সম্পাদকীয়
আমাদের ভয়াবহ সব দোষ, বিচ্যুতি ও ব্যর্থতাকে তুলে ধরা এবং অন্ধকার ও বিপৎসংকুল সব স্বপ্নকে আলোর পথে নিয়ে আসা লেখকের দায়িত্ব। তা ছাড়া মানুষের মহানুভবতা, আত্মশক্তি, পরাজয়ের মধ্যেও বীরত্বটুকু ধরে রাখা, প্রেম, সহানুভূতি ও সাহস উদযাপন করার দায় বর্তায় লেখকের কাঁধে। দুর্বলতা ও হতাশার বিরুদ্ধে নিরন্তর যুদ্ধে তাঁরাই তো উজ্জ্বল পতাকা, যা আশার বার্তা দিয়ে যায়।
আমার মতে, যে লেখক তীব্রভাবে মানুষের নিখুঁত সত্তায় আস্থা রাখতে পারেন না, তাঁর সাহিত্যের প্রতিও কোনো দায়বদ্ধতা নেই। তিনি সাহিত্যজগতের স্থায়ী সদস্যও নন। কিন্তু আজ বিশ্বজনীন এক আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। তার কারণ, আমাদের জ্ঞান-বিজ্ঞানের অগ্রগতির অপপ্রয়োগ। কিছুটা কারণ আজকের পার্থিব বিশ্বে তৈরি হওয়া কিছু বিপদও। মানবজাতির দীর্ঘ ও গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে প্রকৃতির বিরুদ্ধতার সঙ্গে লড়াইয়ের। জিততে পারা যাবে না জেনেও বা বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার আগে পর্যন্ত এই লড়াই চলেছে।
আলফ্রেড নোবেলের জীবনী পড়ছিলাম আমি। তিনি একজন নির্জন একাকী মানুষ। চিন্তামগ্ন। বিস্ফোরণ ঘটানোর বিদ্যায় তিনি পারদর্শিতা অর্জন করেন, অশুভকে ধ্বংস করে শুভশক্তি তৈরির ক্ষমতা তাঁর ছিল। কিন্তু তাঁর হাতে কোনো উপায় ছিল না। তিনি দেখেছিলেন তাঁর কিছু আবিষ্কারের নিষ্ঠুর এবং রক্তাক্ত ব্যবহার। হয়তো মনশ্চক্ষে দেখেছিলেন তাঁর অনুসন্ধানের শেষ পরিণতি হবে চরম হিংসাত্মক অস্ত্র। অনেকে বলেন, তিনি নিরাশ হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু আমি সে কথা বিশ্বাস করি না। তিনি চেষ্টা করেছিলেন গোটা বিষয়কে নিয়ন্ত্রণ করতে। একটা সেফটি ভালভ খুঁজতে। শেষ পর্যন্ত সেটা খুঁজে পেয়েছিলেন মানবাত্মার মধ্যে, মানুষের শুভ চেতনার মধ্যেই। আমার মতে, এই পুরস্কারের যে পর্যায় বিন্যাস করা হয়েছে তা তাঁর চিন্তারই প্রতিফলন। মানুষ ও বিশ্ব সম্পর্কে তাঁর ধারাবাহিক এবং ক্রমবর্ধমান জ্ঞানের জন্যই এই পুরস্কার দেওয়া হয়ে থাকে। এই বিশ্বকে জানা, বোঝা এবং যোগাযোগ গড়ে তোলার জন্য।
জন্মসূত্রে জার্মান লেখক জন স্টাইনবেক ১৯৬২ সালে নোবেল পুরস্কার পান।
আমাদের ভয়াবহ সব দোষ, বিচ্যুতি ও ব্যর্থতাকে তুলে ধরা এবং অন্ধকার ও বিপৎসংকুল সব স্বপ্নকে আলোর পথে নিয়ে আসা লেখকের দায়িত্ব। তা ছাড়া মানুষের মহানুভবতা, আত্মশক্তি, পরাজয়ের মধ্যেও বীরত্বটুকু ধরে রাখা, প্রেম, সহানুভূতি ও সাহস উদযাপন করার দায় বর্তায় লেখকের কাঁধে। দুর্বলতা ও হতাশার বিরুদ্ধে নিরন্তর যুদ্ধে তাঁরাই তো উজ্জ্বল পতাকা, যা আশার বার্তা দিয়ে যায়।
আমার মতে, যে লেখক তীব্রভাবে মানুষের নিখুঁত সত্তায় আস্থা রাখতে পারেন না, তাঁর সাহিত্যের প্রতিও কোনো দায়বদ্ধতা নেই। তিনি সাহিত্যজগতের স্থায়ী সদস্যও নন। কিন্তু আজ বিশ্বজনীন এক আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। তার কারণ, আমাদের জ্ঞান-বিজ্ঞানের অগ্রগতির অপপ্রয়োগ। কিছুটা কারণ আজকের পার্থিব বিশ্বে তৈরি হওয়া কিছু বিপদও। মানবজাতির দীর্ঘ ও গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে প্রকৃতির বিরুদ্ধতার সঙ্গে লড়াইয়ের। জিততে পারা যাবে না জেনেও বা বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার আগে পর্যন্ত এই লড়াই চলেছে।
আলফ্রেড নোবেলের জীবনী পড়ছিলাম আমি। তিনি একজন নির্জন একাকী মানুষ। চিন্তামগ্ন। বিস্ফোরণ ঘটানোর বিদ্যায় তিনি পারদর্শিতা অর্জন করেন, অশুভকে ধ্বংস করে শুভশক্তি তৈরির ক্ষমতা তাঁর ছিল। কিন্তু তাঁর হাতে কোনো উপায় ছিল না। তিনি দেখেছিলেন তাঁর কিছু আবিষ্কারের নিষ্ঠুর এবং রক্তাক্ত ব্যবহার। হয়তো মনশ্চক্ষে দেখেছিলেন তাঁর অনুসন্ধানের শেষ পরিণতি হবে চরম হিংসাত্মক অস্ত্র। অনেকে বলেন, তিনি নিরাশ হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু আমি সে কথা বিশ্বাস করি না। তিনি চেষ্টা করেছিলেন গোটা বিষয়কে নিয়ন্ত্রণ করতে। একটা সেফটি ভালভ খুঁজতে। শেষ পর্যন্ত সেটা খুঁজে পেয়েছিলেন মানবাত্মার মধ্যে, মানুষের শুভ চেতনার মধ্যেই। আমার মতে, এই পুরস্কারের যে পর্যায় বিন্যাস করা হয়েছে তা তাঁর চিন্তারই প্রতিফলন। মানুষ ও বিশ্ব সম্পর্কে তাঁর ধারাবাহিক এবং ক্রমবর্ধমান জ্ঞানের জন্যই এই পুরস্কার দেওয়া হয়ে থাকে। এই বিশ্বকে জানা, বোঝা এবং যোগাযোগ গড়ে তোলার জন্য।
জন্মসূত্রে জার্মান লেখক জন স্টাইনবেক ১৯৬২ সালে নোবেল পুরস্কার পান।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪