দিয়ে গিয়েছিলেন যে ভাই, অর্থাৎ শহীদুল্লা কায়সারের খোঁজ পেয়েছেন, সঙ্গে আলতাফ ভাইয়েরও খোঁজ নিয়ে আসবেন। জানুয়ারির ৩০ তারিখে জহির রায়হানও নিখোঁজ হন। আমাদের শেষ ভরসা, ফিরে আসেননি আর এই স্বাধীন বাংলাদেশে। তবুও আমাদের অপেক্ষা কখনো শেষ হয়নি, শেষ হবেও না আর কখনো।
আগস্টের শেষের দিন আর রাতগুলো কেমন লাগে তা লিখে বোঝানো কঠিন। মনে হতে থাকে, এই বুঝি পুরো বাড়ি ঘিরে রেখেছে জলপাইরঙা জিপের আর্মিরা, ভোরেই হয়তো দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢুকবে। যখন দিনের বেলা খেতে বসি, তখন গলা দিয়ে কিছু নামতে চায় না। জেনেছিলাম টর্চার চেম্বারে তাঁদের কিছু খেতে দিত না। জল চাইলে প্রস্রাব করত মুখে। রুটি খেয়ে শুকনো কিনারগুলো ছুড়ে দিত তাঁদের কাছে। রাতে রমনায় নিয়ে এলে রুটি আর ডাল দিত, কখনো সবজি। অত্যাচারে নুয়ে যাওয়া গেরিলারা জ্বরের ঘোরে খেতে পারতেন কি না, জানি না।
বাবা ৩১ তারিখ রাতে শেষ ভাত খেয়েছিলেন, ডাল আর পেঁপে ভাজির সঙ্গে, কাঁচা মরিচ দিয়ে। সেদিন তাঁর শেষ জবানবন্দি দিয়ে এসেছিলেন তিনি। আর কোনো উপলক্ষ ছাড়াই রমনায় সে রাতে কয়েদিদের ভাত খেতে দেওয়া হয়েছিল। বাবা জেনে গিয়েছিলেন, আগামীকাল হয়তো আর ভোর দেখা হবে না, বাড়ি ফেরা হবে না। ভাতপ্রিয় বাবা জীবনের শেষ ভাতটা প্রচণ্ড জ্বরের ঘোরে খেয়ে নিয়েছিলেন।
২৯, ৩০, ৩১ আগস্ট বিভীষিকাময় কালো আঁধারে ঘেরা দিন। মনে হয় এত নির্মমভাবে হত্যা করার চেয়ে বাবাকে গুলি করে একবারে মেরে ফেললে, তাঁর জন্য সহজ হতো। অত্যাচারে জর্জরিত তপ্ত ভাঙাচোরা দেহের আর কিছুই তেমন ঠিক ছিল না, তাঁদের কারোরই। কেউ কখনো জানল না সেই সাতজনের শেষ গন্তব্য কেমন ছিল, কোথায় ছিল! একবার অনেক আগে শুনেছিলাম পুড়িয়ে মারা হয়েছে তাঁদের। সত্যি বলতে, মাটি খুঁড়ে কেউ কখনো খুঁজতে যায়নি ড্রাম ফ্যাক্টরি টর্চার সেলের আশপাশে। যেই সব জীবিত গেরিলা যোদ্ধা, যাঁদের নাম বুকে নিয়ে বাবা নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁরাও কখনো জানতে চাননি এই সাতজনের শেষ মুহূর্ত কেমন কেটেছিল! পরিবারগুলো কেমন আছে, কোথায় আছে!
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের আগস্ট মাসের শেষে এসে এই নিখোঁজ হওয়া সাতজনের জন্য আমি একা রয়ে গেছি, তাঁদের কন্যা হয়ে। সাতজনই সমানভাবে আমার একাত্তরের স্বজন, আমার নিজস্ব বীরশ্রেষ্ঠ। আমাদের কথা মনে রেখো বাংলাদেশে। ভালোবেসো রক্তঋণে আমাদের জয়ী করে স্বাধীন দেশে রেখে যাওয়া, সেই সাহসী মুখগুলোকে।
লেখক: শহীদ আলতাফ মাহমুদের কন্যা
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে