খান রফিক, বরিশাল
বরিশাল নগরে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম (এলপি) গ্যাস সরবরাহে তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি কোম্পানির গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এ সুযোগে মাত্র ১৫ দিনে সিলিন্ডারপ্রতি দাম বেড়েছে ১৫০ টাকা।
জ্বালানি ব্যয় এভাবে বেড়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নগরবাসী। এর কারণ হিসেবে বিভিন্ন কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ডলার-সংকটে ঋণপত্র (এলসি) করতে না পারাকে দায়ী করেছেন। তবে খুচরা বিক্রেতারা সিন্ডিকেট করার অভিযোগ করেছেন।
নগরের সিঅ্যান্ডবি রোডের পানি ট্যাংকসংলগ্ন ভাড়া বাসায় থাকেন মাহমুদা খানম। তিনি বলেন, ‘গত মাসে ১২ কেজির গ্যাস সিলিন্ডার কিনেছেন ১ হাজার ৩০০ টাকায়। এ মাসে সেই গ্যাস চাচ্ছে ১ হাজার ৪৬০ টাকা। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে সংসার খরচ সামলাব কীভাবে।’
চৌমাথার হোটেলমালিক আব্দুর রহমান বলেন, গ্যাসের দাম যে হারে বাড়ছে, তাতে খাবারের দামও বাড়াতে হবে। বটতলা মোড়ের এলপি গ্যাসের খুচরা বিক্রেতা মো. শাহিন বলেন, সবার আগে সংকট দেখা দেয় বসুন্ধরা কোম্পানির। ১৫ দিন ধরে তারা সাপ্লাই দিতে পারছে না।বেক্সিমকো কোম্পানিরও এক সপ্তাহ সরবরাহ ছিল না। আজ (গতকাল) সরবরাহ কিছুটা শুরু হয়েছে।
শাহিন আরও বলেন, একইভাবে ফ্রেশ, এনার্জি প্যাক (জি গ্যাস), বেঙ্গল, ডেলটা, নাভানার সরবরাহও বন্ধ। এ সুযোগে সিলিন্ডারপ্রতি গ্যাসের দাম অত্যধিক বেড়েছে। ১৫ দিন আগে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার প্রতিটি খুচরা বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৩০০ টাকায়। এখন যার খুচরা মূল্য ১ হাজার ৪৫০ থেকে ১ হাজার ৪৬০ টাকা। গ্যাস চাইলে অনেক কোম্পানি ফোনকল ধরে না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নগরের একাধিক খুচরা বিক্রেতা বলেছেন, পরিবেশকেরা (ডিলার) কৌশলে সিন্ডিকেট করছেন। এতে গ্যাসের দাম বেড়ে যাচ্ছে; কিন্তু প্রশাসনের তদারকির নেই কোথাও।
এলপি গ্যাস কোম্পানি বসুন্ধরার ডিলার রাসেল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ১৫ দিন ধরে সরবরাহ অনেকাংশেই বন্ধ। কেন
বন্ধ, তা কোম্পানি বলতে পারবে। কোম্পানি অল্প করে দেয়, সেগুলো খুচরা বিক্রেতাদের মাঝে ভাগ করে দেওয়া হয়।
এনার্জি প্যাকের (জি গ্যাস) ডিলার মো. বাপ্পি বলেন, ‘আমাদের এ মুহূর্তে গ্যাস সাপ্লাই নেই। এক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। প্রায় ১২ থেকে ১৪টি কোম্পানির গ্যাস সরবরাহ নেই। ডলার-সংকটের কারণে এলসি খুলতে না পারায় এমনটি হচ্ছে।’
এলপি গ্যাস লাফসের ডিলার মো. রুবেল হোসেন বলেন, কোম্পানি এলসি করে পণ্য আনতে পারছে না। যে কারণে গ্যাসের দাম অসম্ভব বাড়তি। কোনো কোনো কোম্পানি বরিশাল নগরে সরবরাহই বন্ধ রেখেছে।
কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) বরিশালের সাধারণ সম্পাদক হিরন কুমার দাস মিঠু আজকের পত্রিকাকে বলেন, এলপি গ্যাসে দুর্ভোগ বাড়ানো অনৈতিক এবং নগরবাসীর জন্য অনেক কষ্টের। এ বিষয়ে সরকারকে দ্রুত নজর দিতে হবে। বরিশালের প্রশাসনের উচিত, এলপি গ্যাস সরবরাহের বিষয়টি তদারকির আওতায় আনা।
বরিশাল নগরে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম (এলপি) গ্যাস সরবরাহে তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি কোম্পানির গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এ সুযোগে মাত্র ১৫ দিনে সিলিন্ডারপ্রতি দাম বেড়েছে ১৫০ টাকা।
জ্বালানি ব্যয় এভাবে বেড়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নগরবাসী। এর কারণ হিসেবে বিভিন্ন কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ডলার-সংকটে ঋণপত্র (এলসি) করতে না পারাকে দায়ী করেছেন। তবে খুচরা বিক্রেতারা সিন্ডিকেট করার অভিযোগ করেছেন।
নগরের সিঅ্যান্ডবি রোডের পানি ট্যাংকসংলগ্ন ভাড়া বাসায় থাকেন মাহমুদা খানম। তিনি বলেন, ‘গত মাসে ১২ কেজির গ্যাস সিলিন্ডার কিনেছেন ১ হাজার ৩০০ টাকায়। এ মাসে সেই গ্যাস চাচ্ছে ১ হাজার ৪৬০ টাকা। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে সংসার খরচ সামলাব কীভাবে।’
চৌমাথার হোটেলমালিক আব্দুর রহমান বলেন, গ্যাসের দাম যে হারে বাড়ছে, তাতে খাবারের দামও বাড়াতে হবে। বটতলা মোড়ের এলপি গ্যাসের খুচরা বিক্রেতা মো. শাহিন বলেন, সবার আগে সংকট দেখা দেয় বসুন্ধরা কোম্পানির। ১৫ দিন ধরে তারা সাপ্লাই দিতে পারছে না।বেক্সিমকো কোম্পানিরও এক সপ্তাহ সরবরাহ ছিল না। আজ (গতকাল) সরবরাহ কিছুটা শুরু হয়েছে।
শাহিন আরও বলেন, একইভাবে ফ্রেশ, এনার্জি প্যাক (জি গ্যাস), বেঙ্গল, ডেলটা, নাভানার সরবরাহও বন্ধ। এ সুযোগে সিলিন্ডারপ্রতি গ্যাসের দাম অত্যধিক বেড়েছে। ১৫ দিন আগে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার প্রতিটি খুচরা বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৩০০ টাকায়। এখন যার খুচরা মূল্য ১ হাজার ৪৫০ থেকে ১ হাজার ৪৬০ টাকা। গ্যাস চাইলে অনেক কোম্পানি ফোনকল ধরে না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নগরের একাধিক খুচরা বিক্রেতা বলেছেন, পরিবেশকেরা (ডিলার) কৌশলে সিন্ডিকেট করছেন। এতে গ্যাসের দাম বেড়ে যাচ্ছে; কিন্তু প্রশাসনের তদারকির নেই কোথাও।
এলপি গ্যাস কোম্পানি বসুন্ধরার ডিলার রাসেল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ১৫ দিন ধরে সরবরাহ অনেকাংশেই বন্ধ। কেন
বন্ধ, তা কোম্পানি বলতে পারবে। কোম্পানি অল্প করে দেয়, সেগুলো খুচরা বিক্রেতাদের মাঝে ভাগ করে দেওয়া হয়।
এনার্জি প্যাকের (জি গ্যাস) ডিলার মো. বাপ্পি বলেন, ‘আমাদের এ মুহূর্তে গ্যাস সাপ্লাই নেই। এক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। প্রায় ১২ থেকে ১৪টি কোম্পানির গ্যাস সরবরাহ নেই। ডলার-সংকটের কারণে এলসি খুলতে না পারায় এমনটি হচ্ছে।’
এলপি গ্যাস লাফসের ডিলার মো. রুবেল হোসেন বলেন, কোম্পানি এলসি করে পণ্য আনতে পারছে না। যে কারণে গ্যাসের দাম অসম্ভব বাড়তি। কোনো কোনো কোম্পানি বরিশাল নগরে সরবরাহই বন্ধ রেখেছে।
কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) বরিশালের সাধারণ সম্পাদক হিরন কুমার দাস মিঠু আজকের পত্রিকাকে বলেন, এলপি গ্যাসে দুর্ভোগ বাড়ানো অনৈতিক এবং নগরবাসীর জন্য অনেক কষ্টের। এ বিষয়ে সরকারকে দ্রুত নজর দিতে হবে। বরিশালের প্রশাসনের উচিত, এলপি গ্যাস সরবরাহের বিষয়টি তদারকির আওতায় আনা।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৫ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪