নোয়াখালীর সেনবাগের আশঙ্কাজনকভাবে চুরির ঘটনা বাড়ছে। উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নে বিভিন্ন এলাকায় জানুয়ারি মাসে ১০টি গরু, ৩০টি টিউবওয়েল ও ৩টি অটোরিকশাসহ ডিসি ব্যাটারি চুরির ঘটনায় এলাকাবাসী আতঙ্ক রয়েছে।

গত শুক্রবার বিকেলে ছাতারপাইয়ার পরিবেশ আন্দোলনের নেতা জসিম মিলন বলেন, এক মাসে বিরাহীমপুর সোহাগ টেইলার্সের ১টি টিউবওয়েল, ফকির বাড়ি মসজিদের ১টি, মমিনের ১টি, বসন্তপুর ডিপের মাথার মসজিদের ২টি টিউবওয়েল ও অটোরিকশার ব্যাটারি চুরি হয়।

এদিকে কাবিলপুর খামার বাড়িতে এক রাতে ৯টি টিউবওয়েল, সিদ্দিক ভূঁইয়ার (সরকারি) টিউবওয়েল, সাত্তার ভূঁইয়ার বাড়ির পাশের দোকানের টিউবওয়েল চুরি হয়।

মাহাতাবপুর বড়বাড়ির সামনে একটি দোকানের টিউবওয়েল, আম্বর আলী মুন্সিবাড়ির মসজিদের টিউবওয়েল ও মসজিদের ব্যাটারি ও স্থানীয় সেলিমের একটি অটোরিকশা চুরি হয়।

একইভাবে ঠনারপাড় ভূঁইয়া বাড়ির একটি, লেমুয়া ফকিরবাড়ির টিউবওয়েল, একই এলাকার সিরাজ মিয়ার ছেলের একটি অটোরিকশা চুরি হয়। পাঁচতুফার নুর নবীর একটি টিউবওয়েল, ইসমাইলের টিউবওয়েল, খোরশেদ আলমের টিউবওয়েল, প্রবাসী কামালের টিউবওয়েল, আবদুল মোতালেব মিয়া, লতিফ মিয়া ও বাকের হোসেনের একটি গরু চুরি হয়।

চিলাদির বাচ্ছু মিয়ার দুটি গরু ও নতুন পাড়া মসজিদের একটি টিউবওয়েল, জব্বার টেইলার্সের একটি টিউবওয়েল দুর্বৃত্তরা নিয়ে যান। এর আগে পাঁচতুফার মফিজ মিয়ার ৩টি গরু চুরি হয়। পরে চোর চক্রের সঙ্গে নগদ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে ছাতারপাইয়া পশ্চিম পাড়া থেকে গরুগুলো ফিরে পান ভুক্তভোগী মফিজ মিয়া।

ছাতারপাইয়া ইউনিয়নে চুরির ঘটনা বৃদ্ধিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয় গোলাম হোসেন বলেন, পুলিশি টহল বৃদ্ধি করে মূল হোতাদের গ্রেপ্তার করতে পারে পুলিশ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক লোকজন বলেন, মজুমদার বাড়ির সাকন, জাফর ও ইউছুফের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে গরু, টিউবওয়েল, অটোরিকশাসহ বিভিন্ন অপরাধ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারি বলেন, চোর চক্রকে অল্প সময়ের মধ্যেই আইনের আওতায় আনা হবে। অপরাধ দমনে পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে।