জুবাইদুল ইসলাম, শেরপুর
শেরপুরে পৌষ মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শুক্রবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত শহরের নবীনগর ছাওয়াল পীরের দরগা সংলগ্ন খোলা মাঠে এই পৌষমেলা হয়। মেলায় নারী-পুরুষ ও শিশুসহ সব বয়সী মানুষের ছিল উপচে পড়া ভিড়। আয়োজক ও স্থানীয়দের দাবি, প্রায় ২০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলে আসছে এই পৌষ মেলা।
জানা গেছে, প্রতিবছর এই মেলাটি মূলত ৩০ শে পৌষ হলেও কয়েক বছর ধরে বোরো আবাদের জন্য সংক্রান্তির আগেই মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পৌষ মেলায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী মুখরোচক খাবার মুড়ি-মুড়কি, মোয়া, নিমকি, গজা, খোরমা, কলাই, চানাচুর, বাদাম কটকটি, তিলের খাজা এবং প্লাস্টিক ও মাটির তৈরি শিশুদের বিভিন্ন খেলনা ও নারীদের বিভিন্ন প্রসাধনী সামগ্রীর পাশাপাশি গৃহস্থালির বিভিন্ন পণ্যের পসরা বসে। পৌষ মেলায় শেরপুর শহরসহ এর আশপাশের এলাকা থেকে নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণী, শিশু-কিশোরসহ নানা বয়সের হাজারো মানুষের ঢল নামে।
পৌষ মেলায় ঘোড়দৌড়, সাইকেল রেস, গাঙ্গী বা কুস্তি খেলা ও নারীদের মিউজিক্যাল চেয়ারসহ গ্রামীণ বিভিন্ন খেলা ও প্রতিযোগিতা হয়। মেলার প্রধান আকর্ষণ ছিল ঘোড়দৌড় ও গাঙ্গী খেলা। বড়-মাঝারি-ছোট এ তিনটি গ্রুপে অনুষ্ঠিত হয় গাঙ্গী খেলা। আর আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে আসেন ২০ জন ঘোড়সওয়ার। মেলায় বিভিন্ন প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন শেরপুর পৌরসভার মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন ও প্যানেল মেয়র মো. নজরুল ইসলাম। এ সময় মেলা আয়োজক কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে মেলাকে ঘিরে শেরপুর শহরের নবীনগরসহ আশেপাশের এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। স্থানীয়দের ঘরে ঘরে চলে পিঠা-পায়েস খাওয়ার উৎসব। এ উৎসবকে ঘিরে প্রায় প্রতি বাড়িতেই দূর-দূরান্তের আত্মীয়রা ছুটে আসে পিঠা খেতে এবং মেলা দেখতে। এক সময় বাঙালির ঐতিহ্য ধরে রাখতে পূর্ব পুরুষদের রেওয়াজ অনুযায়ী গ্রামের মানুষ ভোরে উঠে হলুদ ও সর্ষেবাটা দিয়ে গোসল করতেন। বাড়ির মেয়েরা ব্যস্ত থাকতেন পিঠা-পায়েস তৈরিতে। দিনব্যাপী চলতো অতিথি আপ্যায়ন।
মেলায় ঘুরতে আসা নারী উদ্যোক্তা তাহমিনা জলি জানান, শহরের পাশেই প্রতিবছর অনুষ্ঠিত এই পৌষ মেলায় সপরিবারে ঘুরতে এসেছি। নানা গ্রামীণ খেলা উপভোগের পাশাপাশি বাচ্চাদের নিয়ে বাহারি খাবারও খেলাম। মেলায় বাবা-মার সঙ্গে ঘুরতে আসা শিশু তাহিয়া তাবাসসুম জানান, মেলায় ঘুরতে এসে বেশ ভালো লাগছে। এখান থেকে অনেক খেলনা আর বেলুন কিনেছি। মেলায় ঘুরতে আসা শিক্ষার্থী নাফিউর রহমান নাফিস জানান, বিকেলে মেলায় এসে ঘোড়দৌড়, সাইকেল রেস ও কুস্তি খেলা দেখলাম। বন্ধুদের সঙ্গে অনেক আনন্দ আর হৈ-হুল্লুড় করেছি। ঐতিহ্যবাহী এ মেলাটি যাতে প্রতিবছরই আরও বড় পরিসরে অনুষ্ঠিত হয় এ দাবি জানান মেলায় আসা দর্শনার্থীরা।
পৌষ মেলা আয়োজক কমিটির সমন্বয়কারী শেরপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. নজরুল ইসলাম জানান, আমাদের বাপ দাদার আমল থেকেই প্রতিবছর বাংলা পৌষ মাসের শেষদিন (পঞ্জিকা মতে) ছাওয়াল পীরের দরগাহ সংলগ্ন মাঠে এ পৌষমেলা অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ২০০ বছর যাবৎ এ মেলা হচ্ছে। পূর্ব পুরুষদের ঐতিহ্য বজায় রেখে এ বছরও পৌষমেলার আয়োজন করেছি। এটি আমাদের ঐতিহ্যের অংশ। বর্তমানে ধান রোপণের মৌসুমের কারণে মেলাটি কিছুদিন এগিয়ে আনা হয়েছে।
শেরপুরে পৌষ মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শুক্রবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত শহরের নবীনগর ছাওয়াল পীরের দরগা সংলগ্ন খোলা মাঠে এই পৌষমেলা হয়। মেলায় নারী-পুরুষ ও শিশুসহ সব বয়সী মানুষের ছিল উপচে পড়া ভিড়। আয়োজক ও স্থানীয়দের দাবি, প্রায় ২০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলে আসছে এই পৌষ মেলা।
জানা গেছে, প্রতিবছর এই মেলাটি মূলত ৩০ শে পৌষ হলেও কয়েক বছর ধরে বোরো আবাদের জন্য সংক্রান্তির আগেই মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পৌষ মেলায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী মুখরোচক খাবার মুড়ি-মুড়কি, মোয়া, নিমকি, গজা, খোরমা, কলাই, চানাচুর, বাদাম কটকটি, তিলের খাজা এবং প্লাস্টিক ও মাটির তৈরি শিশুদের বিভিন্ন খেলনা ও নারীদের বিভিন্ন প্রসাধনী সামগ্রীর পাশাপাশি গৃহস্থালির বিভিন্ন পণ্যের পসরা বসে। পৌষ মেলায় শেরপুর শহরসহ এর আশপাশের এলাকা থেকে নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণী, শিশু-কিশোরসহ নানা বয়সের হাজারো মানুষের ঢল নামে।
পৌষ মেলায় ঘোড়দৌড়, সাইকেল রেস, গাঙ্গী বা কুস্তি খেলা ও নারীদের মিউজিক্যাল চেয়ারসহ গ্রামীণ বিভিন্ন খেলা ও প্রতিযোগিতা হয়। মেলার প্রধান আকর্ষণ ছিল ঘোড়দৌড় ও গাঙ্গী খেলা। বড়-মাঝারি-ছোট এ তিনটি গ্রুপে অনুষ্ঠিত হয় গাঙ্গী খেলা। আর আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে আসেন ২০ জন ঘোড়সওয়ার। মেলায় বিভিন্ন প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন শেরপুর পৌরসভার মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন ও প্যানেল মেয়র মো. নজরুল ইসলাম। এ সময় মেলা আয়োজক কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে মেলাকে ঘিরে শেরপুর শহরের নবীনগরসহ আশেপাশের এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। স্থানীয়দের ঘরে ঘরে চলে পিঠা-পায়েস খাওয়ার উৎসব। এ উৎসবকে ঘিরে প্রায় প্রতি বাড়িতেই দূর-দূরান্তের আত্মীয়রা ছুটে আসে পিঠা খেতে এবং মেলা দেখতে। এক সময় বাঙালির ঐতিহ্য ধরে রাখতে পূর্ব পুরুষদের রেওয়াজ অনুযায়ী গ্রামের মানুষ ভোরে উঠে হলুদ ও সর্ষেবাটা দিয়ে গোসল করতেন। বাড়ির মেয়েরা ব্যস্ত থাকতেন পিঠা-পায়েস তৈরিতে। দিনব্যাপী চলতো অতিথি আপ্যায়ন।
মেলায় ঘুরতে আসা নারী উদ্যোক্তা তাহমিনা জলি জানান, শহরের পাশেই প্রতিবছর অনুষ্ঠিত এই পৌষ মেলায় সপরিবারে ঘুরতে এসেছি। নানা গ্রামীণ খেলা উপভোগের পাশাপাশি বাচ্চাদের নিয়ে বাহারি খাবারও খেলাম। মেলায় বাবা-মার সঙ্গে ঘুরতে আসা শিশু তাহিয়া তাবাসসুম জানান, মেলায় ঘুরতে এসে বেশ ভালো লাগছে। এখান থেকে অনেক খেলনা আর বেলুন কিনেছি। মেলায় ঘুরতে আসা শিক্ষার্থী নাফিউর রহমান নাফিস জানান, বিকেলে মেলায় এসে ঘোড়দৌড়, সাইকেল রেস ও কুস্তি খেলা দেখলাম। বন্ধুদের সঙ্গে অনেক আনন্দ আর হৈ-হুল্লুড় করেছি। ঐতিহ্যবাহী এ মেলাটি যাতে প্রতিবছরই আরও বড় পরিসরে অনুষ্ঠিত হয় এ দাবি জানান মেলায় আসা দর্শনার্থীরা।
পৌষ মেলা আয়োজক কমিটির সমন্বয়কারী শেরপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. নজরুল ইসলাম জানান, আমাদের বাপ দাদার আমল থেকেই প্রতিবছর বাংলা পৌষ মাসের শেষদিন (পঞ্জিকা মতে) ছাওয়াল পীরের দরগাহ সংলগ্ন মাঠে এ পৌষমেলা অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ২০০ বছর যাবৎ এ মেলা হচ্ছে। পূর্ব পুরুষদের ঐতিহ্য বজায় রেখে এ বছরও পৌষমেলার আয়োজন করেছি। এটি আমাদের ঐতিহ্যের অংশ। বর্তমানে ধান রোপণের মৌসুমের কারণে মেলাটি কিছুদিন এগিয়ে আনা হয়েছে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে