হুমায়ুন মাসুদ, চট্টগ্রাম
‘একবার ফয়’স লেকে একটি অপারেশনে বিহারি এলাকায় আমরা ৭০ থেকে ৮০ জন গিয়েছিলাম। ৩০ মিনিটের মধ্যে অপারেশন শেষ করতে হবে। অর্থাৎ বিস্ফোরক ফিট করে ৩০ মিনিটের মধ্যে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। বিস্ফোরকটা ফিট করে যখন আমরা বের হয়ে আসছিলাম, তখন ফজরের নামাজ পড়ে বের হওয়া মুসল্লিরা আমাদের ঘেরাও করে ফেলেন। তাঁরা আমাদের ডাকাত ভেবে ঘেরাও করেন। পরে ওই এলাকার একজন আমাকে দেখে বলেন—কিরে মাহফুজ তুই! এখানে কী করিস? পরে আমি বললাম চাচা, তাড়াতাড়ি আমাদের ছেড়ে দেন, ফুটবে। এরপর তাঁরা আমাদের স্কট দিয়ে বিহারি এলাকা থেকে নিরাপদে রেললাইনের ওপারে পৌঁছে দেন। রেললাইনের ওপারে আমাদের জন্য নিরাপদ ছিল। কারণ সেখানে ৮টার মতো এলএনজি স্থাপন করা ছিল।’
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বর্ণনা করতে গিয়ে সাধারণ মানুষের সহযোগিতার কথা বড় করে তুলে ধরেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান। মুক্তিযুদ্ধের পর কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়ে তিনি গড়ে তোলেন ‘বাংলাদেশ মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র’। ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই গবেষণা কেন্দ্রটি এখন হয়ে উঠেছে চট্টগ্রামের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ের বাতিঘর। ১৪টি বইয়ে ৪ হাজার মুক্তিযোদ্ধার সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছেন তিনি। একইভাবে ডা. মাহফুজুর রহমান হয়ে উঠেছেন মুক্তিযুদ্ধে জীবন্ত জাদুঘর।
চট্টগ্রাম নগরীতে প্রায় ৩০ থেকে ৪০টা ট্রেনিং সেন্টার ছিল জানিয়ে ডা. মাহফুজুর বলেন, ‘শহরের যেসব স্থানে ট্রেনিং সেন্টার ছিল। সাধারণ জনগণ এগুলো জানত। মুক্তিযোদ্ধারা কোথায় থাকত অনেকটা ওপেন সিক্রেট ছিল। কিন্তু কেউ কখনো এটা পাকিস্তানিদের বলেনি। উল্টো নানাভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করত। জনগণ যদি পাশে না থাকত, আমরা একদিনও চট্টগ্রামে টিকে থাকতে পারতাম না। এই কথাটা বাংলাদেশের টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত সত্য। কারণ আমি সারা দেশ ঘুরে মুক্তিযুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ করেছি। কিছু কিছু জায়গায় বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। জনগণ পাশে ছিল বলেই মুক্তিযুদ্ধে আমাদের সহজ বিজয় হয়েছে।’
মুক্তিযুদ্ধে সাধারণ মানুষের সহযোগিতা অস্বীকার করার সুযোগ নেই জানিয়ে মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘জনগণকে বাদ দিয়ে যদি কেউ বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করে ফেলেছি, এটা কাল্পনিক কথা। এটা অনেকেই বলেন, বিশেষ করে যাঁরা মিলিটারিতে ছিলেন। তাঁরা অনেকে এটা মনে করেন, তাঁদের প্রতিরোধ যুদ্ধের কারণে দেশ স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু তিনি সত্যটা জানেন না। একাত্তর সালে মুষ্টিমেয় জনগোষ্ঠী ছাড়া আর বাকি সবাই প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এমনও ঘটনা আছে, রাজাকারের স্ত্রী মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে ছিল।’
স্মৃতিচারণ করে মুক্তিযুদ্ধের গবেষক ডা. মাহফুজুর বলেন, ‘মিরসরাই উপজেলার কমান্ডার খুরশেদ আলম, এখন মারা গেছে। ও একবার এক বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। ওই বাড়ির বুড়ি বলছেন—তোরা ভালো করে খাওয়া ধাওয়া করে তাড়াতাড়ি চলে যা, আমার স্বামী বদ লোক। হারামজাদা রাজাকার, ও এসে তোদের ধরিয়ে দেবে। এই নারীর মতো দেশের প্রায় ৯৯ শতাংশ নারী মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে ছিলেন।’
অস্ত্র বহনে মানুষের সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে ডা. মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘কাট্টলী এলাকার সরাইপাড়া, ওখানে প্রায় বাড়িতে অস্ত্র রাখা হতো। অস্ত্রগুলো আনার পথে লোকজন দেখত, কিন্তু তারা এটা কাউকে বলত না। উল্টো অস্ত্র বহনে সহযোগিতা করত। এদের কেউ একজন যদি পাকিস্তানিদের বলে দিত। তাহলে ঘটনা অন্য রকম হয়ে যেত পারত।’
‘একবার ফয়’স লেকে একটি অপারেশনে বিহারি এলাকায় আমরা ৭০ থেকে ৮০ জন গিয়েছিলাম। ৩০ মিনিটের মধ্যে অপারেশন শেষ করতে হবে। অর্থাৎ বিস্ফোরক ফিট করে ৩০ মিনিটের মধ্যে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। বিস্ফোরকটা ফিট করে যখন আমরা বের হয়ে আসছিলাম, তখন ফজরের নামাজ পড়ে বের হওয়া মুসল্লিরা আমাদের ঘেরাও করে ফেলেন। তাঁরা আমাদের ডাকাত ভেবে ঘেরাও করেন। পরে ওই এলাকার একজন আমাকে দেখে বলেন—কিরে মাহফুজ তুই! এখানে কী করিস? পরে আমি বললাম চাচা, তাড়াতাড়ি আমাদের ছেড়ে দেন, ফুটবে। এরপর তাঁরা আমাদের স্কট দিয়ে বিহারি এলাকা থেকে নিরাপদে রেললাইনের ওপারে পৌঁছে দেন। রেললাইনের ওপারে আমাদের জন্য নিরাপদ ছিল। কারণ সেখানে ৮টার মতো এলএনজি স্থাপন করা ছিল।’
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বর্ণনা করতে গিয়ে সাধারণ মানুষের সহযোগিতার কথা বড় করে তুলে ধরেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান। মুক্তিযুদ্ধের পর কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়ে তিনি গড়ে তোলেন ‘বাংলাদেশ মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র’। ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই গবেষণা কেন্দ্রটি এখন হয়ে উঠেছে চট্টগ্রামের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ের বাতিঘর। ১৪টি বইয়ে ৪ হাজার মুক্তিযোদ্ধার সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছেন তিনি। একইভাবে ডা. মাহফুজুর রহমান হয়ে উঠেছেন মুক্তিযুদ্ধে জীবন্ত জাদুঘর।
চট্টগ্রাম নগরীতে প্রায় ৩০ থেকে ৪০টা ট্রেনিং সেন্টার ছিল জানিয়ে ডা. মাহফুজুর বলেন, ‘শহরের যেসব স্থানে ট্রেনিং সেন্টার ছিল। সাধারণ জনগণ এগুলো জানত। মুক্তিযোদ্ধারা কোথায় থাকত অনেকটা ওপেন সিক্রেট ছিল। কিন্তু কেউ কখনো এটা পাকিস্তানিদের বলেনি। উল্টো নানাভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করত। জনগণ যদি পাশে না থাকত, আমরা একদিনও চট্টগ্রামে টিকে থাকতে পারতাম না। এই কথাটা বাংলাদেশের টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত সত্য। কারণ আমি সারা দেশ ঘুরে মুক্তিযুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ করেছি। কিছু কিছু জায়গায় বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। জনগণ পাশে ছিল বলেই মুক্তিযুদ্ধে আমাদের সহজ বিজয় হয়েছে।’
মুক্তিযুদ্ধে সাধারণ মানুষের সহযোগিতা অস্বীকার করার সুযোগ নেই জানিয়ে মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘জনগণকে বাদ দিয়ে যদি কেউ বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করে ফেলেছি, এটা কাল্পনিক কথা। এটা অনেকেই বলেন, বিশেষ করে যাঁরা মিলিটারিতে ছিলেন। তাঁরা অনেকে এটা মনে করেন, তাঁদের প্রতিরোধ যুদ্ধের কারণে দেশ স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু তিনি সত্যটা জানেন না। একাত্তর সালে মুষ্টিমেয় জনগোষ্ঠী ছাড়া আর বাকি সবাই প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এমনও ঘটনা আছে, রাজাকারের স্ত্রী মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে ছিল।’
স্মৃতিচারণ করে মুক্তিযুদ্ধের গবেষক ডা. মাহফুজুর বলেন, ‘মিরসরাই উপজেলার কমান্ডার খুরশেদ আলম, এখন মারা গেছে। ও একবার এক বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। ওই বাড়ির বুড়ি বলছেন—তোরা ভালো করে খাওয়া ধাওয়া করে তাড়াতাড়ি চলে যা, আমার স্বামী বদ লোক। হারামজাদা রাজাকার, ও এসে তোদের ধরিয়ে দেবে। এই নারীর মতো দেশের প্রায় ৯৯ শতাংশ নারী মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে ছিলেন।’
অস্ত্র বহনে মানুষের সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে ডা. মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘কাট্টলী এলাকার সরাইপাড়া, ওখানে প্রায় বাড়িতে অস্ত্র রাখা হতো। অস্ত্রগুলো আনার পথে লোকজন দেখত, কিন্তু তারা এটা কাউকে বলত না। উল্টো অস্ত্র বহনে সহযোগিতা করত। এদের কেউ একজন যদি পাকিস্তানিদের বলে দিত। তাহলে ঘটনা অন্য রকম হয়ে যেত পারত।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে