সম্পাদকীয়
হরিচাঁদ ঠাকুর হিন্দু সম্প্রদায়ের নিম্নশ্রেণির মানুষের ধর্মীয় নেতা ও সাধক এবং মতুয়া সম্প্রদায়ের গুরু ছিলেন। তিনি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি গ্রাম্য পাঠশালার পড়া শেষ করে কয়েক মাস মাত্র স্কুলে গিয়েছিলেন। পরে স্কুলের গণ্ডিবদ্ধ জীবন ভালো না লাগায় স্কুল ত্যাগ করে তিনি মিশে যান সাধারণ মানুষের সঙ্গে।
হরিচাঁদ বাল্যকাল থেকেই ছিলেন ভাবুক প্রকৃতির। তিনি চৈতন্য দেবের প্রেম-ভক্তির কথা সহজ-সরলভাবে প্রচার করতেন। তাঁর এই সাধনপদ্ধতিকে বলা হয় ‘মতুয়াবাদ’, আর এই আদর্শে যারা বিশ্বাসী, তাদের বলা হয় ‘মতুয়া’।
মতুয়া সম্প্রদায়ের জনপ্রিয়তার অন্যতম একটি কারণ ছিল হরিচাঁদ ঠাকুরের দর্শন। তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের নিম্নশ্রেণির মানুষকে তাঁর মতবাদে দীক্ষিত করেছিলেন। প্রচলিত ধর্ম শাসনপদ্ধতির সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, বাহুল্যসর্বস্ব ধর্মচর্চা অসার।
‘হাতে নাম মুখে কাজ’—এই মূলমন্ত্র সঙ্গী করে তিনি সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের আত্মমর্যাদা বৃদ্ধি এবং আর্থসামাজিক পরিস্থিতির আশু উন্নতির জন্য সচেষ্ট ছিলেন জীবনভর। বিবিধের মধ্যে ঐক্য সৃষ্টির জন্য মানুষকে অনুপ্রাণিত করে গেছেন জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত।
সত্য, প্রেম ও পবিত্রতা—এই তিনটি মূল স্তম্ভের ওপর মতুয়াবাদ প্রতিষ্ঠিত। এই মতবাদে সব মানুষ সমান। জাতিভেদ বা সম্প্রদায়ভেদ মতুয়াবাদে স্বীকৃত নয়। তিনি নিজে ব্রাহ্মণ-সন্তান হয়েও সমাজের নিম্নস্তরের লোকদেরই বেশি করে কাছে টেনেছেন; তাদের যথার্থ সামাজিক মর্যাদা দিয়েছেন। তাই দেখা যায়, তাঁর শিষ্যদের সিংহভাগই সমাজের নিম্নশ্রেণির মানুষ। দলিত ও পিছিয়ে পড়া মানুষের ত্রাণকর্তা এবং ব্রাহ্মণ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা হরিচাঁদ ঠাকুরের কৃতিত্ব বাংলার ধর্মীয় ও সামাজিক ইতিহাসে খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর জীবন ও আদর্শ নিয়ে কবিয়াল তারকচন্দ্র সরকার ‘শ্রীশ্রী হরিলীলামৃত’ গ্রন্থ রচনা করেন।
১৮৭৮ সালের ৫ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন হরিচাঁদ ঠাকুর। তাঁর জন্মতিথি উপলক্ষে প্রতিবছর ওড়াকান্দিতে দেশ-বিদেশের মতুয়ারা একত্র হয় এবং তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
হরিচাঁদ ঠাকুর হিন্দু সম্প্রদায়ের নিম্নশ্রেণির মানুষের ধর্মীয় নেতা ও সাধক এবং মতুয়া সম্প্রদায়ের গুরু ছিলেন। তিনি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি গ্রাম্য পাঠশালার পড়া শেষ করে কয়েক মাস মাত্র স্কুলে গিয়েছিলেন। পরে স্কুলের গণ্ডিবদ্ধ জীবন ভালো না লাগায় স্কুল ত্যাগ করে তিনি মিশে যান সাধারণ মানুষের সঙ্গে।
হরিচাঁদ বাল্যকাল থেকেই ছিলেন ভাবুক প্রকৃতির। তিনি চৈতন্য দেবের প্রেম-ভক্তির কথা সহজ-সরলভাবে প্রচার করতেন। তাঁর এই সাধনপদ্ধতিকে বলা হয় ‘মতুয়াবাদ’, আর এই আদর্শে যারা বিশ্বাসী, তাদের বলা হয় ‘মতুয়া’।
মতুয়া সম্প্রদায়ের জনপ্রিয়তার অন্যতম একটি কারণ ছিল হরিচাঁদ ঠাকুরের দর্শন। তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের নিম্নশ্রেণির মানুষকে তাঁর মতবাদে দীক্ষিত করেছিলেন। প্রচলিত ধর্ম শাসনপদ্ধতির সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, বাহুল্যসর্বস্ব ধর্মচর্চা অসার।
‘হাতে নাম মুখে কাজ’—এই মূলমন্ত্র সঙ্গী করে তিনি সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের আত্মমর্যাদা বৃদ্ধি এবং আর্থসামাজিক পরিস্থিতির আশু উন্নতির জন্য সচেষ্ট ছিলেন জীবনভর। বিবিধের মধ্যে ঐক্য সৃষ্টির জন্য মানুষকে অনুপ্রাণিত করে গেছেন জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত।
সত্য, প্রেম ও পবিত্রতা—এই তিনটি মূল স্তম্ভের ওপর মতুয়াবাদ প্রতিষ্ঠিত। এই মতবাদে সব মানুষ সমান। জাতিভেদ বা সম্প্রদায়ভেদ মতুয়াবাদে স্বীকৃত নয়। তিনি নিজে ব্রাহ্মণ-সন্তান হয়েও সমাজের নিম্নস্তরের লোকদেরই বেশি করে কাছে টেনেছেন; তাদের যথার্থ সামাজিক মর্যাদা দিয়েছেন। তাই দেখা যায়, তাঁর শিষ্যদের সিংহভাগই সমাজের নিম্নশ্রেণির মানুষ। দলিত ও পিছিয়ে পড়া মানুষের ত্রাণকর্তা এবং ব্রাহ্মণ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা হরিচাঁদ ঠাকুরের কৃতিত্ব বাংলার ধর্মীয় ও সামাজিক ইতিহাসে খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর জীবন ও আদর্শ নিয়ে কবিয়াল তারকচন্দ্র সরকার ‘শ্রীশ্রী হরিলীলামৃত’ গ্রন্থ রচনা করেন।
১৮৭৮ সালের ৫ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন হরিচাঁদ ঠাকুর। তাঁর জন্মতিথি উপলক্ষে প্রতিবছর ওড়াকান্দিতে দেশ-বিদেশের মতুয়ারা একত্র হয় এবং তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৭ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে