তাসনীম হাসান, চট্টগ্রাম
ডান কাঁধের ওপর জন্ম নেওয়া টিউমার সদৃশ ফোড়াটা বড় হতে হতে ঝুলে গেছে কোমর পর্যন্ত। শরীরে এই অযাচিত ভার বহনে এমনিতেই অস্বস্তিতে আছেন মোহাম্মদ রানা। এর ওপর পুরো শরীরে দেখা দিচ্ছে অসংখ্য ফোড়া। খানিক পর পর ওই সব ফোড়ায় শুরু হয় চুলকানি। এই রোগে ভুগে স্বাস্থ্যের দশা করুণ, শরীরের উচ্চতাও বাড়েনি। তবুও যন্ত্রণা-কষ্ট সয়েও চট্টগ্রাম শহরে রিকশা চালিয়ে যাচ্ছেন এই তরুণ।
দরিদ্র রানার রিকশা চালানোর পেছনের কারণও ওই টিউমার। প্রতিদিন রিকশা চালিয়ে টাকা জমাচ্ছেন তিনি। এর একটি অংশ পাঠিয়ে দেন মা-বাবার কাছে। বাকি টাকা থেকে নিজের খরচ বাদে জমা করছেন। লক্ষ্য অন্তত এক লাখ টাকা জমা করা। এই পরিমাণ টাকা জমা হলেই টিউমার অপসারণে করাতে চান অস্ত্রোপচার।
নীলফামারী সদর উপজেলার পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মোহাম্মদ রানা। এলাকার এক বড় ভাইয়ের সহায়তায় মাস দু-এক আগে তিনি চট্টগ্রাম শহরে আসেন। এরপর এক মালিকের কাছ থেকে রিকশা ভাড়া নিয়ে চালাতে শুরু করেন। চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার মাঝির দোকান এলাকায় বেশি থাকেন তিনি।
সোমবার রাতে রানাকে পাওয়া গেল নগরীর বহদ্দারহাট মোড়ে। পিঠের টিউমারটা বড় হওয়ায় শার্ট ফুঁড়েই যেন বেরিয়ে আসছিল। চার ফুটের একটু বেশি উচ্চতার কারণে ভালো করে রিকশার প্যাডেলে পা ছুঁতে পারেন না রানা। রিকশা চালাতে তাই তাঁকে আসনে ছেড়ে বসতে হয় সামনের লোহার পাতে। জানতে চাইলে ৩০ বছর বয়সী এই তরুণ খুলে বলেন তাঁর দুঃখের গল্প।
রানার বয়স তখন ১০ কিংবা ১১। পড়তেন পঞ্চম শ্রেণিতে। ওই বয়সে একদিন শরীরে ফোড়ার মতো কিছু একটার উপস্থিতি ধরা পড়ে। সময় যত গড়াতে থাকে তত সেটি বড় হতে থাকে। চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে তাঁরা এটিকে টিউমার হিসেবে চিহ্নিত করেন। ধীরে ধীরে শরীরের অন্যান্য জায়গাতেও এ রকম ছোট ছোট টিউমার হতে থাকে। এ কারণে আর পড়ালেখা করাও হয়নি রানার।
রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অভাবের সংসার। নুন-আনতে পান্তা ফুরায় দশা। বড় ভাই আর বোন বিয়ে করে সংসারী হন। টাকার কারণে ভালো চিকিৎসাও করাতে পারিনি। আবার টিউমারের কারণে কোথাও চাকরিও হচ্ছিল না। সবাই একই কথা বলেন ‘‘তুমি আনফিট’’। সে জন্য দেড় বছর আগে একজন ভালো চিকিৎসকের কাছে যাই। তিনি জানান, এই টিউমার অপসারণ করতে অস্ত্রোপচার করাতে হবে। তাতে অন্তত এক লাখ টাকা খরচ পড়বে বলে জানান।’
তবে এরপর করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ায় কোনো কাজ করতে পারেননি রানা। করোনা কিছুটা কমতেই নেমে পড়েছেন রিকশা নিয়ে। কত টাকা জমালেন? এমন প্রশ্নে রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাড়ে পাঁচ হাজার জমা হয়েছে। অনেকে বলেন, মানুষের কাছে ধরনা দিতে। কিন্তু আমার এভাবে টাকা তুলতে লজ্জা লাগে। অনেক কষ্ট হলেও তাই রিকশা চালাচ্ছি। আশা করছি, আগামী এক বছরের মধ্যে এক লাখ টাকা জমিয়ে অস্ত্রোপচার করতে পারব। তারপর ইনশা আল্লাহ ভালো কোনো চাকরি করব।’
ডান কাঁধের ওপর জন্ম নেওয়া টিউমার সদৃশ ফোড়াটা বড় হতে হতে ঝুলে গেছে কোমর পর্যন্ত। শরীরে এই অযাচিত ভার বহনে এমনিতেই অস্বস্তিতে আছেন মোহাম্মদ রানা। এর ওপর পুরো শরীরে দেখা দিচ্ছে অসংখ্য ফোড়া। খানিক পর পর ওই সব ফোড়ায় শুরু হয় চুলকানি। এই রোগে ভুগে স্বাস্থ্যের দশা করুণ, শরীরের উচ্চতাও বাড়েনি। তবুও যন্ত্রণা-কষ্ট সয়েও চট্টগ্রাম শহরে রিকশা চালিয়ে যাচ্ছেন এই তরুণ।
দরিদ্র রানার রিকশা চালানোর পেছনের কারণও ওই টিউমার। প্রতিদিন রিকশা চালিয়ে টাকা জমাচ্ছেন তিনি। এর একটি অংশ পাঠিয়ে দেন মা-বাবার কাছে। বাকি টাকা থেকে নিজের খরচ বাদে জমা করছেন। লক্ষ্য অন্তত এক লাখ টাকা জমা করা। এই পরিমাণ টাকা জমা হলেই টিউমার অপসারণে করাতে চান অস্ত্রোপচার।
নীলফামারী সদর উপজেলার পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মোহাম্মদ রানা। এলাকার এক বড় ভাইয়ের সহায়তায় মাস দু-এক আগে তিনি চট্টগ্রাম শহরে আসেন। এরপর এক মালিকের কাছ থেকে রিকশা ভাড়া নিয়ে চালাতে শুরু করেন। চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার মাঝির দোকান এলাকায় বেশি থাকেন তিনি।
সোমবার রাতে রানাকে পাওয়া গেল নগরীর বহদ্দারহাট মোড়ে। পিঠের টিউমারটা বড় হওয়ায় শার্ট ফুঁড়েই যেন বেরিয়ে আসছিল। চার ফুটের একটু বেশি উচ্চতার কারণে ভালো করে রিকশার প্যাডেলে পা ছুঁতে পারেন না রানা। রিকশা চালাতে তাই তাঁকে আসনে ছেড়ে বসতে হয় সামনের লোহার পাতে। জানতে চাইলে ৩০ বছর বয়সী এই তরুণ খুলে বলেন তাঁর দুঃখের গল্প।
রানার বয়স তখন ১০ কিংবা ১১। পড়তেন পঞ্চম শ্রেণিতে। ওই বয়সে একদিন শরীরে ফোড়ার মতো কিছু একটার উপস্থিতি ধরা পড়ে। সময় যত গড়াতে থাকে তত সেটি বড় হতে থাকে। চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে তাঁরা এটিকে টিউমার হিসেবে চিহ্নিত করেন। ধীরে ধীরে শরীরের অন্যান্য জায়গাতেও এ রকম ছোট ছোট টিউমার হতে থাকে। এ কারণে আর পড়ালেখা করাও হয়নি রানার।
রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অভাবের সংসার। নুন-আনতে পান্তা ফুরায় দশা। বড় ভাই আর বোন বিয়ে করে সংসারী হন। টাকার কারণে ভালো চিকিৎসাও করাতে পারিনি। আবার টিউমারের কারণে কোথাও চাকরিও হচ্ছিল না। সবাই একই কথা বলেন ‘‘তুমি আনফিট’’। সে জন্য দেড় বছর আগে একজন ভালো চিকিৎসকের কাছে যাই। তিনি জানান, এই টিউমার অপসারণ করতে অস্ত্রোপচার করাতে হবে। তাতে অন্তত এক লাখ টাকা খরচ পড়বে বলে জানান।’
তবে এরপর করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ায় কোনো কাজ করতে পারেননি রানা। করোনা কিছুটা কমতেই নেমে পড়েছেন রিকশা নিয়ে। কত টাকা জমালেন? এমন প্রশ্নে রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাড়ে পাঁচ হাজার জমা হয়েছে। অনেকে বলেন, মানুষের কাছে ধরনা দিতে। কিন্তু আমার এভাবে টাকা তুলতে লজ্জা লাগে। অনেক কষ্ট হলেও তাই রিকশা চালাচ্ছি। আশা করছি, আগামী এক বছরের মধ্যে এক লাখ টাকা জমিয়ে অস্ত্রোপচার করতে পারব। তারপর ইনশা আল্লাহ ভালো কোনো চাকরি করব।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪