লক্ষ্যমাত্রা ছাড়াল আবাদ

মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৮ নভেম্বর ২০২১, ১২: ১৫
আপডেট : ০৮ নভেম্বর ২০২১, ১৭: ৩০

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রোপা আমন ও বোনা আমন ধানের চাষ হয়েছে। গত বছর কৃষক ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় এবার বেশি জমিতে ধান চাষ করেছেন বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি অফিস। এবার ফলন ভালো হওয়ায় উপজেলায় চাল উদ্বৃত্ত থাকতে পারে প্রায় ১৬ হাজার ৫৫০ মেট্রিক টন।

মহম্মদপুর উপজেলায় বিস্তৃত মাঠজুড়ে ধানের খেত। আগাম জাতের রোপা আমন ধান পাকতে শুরু করেছে। উপজেলার কিছু কিছু এলাকায় ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ। তবে কাটা-মাড়াই পুরোপুরি জমে উঠতে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে।

মহম্মদপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রমতে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৮ ইউনিয়নে ১২ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ও বোনা আমন জাতের ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। তবে আবাদ হয়েছে ১২ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে। উপজেলায় গড় খাদ্যের চাহিদা রয়েছে ৪৫ হাজার ৩৫০ মেট্রিক টন। গড় হিসাব অনুযায়ী উপজেলার খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ১৬ হাজার ৫৫০ মেট্রিক টন চাল অতিরিক্ত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

চালিমিয়া গ্রামের কৃষক রতন মোল্যা বলেন, ‘অনুকূল আবহাওয়া, রোগবালাই কম হওয়া, আর সঠিক সময়ে ও সঠিক মাত্রায় সার প্রয়োগে এ বছর রোপা আমন ও বোনা আমন ধানের ভালো ফলন হয়েছে।’

দীঘা ইউনিয়নের আউনাড়া গ্রামের আনোয়ার মোল্যা জানান, ‘গত বছর বোরো চাষ করা হয়নি। তবে এবার করেছি। ধানের ফলনও বেশ ভালো। কৃষি অফিস থেকে নিয়মিত আমার খেত দেখতে আসেন অনেকেই। কয়েক দিনের মধ্যে ধান কাটা শুরু করব।’

উপজেলার বাবুখালী ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল জব্বার বলেন, ‘বোরো ধান কাটার পরই জমিতে রোপা আমন জাতের ধান লাগানো হয়। এ সময় বৃষ্টিপাত বেশি হওয়ায় এ জাতের ধান চাষে পানি সেচ ততটা দিতে হয় না। সার ও কীটনাশকও লাগে কম। এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় ধানে পোকার আক্রমণ খুবই কম। কদিন পরই ধান কাটা পুরোপুরি শুরু হবে। গত বছরের চেয়ে এবার বেশি ফলনের আশা করছি।’

তবে ধান চাষের শুরু থেকে এখনো কৃষকদের নানা পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা। বিনোদপুর ইউনিয়নের ঘুল্লিয়া ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মৃণাল কান্তি দাস বলেন, ‘জমি চাষ দেওয়া থেকে শুরু করে জমিতে সার প্রয়োগ পর্যন্ত কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষক যেন ধানের বেশি ফলন পান।’

মহম্মদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আব্দুস সোবহান বলেন, ‘চলতি মৌসুমে উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধানের চাষ হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া ও পোকার আক্রমণ কম হওয়ায় গত বছরের তুলনায় এবারও ফলন বেশ ভালো। গত বছর কৃষক ধানের ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় এবার বেশি জমিতে ধানের আবাদ করেছেন।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত