Ajker Patrika

লোডশেডিংয়ের সুযোগে মুনাফা

খুলনা প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ আগস্ট ২০২২, ১১: ৫৯
লোডশেডিংয়ের সুযোগে মুনাফা

দফায় দফায় লোডশেডিং; তার ওপর তীব্র গরম। এ থেকে রক্ষা পেতে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের ভরসা চার্জার ফ্যানের বাতাস। এ জন্য ১৫ দিন ধরে বেড়েছে চার্জার ফ্যান বিক্রি। আর এ সুযোগে ব্যবসায়ীরা ফ্যানের দাম মনগড়া বাড়িয়ে নিচ্ছেন বলে ক্রেতারা অভিযোগ করেছেন।

প্রকৃতির নিয়মে এখন বর্ষাকাল চললেও নেই কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি। মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হলেও কমছে না গরম। জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে চলছে দিনে-রাতে সমানতালে লোডশেডিং। এ কারণে চার্জার ফ্যানের দোকানে ভিড় করছে মানুষ।

ক্রেতাদের চাহিদামতো তা সরবরাহ করতে দোকানিরা হিমশিম খাচ্ছেন। ফুরিয়ে গেছে অনেক দোকানে থাকা চার্জার ফ্যানের স্টক। এ সুযোগে ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করছেন এ ফ্যান।

নগরীর হার্ডমেটাল গ্যালারি, ডাকবাংলা মোড় ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মার্কেটে ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। চাহিদা অনুযায়ী ফ্যান না থাকায় ব্যবসায়ীরা যে যাঁর মতো দাম রেখে বিক্রি করছে ফ্যান। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মার্কেটের ব্যবসায়ী খায়রুল বাসার বলেন, গরমের শুরু থেকে চার্জার ফ্যানের চাহিদা একটু বেড়েছে। এক সপ্তাহ ধরে ক্রেতারা চার্জার ফ্যানের জন্য দোকানে ভিড় করছেন।

একই মার্কেটের অপর ব্যবসায়ী বলেন, চার্জার ফ্যান মূলত আসে চীন থেকে। আমদানিকারকদের সংকটের কথা জানালে উত্তরে বলেন, শুল্কের হার বেড়েছে। বেড়েছে ডলারের দাম। বেড়েছে পরিবহন খরচ। ফ্যানের চাহিদার কথা বললে তাঁরা নির্ধারিত দাম থেকে আরও পাঁচশ বা এক হাজার টাকা বাড়িয়ে বলেন। সর্বশেষ লোডশেডিংয়ের প্রভাব পড়েছে। ক্রেতারা ফ্যান কিনছেন তাঁদের সাধ্য অনুযায়ী।

নগরীর ডাকবাংলা মোড়ের ব্যবসায়ী সাগর হোসেন বলেন, বছর পাঁচেক আগেও লোডশেডিং হতো বেশি। মাঝে খুলনার মানুষ লোডশেডিং ভুলে গিয়েছিল। সে সময় চার্জার ফ্যানের চাহিদা এমনটি ছিল না। কিন্তু বর্তমানে লোডশেডিং ও গরমের কারণে ফ্যানের চাহিদা বেড়েছে। অনেক দোকানে ফ্যানই নেই। পাঁচশ টাকার চার্জার ফ্যান এক হাজার টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।

হার্ডমেটাল গ্যালারির ব্যবসায়ী ফিরোজ বলেন, চার্জার ফ্যানের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। ঢাকায় অর্ডার দিয়েও পাওয়া যাচ্ছে না। ৩ হাজার ৫০০ টাকার ফ্যান ৬ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। ক্রেতা জামাল হোসেন বলেন, নগরীর বিভিন্ন দোকানে গেছেন চার্জার ফ্যান কেনার জন্য, কিন্তু পাননি।

হার্ডমেটাল গ্যালারিতে এসেছিলেন চার্জার ফ্যান কিনতে। কিন্তু দাম বেড়েছে অনেক। অনেক দর-কষাকষির পর ১২ ইঞ্চির একটি ফ্যান কিনেছেন ৪ হাজার টাকায়। অথচ স্বাভাবিক সময়ে দাম ছিল ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা।

নগরীর বয়রা এলাকার হাবিবা সুলতানা বলেন, প্রচণ্ড গরম পড়ছে। তারপর চলছে লোডশেডিং। লেখাপড়া করা দায় হয়ে পড়েছে। গরমের হাত থেকে রক্ষা পেতে তিনি একটি চার্জার ফ্যান কিনেছেন। ব্যবসায়ীরা সংকটের কথা জানিয়ে পাঁচশ টাকার ফ্যান ১ হাজার টাকা নিয়েছেন।

এ ব্যাপারে খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক মফিদুল ইসলাম টুটুল বলেন, এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে চার্জার ফ্যানের দাম বৃদ্ধি করছে। তিনি বলেন, পূর্ব নির্ধারিত দামে ফ্যান পাওয়া যাচ্ছে না। এ কাজে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি করেছেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

৬ জ্যান্ত হাতি নিয়ে রাশিয়ায় মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান, উচ্ছ্বসিত পুতিন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত