সেতুটির নির্মাণ শেষ হয়নি ১৮ বছরেও

তিতাস প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ মার্চ ২০২২, ০৮: ১৭
আপডেট : ১০ মার্চ ২০২২, ১৩: ৪৬

কুমিল্লার তিতাস উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়ন। বারামবাড়ি-নয়াচর সেতুর কাজ শুরু হয় প্রায় ১৮ বছর আগে। কিন্তু কাজটি শেষ হয়নি। এখনো সেখানে খালের ওপর সেতুর পিলার দাঁড়িয়ে আছে। পাশেই একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। গ্রামের বাসিন্দাদের যাতায়াতের জন্য এই বাঁশের সাঁকোই ভরসা।

নয়াচর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীরা পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি নিয়ে এই সাঁকো পার হয়। অনেক শিক্ষার্থী ওই সাঁকো পার হওয়ার ভয়ে বিদ্যালয়ে যেতে চায় না। তাই গ্রামবাসী ও শিশু শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ লাঘবে শিগগির সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বারাম বাড়ি গ্রামের বাসিন্দা মিলন আক্তার বলেন, ‘আজ অনেক বছর ধরে খালের ওপর অসমাপ্ত ব্রিজটি এভাবেই পড়ে আছে। এটি আমাদের কোনো কাজেই আসছে না। সারা বছর আমরা বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে যাতায়াত করি। নারীদেরও পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পার হতে হয়। সবচেয়ে বেশি মুশকিল হয় ছোট ছেলে-মেয়েদের নিয়ে। তারা ওই সাঁকোর ভয়ে নয়াচর স্কুলে যেতে চায় না। আমরা চাই, আমাদের এই সমস্যা দূর করা হোক। ব্রিজটি শিগগির শেষ করা হোক।’

একই গ্রামের বাসিন্দা বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘১৮ থেকে ২০ বছর আগে ব্রিজটির নির্মাণকাজ শুরু করা হয়। তখন এলাকাবাসী অনেক খুশি হয়েছিল। কিন্তু ব্রিজটি আর শেষ করা হলো না। আধা কাজ হয়েছে। এই অবস্থায়ই এত দিন ব্রিজটি পড়ে আছে। আমাদের কোনো কাজ আসছে না। গত বছর শুনেছি, নতুন করে ব্রিজটি নির্মাণ করা হবে। কিন্তু এরপর আর কোনো কাজ হতে দেখিনি। আমাদের গ্রামবাসীর দাবি, ব্রিজটি যত দ্রুত সম্ভব নির্মাণ করা হোক। গ্রামবাসীর চলাচল এবং আমাদের ছোট ছেলে-মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার সমস্যা দূর করা হোক।’

নয়াচর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র নুর নবী জানায়, সাঁকো দিয়ে স্কুল যেতে তার ভয় লাগে। এ জন্য সে স্কুলে যেতে চায় না।

গৃহবধূ ঝরনা বেগম বলেন, ‘আমাদের মতো নারীদেরও বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে চলাচলে ভয় হয়। আমরা পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি নিয়ে ওই সাঁকো পার হই। ব্রিজটি দ্রুত নির্মাণ করার দাবি জানাচ্ছি।’

এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে নারান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আরিফুজ্জামান খোকা বলেন, ‘আমি মুরাদনগর মিটিংয়ে আছি।’

জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আহসান উল্লাহ বলেন, ‘ওই ব্রিজটির গত বছর দরপত্র হয়েছিল। কিন্তু সেখানে নির্মাণসামগ্রী নেওয়ার মতো রাস্তা না থাকায় কাজটি করা সম্ভব হয়নি। এ বছর আবার নতুন করে প্রকল্প দিয়েছি। আশা করি, এ বছর ব্রিজটির নির্মাণকাজ শেষ করতে পারব।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত