শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

জৈন্তাপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২১, ০৯: ৩৩
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২১, ১৭: ৩৭

শ্রমিকদের ওপর হামলা ও মামলার প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার মহাসড়ক অবরোধ করেন বেলচা শ্রমিকেরা। বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত সিলেট–তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন তাঁরা। এ সময় কয়েক কিলোমিটার এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়।

পরে জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগির আহমদের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন শ্রমিকেরা।

শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘ দিন ধরে শ্রমিকেরা স্টোন ক্রাশার মিলে বেলচা দিয়ে গাড়িতে পাথর লোড–আনলোড করে আসছেন। সম্প্রতি কতিপয় মিল মালিক জোর করে সরাসরি যন্ত্র দিয়ে (ফেলুডার কিংবা বেল্ট) গাড়িতে পাথর লোড করা শুরু করেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে আসামপাড়ায় নুর মেম্বারের মালিকানাধীন মিলে বেল্ট দিয়ে গাড়িতে পাথর লোড করা হচ্ছিল। প্রতিবাদ করলে নুর মেম্বারের ভাতিজা সোহেল আহমদ শ্রমিকদের মারধর করেন এবং জৈন্তাপুর থানায় মামলা করেন। এর প্রতিবাদে বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত সিলেট তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন ৫ শতাধিক বেলচা শ্রমিক।

পরে জৈন্তাপুর থানার ওসি গোলাম দস্তগির আহমদ, ইউপি চেয়ারম্যান বাহারুল আলম বাহার এবং ১৭ পরগনার সালিস সমন্বয় কমিটির সদস্য আব্দুস শুক্কুরের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন শ্রমিকেরা।

এ প্রতিবাদী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন বৃহত্তর জৈন্তা পাথর শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের (রেজি নং চট্ট-১৯০৯) সদস্যরা। সংগঠনের সহসভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন বলেন, ‘শ্রমিকদের ওপর হামলা ও মামলা দায়েরের বিষয়টি দ্রুত শ্রমিকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে আমাদের সংগঠনের সদস্যরা দ্রুত বেলচা হাতে নিয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা সদরের স্টেশন বাজারে অবস্থান গ্রহণ করেন। বিকেল সাড়ে তিনটায় তাঁরা সিলেট–তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ করে রাস্তায় বসে পড়েন। যতক্ষণ পর্যন্ত মামলা প্রত্যাহার না করা হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সিলেট–তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’

বেলচা শ্রমিক আলী হোসেন বলেন, ‘বেলচা দিয়ে পাথর লোড–আনলোড করা শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার। এই অধিকার বাস্তবায়ন না করে উল্টো আমাদের ওপর হামলা, মামলা করেন মিল মালিকেরা। সব যদি মেশিন দিয়ে করা হয় তবে আমরা শ্রমিকেরা কীভাবে বাঁচব।’

এ দিকে শ্রমিকদের অবরোধের কারণে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের কয়েক কিলোমিটার এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়। আটকা পড়েন যাত্রীবাহী ও পর্যটকবাহী যানবাহন।

জৈন্তাপুর থানার ওসি গোলাম দস্তগির আহমদ বলেন, ‘শ্রমিকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলার বিষয়টি শেষ করব। শ্রমিকের অধিকার রক্ষায় সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বাসে তাঁরা অবরোধ তুলে নেন।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত