মরা খাল, জলাবদ্ধ জমি কৃষকদের চোখে পানি

মিজান মাহী, দুর্গাপুর
প্রকাশ : ০৪ মার্চ ২০২২, ০৬: ৫০
আপডেট : ০৪ মার্চ ২০২২, ১৫: ৫৩

দুর্গাপুর পৌর এলাকার ডাহার বিলের পানি নিষ্কাশনে খাল খনন করা হয় আশির দশকে। পরানপুর গ্রাম পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে খাল খনন করা হয়েছিল। যুগ যুগ ধরে সেই খাল দিয়ে ডাহার বিলের পানি পার্শ্ববর্তী রাইচান নদীতে যেত। খালটি প্রশস্ত ছিল। ছিল পানির প্রবাহও। ধীরে ধীরে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা খালের কিছু অংশ দখলে নিয়ে ভরাট ও তার মুখ বন্ধ করে পুকুর খনন করায় খালটি এখন মৃতপ্রায়।

খালে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়ায় জলাবদ্ধতার কবলে পড়ছে ডাহার বিলের পাশের চার গ্রামের কৃষকদের প্রায় ৫০০ বিঘা ইরি-বোরোর জমি। পানি নিষ্কাশন ও সংস্কারের দাবিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) অবহিত করে প্রতিকার চেয়েছেন।

ডাহার বিলে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি ধান চাষের জন্য ধীরে ধীরে এই খাল দখল করে ভরাট করেছেন। বিশেষ করে পৌর এলাকার দেবীপুর ও পরানপুর এলাকায় খালটির মুখ ভরাট হয়ে এক কিলোমিটার অংশে পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে ডাহার বিলের পার্শ্ববর্তী গ্রাম দেবীপুর, শালঘরিয়া, হরিপুর ও দুর্গাপুর সদর গ্রামের কয়েক শ কৃষকের প্রায় ৫০০ বিঘা বোরো ধানের জমিতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। বিলের পানি এই খাল হয়ে নদীতে নামতে পারছে না। পানি জমে থাকায় কৃষকেরা ধান চাষের জন্য জমি তৈরি করতে পারছেন না। ফলে চলতি মৌসুমে ইরি-বোরোর চাষ ব্যাহত হচ্ছে।

পৌর এলাকার দেবীপুর গ্রামের কৃষক ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ধান রোপণের সময় চলে যাচ্ছে, অথচ তাঁরা জমি তৈরি করতেই পারছেন না। খালের মাটি দ্রুত সরানো না গেলে এবার ধান চাষ করা যাবে না। আর এটা যদি হয়, তাহলে তাঁরা খাবেন কী?

দুর্গাপুর সদর গ্রামের জাফর আলী বলেন, তিন বছর ধরে এই জলাবদ্ধতার কবলে পড়তে হচ্ছে।

দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল রানা বলেন, ‘কৃষকের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পুকুর খননের ফলে খালের অনেক বড় অংশ বন্ধ হয়ে গেছে। পুকুরের পাড় কেটে দিলেই পানি নামবে না। স্থায়ী সমাধান করতে হবে। খাল সংস্কারেরও প্রয়োজন আছে। ওখানকার এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা চলছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত