গঙ্গাচড়া ও তারাগঞ্জ প্রতিনিধি
গঙ্গাচড়া উপজেলার তিস্তার চরের পশ্চিম ইচলি গ্রামের বাসিন্দারা ২৫ দিন ধরে অন্ধকারে আছেন। গত ২০ অক্টোবরের আকস্মিক ঢলে দুটি বৈদ্যুতিক খুঁটি হেলে পড়ায় গ্রামটি বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা নেয়নি স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। এতে ভুতুড়ে অন্ধকারে চুরির আতঙ্কে রাত কাটছে পরিবারগুলোর।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ২০ অক্টোবর সন্ধ্যার আগে ভারতে বাঁধ খুলে দেওয়ায় তিস্তা নদীতে আকস্মিক ঢল দেখা দেয়। এর স্থায়িত্ব ছিল মাত্র ৩০ মিনিট। কিন্তু এই ঢলের তোড়ে চরের পশ্চিম ইচলি গ্রামের অন্তত ৪০টি পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে।
নদীতে বসতঘর বিলীন হয় ১৮টি। পানির তোড়ে ভেসে যান গ্রামের দিনমজুর নয়া মিয়া (৬৫)। সেই সঙ্গে অনেকে গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি ও ধান-চাল হারান। বৈদ্যুতিক খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় অর্ধশতাধিক। চরের আধাপাকা আমন ধান ও মিষ্টি কুমড়ার খেত চাপা পড়ে বালুর নিচে। গ্রামে যাওয়া-আসার কাঁচা রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পশ্চিম ইচলি গ্রামটি এলোমেলো হয়ে গেছে। ইচলি জামে মসজিদের পশ্চিমে ও পূর্বে থাকা দুটি বৈদ্যুতিক খুঁটি হেলে পড়ে আছে। এ কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় গত ২০ অক্টোবর থেকে গ্রামটি অন্ধকারে রয়েছে।
গ্রামের বাসিন্দা হাছিনুজ্জামানের অভিযোগ, স্থানীয় বিদ্যুৎ কার্যালয়ে বারবার অভিযোগ করা হলেও খুঁটি দুটি ঠিক করে দেওয়া হয়নি। বিদ্যুৎ না থাকায় সন্ধ্যার পরই গ্রামটি ঘুটঘুটে অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। রাতে চুরির আতঙ্কে থাকেন লোকজন।
গ্রামের গৃহবধূ মোসলেমা বেগম বলেন, ‘বিদ্যুৎ নাই ২৫ দিন থাকি। ছাওয়াগুলাক কুপির আলোত নেকাপড়া করির নাগোছে। রাইত হইলে চোর ডাকাইতের ভয় নাগে।’
বিদ্যুৎ না থাকায় মাইকে আজান দেওয়া হয় না বলে জানান ইচলি জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন বকুল হোসেন।
গ্রামের আরেক বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, ‘বিদ্যুৎ অফিসোত দরখাস্ত দিছি তাও কাম হওচে না। হামরা কি দ্যাশের নাগরিক নোয়াই?’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে গঙ্গাচড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর জোনাল ম্যানেজার আবদুল জলিল বলেন, ‘আমাদের কাজ অব্যাহত আছে। আগামী সপ্তাহে ওই এলাকায় সংযোগ দেওয়া সম্ভব হবে।’
গঙ্গাচড়া উপজেলার তিস্তার চরের পশ্চিম ইচলি গ্রামের বাসিন্দারা ২৫ দিন ধরে অন্ধকারে আছেন। গত ২০ অক্টোবরের আকস্মিক ঢলে দুটি বৈদ্যুতিক খুঁটি হেলে পড়ায় গ্রামটি বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা নেয়নি স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। এতে ভুতুড়ে অন্ধকারে চুরির আতঙ্কে রাত কাটছে পরিবারগুলোর।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ২০ অক্টোবর সন্ধ্যার আগে ভারতে বাঁধ খুলে দেওয়ায় তিস্তা নদীতে আকস্মিক ঢল দেখা দেয়। এর স্থায়িত্ব ছিল মাত্র ৩০ মিনিট। কিন্তু এই ঢলের তোড়ে চরের পশ্চিম ইচলি গ্রামের অন্তত ৪০টি পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে।
নদীতে বসতঘর বিলীন হয় ১৮টি। পানির তোড়ে ভেসে যান গ্রামের দিনমজুর নয়া মিয়া (৬৫)। সেই সঙ্গে অনেকে গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি ও ধান-চাল হারান। বৈদ্যুতিক খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় অর্ধশতাধিক। চরের আধাপাকা আমন ধান ও মিষ্টি কুমড়ার খেত চাপা পড়ে বালুর নিচে। গ্রামে যাওয়া-আসার কাঁচা রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পশ্চিম ইচলি গ্রামটি এলোমেলো হয়ে গেছে। ইচলি জামে মসজিদের পশ্চিমে ও পূর্বে থাকা দুটি বৈদ্যুতিক খুঁটি হেলে পড়ে আছে। এ কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় গত ২০ অক্টোবর থেকে গ্রামটি অন্ধকারে রয়েছে।
গ্রামের বাসিন্দা হাছিনুজ্জামানের অভিযোগ, স্থানীয় বিদ্যুৎ কার্যালয়ে বারবার অভিযোগ করা হলেও খুঁটি দুটি ঠিক করে দেওয়া হয়নি। বিদ্যুৎ না থাকায় সন্ধ্যার পরই গ্রামটি ঘুটঘুটে অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। রাতে চুরির আতঙ্কে থাকেন লোকজন।
গ্রামের গৃহবধূ মোসলেমা বেগম বলেন, ‘বিদ্যুৎ নাই ২৫ দিন থাকি। ছাওয়াগুলাক কুপির আলোত নেকাপড়া করির নাগোছে। রাইত হইলে চোর ডাকাইতের ভয় নাগে।’
বিদ্যুৎ না থাকায় মাইকে আজান দেওয়া হয় না বলে জানান ইচলি জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন বকুল হোসেন।
গ্রামের আরেক বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, ‘বিদ্যুৎ অফিসোত দরখাস্ত দিছি তাও কাম হওচে না। হামরা কি দ্যাশের নাগরিক নোয়াই?’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে গঙ্গাচড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর জোনাল ম্যানেজার আবদুল জলিল বলেন, ‘আমাদের কাজ অব্যাহত আছে। আগামী সপ্তাহে ওই এলাকায় সংযোগ দেওয়া সম্ভব হবে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে