রেজা করিম, ঢাকা
বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলনরত বিএনপির ক্ষুব্ধ নেতাদের একটি বড় অংশ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে বলে কিছুদিন ধরেই গুঞ্জন ছিল। কয়েকজন মন্ত্রীসহ ক্ষমতাসীন দলের কোনো কোনো নেতার বক্তব্যে ওই গুঞ্জন ডালপালা ছড়ায়। বিএনপি শেষ পর্যন্ত দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার অবস্থানে অটল থাকা সত্ত্বেও ঐক্য অটুট থাকায় চলমান এক দফার আন্দোলন নিয়ে দারুণ উজ্জীবিত দলটি। বিএনপির ভোট বর্জনের এমন অবস্থানকে দেশের রাজনীতিতে ‘টার্নিং পয়েন্ট’ বলে মনে করছেন রাজনীতি-বিশ্লেষকেরা।
নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্রে জানা যায়, বিএনপির উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নেতাকে তৃণমূল বিএনপি ও বিএনএমে ভিড়িয়ে কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে আনার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে বিএনএমের ৮২ জন প্রার্থীর তালিকায় শাহ মোহাম্মদ আবু জাফরসহ বিএনপির তিনজন সাবেক সংসদ সদস্যের নাম দেখা গেছে। এ ছাড়া বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমরের নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হওয়ার ঘটনাকে বড় চমক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিকূল পরিবেশে আমাদের নেতা-কর্মীরা কাজ করছেন। যেভাবে ত্যাগ স্বীকার করে এখনো আন্দোলনকে এগিয়ে নিচ্ছেন, তাতে সামনে আমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখছি।’
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ ৪৪টি নিবন্ধিত দলের ৩০টি এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। এক দফা দাবির আন্দোলনে বিএনপির সঙ্গে যুক্ত কয়েকটি দলের নামও রয়েছে এই তালিকায়।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গতকাল শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ৩০ দলের নির্বাচনে অংশ নেওয়া বড় সাফল্য। বিএনপিরও তো ১৫ কেন্দ্রীয় নেতা, ৩০ সাবেক সংসদ সদস্য এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
যদিও ক্ষমতাসীন দলের একাধিক সূত্রের দাবি, বিএনপিকে নিয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী পরিকল্পনা সফল হয়নি। ২০১৪ ও ২০১৮-এর নির্বাচনের বিষয়ে নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে দেশি-বিদেশি নানা চাপ রয়েছে। সব মহলেরই চাওয়া, যেকোনো মূল্যে ওই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হতে হবে। সেই লক্ষ্য নিশ্চিত করতেই শুরু থেকে বিএনপির অংশবিশেষকে নির্বাচনে চেয়েছে সরকার। কিন্তু শেষমেশ বিএনপির গুটিকয়েক নেতা নির্বাচনে যাচ্ছেন। শাহজাহান ওমর ছাড়া উল্লেখ করার মতো কেউ নেই ওই তালিকায়। সমমনা দলগুলোকেও পরিকল্পনা অনুযায়ী কবজায় নেওয়া যায়নি। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমই শুধু তাঁর কল্যাণ পার্টিকে নিয়ে ভোটে অংশ নিচ্ছেন।
রাজনীতি-বিশ্লেষকেরা বলছেন, নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়া নিয়ে বিএনপিতে নিয়ে যে সংশয় সৃষ্টি হয়েছিল, তা এরই মধ্যে কেটে গেছে। ক্ষমতার মোহ, লোভ-লালসা ও চাপকে জয় করে বিএনপি নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে। এটাই তাদের সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব। নির্বাচনে অংশ না নিলেও বিএনপি লাভবান হয়েছে। অন্যদিকে নির্বাচন ঘিরে কিছু সিদ্ধান্ত ক্ষমতাসীনদের জন্য বুমেরাং হতে পারে বলেও মনে করছেন কেউ কেউ।
এলডিপির প্রেসিডেন্ট অলি আহমদ বীর বিক্রম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি মনে করি, কিছু গরু-ছাগল ছাড়া বিএনপিসহ বাকি বিরোধী দলগুলো ইমানি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার যুদ্ধে বেইমানির আশ্রয় নেয়নি, কোনো আপস করেনি। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে আমরা আমাদের সাধ্যমতো কাজ করে যাচ্ছি। ভালো কিছুই হবে আশা করছি।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি অনেকটা সময় নিয়ে পর্যায়ক্রমে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে পা বাড়িয়েছে। সমমনা দলগুলোকে নিয়ে অন্তত ছয় মাস ধরে তারা রাজপথে আছে সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের এক দফা দাবিতে। গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় সংঘর্ষের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মামলা-গ্রেপ্তারসহ নানামুখী চাপে বেশ বেকায়দায় পড়ে দলটি। অব্যাহত ধরপাকড়ের মুখে রাজপথ ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন দলটির নেতা-কর্মীরা।
বিএনপির নীতিনির্ধারকদের অভিযোগ, নির্বাচনে টানতে নেতাদের নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে, প্রলোভন দেখানো হয়েছে। এমন প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও দলের নেতারা ভোট বর্জনের সিদ্ধান্তকে ‘নৈতিক বিজয়’ বলে মনে করছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, ‘বিএনপিকে ভাঙার ষড়যন্ত্র এর আগেও অনেকবার হয়েছে। কোনো দিনও বিএনপিকে ভাঙা সম্ভব হয়নি। এখন নেতা-কর্মীরা আদর্শের জায়গায় অনেক বেশি শক্তিশালী।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, ‘দীর্ঘ মেয়াদে বিএনপি দল গোছানোর যে কাজ করেছে, সংগঠিত করেছে, তারই ফল তারা পেয়েছে। সব পরিস্থিতি মোকাবিলা করে নির্বাচন বর্জন করার মতো কঠিন সিদ্ধান্তে তারা অটল থাকতে পেরেছে। আমি মনে করি, চলমান আন্দোলন এর ফলে গতিশীল হবে।’
এ পর্যন্ত ১৪ নেতা বহিষ্কার
দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় এ পর্যন্ত ১৪ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। তাদের মধ্যে আটজন কেন্দ্রীয় নেতা, বাকি ছয়জন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের। বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বিভিন্ন সময়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নেতাদের বহিষ্কারের তথ্য জানান। বহিষ্কৃত আট কেন্দ্রীয় নেতা হলেন ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান, তাঁতীবিষয়ক সহসম্পাদক রাবেয়া সিরাজ, নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর, শাহ শহীদ সারোয়ার, মতিউর রহমান মন্টু, খন্দকার আহসান হাবিব ও এ কে এম ফখরুল ইসলাম।
জেলা-উপজেলা পর্যায়ের বহিষ্কৃত নেতারা হলেন শেরপুর জেলার সহদপ্তর সম্পাদক জায়েদুর রশিদ শ্যামল, সদস্য আবদুল্লাহ, পঞ্চগড় জেলার সদস্য আব্দুল আজিজ, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সদস্য মাহবুবুল হাসান, ঢাকার ধামরাই পৌর বিএনপির সভাপতি দেওয়ান নাজিম উদ্দিন মঞ্জু এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আবদুল মতিন।
বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলনরত বিএনপির ক্ষুব্ধ নেতাদের একটি বড় অংশ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে বলে কিছুদিন ধরেই গুঞ্জন ছিল। কয়েকজন মন্ত্রীসহ ক্ষমতাসীন দলের কোনো কোনো নেতার বক্তব্যে ওই গুঞ্জন ডালপালা ছড়ায়। বিএনপি শেষ পর্যন্ত দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার অবস্থানে অটল থাকা সত্ত্বেও ঐক্য অটুট থাকায় চলমান এক দফার আন্দোলন নিয়ে দারুণ উজ্জীবিত দলটি। বিএনপির ভোট বর্জনের এমন অবস্থানকে দেশের রাজনীতিতে ‘টার্নিং পয়েন্ট’ বলে মনে করছেন রাজনীতি-বিশ্লেষকেরা।
নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্রে জানা যায়, বিএনপির উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নেতাকে তৃণমূল বিএনপি ও বিএনএমে ভিড়িয়ে কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে আনার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে বিএনএমের ৮২ জন প্রার্থীর তালিকায় শাহ মোহাম্মদ আবু জাফরসহ বিএনপির তিনজন সাবেক সংসদ সদস্যের নাম দেখা গেছে। এ ছাড়া বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমরের নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হওয়ার ঘটনাকে বড় চমক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিকূল পরিবেশে আমাদের নেতা-কর্মীরা কাজ করছেন। যেভাবে ত্যাগ স্বীকার করে এখনো আন্দোলনকে এগিয়ে নিচ্ছেন, তাতে সামনে আমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখছি।’
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ ৪৪টি নিবন্ধিত দলের ৩০টি এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। এক দফা দাবির আন্দোলনে বিএনপির সঙ্গে যুক্ত কয়েকটি দলের নামও রয়েছে এই তালিকায়।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গতকাল শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ৩০ দলের নির্বাচনে অংশ নেওয়া বড় সাফল্য। বিএনপিরও তো ১৫ কেন্দ্রীয় নেতা, ৩০ সাবেক সংসদ সদস্য এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
যদিও ক্ষমতাসীন দলের একাধিক সূত্রের দাবি, বিএনপিকে নিয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী পরিকল্পনা সফল হয়নি। ২০১৪ ও ২০১৮-এর নির্বাচনের বিষয়ে নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে দেশি-বিদেশি নানা চাপ রয়েছে। সব মহলেরই চাওয়া, যেকোনো মূল্যে ওই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হতে হবে। সেই লক্ষ্য নিশ্চিত করতেই শুরু থেকে বিএনপির অংশবিশেষকে নির্বাচনে চেয়েছে সরকার। কিন্তু শেষমেশ বিএনপির গুটিকয়েক নেতা নির্বাচনে যাচ্ছেন। শাহজাহান ওমর ছাড়া উল্লেখ করার মতো কেউ নেই ওই তালিকায়। সমমনা দলগুলোকেও পরিকল্পনা অনুযায়ী কবজায় নেওয়া যায়নি। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমই শুধু তাঁর কল্যাণ পার্টিকে নিয়ে ভোটে অংশ নিচ্ছেন।
রাজনীতি-বিশ্লেষকেরা বলছেন, নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়া নিয়ে বিএনপিতে নিয়ে যে সংশয় সৃষ্টি হয়েছিল, তা এরই মধ্যে কেটে গেছে। ক্ষমতার মোহ, লোভ-লালসা ও চাপকে জয় করে বিএনপি নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে। এটাই তাদের সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব। নির্বাচনে অংশ না নিলেও বিএনপি লাভবান হয়েছে। অন্যদিকে নির্বাচন ঘিরে কিছু সিদ্ধান্ত ক্ষমতাসীনদের জন্য বুমেরাং হতে পারে বলেও মনে করছেন কেউ কেউ।
এলডিপির প্রেসিডেন্ট অলি আহমদ বীর বিক্রম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি মনে করি, কিছু গরু-ছাগল ছাড়া বিএনপিসহ বাকি বিরোধী দলগুলো ইমানি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার যুদ্ধে বেইমানির আশ্রয় নেয়নি, কোনো আপস করেনি। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে আমরা আমাদের সাধ্যমতো কাজ করে যাচ্ছি। ভালো কিছুই হবে আশা করছি।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি অনেকটা সময় নিয়ে পর্যায়ক্রমে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে পা বাড়িয়েছে। সমমনা দলগুলোকে নিয়ে অন্তত ছয় মাস ধরে তারা রাজপথে আছে সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের এক দফা দাবিতে। গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় সংঘর্ষের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মামলা-গ্রেপ্তারসহ নানামুখী চাপে বেশ বেকায়দায় পড়ে দলটি। অব্যাহত ধরপাকড়ের মুখে রাজপথ ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন দলটির নেতা-কর্মীরা।
বিএনপির নীতিনির্ধারকদের অভিযোগ, নির্বাচনে টানতে নেতাদের নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে, প্রলোভন দেখানো হয়েছে। এমন প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও দলের নেতারা ভোট বর্জনের সিদ্ধান্তকে ‘নৈতিক বিজয়’ বলে মনে করছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, ‘বিএনপিকে ভাঙার ষড়যন্ত্র এর আগেও অনেকবার হয়েছে। কোনো দিনও বিএনপিকে ভাঙা সম্ভব হয়নি। এখন নেতা-কর্মীরা আদর্শের জায়গায় অনেক বেশি শক্তিশালী।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, ‘দীর্ঘ মেয়াদে বিএনপি দল গোছানোর যে কাজ করেছে, সংগঠিত করেছে, তারই ফল তারা পেয়েছে। সব পরিস্থিতি মোকাবিলা করে নির্বাচন বর্জন করার মতো কঠিন সিদ্ধান্তে তারা অটল থাকতে পেরেছে। আমি মনে করি, চলমান আন্দোলন এর ফলে গতিশীল হবে।’
এ পর্যন্ত ১৪ নেতা বহিষ্কার
দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় এ পর্যন্ত ১৪ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। তাদের মধ্যে আটজন কেন্দ্রীয় নেতা, বাকি ছয়জন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের। বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বিভিন্ন সময়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নেতাদের বহিষ্কারের তথ্য জানান। বহিষ্কৃত আট কেন্দ্রীয় নেতা হলেন ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান, তাঁতীবিষয়ক সহসম্পাদক রাবেয়া সিরাজ, নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর, শাহ শহীদ সারোয়ার, মতিউর রহমান মন্টু, খন্দকার আহসান হাবিব ও এ কে এম ফখরুল ইসলাম।
জেলা-উপজেলা পর্যায়ের বহিষ্কৃত নেতারা হলেন শেরপুর জেলার সহদপ্তর সম্পাদক জায়েদুর রশিদ শ্যামল, সদস্য আবদুল্লাহ, পঞ্চগড় জেলার সদস্য আব্দুল আজিজ, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সদস্য মাহবুবুল হাসান, ঢাকার ধামরাই পৌর বিএনপির সভাপতি দেওয়ান নাজিম উদ্দিন মঞ্জু এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আবদুল মতিন।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে