মো. বেল্লাল হোসেন, দশমিনা (পটুয়াখালী)
পটুয়াখালীর দশমিনায় বিভিন্ন সড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে নানান প্রজাতির অসংখ্য মরা গাছ। যেকোনো মুহূর্তে গাছগুলো রাস্তার ওপরে পড়ে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। অন্যদিকে মূল্যবান গাছগুলো মরে বৃষ্টিতে ভিজে রোদে শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় লাখ লাখ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।
দশমিনা-পটুয়াখালী ও দশমিনা-বরিশাল মহাসড়কসহ উপজেলার সঙ্গে বিভিন্ন ইউনিয়নের সংযোগ সড়কগুলোর দুই পাশে বিভিন্ন প্রজাতির অসংখ্য মূল্যবান মরা গাছ দাঁড়িয়ে রয়েছে। গাছগুলো দীর্ঘ দিন ধরে মরে শুকিয়ে গেলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এগুলো অপসারণের ব্যবস্থা করেনি। কখনো কখনো ভেঙে রাস্তার ওপর পড়ে এমন গাছ। ফলে সড়কগুলোতে মাঝেমধ্যে গাড়ি চলাচল সাময়িক বাধাগ্রস্ত হয়। রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহনের চালক, যাত্রী ও পথচারীরাও থাকেন আতঙ্কে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা শহরের নলখোলা এলাকা থেকে আলীপুরা ইউনিয়নে, দশমিনা থেকে রনগোপালদী ইউনিয়নের সংযোগ সড়কের দুপাশে কয়েক শ মরা রেইনট্রি, মেহগনি ও শিশু গাছ রয়েছে। কোথাও কাত হয়ে আছে রাস্তার ওপর। দশমিনা-বাউফল মহাসড়কের দুপাশে একই অবস্থা। উপজেলা শহরের থানা ও হাসপাতাল রোডে রয়েছে কয়েকটি মরা চাম্বুল গাছ। এ ছাড়াও সড়কের দুপাশে বিভিন্ন সময়ে ঝড়ে কিংবা বাতাসে পড়ে যাওয়া অনেক গাছ দেখতে পাওয়া যায়।
জানা যায়, বছরের পর বছর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে কিছু গাছ বিধি মোতাবেক বিক্রির উপযোগী থাকলেও অধিকাংশ গাছই বিক্রির অনুপযোগী হয়ে গেছে। আবার কিছু বিক্রির অনুপযোগী হতে চলছে। ফলে সরকার লাখ লাখ টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
দশমিনা সদর রোডের ব্যবসায়ী শহিদুল হক মীর জানান, গত বছর বর্ষায় একটি মরা গাছ পড়ে তাঁর দোকানের কিছু মালপত্র নষ্ট হয়েছিল। গাছটি এখনো আছে। এটি বিক্রি করলে ৮-১০ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হতো। সেই সময় যানবাহন ও পথচারীরা অল্পের জন্য রক্ষা পেলেও দীর্ঘ সময়ের জন্য রাস্তায় তৈরি হয়েছিল যানজট।
উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের বগুড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেন জানান, রাস্তার দুপাশের এমন মরা গাছ পথচারী, যানবাহন ও গৃহপালিত পশুর জন্য যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটতে পারে। তাই দ্রুত রাস্তার দু’পাশ থেকে বিধি মোতাবেক মরা গাছগুলো অপসারণ করা উচিত।
দশমিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের চালক মো. শাহজাহান জানান, এ গাছগুলো পথচারী ও যানবাহনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। কিছুদিন আগে রোগী নিয়ে বরিশাল যাওয়ার পথে গছানী রাস্তায় মরা গাছের ডাল পড়ে তাঁর অ্যাম্বুলেন্সের দুটি গ্লাস ভেঙে যায়। অল্পের জন্য তিনি ও বহন করা রোগীরা প্রাণে রক্ষা পান।
আলীপুরা ইউনিয়নের বাসিন্দা সোহাগ বলেন, ‘এ রকম মরাগাছ (বিভিন্ন প্রজাতির) রাস্তার পাশে শুকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। রাস্তায় মানুষ চলাচলে মাঝেমধ্যে শুকনো গাছের ডাল পড়ে ঘটছে দুর্ঘটনা। কখনো শুনি এলজিইডির, আবার শুনি বন বিভাগের। তাদের উদাসীনতার সরকার হারাচ্ছে বিপুল রাজস্ব।’
বন বিভাগের দশমিনা রেঞ্জ কর্মকর্তা অমিতাভ বসু জানান, সব রাস্তার পাশের গাছই বন বিভাগের নয়। কিছু কিছু সড়কের পাশের গাছ এলজিইডির তত্ত্বাবধানে রয়েছে। রাস্তার দুপাশে বন বিভাগের মৃত ও ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো অতি শিগগিরই মার্ক করে নির্ধারিত বিধি মোতাবেক টেন্ডারের মাধ্যমে অপসারণ করা হবে।
দশমিনা উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. মকবুল হোসেন বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট নীতিমালার বাইরে আমরা কিছু করতে পারি না। সরকারি বিধি অনুসারে শিগগিরই মরা গাছগুলো অপসারণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পটুয়াখালীর দশমিনায় বিভিন্ন সড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে নানান প্রজাতির অসংখ্য মরা গাছ। যেকোনো মুহূর্তে গাছগুলো রাস্তার ওপরে পড়ে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। অন্যদিকে মূল্যবান গাছগুলো মরে বৃষ্টিতে ভিজে রোদে শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় লাখ লাখ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।
দশমিনা-পটুয়াখালী ও দশমিনা-বরিশাল মহাসড়কসহ উপজেলার সঙ্গে বিভিন্ন ইউনিয়নের সংযোগ সড়কগুলোর দুই পাশে বিভিন্ন প্রজাতির অসংখ্য মূল্যবান মরা গাছ দাঁড়িয়ে রয়েছে। গাছগুলো দীর্ঘ দিন ধরে মরে শুকিয়ে গেলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এগুলো অপসারণের ব্যবস্থা করেনি। কখনো কখনো ভেঙে রাস্তার ওপর পড়ে এমন গাছ। ফলে সড়কগুলোতে মাঝেমধ্যে গাড়ি চলাচল সাময়িক বাধাগ্রস্ত হয়। রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহনের চালক, যাত্রী ও পথচারীরাও থাকেন আতঙ্কে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা শহরের নলখোলা এলাকা থেকে আলীপুরা ইউনিয়নে, দশমিনা থেকে রনগোপালদী ইউনিয়নের সংযোগ সড়কের দুপাশে কয়েক শ মরা রেইনট্রি, মেহগনি ও শিশু গাছ রয়েছে। কোথাও কাত হয়ে আছে রাস্তার ওপর। দশমিনা-বাউফল মহাসড়কের দুপাশে একই অবস্থা। উপজেলা শহরের থানা ও হাসপাতাল রোডে রয়েছে কয়েকটি মরা চাম্বুল গাছ। এ ছাড়াও সড়কের দুপাশে বিভিন্ন সময়ে ঝড়ে কিংবা বাতাসে পড়ে যাওয়া অনেক গাছ দেখতে পাওয়া যায়।
জানা যায়, বছরের পর বছর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে কিছু গাছ বিধি মোতাবেক বিক্রির উপযোগী থাকলেও অধিকাংশ গাছই বিক্রির অনুপযোগী হয়ে গেছে। আবার কিছু বিক্রির অনুপযোগী হতে চলছে। ফলে সরকার লাখ লাখ টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
দশমিনা সদর রোডের ব্যবসায়ী শহিদুল হক মীর জানান, গত বছর বর্ষায় একটি মরা গাছ পড়ে তাঁর দোকানের কিছু মালপত্র নষ্ট হয়েছিল। গাছটি এখনো আছে। এটি বিক্রি করলে ৮-১০ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হতো। সেই সময় যানবাহন ও পথচারীরা অল্পের জন্য রক্ষা পেলেও দীর্ঘ সময়ের জন্য রাস্তায় তৈরি হয়েছিল যানজট।
উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের বগুড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেন জানান, রাস্তার দুপাশের এমন মরা গাছ পথচারী, যানবাহন ও গৃহপালিত পশুর জন্য যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটতে পারে। তাই দ্রুত রাস্তার দু’পাশ থেকে বিধি মোতাবেক মরা গাছগুলো অপসারণ করা উচিত।
দশমিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের চালক মো. শাহজাহান জানান, এ গাছগুলো পথচারী ও যানবাহনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। কিছুদিন আগে রোগী নিয়ে বরিশাল যাওয়ার পথে গছানী রাস্তায় মরা গাছের ডাল পড়ে তাঁর অ্যাম্বুলেন্সের দুটি গ্লাস ভেঙে যায়। অল্পের জন্য তিনি ও বহন করা রোগীরা প্রাণে রক্ষা পান।
আলীপুরা ইউনিয়নের বাসিন্দা সোহাগ বলেন, ‘এ রকম মরাগাছ (বিভিন্ন প্রজাতির) রাস্তার পাশে শুকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। রাস্তায় মানুষ চলাচলে মাঝেমধ্যে শুকনো গাছের ডাল পড়ে ঘটছে দুর্ঘটনা। কখনো শুনি এলজিইডির, আবার শুনি বন বিভাগের। তাদের উদাসীনতার সরকার হারাচ্ছে বিপুল রাজস্ব।’
বন বিভাগের দশমিনা রেঞ্জ কর্মকর্তা অমিতাভ বসু জানান, সব রাস্তার পাশের গাছই বন বিভাগের নয়। কিছু কিছু সড়কের পাশের গাছ এলজিইডির তত্ত্বাবধানে রয়েছে। রাস্তার দুপাশে বন বিভাগের মৃত ও ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো অতি শিগগিরই মার্ক করে নির্ধারিত বিধি মোতাবেক টেন্ডারের মাধ্যমে অপসারণ করা হবে।
দশমিনা উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. মকবুল হোসেন বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট নীতিমালার বাইরে আমরা কিছু করতে পারি না। সরকারি বিধি অনুসারে শিগগিরই মরা গাছগুলো অপসারণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে