শফিক বিন ফিরোজ
খুব শীঘ্রই ৪৩ তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর কিছুদিন পরেই হবে ৪৪ তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা। বিসিএসের তিনটি ধাপের মধ্যে লিখিত পরীক্ষাই ক্যাডার হওয়ার পথে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ জন্য এই ধাপটিতে পরিকল্পিত প্রস্তুতি নিতে হয়। ৪০ তম বিসিএসে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার গণিতে মেধাক্রম তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন শফিক বিন ফিরোজ। অভিজ্ঞতার আলোকে বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি সম্পর্কে জানিয়েছেন তার পরামর্শ:
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে তিনটা অংশ আছে। কনসেপচুয়াল ইস্যু, এমপেরিক্যাল ইস্যু ও প্রবলেম সলভিং। কনসেপচুয়াল ইস্যুতে ১২টা প্রশ্ন থেকে ১০টা প্রশ্নের উত্তর দিতে হয় প্রতিটি প্রশ্নে ৪ নম্বর করে মোট ৪০ নম্বরের প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়।
এই অংশে প্রশ্নে উল্লিখিত বিভিন্ন টার্মের সংজ্ঞা ও সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করতে হয়। বিভিন্ন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বা মনীষীগণের উক্তি ব্যবহার করে উত্তর করতে পারলে কনসেপচুয়াল অংশে ভালো নম্বর পাওয়া সহজ হয়। ইমপিরিয়াল ইস্যুতে বর্ণনামূলক চারটি প্রশ্ন থেকে তিনটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়।
একজন প্রার্থীর আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যুর বিশ্লেষণমূলক দক্ষতা যাচাই করা হয় এই অংশে। সাধারণত জাতিসংঘ, বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রসমূহ, বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন, বিভিন্ন ইস্যুতে আন্তর্জাতিক দ্বন্দ্ব, দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের অবস্থান এই টপিকগুলো থেকে প্রশ্ন হয়।
প্রশ্নের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত নিজের মতো করে যত সুন্দরভাবে বিশ্লেষণ করা যায় ততই ভালো নম্বর পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
প্রবলেম সলভিং ইস্যুতে সাধারণ সামসময়িক কোনো আন্তর্জাতিক সমস্যার কারণ তুলে ধরতে হয় এবং সেটার বাস্তবমুখী সমাধান কী হতে পারে এই সম্পর্কিত একটা নথিপত্র তৈরি করতে হয়। কূটনৈতিকভাবে সমস্যার সমাধান উল্লেখ করে এই অংশের প্রশ্নগুলোর উত্তর লিখতে হয়। বিশেষ করে সমস্যা সমাধান এমনভাবে হতে হবে যেন সেখানে বাংলাদেশের স্বার্থ অক্ষুণ্ণ থাকে।
এমপেরিক্যাল ও প্রবলেম সলভিং অংশের জন্য যেকোনো গাইড অনুসরণ করা যেতে পারে। তবে আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকতে হলে পত্রিকার আন্তর্জাতিক পাতায় নিয়মিত চোখ বুলাতে হবে।
গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা
গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতায় ৫০ করে মোট ১০০ নম্বরের উত্তর দিতে হয়। বিজ্ঞান বিভাগের প্রার্থীরা এই অংশে কিছুটা এগিয়ে থাকে। নিয়মিত অনুশীলন করলে অন্য বিভাগের প্রার্থীরাও গণিতে ভালো নম্বর পেতে পারে।
গণিতে বেশ কিছু টপিক আছে যেগুলো মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার প্রার্থীরা আগে পড়েনি। যেমন, বিন্যাস ও সমাবেশ, সম্ভাব্যতা, স্থানাঙ্ক জ্যামিতি ইত্যাদি। এই টপিকগুলো এসএসসির ও এইচএসসির উচ্চতর গণিত বই থেকে ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে।
অন্যান্য টপিকের মধ্যে পাটিগণিত, বীজ গাণিতিক সূত্রাবলি, সূচক ও লগারিদম, ত্রিকোণমিতির অনুপাত, সেট ও ভেনচিত্র, ত্রিভুজ ও চতুর্ভুজ সংক্রান্ত জ্যামিতি এসবের ওপর বেশি বেশি প্রশ্ন আসতে দেখা যায়। এগুলোর জন্য মাধ্যমিকের সাধারণ গণিতের বই যথেষ্ট।
তবে যে কোনো একটা গাইড বই থেকে প্রচুর অনুশীলন করে নিজেকে ঝালিয়ে নিতে হবে। একটা কথা স্পষ্ট মনে রাখতে হবে। গণিতে রাতারাতি ভালো করার কোনো সহজ উপায় নেই। এই বিষয়ে ভালো করতে হলে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন।
প্রিলিমিনারি পাশ করা একজন প্রার্থীকে মানসিক দক্ষতার জন্য তেমন সময় দিতে হয় না। বিগত বিসিএসের প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নগুলো ভালো করে সমাধান করতে পারলে মানসিক দক্ষতায় সহজেই ভালো নম্বর আশা করা যায়।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ের সিলেবাস তিন ভাগে বিভক্ত। সাধারণ গণিত-৬০, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি-২৫ এবং ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক টেকনোলজি-১৫ এভাবে মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হবে।
এদের মধ্যে সাধারণ বিজ্ঞানের ৬০ নম্বরের প্রস্তুতি আমার কাছে তুলনামূলকভাবে সহজ মনে হয়েছে। এসএসসির বিজ্ঞান বই এবং ক্ষেত্রবিশেষে পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন বই থেকে সিলেবাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অধ্যায়গুলো পড়লেই এই অংশের প্রস্তুতি শেষ হয়ে যায়।
কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি অংশটি প্রিলিমিনারির সিলেবাসের সঙ্গে অনেকাংশে মিলে যায়। ফলে এই অংশটিতে তেমন একটা বেগ পেতে হয় না। এইচএসসির প্রকৌশলী মুজিবুর রহমানের কম্পিউটার ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বই থেকে এই অংশের প্রস্তুতি নেওয়া সহজ।
এই বিষয়ের তুলনামূলক জটিল টপিক হচ্ছে ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক টেকনোলজি। কারণ এই অংশের টপিকগুলোর অধিকাংশই আগের পড়া থাকে না। বিভিন্ন গাইড বইয়ের পাশাপাশি ইন্টারনেট থেকে প্রয়োজনীয় প্রশ্নগুলোর উত্তর নোট করে পড়তে হবে।
এই অংশটিতে একটু সময় নিয়ে গুছিয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে। শর্টকাট প্রস্তুতি নিতে চাইলে ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক টেকনোলজিতে ভালো নম্বর আশা করা যাবে না।
নতুনদের জন্য বিশেষ পরামর্শ:
যারা প্রথমবার লিখিত পরীক্ষা দেবেন তাদের দুইটা কথা বিশেষভাবে মনে রাখতে বলব।
১) বিসিএস প্রিলিমিনারি অপেক্ষা লিখিত পরীক্ষায় পাশ করা তুলনামূলক সহজ।
২) ক্যাডার হতে হলে বিসিএসের তিনটি ধাপের মধ্যে লিখিত পরীক্ষাতেই সবচেয়ে ভালো প্রস্তুতি থাকতে হবে।
অনেকেই একটি বিষয় জানতে চান, লিখিত পরীক্ষা প্রস্তুতিতে প্রতিদিন কত ঘণ্টা করে পড়া উচিত।
তাদেরকে বলব আপনার প্রশ্নটি যথার্থ হয়নি। কারণ লিখিত পরীক্ষার সিলেবাসের বিষয়গুলোর ওপর আপনার পূর্বজ্ঞান কতটুকু, আপনার পড়া আত্মস্থ করা ও তা মনে রাখার ক্ষমতা কেমন, লিখিত পরীক্ষার আগে আপনার হাতে কত দিন সময় আছে এসব বিষয়ের ওপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনার দৈনিক কত ঘণ্টা পড়া উচিত। আর এই প্রশ্নগুলোর উত্তর আপনি ছাড়া আর কেউ জানে না। সুতরাং নিজের পরিকল্পনা, পড়ার রুটিন নিজেকেই তৈরি করতে হবে।
লেখক:৪০ তম বিসিএসে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার গণিতে মেধাক্রম তৃতীয় স্থান অধিকারী।
অনুলিখন: মোছা. জেলি খাতুন
খুব শীঘ্রই ৪৩ তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর কিছুদিন পরেই হবে ৪৪ তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা। বিসিএসের তিনটি ধাপের মধ্যে লিখিত পরীক্ষাই ক্যাডার হওয়ার পথে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ জন্য এই ধাপটিতে পরিকল্পিত প্রস্তুতি নিতে হয়। ৪০ তম বিসিএসে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার গণিতে মেধাক্রম তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন শফিক বিন ফিরোজ। অভিজ্ঞতার আলোকে বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি সম্পর্কে জানিয়েছেন তার পরামর্শ:
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে তিনটা অংশ আছে। কনসেপচুয়াল ইস্যু, এমপেরিক্যাল ইস্যু ও প্রবলেম সলভিং। কনসেপচুয়াল ইস্যুতে ১২টা প্রশ্ন থেকে ১০টা প্রশ্নের উত্তর দিতে হয় প্রতিটি প্রশ্নে ৪ নম্বর করে মোট ৪০ নম্বরের প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়।
এই অংশে প্রশ্নে উল্লিখিত বিভিন্ন টার্মের সংজ্ঞা ও সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করতে হয়। বিভিন্ন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বা মনীষীগণের উক্তি ব্যবহার করে উত্তর করতে পারলে কনসেপচুয়াল অংশে ভালো নম্বর পাওয়া সহজ হয়। ইমপিরিয়াল ইস্যুতে বর্ণনামূলক চারটি প্রশ্ন থেকে তিনটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়।
একজন প্রার্থীর আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যুর বিশ্লেষণমূলক দক্ষতা যাচাই করা হয় এই অংশে। সাধারণত জাতিসংঘ, বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রসমূহ, বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন, বিভিন্ন ইস্যুতে আন্তর্জাতিক দ্বন্দ্ব, দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের অবস্থান এই টপিকগুলো থেকে প্রশ্ন হয়।
প্রশ্নের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত নিজের মতো করে যত সুন্দরভাবে বিশ্লেষণ করা যায় ততই ভালো নম্বর পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
প্রবলেম সলভিং ইস্যুতে সাধারণ সামসময়িক কোনো আন্তর্জাতিক সমস্যার কারণ তুলে ধরতে হয় এবং সেটার বাস্তবমুখী সমাধান কী হতে পারে এই সম্পর্কিত একটা নথিপত্র তৈরি করতে হয়। কূটনৈতিকভাবে সমস্যার সমাধান উল্লেখ করে এই অংশের প্রশ্নগুলোর উত্তর লিখতে হয়। বিশেষ করে সমস্যা সমাধান এমনভাবে হতে হবে যেন সেখানে বাংলাদেশের স্বার্থ অক্ষুণ্ণ থাকে।
এমপেরিক্যাল ও প্রবলেম সলভিং অংশের জন্য যেকোনো গাইড অনুসরণ করা যেতে পারে। তবে আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকতে হলে পত্রিকার আন্তর্জাতিক পাতায় নিয়মিত চোখ বুলাতে হবে।
গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা
গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতায় ৫০ করে মোট ১০০ নম্বরের উত্তর দিতে হয়। বিজ্ঞান বিভাগের প্রার্থীরা এই অংশে কিছুটা এগিয়ে থাকে। নিয়মিত অনুশীলন করলে অন্য বিভাগের প্রার্থীরাও গণিতে ভালো নম্বর পেতে পারে।
গণিতে বেশ কিছু টপিক আছে যেগুলো মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার প্রার্থীরা আগে পড়েনি। যেমন, বিন্যাস ও সমাবেশ, সম্ভাব্যতা, স্থানাঙ্ক জ্যামিতি ইত্যাদি। এই টপিকগুলো এসএসসির ও এইচএসসির উচ্চতর গণিত বই থেকে ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে।
অন্যান্য টপিকের মধ্যে পাটিগণিত, বীজ গাণিতিক সূত্রাবলি, সূচক ও লগারিদম, ত্রিকোণমিতির অনুপাত, সেট ও ভেনচিত্র, ত্রিভুজ ও চতুর্ভুজ সংক্রান্ত জ্যামিতি এসবের ওপর বেশি বেশি প্রশ্ন আসতে দেখা যায়। এগুলোর জন্য মাধ্যমিকের সাধারণ গণিতের বই যথেষ্ট।
তবে যে কোনো একটা গাইড বই থেকে প্রচুর অনুশীলন করে নিজেকে ঝালিয়ে নিতে হবে। একটা কথা স্পষ্ট মনে রাখতে হবে। গণিতে রাতারাতি ভালো করার কোনো সহজ উপায় নেই। এই বিষয়ে ভালো করতে হলে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন।
প্রিলিমিনারি পাশ করা একজন প্রার্থীকে মানসিক দক্ষতার জন্য তেমন সময় দিতে হয় না। বিগত বিসিএসের প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নগুলো ভালো করে সমাধান করতে পারলে মানসিক দক্ষতায় সহজেই ভালো নম্বর আশা করা যায়।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ের সিলেবাস তিন ভাগে বিভক্ত। সাধারণ গণিত-৬০, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি-২৫ এবং ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক টেকনোলজি-১৫ এভাবে মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হবে।
এদের মধ্যে সাধারণ বিজ্ঞানের ৬০ নম্বরের প্রস্তুতি আমার কাছে তুলনামূলকভাবে সহজ মনে হয়েছে। এসএসসির বিজ্ঞান বই এবং ক্ষেত্রবিশেষে পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন বই থেকে সিলেবাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অধ্যায়গুলো পড়লেই এই অংশের প্রস্তুতি শেষ হয়ে যায়।
কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি অংশটি প্রিলিমিনারির সিলেবাসের সঙ্গে অনেকাংশে মিলে যায়। ফলে এই অংশটিতে তেমন একটা বেগ পেতে হয় না। এইচএসসির প্রকৌশলী মুজিবুর রহমানের কম্পিউটার ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বই থেকে এই অংশের প্রস্তুতি নেওয়া সহজ।
এই বিষয়ের তুলনামূলক জটিল টপিক হচ্ছে ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক টেকনোলজি। কারণ এই অংশের টপিকগুলোর অধিকাংশই আগের পড়া থাকে না। বিভিন্ন গাইড বইয়ের পাশাপাশি ইন্টারনেট থেকে প্রয়োজনীয় প্রশ্নগুলোর উত্তর নোট করে পড়তে হবে।
এই অংশটিতে একটু সময় নিয়ে গুছিয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে। শর্টকাট প্রস্তুতি নিতে চাইলে ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক টেকনোলজিতে ভালো নম্বর আশা করা যাবে না।
নতুনদের জন্য বিশেষ পরামর্শ:
যারা প্রথমবার লিখিত পরীক্ষা দেবেন তাদের দুইটা কথা বিশেষভাবে মনে রাখতে বলব।
১) বিসিএস প্রিলিমিনারি অপেক্ষা লিখিত পরীক্ষায় পাশ করা তুলনামূলক সহজ।
২) ক্যাডার হতে হলে বিসিএসের তিনটি ধাপের মধ্যে লিখিত পরীক্ষাতেই সবচেয়ে ভালো প্রস্তুতি থাকতে হবে।
অনেকেই একটি বিষয় জানতে চান, লিখিত পরীক্ষা প্রস্তুতিতে প্রতিদিন কত ঘণ্টা করে পড়া উচিত।
তাদেরকে বলব আপনার প্রশ্নটি যথার্থ হয়নি। কারণ লিখিত পরীক্ষার সিলেবাসের বিষয়গুলোর ওপর আপনার পূর্বজ্ঞান কতটুকু, আপনার পড়া আত্মস্থ করা ও তা মনে রাখার ক্ষমতা কেমন, লিখিত পরীক্ষার আগে আপনার হাতে কত দিন সময় আছে এসব বিষয়ের ওপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনার দৈনিক কত ঘণ্টা পড়া উচিত। আর এই প্রশ্নগুলোর উত্তর আপনি ছাড়া আর কেউ জানে না। সুতরাং নিজের পরিকল্পনা, পড়ার রুটিন নিজেকেই তৈরি করতে হবে।
লেখক:৪০ তম বিসিএসে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার গণিতে মেধাক্রম তৃতীয় স্থান অধিকারী।
অনুলিখন: মোছা. জেলি খাতুন
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১৪ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে